যেসব হাইড্রোকার্বন হাকেল তত্ত্বের নিয়ম মেনে চলে তারাই অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন। হাকেল তত্ত্বটি হল-
১।যৌগটি চাক্রিক ও সমতলীয় হতে হবে। (যৌগ চক্রাকার হবে, এবং সমতলীয় হবে। সমতলীয় কিনা সেটা রঞ্জন রশ্মি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।)
২। চক্রাকার পাই বন্ধন তথা পাই ইলেক্ট্রন থাকবে।
৩। চক্রের ভিতরে 4n+2 সংখ্যক পাই ইলেক্ট্রন থাকবে, যেখানে n=0,1,2,3,...পূর্ণসংখ্যা ।
এখানে , ফেনলের অণুতে n= ১ যা পূর্ণসংখ্যা । আবার এরা চাক্রিক ও সমতলীয় এবং চক্রাকার পাই ইলেক্ট্রন আছে। তাই এদেরকে অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন বলা যায়।
বোরের পরমাণু মডেলের অনেক সফলতা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা গুলি নিম্নরূপঃ
১. বোর পরমাণু মডেল এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুসমূহের বর্ণালী ... ্যাখ্যা করতে পারে না।
২. বোরের পরমাণু মডেল হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির পরিপন্থী।
৩. এ মডেল ইলেকট্রনের কণা ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারলেও তরঙ্গ ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪. এক শক্তিস্তর হতে অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটলে বোর পরমাণু মডেল অনুসারে বর্ণালীতে একটি করে রেখা সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখা গেছে প্রতিটি রেখা একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত। এর ব্যাখ্যা বোর মডেল দিতে পারেনা।
৫. বোরের পরমাণু মডেল হতে পরমাণুর ত্রিমাত্রিক কাঠামো সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না।
বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ মডেল পরমাণু স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে।
এজন্য বোর পরমাণু মডেল সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।