On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - জেনারেল মেকানিক্স- ১ - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into জেনারেল মেকানিক্স -১.
Content

পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা একটি শৃঙ্খলা যার মধ্যে অনেক বিশেষ ক্ষেত্র জড়িত। মেশিন বা অন্যান্য যে কোনো কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনার যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। দুর্ঘটনার কারণে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়। দুর্ঘটনা কবলিত একজন দক্ষ কৰ্মী আহত বা নিহত হলে তার পরিবার তথা দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজ করার সময় সকল দুর্ঘটনা হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক কর্মীর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ওয়ার্কশপে দক্ষ কর্মী ও যন্ত্রপাতি উভয়ই মূল্যবান সম্পদ। সতর্কতার অভাবে দুর্ঘটনাজনিত কারণে কর্মীদের দৈহিক ক্ষয়ক্ষতি ও যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি সহ জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাই কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সময় সকলকে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিৎ।

Content added By

ওয়ার্কশপে বিভিন্ন প্রকার ভারী যন্ত্রপাতি এবং মেশিন নিয়ে কাজ করতে হয়। এখানে কোনো মেশিন, যন্ত্রপাতি, টুলস, ছোট ছোট যন্ত্রাংশ ইত্যাদি এলোমেলো অবস্থায় রাখলে যেকোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এছাড়া কাজ করার পর বিভিন্ন প্রকার ধাতব টুকরা, চিপস, তৈল, মবিল, গ্রিজ ইত্যাদি পড়ে থাকলে- সেগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করলে এবং যন্ত্রপাতিগুলি সাজিয়ে গুছিয়ে না রাখলে ওয়ার্কশপের কর্মীগণ যেকোনো প্রকার দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে এমন একটি পরিবেশ থাকা দরকার যেখানে প্রতিটি কর্মী কাজ করার সময় পর্যাপ্ত আলো বাতাস পেতে পারেন, প্রয়োজনে সহজেই একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারেন এবং একজন কর্মী সুস্থতার সাথে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে পারেন। পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা হলো কাজে বা চাকুরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং কল্যাণ বিষয়ক নিয়ম শৃঙ্খলা বা নিয়ম-নীতি। পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করে।

পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার উদ্দেশ্য হলো-

ক) সকল পেশার কর্মীরা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে কল্যাণ সাধন করে পদোন্নতি লাভ করবেন।

খ) কাজের পরিবেশের কারণে কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধ করা।

গ) বিপজ্জনক কাজ বা ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে কর্মীদের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখবে। ঘ) কর্মীদের শারীরিক এবং মানসিক সামর্থ্য অনুসারে পেশাগত পরিবেশ তৈরি এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন।

১.২ স্বাস্থ্য সচেতনতা

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যই সকল স্যুখের মূল। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারে না। ফলে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং কাজে অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। ফলে কর্মী এবং মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং কর্মী, প্রশাসন এবং মালিকপক্ষের সকলকেই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা একান্ত আবশ্যক।

১.২.১ স্বাস্থ্যবিধি

স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা আমাদেরকে অসুস্থ হওয়ার পূর্বে তার প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবনই হলো ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যেমনভাবে আমাদের নিরাপদ রাষ্ট্রে তেমনভাবে অন্যদেরকেও অসুস্থ হওয়া থেকে নিরাপদ রাখে। 

পেশাগত রোগসমূহ

কর্মস্থলের পরিবেশ এবং কাজের ধরনের কারণে কর্মরত অবস্থায় একজন কর্মী যে সকল রোগ বা ব্যধিতে আক্রান্ত হয় বা হতে পারে তাদেরকে পেশাগত রোগ বলা হয়। নিম্নে কতিপয় পেশাগত রোগের নাম উল্লেখ করা হলো-

১. চর্মরোগ- Dermatitis

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ - Respiratory illnesses

৩. পেশী ও হাড়ের ব্যাধিসমূহ - Musculoskeletal disorders (MSD9)

৪. শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস Hearing loss

৫. ক্যানসার- Cancer

৬. সে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসমূহ - Streas and mental health disorders 

৭. সংক্রামক রোগসমূহ - Infectious diseases

চিত্র: ১.২ পেশাগত রোগসমূহ

পেশাগত রোগের কারণসমূহ

কর্মরত অবস্থায় একজন শ্রমিক বা কর্মচারি সাধারণত ৩টি কারণে অসুস্থতায় ভুগতে পারে-

১. কর্মস্থলের পরিবেশ সংক্রান্ত: বিশৃঙ্খলা, উচ্চ শব্দ, উচ্চ তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাব, পর্যাপ্ত আলোর অভাব এবং ধূলাবালির কারণে একজন কর্মী নানারকম রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, প্রবণশক্তি কমে যাওয়া, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ, যক্ষা, শ্বাসনালীর প্রদাহ ইত্যাদি।

২. কর্মীসংক্রান্ত: প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, নির্দেশিকা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, বয়স ও দৈহিক সামর্থের অভাবেও নানা রকম অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

৩. মানসিক অস্যুস্থতা: কর্মক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সহকর্মীদের আচার-আচরণ, বৈষম্য, চাকুরির অনিশ্চয়তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘ কর্মঘন্টা, অকারণে হয়রানি, নির্যাতন ইত্যাদি একজন কর্মীর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে যা তার কর্মক্ষেত্রের উৎসাহ ও উদ্দীপনা কমিয়ে দেয় এবং কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ধীরে ধীরে একসময় সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

১.২.২ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শ্রম বিধিসমূহ

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোনো নর্দমা, পয়ঃবর্জ্য বা অন্য কোনো জঞ্জাল হতে সৃষ্ট দুষিত বাষ্প হতে মুক্ত রাখতে হবে এবং বিশেষ করে-

(ক) প্রতিষ্ঠানের মেঝে, কর্মকক্ষ, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ হতে প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়ে ময়লা ও আবর্জনা ঢাকনা দেওয়া বাক্সে অপসারণ করতে হবে, যাতে উক্ত আবর্জনা দুর্গন্ধ বা জীবাণু বিস্তার করতে না পারে। ধাতব পদার্থ, উৎকট গন্ধময় আবর্জনা, রাসায়নিক আবর্জনা ও মেডিকেল আবর্জনা ভিন্ন ভিন্ন বক্সে প্রতিদিন নিয়মিত অপসারণ করতে হবে।

(খ) প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রের মেঝে সপ্তাহে অন্তত একদিন অবস্থাভেদে এবং কাজের প্রকৃতি ভেদে পানি দ্বারা ধুতে হবে এবং প্রয়োজনে ধোয়ার কাজে জীবানু নাশক ব্যবহার করতে হবে। অবস্থাভেদে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে ভিজা কাপড় দ্বারা মেঝে ধুয়ে দিতে হবে।

