SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

সিল্ক একটি প্রাকৃতিক ফিলামেন্ট ফাইবার। সিল্ককে রেশমও বলা হয়ে থাকে। রেশম ফিলামেন্টের স্থিতিস্থাপকতা গুণ অনেক বেশি। ইহা বেশ নমনীয় এবং আর্দ্রতা ধারণ ক্ষমতা বেশ ভালো অর্থাৎ শতকরা ১১ ভাগ। এক জাতীয় পোকার লালা থেকে সিদ্ধ ফাইবারের উৎপত্তি। রেশম পোকা বা পলু পোকা তার নিজের মুখ থেকে নিঃসৃত রেজিন সাদৃশ্য লালা দিয়ে শরীরের চারপাশে একটি বেষ্টনী তৈরি করে ছোট গুটি তৈরি করে। এ ছোট গুটিকে কোকুন (Cocoon) বলা হয়। এ কোকুন থেকেই পরবর্তী প্রক্রিয়ায় রেশম সুতা/ফিলামেন্ট আকারে সংগ্রহ করা হয়।

রেশম সর্বপ্রথম চীন দেশে আবিষ্কার হয়। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে পৃথিবীর অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশেও রেশম চাষ হচ্ছে। রেশম চাষ দুটি ভাগে বিভক্ত। ভুঁত গাছ চাষ ও পলু পোকা পালন। পলু পোকার খাদ্য হিসেবে তুঁত গাছের পাতা ব্যবহার করে বলে রেশম চাষে পলু পালনের পাশাপাশি ভূত পাছ চাষও খুবই প্রয়োজনীয়।

বিভিন্ন প্রকার লিঙ্ক (Classification of silk)-

সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিতে সমগ্র সিল্ককে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১) মালবেরি (Mulberry silk) 
২) নন-মালবেরি (Non Mulberry silk)।

নন-মালবেরি সিল্কসমূহকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

ক) র সিঙ্ক (Tassor silk) 
খ) ইরি (Eri) সিল্ক 
গ) মুগা (Muga silk) সিল্ক

উপরোক্ত চারটি ভ্যারাইটির মধ্যে মোট উৎপাদনের ৮০% মালবেরি সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

১) মালবেরি সিল্ক (Mulberry silk) -

মালবেরি পাতা খেয়ে পঙ্গু পোকা যে সিদ্ধ ফাইবার উৎপন্ন করে তাই মালবেরি সি। এ ভ্যারাইটির সিঙ্ক মানের দিক থেকে খুবই উন্নত এবং বৈচিত্র্য পূর্ণ কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি যেমন- কাঞ্চিপুরম, কাশ্মীরি, বানারস ও মাইশার শাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

 তসড় সিল্ক (Tassor silk)-
সাই, অর্জুন নামে বন্য গাছে এ ভ্যারাইটির সিল্ক পাওয়া যায়। ইহা মানের দিক থেকে কিছুটা নিম্নমানের কিন্তু চাকচিক্যতা বেশি।

ইরি (Eri silk) সিল্ক- 
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন ও পূর্ব ভারতে এ ধরনের সিল্ক পাওয়া যায়। সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে শীতের সময় ১২০ সে. তাপমাত্রা সীমাবদ্ধ থাকে সে অঞ্চলে এ ধরনের সিল্ক উৎপন্ন হয়। আর্দ্রতা ৮০-১০০% -এর মধ্যে হবে। এ ধরনের সিল্ক সাধারণত বাড়িতে উৎপন্ন করা হয় না।

গ) মুগা (Muga silk) সিল্ক- 
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এ ধরনের সিদ্ধ পাওয়া যায়। মুগা পোকা দ্বারা সোনালি হলুদ সিন্ধ উৎপাদন করা হয়। এ মুগা পোকা সম (Som) এবং সোলু (Solu) পাতা খেয়ে সোনালি হলুদ সিল্ক উৎপাদন করে।

সিল্ক উৎপাদনকারী দেশসমূহ-
এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে যখন ব্যাপকভাবে রেশম চাষ শুরু হয় তখন রেশম পোকার বিভিন্ন ধরনের রোগের আবির্ভাব ঘটে। ফলে ত্রুটিযুক্ত কোকুন উৎপাদন হয়। যা ফিলামেন্ট সংগ্রহের জন্য সুবিধাজনক নয়। 

জাপানই সর্বপ্রথম বিজ্ঞানসম্মতভাবে রেশম পোকার চাষ ও ত্রুটিমুক্ত কোকুন সংগ্রহের মাধ্যমে ভালো রেশম উৎপাদনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উৎপাদনের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে নিম্নলিখিত দেশ সমুহেও বিজ্ঞানসম্মতভাবে রেশম পোকার চাষ শুরু করে এবং পরিচিতি লাভ করে। 

