জনাব মিলকান তার ব্যবসায়ের সঞ্চিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। শেয়ারবাজারের অনবরত দরপতনের কারণে তিনি তার শেয়ারগুলো বিক্রি করে ৫ বছরের জন্য বন্ডে বিনিয়োগ করেন। হঠাৎ তার ব্যবসায়ে অর্থসংকট দেখা দিলে, তিনি বহু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বন্ডের জন্য উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া না যাওয়ায় তিনি খুব হতাশ হন। পরবর্তীতে বন্ডের মেয়াদপূর্তির পর টাকা হাতে আসলে, তিনি 'ইলসা' ও 'নিলিমা' নামক দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। ইলসা' প্রকল্প হতে ৫ বছরে আয়ের হার যথ ১০%, ২০%, ৫%, ১৫% ও ৩৫% এবং নিলিমা প্রকল্পের গড় আয় ১২% ।
জনাব জারজিস অনেক দিন ধরে 'ফার্মা' ও 'ডেটা' নামে দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছেন। প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তিনি শর্মী ব্যাংক থেকে কিছু ঢাকা ঋণ নেন। ঋণের সুদ উভয় বিনিয়োগের আয় থেকে পরিশোধ করবেন। 'ফার্মা' প্রকল্পে বিনিয়োগ করে ৪ বছরে বিক্রয় 1374 3,00,000, bro,000, 40,000, ৬০,০০০ টাকা। অবচয় ৮,০০০ টাকা, পরিবর্তনশীল খরচ ১০,০০০ টাকা এবং কর হার ২০%। 'ডেল্টা' প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত টাকা তিনি ৩ বছরের মধ্যেই ফেরত পান।
জনাব রেশাদের ছেলে রোহান এমবিএ শেষ করে বিভিন্ন ধরনের গ্লাস ও সিরামিক তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। তিনি আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানসম্মত পণ্য তৈরী করেন। সম্প্রতি তিনি ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে 'জননী ব্যাংক' থেকে ৯% সুদে ১০ বছরের জন্য ঋণ নেন। তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। চলতি বছরের বিক্রয়কৃত অর্থ সিটি ব্যাংকের বন্ডে বিনিয়োগ করায় গ্লাস ও সিরামিক তৈরির উপাদান বালির দাম তুলনামূলক সস্তা হওয়া সত্ত্বেও মি. রোহান প্রয়োজনীয় মজুদ সংরক্ষণে ব্যর্থ হন ।
জনাব আহাদ ও জনাব ফাহাদ ৭ বছর বিদেশ যাত্রা শেষ করে সদ্য দেশে ফিরেন। জনাব আহাদ তার জমাকৃত টাকা দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ব্যবসায় শুরু করেন এবং অবশিষ্ট টাকা তিনি 'লাবণী ব্যাংকে' ৭ বছরের জন্য জমা রাখতে চান। উক্ত ব্যাংক তাকে ৭% সুদে মেয়াদ শেষে ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে তার বন্ধু ফাহাদও ফার্নিচার তৈরির ব্যবসায় শুরু করেন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিনি ২২ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে চান। ইউনাইটেড ব্যাংক' তাকে যা্যাসিক ৮.৫% সুদে ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে এবং 'আলফা' ব্যাংক তাকে মাসিক ৭.৫% সুদে ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে। দুই ব্যাংককেই ১০ বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
রাফি ও শাফি দুইভাই এবং দুইজনই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। রাফির প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি ও রপ্তানি করে। শাফির প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের খাদ্যজাত যেমন : চিপস, চানাচুর, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি তৈরি করে। শাফি উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপক। সম্প্রতি শাফি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উৎপাদন ব্যবস্থাপক মি. আমিনকে খাদ্যসামগ্রী তৈরির পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলনা তৈরির প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে রাফির প্রতিষ্ঠান ৫ লক্ষ টাকার মেশিন ক্রয়ের জন্য ABC ব্যাংক হতে ৫ বছরের পরিশোধ শর্তে ঋণ নেন।