(গ) যেক্ষেত্রে উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে কোনো মেঝে এমনভাবে ভিজে যায় যে, এর জন্য পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।

• উক্ত মেঝে অবশ্যই অভেদ্য পদার্থ (Impervious Material) দ্বারা নির্মিত হতে হবে। 

• উক্ত মেঝের নির্মাণকৌশল ঢালুবিশিষ্ট এবং উপযুক্ত নিষ্কাশন নালার মাধ্যমে কারখানার মূল নর্দমা ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে, যাতে নিষ্কাশিত পানি অথবা কোনো তরল পদার্থ মেঝেতে জমে থাকতে না পারে।

(ঘ) প্রতিষ্ঠানের সকল অভ্যন্তরীণ দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিঁড়ি, যাতায়াতপথ-

• রং অথবা বার্নিশ করা থাকলে, প্রতি তিন বছরে অন্তত একবার 

• পুনরায় রং বা বার্নিশ করতে হবে। রং অথবা বার্নিশ করা এবং 

• বহির্ভাগ মসৃণ হলে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত একবার পানি, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট দ্বারা ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।

অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত একবার চুনকাম বা রং করতে হবে।

 (ঙ) উক্ত কার্যক্রমের যাবতীয় রেকর্ডসমূহ নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।

১.২.৩ কর্মক্ষেত্রে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকক্ষে নির্মল বায়ু প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা রাখতে হবে।

উক্তরূপ প্রত্যেক কক্ষে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকক্ষে নির্মল বায়ু প্রবাহের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিপরীতমুখী জানালার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখা সম্ভব নয় সেখানে নিষ্কাশন পাখা (Exhaust Fan) স্থাপন করা যাবে, যাতে সেখানে কর্মীগণ মোটামুটি আরামে কাজ করতে পারেন, যাতে কর্মীগণের স্বাস্থ্যহানি রোধ হয়। আরও শর্ত থাকে যে, কর্মক্ষেত্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকলে বায়ুচলা চলের উক্ত ব্যবস্থার প্রয়োজন হবেনা। প্রত্যেক কর্মকক্ষে অন্তত একটি তাপ পরিমাপকযন্ত্র (থার্মোমিটার) সচল অবস্থায় রাখতে হবে এবং ইহা যথাযথ মান সম্পন্ন হতে হবে এবং কর্মকক্ষের দেয়ালের দৃশ্যমান স্থানে ইহা স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে কক্ষের দেওয়াল এবং ছাদ এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে উক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং যতদূর সম্ভব কম থাকে।

১.২.৪ কর্মীর সংখ্যা

• প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকক্ষে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত কর্মী এক সাথে করা যাবে না।

• প্রত্যেক কর্মকক্ষে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য অন্তত ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে (কোনো ঘরের উচ্চতা মেঝে হতে ৪.২৫ মিটারের অধিক হলে এটি বিবেচনায় আনা হবেনা)। 

• যদি প্রধান পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো মালিককে অনুরোধ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মকক্ষে সর্বোচ্চ কতজন লোক কাজ করতে পারবেন, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা একটি নোটিশ বোর্ডে দিতে হবে।

প্রধান পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষকে অনুমতি দিতে পারবেন, যদি তিনি এইমর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে এই বিধান মানার প্রয়োজন নেই।

১.২.৫ আলোর ব্যবস্থা

• কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করে বা যাতায়াত করেন, যথেষ্ট, স্বাভাবিক,

• কৃত্রিম বা উভয়বিধ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

• প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষ আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত সকল কাঁচের জানালা এবং ছাদে বসানো

• জানালা সমূহের উভয়পার্শ্ব পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে- কোনো স্বচ্ছ পদার্থ বা বাতি হতে বিচ্ছুরিত বা প্রতিফলিত আলোকচ্ছটা অথবা

• কোনো শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে বা তার দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকতে পারে, এরূপ কোনো ছায়াসৃষ্টি, প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা থাকতে হবে।

১.২.৬ খাবার পানির ব্যবস্থা

• প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিকের পান করার জন্য কোনো সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

• প্রত্যেক পানি সরবরাহের স্থানকে বাংলায় 'পান করার পানি' কথাগুলি স্পষ্টভাবে লিখে চিহ্নিত করতে হবে।

• যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দুইশত পঞ্চাশ জন বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালে পান করার পানি ঠান্ডা করে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

• মাত্রাতিরিক্ত তাপ উদ্রেককারী যন্ত্রের সন্নিকটে কাজ করার কারণে শ্রমিকের শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হলে, ঐ সকল শ্রমিকের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা করতে হবে।

১.২.৭ শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণ কাজের সময়ে যাহাতে সহজে ব্যবহার করতে পারেন এরূপ সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষের ব্যবস্থা থাকতে হবে। 

• উক্ত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ পুরুষ এবং মহিলা কর্মীগণের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থা করতে হবে।

শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ পুরুষ এবং মহিলা কর্মীগণের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ কারখানা মালিকের নিজ খরচে জীবাণুনাশক ও পরিষ্কারক ব্যবহারের

মাধ্যমে সবসময় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।

১.২.৮ আবর্জনা বক্স

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রতি ১০০ জন শ্রমিকের জন্য :

একটি করে পৃথক আবর্জনা ও পিকদানি বক্স রাখতে হবে;

পিকদানি বালুভর্তি থাকতে হবে এবং এর উপরে ব্লিচিং পাউডার থাকতে হবে;

আবর্জনা বক্স প্লাস্টিকের তৈরি ও ঢাকনাসহ থাকতে হবে, এতে প্রতিদিন জমাকৃত আবর্জনা অপসারণ করতে হবে এবং উভয়ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে;

উক্ত পিকদানি ও আবর্জনা বক্স কর্মকক্ষের দরজার সন্নিকটে স্থাপন করতে হবে এবং এটি এমনভাবে

স্থাপন করতে হবে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ও ময়লা আবর্জনা চোখে না পড়ে;

কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে পিকদানি ও আবর্জনা বক্স ব্যতীত অন্য কোথাও থুথু বা আবর্জনা ফেলবেনা এবং এই বিধান সম্পর্কে নোটিস কারখানার ভিতরে উপযুক্ত স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে।

১.৩ পেশাগত নিরাপত্তা (Occupational Safety )

যে কোনো প্রকার প্রতিকুল অবস্থাকে প্রতিরোধের মাধ্যমে নিরাপদের সাথে কাজ করাকে অকুপেশনাল সেফটি বা পেশাগত নিরাপত্তা বলে।

