মুদি দোকানি জনাব মতিউর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি জনাব হাশেমের নিকট থেকে সাপ্তাহিক ১% চক্রবৃদ্ধি সুদে কিছু টাকা ধার নেয়। অন্যদিকে জনাব রফিক ৮ বছর পর ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার আশায় কিছু টাকা ব্যাংকে রাখতে চান কো ব্যাংক বছরে ১০% হারে সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জানিব্যাংক ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধিতে ৮% সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।
'সান' এন্টারপ্রাইজ ৩ বৎসর মেয়াদি 'গোল্ডেন ফিউটার' নামে একটি প্রকল্পে ২৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করল। আগামী ৩ বছরে প্রাক্কলিত বিক্রয় যথাক্রমে ২ লক্ষ ৫০ ৭ লক্ষ এবং ৯ লক্ষ টাকা। আরও অনুমান করা হয় যে, প্রতি বৎসর বিক্রয়ের ৪০% চলতি খরচ হবে। স্থায়ী খরচ হবে প্রতি বৎসর ১ লক্ষ টাকা। প্রাক্কলিত বার্ষিক অবচয় ৯৫,০০০ টাকা সর্বশেষ ৩০% কর অনুমান করা হয়। অন্যদিকে 'খুন' প্রকল্পের বিগত তিন বছরের নগদ প্রবাহ ৭০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১৪ হাজার টাকা । স্টার প্রকল্পের বিনিয়োগকৃত টাকা ২.২৫ বছরে ফেরত আসবে।
জনাব সামি তার ৫ কোটি টাকা 'ক' ও 'খ' নামে দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছেন। 'ক' প্রকল্পের ৩ বছরের বিক্রয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৫০ লক্ষ, ১.৫ কোটি ও ২ কোটি টাকা। চলতি খরচ বিক্রয়ের ৩৫% এবং কর ৩০%। আর 'খ' প্রকল্পের গড় মুনাফা ১২.৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তার সামনে 'গ' নামে অন্য একটি প্রকল্পে সুযোগ যা থেকে ৩ বছরে নগদ প্রবাহ যথাক্রমে (-০.৫) লক্ষ, ৯৩.০৮ লক্ষ, ৪০.১০ লক্ষ ।
স্বনামধন্য ব্যাংক 'গোলাপ ব্যাংক লি.' গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুসারে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর নতুন নতুন পণ্যের মাধ্যমে যুগোপযোগী সেবা প্রদান করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি তাদের আমানতকৃত টাকার প্রায় অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে। এ কারণে বর্তমানে ব্যাংকটি গ্রাহকদের চাহিদামতো অর্থ প্রদান করতে পারছে না।
শিহাব 'গড়াই' ব্যাংকে লেনদেন করেন। ব্যাংকটি জনগণের নিকট পড়ে থাকা অলস অর্থ গচ্ছিত রাখে এবং প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়। অন্যদিকে তার বন্ধু জনাব ইমন 'কাজল' ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। ব্যাংকটি নিম্নোক্ত সেবাগুলো সংযোজন করেছে।
i. গ্রাহকদের ব্যবসায়ে মূলধন বাবদ অর্থ সরবরাহ করা।
ii. বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারবারে আসবাবপত্র ব্যবহারের সুবিধা প্রদান ।
সুপ্রতিষ্ঠিত বরেন্দ্র ব্যাংক লি. জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ব্যবসায়ী জনাব সাদিকুলকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। জনাব সাদিকুল একটি হিসাব খোলেন এবং সেই হিসাবের মাধ্যমে ঋণের অর্থ উত্তোলন করেন। অপরদিকে লন্ডন প্রবাসী জনাব রাশিক ঢাকা থেকে তার ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়া সংগ্রহ করা নিয়ে চিন্তিত হলে তার ব্যাংকার বন্ধু তাকে ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন এবং এটি ব্যাংকের একটি কাজ।
নন্দি গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দারা জামানত ছাড়া অগ পেত না। কিন্তু 'ক' ব্যাংক জামানতবিহীন ঋণ সেবা প্রদান করে তাদেরকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে অপরদিকে, জাপানের টোকো কোম্পানি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সুমনকে কম্পিউটার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে চাইলে 'খ' ব্যাংক টোকো কোম্পানিকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়।