নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ভূগোল ও পরিবেশ - বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প | NCTB BOOK

প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে খনিজ সম্পদ হিসেবে খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলা গুরুত্বপূর্ণ (চিত্র ১১.৪)। দেশের এই খনিজ সম্পদসমূহের অনুসন্ধান, উৎপাদন এবং বিতরণের মধ্যে সমন্বয় আনয়ন করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

খনিজ তেল (Petroleum)

বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে খনিজ তেল আছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম কূপে তেল পাওয়া গেছে। এ কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ৬০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল তোলা হচ্ছে। অপরিশোধিত তেল চট্টগ্রামের তেল শোধনাগারে পরিশোধন করা হয়। পরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল, কেরোসিন, বিটুমিন ও অন্যান্য দ্রব্য পাওয়া যায়। মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি অবস্থিত। এ ক্ষেত্র থেকে দৈনিক প্রায় ১,২০০ ব্যারেল তেল
উত্তোলিত হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gass)

প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে। এ যাবৎ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উত্তোলনযোগ্য সম্ভাব্য ও প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২৭.৮১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১৯৬০ থেকে জুন, ২০১৮ পর্যন্ত ১৫.৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে এবং ১১.৯২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রমাণিত মজুদ গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমানে ২১টি গ্যাসক্ষেত্রের ১১২টি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৯৬৮.৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। (উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৯)।

                                        গ্যাসক্ষেত্রঃ

                           উৎপাদনরত  উৎপাদনে যায় নাই  উৎপাদন স্থগিত নতুন আবিষ্কৃত
 বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, সিলেট, কৈলাশটিলা, রশিদপুর, তিতাস, নরসিংদী, মেঘনা, , সালদানদী, জালালাবাদ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বিবিয়ানা, বাঙ্গুরা, শাহবাজপুর, সেমুতাং, সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, বেগমগঞ্জ, রূপগঞ্জ  কুতুবদিয়া  ছাতক,  কামতা সাঙ্গু, ফেনী   ভোলা |  

 

 

কয়লা (Coal)

শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি হিসেবেও কয়লা ব্যবহৃত হয়। কয়লা সম্পদে বাংলাদেশ তত উন্নত নয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবিষ্কৃত মোট ৫টি কয়লাক্ষেত্রের মোট মজুদ প্রায় ৭,৯৬২ মিলিয়ন টন। কয়লাক্ষেত্রের কয়লা উত্তোলন শুরুর পর থেকে ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ১০.৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়। এছাড়া রংপুরের খালাশপীর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি ও দীঘিপাড়া এবং বগুড়ার জামালগঞ্জে কয়লাক্ষেত্র রয়েছে (উৎস : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৯)।

বাংলাদেশের ফরিদপুরে বাঘিয়া ও চান্দা বিল, খুলনার কোলা বিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ এবং সিলেটের কিছু অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পীট জাতীয় নিম্নমানের কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ এবং সিলেট জেলায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়ার কয়লাক্ষেত্র থেকে উৎকৃষ্টমানের লিগনাইট কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।

কঠিন শিলা (Hard Rock)

রেলপথ, রাস্তাঘাট, গৃহ, সেতু ও বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়। রংপুর জেলার রানীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে। রংপুরের রানীপুকুর থেকে বৈদেশিক সহযোগিতায় শিলা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এখান থেকে বছরে প্রায় ১৭ লক্ষ টন শিলা উত্তোলন করা যাবে। দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনি হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩৪.২৫ মেট্রিক টন কঠিন শিলা উত্তোলিত হয়েছে। (উৎস : জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৭-২০১৮)।

 

 

 কয়লা (Coal)

শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি হিসেবেও কয়লা ব্যবহৃত হয়। কয়লা সম্পদে বাংলাদেশ তত উন্নত নয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবিষ্কৃত মোট ৫টি কয়লাক্ষেত্রের মোট মজুদ প্রায় ৭,৯৬২ মিলিয়ন টন। কয়লাক্ষেত্রের কয়লা উত্তোলন শুরুর পর থেকে ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ১০.৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়। এছাড়া রংপুরের খালাশপীর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি ও দীঘিপাড়া এবং বগুড়ার জামালগঞ্জে কয়লাক্ষেত্র রয়েছে (উৎস : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৯)।

বাংলাদেশের ফরিদপুরে বাঘিয়া ও চান্দা বিল, খুলনার কোলা বিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ এবং সিলেটের কিছু অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পীট জাতীয় নিম্নমানের কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ এবং সিলেট জেলায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়ার কয়লাক্ষেত্র থেকে উৎকৃষ্টমানের লিগনাইট কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।


কঠিন শিলা (Hard Rock)

রেলপথ, রাস্তাঘাট, গৃহ, সেতু ও বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়। রংপুর জেলার রানীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে। রংপুরের রানীপুকুর থেকে বৈদেশিক সহযোগিতায় শিলা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এখান থেকে বছরে প্রায় ১৭ লক্ষ টন শিলা উত্তোলন করা যাবে। দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনি হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩৪.২৫ মেট্রিক টন কঠিন শিলা উত্তোলিত হয়েছে। (উৎস : জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৭-২০১৮)।

Content added By