পেশাগত নিরাপত্তা তিন প্রকার, যথা-

১. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা;

২. যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা;

৩. কারখানার নিরাপত্তা।

১.৩.১ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে সকল সাবধানতা মেনে চলা হয়, তাই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা শিল্প-কারখানায় কর্মীগণ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে।

১.৩.২ যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা

যন্ত্রপাতির কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন না করে কার্য সম্পন্ন করার পর বন্ধ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। অতঃপর সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, এই কর্মকুশলতাই যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা বিধান করে থাকে।

যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা পদ্ধতি:

• সঠিক নিয়মে মেশিন চালু করা; কাজ শেষে মেশিন অবশ্যই বন্ধ করা;

• কাজের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা;

• কোনো প্রকার গোলযোগ দেখা দিলে সাথে সাথে মেশিন বন্ধ করা এবং দ্রুত মেরামত করা;

• বৈদ্যুতিক সংযোগসমূহ মাঝে মাঝে পরীক্ষা করা ইত্যাদি।

১.৩.৩ কারখানার নিরাপত্তা 

সকল প্রকার দুর্ঘটনার হাত হতে ওয়ার্কশপকে রক্ষা করাকে ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা বলে। যেমন-

• প্রয়োজনীয় প্রোটেকটিভ ডিভাইস সমেত সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ ইনস্যুলেটেড রাখা;

• দাহ্য পদার্থের পাশে ওয়েল্ডিং ও গ্রাইন্ডিং না করা;

• আগুন নিভানোর উপকরণ, পানি, বালু ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা;

• দৈবক্রমে আগুন লাগলে দ্রুত ফায়ার স্টেশনে খবর দেওয়া; কারখানার অভ্যন্তর ও বাহির সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

১.৪ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সমূহ (Personal Protective Equipment - PPE): কর্মস্থলে কার্যাবস্থায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি হতে কর্মীকে বাঁচানোর জন্য যে সমস্ত সাজ সরঞ্জাম ও পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করা হয়, সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পিপিই বলা হয়। একজন ব্যক্তির কোন অঙ্গ- প্রত্যঙ্গকে সম্ভাব্য ক্ষতি বা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা হবে তার ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়-

জাইন (Apron )

অতিরিক্ত তাপমাত্রা, খারাপ আবহাওয়া, ছিটকে আসা কোনো রাসায়নিক পদাৰ্থ ৰা খাতৰ খণ্ড, ভয়ানক গতিতে ৰায়ু প্রবাহ, সুচালো কোনো বস্তু শরীরে ঢুকে পড়া এবং ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে কারখানার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অ্যাপ্রন ব্যবহার করা হয়। অ্যাপ্রন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যথা- বয়লার স্যুট, রাসায়নিক স্যুট, ডেন্ট, অ্যাগ্র পুরো শরীর ঢাকা স্যুট, জ্যাকেট ইত্যাদি। ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় নিয়ম মেনে সঠিক অ্যাপ্রন পরিধান করলে ধূলা, বালি, বিভিন্ন প্রকার লুব্রিক্যান্ট, ধাতব চিপস, আগুনের স্ফুলিঙ্গ ও ভাগ হতে জামা কাপড় ও শরীর সুরক্ষা পায়।

হ্যান্ড গ্লাভস (Hand Gloves ) 

অধিক তাপমাত্রা, সুঁচালো কোনো বন্ধু ভারী কোনো বস্তু, বৈদ্যুতিক শক, রাসায়নিক পদার্থ, চর্ম ক্ষয়কারক ইত্যাদি থেকে হাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা হয়।

সুরক্ষা জুতা (Safety shoes)

ওয়ার্কশপে বা কর্মস্থলে পিচ্ছিল মেঝে, ভিজা মেঝে, ধারালো বস্তু, পড়ে থাকা বস্তু, রাসায়নিক স্পেস এবং অন্যান্য তরল পদার্থ ইত্যাদি থেকে পাও পায়ের পাতাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সুরক্ষা জুতা, সুরক্ষা বুট, লেগিনস্ (মোটা কাপড়ের তৈরি পায়ের আচ্ছাদন), প্যাট (পাতলা আচ্ছাদন) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। সেফটি স্যুজ বা নিরাপদ জুতা ওয়েঙ্কার/কর্মাকে ভারী ধাত্তৰ উত্তপ্ত গলিত ধাতু, ধাঁরানো পড়ন্ত বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি, বৈদ্যুতিক শক্‌ থেকেও ওয়েদার বা কর্মীকে রক্ষা করে।

সেফটি মাস্ক (safety Mask) 

ওয়ার্কশপে অনেক সময় ধোঁয়া, বিষাক্ত গ্যাস, দুর্গন্ত ইত্যাদির সৃষ্টি হলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন অবস্থায় ওয়ার্কশপে কাজ করতে হলে শ্বাস প্রশ্বাসের নিরাপত্তার জন্য গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। কখনো ৰাভাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে অক্সিজেন মাস্ক ও ব্যবহার করা হয়। রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীগণ তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন-১৫ মাস্ক পরিধান করে থাকেন।

ইয়ার প্লাগ বা কানের সুরক্ষা উপাদান (Ear plug) 

কর্মক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবল এর অধিক হলে শব্দ দূষণের ফলে কানের ক্ষতি হতে পারে। ওয়ার্কশপে যেকোনো ধরনের উচ্চ মাত্রার শব্দ প্রতিরোধের জন্য ইয়ার নাফ, ইয়ার ডিফেন্ডার, ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করলে শ্রবণযন্ত্র তথা কানের সুরক্ষা হয়।

সেফটি গগলস বা চোখের সুরক্ষা সরঞ্জাম (Safety Goggles) 

ওয়ার্কশপে মেশিন চলাকালীন ছিটকে আসা রাসায়নিক পদার্থ বা ধাতব বস্তু, ধুলোবালি, ক্যাটালিস্ট পাউডার, গ্যাস, বাষ্প এবং রেডিয়েশন, ওয়েল্ডিং এর সময় নির্গত ক্ষতিকর আলোকরশ্মি ইত্যাদি চোখে সরাসরি প্রবেশ করলে চোখের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাই এসব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চোখের জন্য পিপিই যেমন- নিরাপদ চশমা, পালস, ফেস শি (মুখের ঢাকনা), ওয়েন্ডিং হেলমেট ইত্যাদি পরিধান করে ওয়ার্কশপের কর্মীদের কাজ করতে হবে। ওয়ার্কশপে গ্রাইন্ডিং, ড্রিলিং, টার্নিং, বোরিং, ওয়েন্ডিং ইত্যাদি কাজ করার সময় সেফটি গগলস অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

