জনাব হারুন ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে সব ধরনের ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার, কামিজ, শাড়ি, বেড কভার প্রভৃতি পণ্যের সমাবেশ ঘটান এবং লাভবান হন। এ বছরই তিনি। ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ধানমন্ডিতে আরেকটি দোকান ক্রয়ের নেন। দোকান ক্রয় ও সাজসজ্জার জন্য তার বড় আকারের অর্থের প্রয়োজন যা তার নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জনাব কায়সার একজন সবজি ব্যবসায়ী। ঢাকার কারওয়ান বাজারে তার দোকান রয়েছে। অধিকাংশ সময় ব্যবসায়ে তিনি নিজস্ব মূলধন ব্যবহার করেন। কখনো মূলধনের ঘাটতি দেখা দিলে তিনি তাঁর একজন নিয়মিত ক্রেতা জনাব শামীমের নিকট থেকে ভবিষ্যতে পণ্য সরবরাহের শর্তে টাকা নেন। এতে তার মূলধনজনিত সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়।
জনাব কিশোর ৬ বছরের জন্য ৭,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে চান। এজন্য তিনি "শান্তা" ও "সম্পা” নামক দুইটি প্রকল্প বিশ্লেষণ করেন। প্রকল্পগুলো থেকে আগামী ৬ বছরে সম্ভাব্য নগদ আন্তঃপ্রবাহের পরিমাণ নিম্নরূপ :
প্রকল্প | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ | বছর-৬ |
(টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | |
শান্তা | ২,৩০,০০০ | ১,৮০,০০০ | ২,০০,০০০ | ১,৯০,০০০ | ১,৫০,০০০ | ১,৩০,০০০ |
সম্পা | ২,৫০,০০০ | ১,৬০,০০০ | ২,১০,০০০ | ২,৩০,০০০ | ২,০০,০০০ | ১,৮০,০০০ |
ক্রিয়েটিভ কোং লিমিটেড সাধারণ শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি বছর শেষে মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন না করে কিছু অংশ প্রতিষ্ঠানে রেখে দেয়। বর্তমান বছরে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার প্রতি ১৬ টাকা হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং আগামী বছরগুলোতে এই লভ্যাংশ ৮% হারে বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১৪০ টাকা।
পলাশের মামা রহমান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। জামালপুর থেকে ঢাকায় এসে পলাশ মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে অবস্থিত তার মামার অফিসে দেখা করল। তার মামা তাকে বললেন যে, ব্যাংকটি অন্যান্য সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নতুন ব্যাংক ও শাখা খোলার অনুমতি প্রদান করে। পলাশ লক্ষ্য করে যে, উক্ত ব্যাংকে তার মামা ছাড়াও আরও অনেকে কর্মরত আছেন।
অনন্যা টেলিভিশন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জনাব মাহমুদ "দোয়েল ব্যাংক"-এর ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার ক্রেতাদের সাথে লেনদেন করেন। দেশের প্রতিটি জেলায় “দোয়েল ব্যাংক" নামে ব্যাংক থাকায় ক্রেতাদের পক্ষেও তার সাথে লেনদেন করতে সুবিধা হয়। লেনদেন যথাযথ হওয়ায় তার ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। চীনের একটি কোম্পানির নিকট তিনি টেলিভিশন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের প্রস্তাব দিলে উক্ত কৌম্পানি অগ্রিম অর্থ দাবি করে। এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য তিনি দোয়েল ব্যাংকের নিকট যান।