চীন, ভারত, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইরান, তুরস্ক, গ্রিস, সোভিয়েত রাশিয়া, সাউথ কোরিয়া, ব্রাজিল, সিসিলি, সিরিয়া, বুলগেরিয়া ইত্যাদি। রেশম চাষ ও পলু পালনের জন্য খুব ভালো দেখা শোনার প্রয়োজন এবং ফিলামেন্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে।

কাঁচা সিল্ক (Raw silk) -

কাঁচা সিল্ক যা গামসহ থাকে সে সিদ্ধকে হার্ড সিল্ক এবং ডিগ্রামিং করার পর সিল্ককে সফট সিল্ক বলে।

কাঁচা সিল্ক ফাইবারে গাম বা সেরিছিন নামক প্রাকৃতিক অপদ্রব্য থাকে, যা সিল্ক -এর অন্যতম প্রাকৃতিক অপদ্রব্য। এ সেরিছিনের পরিমাণ প্রায় সমগ্র সিল্কের ওজনের ২০% । উপরোক্ত অপদ্রব্য ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক মোম, চর্বি ও কালার পিগমেন্ট থাকে। সিল্কের সেরিছিন ও অন্যান্য অপদ্রব্য স্কাওয়ারিং- -এর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূর করা হয়। এ প্রক্রিয়াকে সিল্ক ডিগামিং বলে।

সিল্ক ডিগামিং বা স্কাওয়ারিং এজেন্ট হিসেবে সাধারণত ১) সাবান ২ ) সোডিয়াম কার্বনেট ও বাই কার্বনেটের মিশ্রণ ৩) সিনথেটিক ডিটারজেন্ট ব্যবহৃত হয়।

সেরিকালচার এর সংজ্ঞা-
সিল্ক কোকুন ও সিল্ক ওয়ার্ম চাষ পদ্ধতিসমূহকেই সেরিকালচার বলা হয়েছে। রেশম পোকাকে আমাদের দেশের পলু পোকা বলে। এই পলু পোকা পালনপূর্বক গুটি উৎপাদনকেই ইংরেজিতে সেরিকালচার বলে।

বাংলাদেশে রেশম চাষ পদ্ধতি - 
রেশম পোকা বা পলু পোকা পালনের জন্য চারটি অবস্থা রয়েছে, ডিম্ব থেকে শুরু করে পুনরায় ডিম্ব এ চলে আসাকে নিয়ে একটি জীবন চক্র তৈরি করা হয়েছে। পলু পোকার জীবন চক্র নিচে প্রদত্ত হলো।

ডিম্ব (Egg) -

ডিম্বগুলো বেছে বেছে ভালোগুলো নির্ধারণ করে ডিম পাড়ার পর কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ কোল্ড স্টোরে রেখে দিতে হবে। অতঃপর ডিম্বগুলো ১২ থেকে ১৫ দিন ইনকিউবেটরে রেখে দিতে হবে। ইনকিউবেটরে তাপে ডিমগুলো থেকে সিল্ক কীট বের হয়ে আসে। সাধারণত ১ আউন্স ডিম থেকে প্রায় ৩৬০০০ সিল্ক কাঁট বের হয় । কীট বের হওয়ার পর একটি ছিদ্রযুক্ত কাগজ দ্বারা কীটগুলো ঢেকে দিতে হবে। কীটগুলো তখন থেকে সরবরাহকৃত তুঁত পাতা খেতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে ছিদ্র থেকে ছিদ্রযুক্ত কাগজের উপর বের হয়ে আসে নিচে তলার উপর অপদ্রব্য ও ডিমের খোসাসমূহ থেকে যায়।