হেলমেট বা মাথা সুরক্ষা সরঞ্জাম 

সকল ধরনের হেলমেট আরামদায়ক ও যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মাথা রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়। উপর থেকে কোনো বস্তু পড়লে, শক্ত বর আঘাত, ঘূর্ণায়মান বস্তুতে চুল পেঁচিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

১.৪.১ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রীর নাম দেয়া আছে, ব্যবহার লিখ।

 

১.৪.২ পিপিই ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা:

ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় যেকোনো দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অবশ্যই নিরাপদ পোশাক ও নিরাপদ সরঞ্জামাদি পরিধান করা দরকার। যেমন-

• গ্রাইন্ডিং, মেশিনিং এবং চিপিং করতে নিরাপদ চশমা পরিধান করলে ছিটকে যাওয়া চিপস এর আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করা যায়;

• অ্যাপ্রন পরিধান না করলে অসতর্কতাবশত টিলেঢালা পোশাক কোথাও জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে;

• লম্বা চুল বেঁধে হেলমেট না পড়লে ঘূর্ণায়মান কোনো যন্ত্রাংশে জড়িয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে;

১.৪.৩ পিপিই নির্বাচন:

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদানগুলো (পিপিই) এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যা প্রতিটি স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পিপিই যেমনটি হওয়া উচিত-

• কাজের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত হতে হবে এবং বিপদের ঝুঁকির উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

• ব্যবহারকারীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে; স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বিষয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি সৃষ্টি করে না;

• ব্যবহৃত অন্যান্য পিপিই এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহজে ব্যবহার যোগ্য ও আরামদায়ক; ব্যবহারকারীর যেকোনো ধরনের মেডিকেল শর্তের বাঁধা বা বিপত্তি ঘটাবে না;

• বাংলাদেশের আদর্শমান অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক হবে ।

• পিপিই নির্বাচনের সময় কর্মীদের ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সামাজিক নিয়মনীতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং স্টাইলকে বিবেচনা করতে হবে।

১.৪.৪ পিপিই এর সঠিক ব্যবহার:

পিপিই ব্যবহারের পূর্বে নিন্মলিখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে হবে- উৎপাদনকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদানগুলো (পিপিই) ব্যবহৃত হয়

• পিপিই সঠিকভাবে ফিট হয় ;

• কীভাবে এটি ব্যবহৃত হয় তার নির্দেশনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়;

• যেখানে পিপিই পরিধান করতে হবে সেখানে অবশ্যই একটি চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে, যেন কর্মীরা খুব সহজেই মনে করে ব্যবহার করতে পারে ;

১.৪.৫ পিপিই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা :

স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার সম্ভাব্য ক্ষতির বা দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পিপিই ব্যবহার করতে হবে। দূষণ কমানোর জন্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদান ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ কোনো সতর্কতা বার্তা ছাড়াই এগুলো মাঝে মধ্যে শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। ঝুঁকির উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদানে

• পিপিই এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে-

• ব্যবহারে আরামদায়ক নাও হতে পারে

• কাজের বাঁধা বা বিপত্তি ঘটাতে পারে

• স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার অন্যান্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে

• দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার ব্যয় বহুল হয়

Content added || updated By

যেসব উৎস বা উপাদানসমুহের প্রভাবে দুর্ঘটনা সংঘটিত হতে পারে, সেইসব উৎস বা উপাদানসমূহকে হ্যাজার্ড বা বিপত্তি বলা হয়। বিপত্তি হলো যেকোনো বাস্তব অবস্থা বা ঘটনা, যার কারণে কোনো ব্যক্তির, সম্পদের পরিবেশের ক্ষতি, উৎপাদন ব্যবস্থা বিপত্তি, হতাহত অথবা দীর্ঘস্থায়ী রোগ-ব্যাধি হতে পারে; কিন্তু তা এখনো ঘটেনি। বিপদের সর্বশেষ ফল হলো দুর্ঘটনা। সম্ভাৰ্য বিপদসমূহ পর্যবেক্ষণ, শনাক্ত এবং দূরীকরণ ও কমানোর ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। দুর্ঘটনার কারণে ধারাবাহিক ক্ষতি যেমন- স্বাস্থ্য, জীবন, পরিবেশ ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়। 

১.৫.১ বিপত্তির ধরণ এবং শ্রেণি বিন্যাস

কর্মক্ষেত্রে বিপদ বা ঝুঁকিকে নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়-

• শারীরিক বিপত্তি

• রাসায়নিক বিপত্তি :

• জৈবিক বিপত্তি;

• মনোসামাজিক বিপত্তি :

• মানসিক (মানবিক ফ্যাক্টর ফেল করা) বিপত্তি ;

১.৫.২ শারীরিক বিপত্তি (Physical Hazard) 

কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের পদার্থের কারণে যে বিপদের সৃষ্টি হয় তাই শারীরিক বিপত্তি। বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন- যন্ত্রপাতি, মেশিন, বিদ্যুৎ, অত্যধিক ভাল বা ঠাণ্ডা, আর্দ্রতা, অভি শব্দ, কম্পন, চলন্ত ৰত্ন, কাজের অবস্থা এবং স্থান ইত্যাদি।

১.৫.৩ রাসায়নিক বিপত্তি (Chemical Hazard) 

ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত কাঁচামালসমূহ, উৎপাদিত পণ্য, বিক্রিয়াকারী পদার্থ ইত্যাদি কখনো কখনো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। যেমন- বিস্ফোরণ, বিকিরণ, বিষক্রিয়া, ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া, বিষবাষ্প, মরিচা পড়া, জ্বালাপোড়া, ক্যান্সার ইত্যাদি। রাসায়নিক বিপদের জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের পদার্থগুলো হলো- এসিড, ক্ষার, ডাইস, পেইন্ট, কুয়াশা, দ্রাবক, কটন ডাস্ট, গ্যাস বা ওয়েন্ডিং ধোঁয়া, হাইড্রোজেন, ক্লোরিন, ক্রোমিয়াম, লেড বা সীসা ইত্যাদি।

চিত্র-১.১১ রাসায়নিক বিপত্তি

১.৫.৪ জৈবিক বিপত্তি (Biological Hazard)

ক্ষুদ্র- অনুজীব এবং তাদের বিপাকীয় পদার্থের কারণে জৈবিক বিপদ হয়। যেমন- নর্দমার পানিতে সাধারণত বিভিন্ন ধরণের অনুজীব থাকে। সালফারযুক্ত দ্রব্য (যেমন-প্রিজ, তেল ইত্যাদি) আহার করলে তাদের শরীরে বিপাকীয় উৎপাদক হিসেবে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস নিঃসরণ করে। কিছু মাত্রার হাইড্রোজেন সালফাইড খুবই বিষাক্ত। এসবের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবি কীট যেগুলো খুলা বালিতে ভেসে বেড়ায়, তাদের কারণে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হয়। এটি এক ধরনের জৈবিক বিপन।

