রাফিয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে প্রতিদিন দেরীতে ঘুম থেকে ওঠে এবং দেরীতে স্কুলে যায়। সন্ধ্যায় নিয়মিতভাবে টিভি সিরিয়াল দেখে সময় কাটায়। ক্লাসে পড়া পারে না। শিক্ষকের কাছে প্রায়ই বকা খায়। অন্যদিকে রাফিয়ার মা সোনিয়া বেগম সময় ও শক্তি অমূল্য সম্পদ মনে করেন। তিনি সংসারের সকল কাজ বুদ্ধিমত্তার সাথে কিছু কৌশল অবলম্বন করে সহজ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন।
তন্ময়ের বাবা-মা উভয়েই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তারা নিজেদের নিয়ে সবচসময় ব্যস্ত থাকেন। (ক্লাব পার্টিতে সময় কাটান । তাদের মধ্যে সবসময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। ছেলের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী টাকা-পয়সা দেন। তন্ময় পড়াশোনা ভালো করে না। বখাটে ছেলেদের সাথে সঙ্গ দেয়। একদিন তন্ময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাত্রে বাড়ি ফেরে। হঠাৎ এ অবস্থা দেখে বাবা-মা ভীষণ চিন্তিত হন। তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার বলেন, “একমাত্র আপনারাই পারেন তন্ময়ের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে।”
নিম্নবিত্ত পরিবারের জয়ার ২ সন্তান ও স্বামী নিয়ে অভাবী সংসার। ৪০ বছর বয়সে সে আবার গর্ভবতী হয় এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। গর্ভকালীন সময়ে সে পুষ্টিকর খাবার খায় না এবং নিজের শরীরের কোনো খেয়াল রাখে না। তার শিশু সন্তান তনুর বর্তমান বয়স ২ বছর। সে জন্মের পর থেকে কথা বলতে পারে না, সাড়া দেয় না, কোনো বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে না। হাঁটা চলার বিকাশও কম।
দশম ছাত্রী ঐশী। সে মোটা ভয়ে ঠিকমতো বাওয়া- দাওয়া করে না। ভাত, রুটি, আলু প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম খায়। এমনকি সে দুধও পছন্দ করে না। সে প্রায়ই অসুস্থ থাকে এবং স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না। সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডাক্তার তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
মারুফ সাহেবের বয়স ৫৫ বছর। তিনি রত জেগে টিভি দেখেন এবং সকালে দেরীতে ঘুম থেকে ওঠেন। তিনি সারাদিন অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করেন। খাসির মাংস তার খুবই পছন্দ। ইদানিং তার খারাপ লাগছে। তাছাড়া তার শরীরে একটা ক্ষত সারছে না বলে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার তাকে ইনসুলিন নিতে বলেন এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনের পরামর্শ দেন।