পলু পোকা (Caterpiller)-

ডিম থেকে পলু পোকা বের হওয়ার পর এটি ২০ থেকে ৩০ দিন দৈনিক ৫ বার তুঁত (Mullberry) পাতা খেতে থাকে। এ সময় পলু পোকা খুব ক্ষুধার্ত থাকে, তখন এরা প্রায় ১/৪ ইঞ্চি লম্বা থাকে। এ সময় পলু পোকার ভালো পরিচর্যার প্রয়োজন। এ অবস্থায় তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখা প্রয়োজন। সঠিক তাপমাত্রায় ২৫° c. এবং আর্দ্রতা ৭৫ থেকে ৮০% এ সময়ে পলু পোকা বা রেশম পোকার একমাত্র কাজ তুঁত পাতা খাওয়া এবং এটি চারবার তার খোলস বা স্কিন (Skin) পরিবর্তন করে। পোকা খোলস বদলানোর সময় পাতা খাওয়া বন্ধ করে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং পাতা থেকে মুখ তুলে চুপচাপ থাকে। পরপর চারবার খোলস পরিবর্তন করার পর পশম অবস্থায় পলু পোকা প্রায় ১০ দিন এক নাগাড়ে শুধু পাতা খায়। এ সময় পোকার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ইঞ্চি লম্বা ও ৫ গ্রাম ওজনের হয়। পঞ্চম অবস্থায় শেষ দিকে পলু পোকা গুটি তৈরির জন্য প্রস্তুত হয় । এ সময় পোকার শরীর স্বচ্ছ থাকে। আস্তে আস্তে ফিলামেন্ট তৈরি করতে থাকে। সিল্ক ওয়াম -এর মাথায় একটি টিউবের (স্পিনারেটের মতো) মধ্য দিয়ে দুটি ফিলামেন্ট বের হয় এবং পলু পোকার শরীরের চারদিকে জড়ানো থাকে। প্রতিটি ফিলামেন্ট পরস্পর গায়ে লেগে থাকার জন্য একটি আলাদা পদার্থ (যা সেরিসিন নামে পরিচিত) ব্যবহৃত হয়। আস্তে আস্তে সিল্ক ওয়ার্ম নিজের চারদিকে একটি শক্ত আবরণে আবৃত করে ফেলে এবং কোকুন গঠন করে। এ প্রক্রিয়া সাধারণত ২ থেকে ৩ দিন ধরে চলে।

পিউপা (Pupa)- 

কোকুন তৈরি সমাপ্ত হওয়ার পর ৮-১০ দিনের মধ্যে ফিলামেন্টসমূহ সংগ্রহ করা না হলে সিল্ক ওয়ার্ম প্রজাপতি (Moth) হয়ে কোকুন কেটে বের হয়ে আসে। তখন কোকুন অর্থাৎ গুটিতে একটা গর্ত তৈরি হয় ফলে উক্ত গুটি দ্বারা ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। কারণ গুটি কাটার ফলে ফিলামেন্টসমূহ হাজার টুকরা হয়ে যায়। কোকুন উৎপাদনের পর কারখানায় নিয়ে কোকুন থেকে রেশম ফিলামেন্ট উত্তোলন করা হয়। কোকুন থেকে কিছু ভালো কোকুন বেছে রেখে দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে প্রজাপতি আকারে বংশ বিস্তার করে।

মথ (Moth)- 

পরিপূর্ণ কোকুন থেকে যে পোকা বেরিয়ে আসে তাকে মথ বলে। মথগুলোর মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ই থাকে। মথ অবস্থায় -এরা তখনও চোখে দেখে না। এ অবস্থায়ই একে অপরের সাথে মিলন ঘটায় এবং স্ত্রী মথগুলো ডিম পাড়ে এবং পরবর্তী জীবনচক্র আবার শুরু হয়। স্ত্রী মথ একাধারে ৩৫০-৪০০ ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর মথ মারা যায়।

সিল্ক বাছাই পদ্ধতি- 

অন্য সমস্ত প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে সিল্ক ফাইবার সম্পূর্ণ আলাদা। অন্য সমস্ত প্রাকৃতিক ফাইবার ছোট দৈর্ঘ্যের থাকে কিন্তু সিল্ক ওয়ার্ম - এর কোকুন থেকে টুইন ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য প্রায় এক মাইলের মতো হয়ে থাকে। কোকুন থেকে অবিচ্ছিন্ন দৈর্ঘ্যের ফিলামেন্ট সংগ্রহ করার পর এটি পাকানো হয় এবং একটি নির্দিষ্ট ব্যাসের বা কাউন্টের সুতা তৈরি করা হয়। কোকুন থেকে ফিলামেন্ট সংগ্রহ কয়েকটি ধাপে সংঘটিত হয়।

স্টিফন্সিং (Stifling)- 

প্রথমেই কোকুনের অভ্যন্তরে জীবিত মথকে স্টিম অথবা গরম পানি দ্বারা মেরে ফেলা হয়। তাতে ফিলামেন্ট সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়।

সর্টিং অথবা গ্রেডিং (Sorting or grading)- 

সুষম ও ভালো মানের সিল্ক সুতা পাওয়ার জন্য সিল্ককে গ্রেডিং করা হয়। কোকুন বিভিন্ন আকারের হয়। একই আকারের বা গ্রেডিংয়ের রঙের কোকুন আলাদা আলাদা গ্রুপ করা হয়। নষ্ট হওয়া বা ভালোভাবে পরিপক্ক না হওয়ায় কোকুন বাদ দেওয়া হয়, যা ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়।