জনাব রাহেলা স্বনামধন্য 'মিতালি ব্যাংকের' একজন শাখা ব্যবস্থাপক। তার দুই প্রিয় বন্ধু রহিম ও ফাহিম। তাদের ব্যবসায়ের জন্য বড় অঙ্কের ঋণের প্রয়োজন হলে তারা জনার রাহেলার ব্যাংকে যান এবং তিনি যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও জনাব রাহেলা তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করেন এবং পরবর্তীতে ঋণ মঞ্জুরে সহায়তা করেন। এছাড়াও ফাহিম তার ব্যবসায়ের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব দলিল 'মিতালি ব্যাংকে জমা রাখেন। উক্ত ব্যাংক তার পক্ষে বিভিন্ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং তাকে ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য নানা রকম পরামর্শ দান করে।
'সুরমা' একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এই ব্যাংকের দেশে শাখা থাকার পাশাপাশি সৌদি আরব, দুবাই, লন্ডন, চায়না আরও অন্যান্য দেশে ব্যাংকিং কার্যাবলি সম্পাদন করে। লাভজনকতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এই ব্যাংক তার আমানতের একটি অংশ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। যদিও এই ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন, তথাপি এটি শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে এবং প্রতি বছর পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের এসব অগ্রগতির কারণে গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রাহকরা সয়ে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে “সুরমা ব্যাংকের' আমানত আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে যা দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে 'মডার্ণ' একটি জনপ্রিয় ব্যাংক। মি. রাশেদ এই ব্যাংকের বিশ্বস্ত গ্রাহক। রাশেদ সাহেব উক্ত ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন এবং ঋণ যথাসময়ে মঞ্জুর হয়। উক্ত ঋণের টাকা মি. রাশেদ ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে উক্ত হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এছাড়া মি. রাশেদ বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় উক্ত ব্যাংক তার পক্ষে অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই ব্যাংক তার কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। মডার্ণ ব্যাংক' নতুন নতুন পণ্য ও সেবা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমেও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
রনি ও জনি দু'জন ব্যবসায়ী। রনির অতিরিক্ত মূলধনের দরকার হলে তিনি তার অফিসের পাশে 'শাপলা ব্যাংক' হতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তিনি ব্যবসায়ের ঢাকায় গেলে শাপলা ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় হতে উক্ত টাকা উত্তোলন করেন। অন্যদিকে তার বন্ধু জনি তার নিজস্ব জমিতে সবজি চাষ করেন। কিন্তু সবজি বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায়, তিনি খুব হতাশ হন। তাই তিনি আরও কয়েক শ্রেণির চাষিদের একত্রিত করে একটি সংগঠন করেন। জনি তার আরও একটি জমিতে চাষের জন্য তাদেরই প্রতিষ্ঠিত সংগঠন টগর ব্যাংক' থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। টগর ব্যাংকের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সদস্যগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং নিম্নবিত্তদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান। বর্তমানে জনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
কয়েক বছর ধরে 'ক' ও 'খ' ব্যাংকের মুনাফার হার কমে যাওয়ায়, উক্ত ব্যাংক ‘গ’ ব্যাংকের সাথে একত্রিত হয়ে 'রূপসী ব্যাংক' নামে আত্মপ্রকাশ করে। 'রূপসী ব্যাংক' মার্চ মাসে তার আয়ের বেশির ভাগ অংশ দিয়ে 'রাজনা প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। চলতি বছরের মাসে তার দুজন গ্রাহক বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে "রূপসী ব্যাংক' তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। তবে উক্ত ব্যাংকটি ডেবিট কার্ড, কার্ড, ভিসা কার্ড ও এসএমএস ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং গ্রাহকের সকল হিসাবের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে বিশ্বস্ততা অর্জন করে।