চিত্র-১.১২ জৈৰিক বিপত্তি

১.৫.৫ মনোসামাজিক বিপত্তি (Psychosocial Hazard) 

কর্মক্ষেত্রে কাজ সম্পর্কিত অথবা কাজের অবস্থানগত বিষয় যা কর্মীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে। ফলে মনোসামাজিক বিপদ সৃষ্টি হয়। যেমন- মানসিক বিষাদ, কাজের প্রতি একঘেয়েমী ভাব, অস্বস্তি এবং জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।

চিত্র:১.১৩ মনোসামাজিক বিপত্তি

 

১.৫.৬ কর্ম-ভঙ্গিমাজনিত বিপত্তি (Ergonomic Hazard)

চিত্র-১.১৪ কর্ম-ভঙ্গিমাজনিত বিপত্তি

 এমন শারীরিক পরিস্থিতি যা শরীরের পেশীসমূহ বা পিঠের নীচের লিগামেন্টগুলি, হাত বা কজির স্নায়ুগুলি বা হাঁটুর চারপাশের হাড় গুলির সংক্রমণের কারণ হতে পারে, যার ফলে একটি পেশীজনিত ব্যাধি হয়ে থাকে। কর্ম- গুষ্পিসাজনিত বিপত্তিসমূহের কারণগুলো হলো- পুনরাবৃত্তিমূলক একই গুষ্পিরায় কাজকরা, স্থির ও অনিরাপদ অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি।

১.৫.৭ বিপদ বা বিপত্তি নিয়ন্ত্রণ 

শিল্পকারখানায় বিপদ বা বিপত্তি নিয়ন্ত্রণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। শিল্পকারখানার ডিজাইন করা থেকে শুরু করে উৎপাদনের সময় এবং কারখানা বন্ধ করা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়। এখানে আমরা বিপদ নিয়ন্ত্রণের মূল ও প্রাথমিক ধারণাগুলো বর্ণনা করছি। বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত ধারণা তৈরি করা হয়েছে। নিম্নে এ সকল ধারণাগুলো বিবেচনা করে বিপদ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতির বর্ণনা দেয়া হলো-

১.৫.৮ বিপদ বা বিপত্তি নিয়ন্ত্রণের ধাপসমূহ

• বিপদ শনাক্তকরণ;

• বিপদের তালিকা তৈরি;

• বিপদ র‍্যাংকিং করা বা শ্রেণি নির্ধারণ করা;

• বিপদের সম্ভাবনা অ্যাসেস করা;

• বিপদ র‍্যাংকিং করা;

• বিপদ দূরীকরণ বা কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা। 

কর্মক্ষেত্রে সৃষ্ট বিপদসমূহকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত এবং তালিকা করতে হবে। এর পরবর্তী ধাপ হলো, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির তীব্রতা অনুসারে বিপদকে র‍্যাংকিং করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে বিপদ সমূহকে ঝুঁকির স্তর অনুসারে নিম্নে ক্রমানুসারে র‍্যাংকিং করতে হবে। পরবর্তীতে বিপদের ঝুঁকি দূর করার জন্য ভিন্ন কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। যেটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিপদকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বিপদে রূপান্তর করবে অথবা বিপদকে দূর করবে। এটি সত্য যে, সকল বিপদ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রস্তুতি এমনভাবে থাকা উচিত যেন সহজেই বিপদ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

১.৫.৯ বিপত্তি অপসারণ

যেখানে কোনো বিপদ নেই সেখানে আঘাত পাওয়া বা অসুস্থ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-

• এলোমেলো জঞ্জাল দূর করে হোঁচট খেয়ে পড়ার মতো বিপদ দূর করতে হবে।

• অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ বর্জন করতে হবে।

• ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি পরিহার করতে হবে।

• ক্ষতিগ্রস্থ যন্ত্রপাতি অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে। ব্যবহারকারীর কর্মযোগ্যতার সাথে নতুন যন্ত্রপাতির সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।

১.৫.১০ প্রতিস্থাপন

বিপদ দূর করা সম্ভব না হলে কম ঝুঁকি সম্পন্ন বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। এটি এমনভাবে করতে হবে যেন সন্তোষজনকভাবে একই ধরনের কাজ সম্পাদন করা যায়। যেমন-

• বিপদ সৃষ্টিকারী পদার্থের পরিবর্তে কম ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে;

• যেখানে সবসময় টেলিফোন ব্যবহৃত হয় সেখানে হ্যান্ডসেটের পরিবর্তে হেডসেট ব্যবহার করতে হবে;

• বাষ্পীয় বিপদ নিয়ন্ত্রণের জন্য কম ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে।

চিত্র-১.১৫ সেফটি সাইন
Content added || updated By

ঝুঁকি, দুর্ঘটনা, ভয় ইত্যাদি বোঝাতে সাধারণত বিপদ বা ঝুঁকি (Risk) শব্দটি ব্যবহৃত হয়। শিল্পকারখানায়, বিপদ হলো যেকোনো অস্বভাবিক ব্যবস্থা যা অসুবিধা সৃষ্টি করে। ফলে অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ, বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে। ভয়াবহ বিপদ কর্মস্থলে মৃত্যু, সম্পদের ক্ষতিসাধন, পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব অথবা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৰাধা সৃষ্টি করে।

চিত্র-১.১৬ কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি

১.৬.১ বিভিন্ন প্রকার ঝুঁকি

(১) বৈদ্যুতিক ঝুঁকি

* পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়া বৈদ্যুতিক শকে আহত কাউকে স্পর্শ করা;

* দুর্বল তাপ নিরোধক ও ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা; খালি পায়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করা ইত্যাদি।

চিত্র-১.১৭ বৈদ্যুতিক ঝুঁকি

(২) যান্ত্রিক ঝুঁকি সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতির 

তিনটি স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, যথা-

• পরিচালনার ক্ষেত্রে;

• যান্ত্রিক শক্তি ট্রান্সমিশন কেন্দ্রে ; যন্ত্রপাতির ঘূর্ণন এলাকায় ইত্যাদি।

(৩) অগ্নি ঝুঁকি নিম্নলিখিত কারণে অগ্নি ঝুঁকি হতে পারে-

- কাঠ, কাগজ, কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ উপকরণ নির্দিষ্ট স্থানে না রাখলে;