কুকিং (Cooking)- 

ফিলামেন্টের সাথে প্রকৃতিগতভাবেই আঠালো পদার্থ লেগে থাকে যা সেরিসিন (Sericin) বা সিল্ক গাম নামে পরিচিত। এ সেরিসিন নরম না করলে ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। একটি পাত্রে ১% সাবানের দ্রবণ ৯০°c. তাপমাত্রায় তাপ দেওয়া হয়। তাতে সেরিসিন নরম হয় এবং এ প্রক্রিয়া মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য করা হয় ।

ব্রাশিং (Brushing)- 

কুকিং-এর পর রিলিং-এর পূর্বে ফ্লোস (Floss), ব্রাশের মাধ্যমে দূর করা হয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফিলামেন্ট -এর প্রাপ্ত না পাওয়া যায়। কোকুনের উপরের এলোমেলো বা টুকরা ফাইবারসমূহকে ফ্লোস বলে। এ ফ্লোস রেশম ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়।

রিলিং Reeling- 

কোকুনকে ব্রাশিং -এর পর একটি বেসিনে নেওয়া হয়। যাতে ৬০°C তাপমাত্রায় পানি থাকে। রিলিং-এ কর্মরত শ্রমিকের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ফিলামেন্ট সংগ্রহের জন্য অতি যত্নসহকারে প্রতিটি কোকুনের প্রাপ্ত নিয়ে রিলিং -এর মাধ্যমে রেশম সংগ্রহ করা হয়। 

যে প্রক্রিয়ায় কোকুন থেকে ফিলামেন্ট উত্তোলন করা হয় তাকে রিলিং বলা হয়। কোকুনের ফিলামেন্ট - -এর ব্যাস কোকুন থেকে কোকুনের আলাদা হয়। কাজেই ফিলামেন্ট সংগ্রহ করার সময় ও সুতা তৈরির সুবিধার্থে একসঙ্গে ১৫ থেকে ১৮টি ফিলামেন্ট রিলিং করা হয়। যাতে ২৮ থেকে ৩০ ডেনিয়ার সুতা প্রস্তুত হয়। রিলিং প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ফিলামেন্ট বান্ডেলে রূপান্তরিত করা হয়। বান্ডেলের ওজন ৫ থেকে ১০ কেজি এবং বেইল- এর ওজন সাধারণত ৬০ কেজি হয়।

সিল্কের রাসায়নিক গুণাবলি (Chemical properties of Silk ) -

১) অ্যাসিডে ক্রিয়া                           :  উলের মতো। ঘন শক্তিশালী অ্যাসিড সিল্ক ধ্বংস করে। কিন্তু হালকা অ্যাসিডে কোনো ক্ষতি হয় না।

২) অ্যালকালিতে ক্রিয়া                    : উলের চেয়ে অ্যালকালিতে প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। গরম সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH) সিল্ক দ্রবীভূত করে।

৩) রিচ এ ক্রিয়া                                : অক্সিডাইজিং ব্লিচ কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু অক্সিডাইজিং এজেন্ট, ক্লোরিন সল্ট ক্ষতি করে।

৪) আলোর প্রতিরোধক ক্ষমতা          : ভালো নয়।

৫) জৈবিক দ্রাবক                             : প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো।

৬) মিলডিউ-এ প্রতিরোধ ক্ষমতা       : কিছুটা আক্রান্ত হয়।

৭) পোকামাকড়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা     : ভালো, পোকামাকড় কোনো আক্রমণ করে না।

৮) রং করার ক্ষমতা                           : অত্যন্ত ভালো। সাধারণত অ্যাসিড ডাই দ্বারা রং করা হয় ।

সিঙ্কের ব্যবহার- 

  • যেহেতু বাইরের আবহাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে, কাজেই ইহা শীতকালীন অ্যাপারেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
  • হার্ড সিল্ক দ্বারা জর্জেট, শীপন, ক্রেপ ফেব্রিক্স তৈরি হয়। 
  • মালবেরি সিল্ক থেকে ইহার নমনীয়তার জন্য খুব উন্নতমানের এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ কাপড়, শাড়ি যেমন- কাঞ্চিপুরম, কাশ্মীরি, বানারস, মাইশারি সিল্ক তৈরি হয়। 
  • তসর সিল্ক (Tossor) দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শৌখিন পোশাক, সজ্জামূলক কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়। স্পান সিল্ক থেকে পাইল ফেব্রিক, ড্রেস ম্যাটারিয়াল, লাইনিং, ভেলভেট, ইনসুলেটিভ ম্যাটারিয়াল ইত্যাদি তৈরি হয়। 
  • বন্য সিল্ক (Wild silk) খুবই টেকসই ও মোটা থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের সাধারণ কাপড় তৈরি হয়। 
  • সিল্ক নয়েল দ্বারা খেলাধুলার পোশাক, পর্দার কাপড়, ঝালর ইত্যাদি তৈরি হয়।
Content added By

Promotion