- পেট্রোল, তৈল, গ্রিজ ও দাহ্য পদার্থের সংরক্ষণ সঠিকভাবে না

- রাখলে; বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে;

- ধুমপানের কারণে ও অগ্নি ঝুঁকি হতে পারে ইত্যাদি।

১.৬.২ ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে) ক্রম ৰা পৰ্যায়

কর্মক্ষেত্র থেকে ঝুঁকির কারণ সম্পূর্ণ রূপে দূর করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। উদাহরণস্বরূপ: 

- একটি শান্ত পরিবেশ থেকে একটি শব্দ সৃষ্টিকারী মেশিন সরিয়ে নিতে হবে। অ্যাজমা

- বিপদ সৃষ্টিকারী পদার্থের পরিবর্তে কম ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার করতে হবে। যেমন- বৃদ্ধিকারক পদার্থ থাকবেনা এমন পেইন্ট ব্যবহার করতে হবে।

- কর্মক্ষেত্র থেকে বিপত্তি সরিয়ে ফেলা যেমন- ভৌতিক (শারীরিক) বিপদকে কর্মক্ষেত্র থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা যেস্থানে মেশিনটি ব্যবহৃত হচ্ছে ঐস্থানকে ঢেকে রাখতে হবে।

-  উৎস থেকে বিপত্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। বিপদের উৎস বন্ধ করার জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির ডিজাইন পুনরায় করতে হবে। গার্ড অথবা বায়ু চলাচলের ব্যবস্থার জন্য পুনরায় ডিজাইন করতে হবে।

- প্রশাসনিকভাবে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ- এটি প্রশাসনিক কৌশল, যা কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। প্রশাসনিকভাবে বিপত্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুষিত জায়গায় শ্রমিকদের অল্প সময়ব্যাপী কাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি শ্রমিকদের সময় ভাগ করে দিয়ে অথবা অন্য কোনো নিয়ম প্রয়োগ করে করতে হবে।

১.৬.৩ ঝুঁকি অপসারণ

যেখানে কোনো বিপত্তি নেই সেখানে আঘাত পাওয়া বা অসুস্থ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-

,• এলোমেলো জঞ্জাল দূর করে পায়ে হোঁচট লাগারমতো বিপত্তি দূর করতে হবে;

• অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ বর্জন করতে হবে;

• ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি পরিহার করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্থ যন্ত্রপাতি অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে।

১.৬.৮ ঝুঁকি সৃষ্টিকারী মালামাল ও যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন

বিপদ দূর করা সম্ভব না হলে কম ঝুঁকিসম্পন্ন বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। এটি এমনভাবে করতে হবে যেন সন্তোষজনকভাবে একই ধরনের কাজ সম্পাদন করা যায়। যেমন-

• বিপদ সৃষ্টিকারী পদার্থের পরিবর্তে কম ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে; 

• যেখানে সবসময় টেলিফোন ব্যবহৃত হয় সেখানে হ্যান্ডসেটের পরিবর্তে হেডসেট ব্যবহার

• বাষ্পীয় বিপত্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য কম ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি।

১.৬.৯ দুর্ঘটনা

দুর্ঘটনাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যে, দুর্ঘটনা হলো একটি অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা যা কোনো বস্তু স্থির বা চলমান, কোনো কাঠামো, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), পদার্থ (কাঁচামাল, উৎপাদন, রাসায়নিক দ্রব্য ইত্যাদি) বা তেজস্ক্রিয় বস্তুর সাথে ক্রিয়া অথবা বিক্রিয়ার ফলে ব্যক্তিগত আঘাত বা ধনসম্পদ বা পরিবেশগত ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে।

ওয়ার্কশপে নিম্নলিখিত চারটি কারণে সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে-

চিত্র-১.২১ (ক) দুর্ঘটনা

• কর্মীদের অসাবধানতা ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকান্ড;

• ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি/ মেশিন ব্যবহার; ত্রুটিপূর্ণ উপায়ে মালামাল বহন;

• ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে কাজ করা।

দুর্ঘটনার ফলাফল: জীবন হারানো বা কর্মীর ক্ষতি অথবা সম্পদ বা পরিবেশ ধ্বংস।

১.৭ প্রাথমিক চিকিৎসা

হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ্য লোককে নিকটস্থ ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে নেওয়ার আগে ঘটনা স্থলে তাৎক্ষণিকভাবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাই প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফাস্ট এইড। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়। তাছাড়া রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত রোগীর অবস্থার অবনতি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে জীবিত বা সুস্থ্য রাখার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়।

চিত্র-১.২১ (খ) দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য

• জীবন রক্ষা করা;

• গুরুতর আঘাতের পর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখা; 

• অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করা ইত্যাদি।

১.৭.১ প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সে যেসব জিনিসপত্র থাকে-

• জীবাণুনাশক তরল 

• জীবাণুনাশক ক্রীম

• থার্মোমিটার জীবাণুমুক্ত গজ

• ব্যাণ্ডেজ

• জীবন রক্ষাকারী জরুরি ঔষধ 

• খাবার স্যালাইন

• জীবাণুমুক্ত তুলা

•  অ্যাডহ্যাসিড ড্রেসিং

• স্যালাইন ইত্যাদি 

চিত্র-১.২১(গ) ফার্স্ট এইড বক্স

১.৮ আগুন এবং আগুন নেভানোর কৌশল 

অক্সিজেন, কুয়েল ও তাপ এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে আগুন ধরে। এই তিনটি উপাদানের যেকোনো একটি ছাড়া আগুন লাগতে পারেনা।

১.৮.১ আগুনের উৎস ও আগুন নেভানোর উপকরণ 

আগুনের শ্রেণিভেদে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র/উপকরণসমূহ

Content added || updated By

যখন কর্মক্ষেত্রে কোনো কারণে আগুন লেগে যায় তখন অগ্নি প্রতিরোধ করার জন্য কি করা উচিত তা প্রত্যেকেরই জানা থাকা দরকার। আগুন ধরে গেলে দ্বিতীয় সুযোগ বলে কিছু থাকেনা। কর্মক্ষেত্রের অগ্নিকান্ড প্রতি বছর শতশত জীবন কেড়ে নেয় ও অগণিত মানুষ আহত হয়ে থাকে। অগ্নিকান্ড ঘটতে দেওয়া কারও কাম্য হতে পারে না।

১.৮.৩ কর্মক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়

• নিয়মিত হাউজকিপিং প্রয়োগ করার মাধ্যমে সহজেই অগ্নিকাণ্ড এড়ানো যায় - স্টোরেজ এবং কর্মস্থল আবর্জনামুক্ত রাখা; -

• তৈলাক্ত কাপড়ের টুকরা বা আবর্জনা ধাতব কন্টেইনারে ফেলা এবং আগুন সৃষ্টিকারী উৎস থেকে দূরে রাখা;

• আবর্জনার পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করে খালি করা;

• স্টোরে দাহ্য পদার্থ গুলি ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা, চুইয়ে পড়বেনা এমন কন্টেইনারে রাখা এবং কন্টেইনার পুলি আগুনের উৎস থেকে দূরে রাখা।

১.৮.৪ অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ পদ্ধতি

যদি অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়ে যায় তবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ যে পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে তা মেনে চলতে হবে। একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে তুমি একটি ছোট অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ার আগে তা নিভিয়ে ফেলতে পার। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র তোমার আয়ত্বের মধ্যে থাকলেই তুমি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে। তুমি নিজে নিরাপদ থেকে আগুনের সাথে লড়তে না পারলে অভির সেই স্থান ত্যাগ করবে। মনে রাখা উচিত যে-

• নির্গমন পথে কোনো বিপত্তি আছে কিনা;

• অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থগুলি শেষ হয়ে গেছে কিনা;

• অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিকল হয়ে গেছে কিনা;

চিত্র-১.২২ বিভিন্ন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থসমূহ

• তুমি নিরাপদে থেকে আগুনের সাথে লড়তে পারবে কিনা;

• অগ্নিকাণ্ডের স্থান তৎক্ষণাৎ পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা ইত্যাদি।

১.৮.৫ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র চালানোর জন্য (PASS) পদ্ধভিন্ন ব্যবহার

 আমাদের প্রত্যেকেরই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র চালনা করার সক্ষতা অর্জন করতে হবে; কারণ স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রেলওয়ে স্টেশন এমনকি বাসাবাড়িতেও আগুন লাগলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে অতি সহজেই আগুন নেভানো যায় বা আগুন নিয়ন্ত্রণে জানা যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহারের খাপগুলি মনে রাখার জন্য তোমরা (PASS) পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

টান (Pull):

চিত্রে নির্দেশিত উপায়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ছোট পিনটি যা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটির সেফটি পিন হিসাবে ব্যবহৃত হয়, প্রথমে এটিকে টেনে বের করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

লক্ষ্য (Aim) :

চিত্রের নির্দেশিত উপায়ে ডান হাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ট্রিগারের উপরের অংশ ধরে আগুনের উৎসের দিকে আউটলেট নলটির স্ফীত অংশের গোড়ায় বাম হাতে ধরতে হবে এবং নিশানা বা লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।

চাপ (Squeeze):

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ট্রিপারটিকে ডান হাতে চিত্রের নির্দেশিত উপায়ে ধীরে ধীরে এবং সমানভাবে চেপে ধরতে হবে যাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থসমূহ কার্যকরীভাবে নির্গত হতে থাকে ।

নাড়ানো (Sweep):

আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন সমস্ত এলাকায় কভার করতে চিত্রের নির্দেশিত উপায়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে সাবধানতার সাথে নাড়াতে হবে।

চিত্র-১.২৩ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার পদ্ধতি

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র চালানোর আগে, কিছু নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমে আগুনের ব্যাপকতা, ভয়াবহতার মাত্রা বিশ্লেষণ করতে হবে; যদি আগুনের ব্যাপকতা খুব বেশি বা অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে এটি নিভানোর চেষ্টা করে নিরাপত্তার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না, আগুন লাগার স্থান জরুরি ভিত্তিতে খালি করতে হবে। যদি আগুনের মাত্রা অপেক্ষাকৃত এবং সহজেই নিভানো যায় তাহলে PASS ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে হবে। নিরাপদ দূরত্বে থেকে নির্দেশিত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অগ্রভাগকে ধরে রাখতে ভুলবে না এবং তোমাদের পিঠকে একটি খোলা প্রস্থানের দিকে রাখতে হবে যাতে আগুন খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠলে তোমরা নিরাপদে প্রস্থান করতে পার।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রসমূহ বাড়িতে, ওয়ার্কশপের প্রতিটি স্তরে এবং গ্যারেজের মতো জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত। এগুলি সহজে চোখে পড়ে এবং ব্যবহার করা যায় এমন জায়গায় দেওয়ালে স্থাপন করতে হবে যাতে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সহজে ব্যবহার করা যায়।

১.১ ওয়ার্কশপের নিরাপদ ও অনিরাপদ কার্যাভ্যাস

১.৯.১ নিরাপদ কার্যাভ্যাস

• অ্যাপ্রন, হ্যান্ড গ্লাভস ও নিরাপদ চশমা পরিধান করে ওয়ার্কশপে কাজ করা; 

• টুলস ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল আয়ত্ত করা, যেমন- সঠিক নিয়মে ফাইল চালানো;

• শক্ত তলাযুক্ত নিরাপদ জুতা ব্যবহার করা ;

• মেশিন চালু অবস্থায় অন্যমনস্ক না হওয়া বা মোবাইলে কথা না বলা; 

• ওয়ার্কশপের মেঝে তেল, গ্রিজ বা পিচ্ছিল পদার্থ যুক্ত রাখা ইত্যাদি।

১.৯.২ অনিরাপদ কার্যাভ্যাস

•  যন্ত্রপাতির ভাঙ্গা অংশ ব্যবহার করা;

• সেফটি গার্ডবিহীন মেশিন ব্যবহার;

• জবের ধারালো প্রান্ত ফাইলিং না করে খালি হাতে ধরা;

• অ্যাপ্রন, হ্যান্ড গ্লাভস ও নিরাপদ চশমা পরিধান না করা :

• ওয়ার্কশপের মেঝে ভেল, গ্রিজ বা পিচ্ছিল পদার্থ সময়মত পরিষ্কার না করা ইত্যদি।

১.১.৩ ওয়ার্কশপে সতর্কতা বিধি পালনের প্রয়োজনীয়তা

°• ওয়ার্কশপে কর্মরত কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য; 

• কর্মীদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যম্পের নিরাপত্তার জন্য;

• ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত টুলস্ ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তার জন্য;

• ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত কাঁচামান ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ব্যবহারে অপচয় কমিয়ে আনা;

• সময়ের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করা;

• উত্তম কর্ম পরিবেশ বজায় রেখে সুষ্ঠভাবে কাজ পরিচালনা করা ইত্যাদি।

চিত্র-১.২৪ পিপিই

কাজের ধারা:

স্পেসিফিকেশন

১. চিত্রে প্রদর্শিত নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলির সম্পর্কে ধারণা লাভ করো;

২. বর্ণিত নিরাপত্তা সরঞ্জামসমূহের তালিকা চিহ্নিত সংখ্যার ক্রমানুসারে প্রস্তুত করো;

৩. প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে স্টোর থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জামসমূহ সংগ্রহ করো; 

৪. নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলির ধরন অনুসারে ব্যবহার উল্লেখ করো;

৫. OSH অনুসরণ করে PPE পরিধান করো;

৬. পর্যায়ক্রসে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী গুলি পর্যবেক্ষণ করো;

৭. নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলির প্রয়োগের স্থান পরিদর্শন করো; 

৮. ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রীর নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষককে বলো;

৯. কোনো সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো; 

১০. কাজের শেষে সকল PPE কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে যথাস্থানে রাখো।

কাজের সতর্কতা

• সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা জাম পরিধান করা। 

আবশ্যকঃ

অর্জিত দক্ষতা /ফলাফল

ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী শনাক্তকরণ ও ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী শনাক্ত ও ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে। জৰ-২ অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভানো এবং ধোঁয়া হতে ওয়ার্কশপের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ।

কাজের ধারা:

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো।

২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি যথানিয়মে পরিখান করো।

৩. শিট মেটালের তৈরি ধাতব ট্রে-এর মধ্যে মোটা বালি ছড়িয়ে দাও।

৪. জ্বালানী কাঠগুলিকে ঐ বালিভর্তি ট্রে-এর মধ্যে সাজিয়ে নাও।

৫. জ্বালানী কাঠের মধ্যে কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর দেয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দাও।

৬. আপুন পূর্ণমাত্রায় জ্বলে উঠার সাথে সাথে অগ্নিনির্বাপক এর পিনটি চিত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী PASS পদ্ধতি ব্যবহার করে টেনে ধর (Pull) |

৭. ভাৎক্ষণিকভাবে ডান হাতে লিভার ও ৰামহাতে আউটলেট পাইপটি ধরে আগুনের দিকে একাগ্রতার সাথে নিশানা (AIM) ঠিক করো।

৮. ডানহাতে লিভার চেপে ধরো (SQUEEZE) এবং বামহাতে অগ্নিশিখার মধ্যে নির্গত গ্যাস ডানে বামে ঘুরিয়ে ছড়িয়ে দাও (SWEEP) যাতে আগুন সম্পূর্ণ নিভে যায়।

৯. শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে দ্রুত ওয়ার্কশপে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে দ্রুত ওয়ার্কশপে চিহ্নিত (Fire Exit) নির্দেশনার দিক দিয়ে বের হয়ে আসবে।

Content added || updated By

সাধারণত ৰাসা বাড়ির কাজ যেমন পেরেক ঢুকানো, ক্ষু খোলা বা আটকানো, কোনো কিছু কাটা, মাপ নেয়া ইত্যাদি। এই কাজের জন্য কোনো মেশিনের প্রয়োজন হয়না। ওয়ার্কশপের কর্মীগণ প্রয়োজন অনুসারে শারীরিক শক্তি দিয়ে চালিয়ে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। যেসকল টুলস মানুষের শারীরিক শক্তির সাহায্যে পরিচালিত হয়ে ওয়ার্কশপের সাধারণ কাজ অথবা অন্য যন্ত্রের সাহায্যকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয় যেমন- হাতুড়ি, ফাইল, হ্যাকস, ক্ষু-ড্রাইভার, রেঞ্চ বা স্প্যানার, ট্যাপরেঞ্চ, ভাইস্টক, ড্রিলচাক, চাৰু কী, নাম্বার পাঞ্চ, লেটার পাঞ্চ, পিনপাঞ্চ, চিজেল, প্রায়ার, ভাইস ইত্যাদি। আবার কিছু মেজারমেন্ট করার জন্য ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। যেখানে যে টুল ব্যবহার করা উচিৎ সেখানে কেবল তাই ব্যবহার করতে হবে আবার যেখানে হস্তচালিত টুলস দ্বারা সম্ভব নয়, সেখানে পাওয়ার টুলস ব্যবহৃত হয়।

Content added By

টুলস: কোনো জব বা ওয়ার্কপিসকে প্রয়োজন অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত আকার, আকৃতি এবং মসৃণতায় পরিবর্তন করার জন্য যান্ত্রিক সুবিধা সম্বলিত যে ডিভাইসসমূহ ব্যবহার করা হয় তাদেরকে টুলস বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় টুলস হলো এক প্রকার যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের সমষ্টি যা কোনো ধাতু বা ওয়ার্কপিস থেকে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ধাতু কেটে বা ক্ষয় করে নির্দিষ্ট আকার, আকৃতি এবং মসৃণতা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ টুলস হলো এক প্রকার হাতিয়ার যা ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ সহজ সাধ্য হয়।

চিত্র-২.১ টুলস

২.২. টুলসের শ্রেণিবিভাগ 

মেকানিক্স কাজে যেসব টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয় তাদের কাজের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে তাদেরকে প্রধানত ৫ (পাঁচ) ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যথা-

১. মার্কিং বা লেআউট টুলস (Marking or Layout Tools)

২. কাটিং টুলস (Cutting Tools)

৩. আনুষঙ্গিক হ্যান্ড টুলস (Related Hand Tools)

৪. পাওয়ার টুলস (Power Tools) 

৫. মেশিন টুলস (Machine Tools)

২.৩. টুলসের ব্যবহার

২.৪.১. মার্কিং বা লেআউট টুলস (Marking or Layout Tools) 

কাজ আরম্ভ করার পূর্বে অথবা কাজের সময় ড্রয়িং অনুযায়ী ধাতুখণ্ডের উপরিভাগে যেসকল টুলস দ্বারা মার্কিং করা হয় বা দাগ কেটে চিহ্ন দেওয়া হয় বা চিহ্নিত করার কাজে সাহায্য করে, সেসব টুলসকে মার্কিং বালে-আউট টুলস বলা হয়। প্রদত্ত ছয়িং অনুসারে কার্যবস্তুর উপরিতলে ড্রয়িং বা নকশা অংকন করাকে মার্কিং অথবা লে-আউট বলা হয়। কাগজের উপর পেন্সিল ব্যবহার করে যে নিয়মে মেকানিক্যাল ড্রয়িং করা হয় অনুরূপ নিয়মে মার্কিং অথবা লেআউট টুলস ব্যবহার করে কার্যবস্তু তৈরি করার জন্য ওয়ার্কপিসের উপর মার্কিং অথবা লেজাউট করা হয়। বেঞ্চওয়ার্ক, পিটমেটাল ওয়ার্ক, ড্রিলিং এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য লে আউট ওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিভিন্ন প্রকার মার্কিং অথবা লেআউট টুলসমূহ হলো-

• সেন্টার পাঞ্চ (Centre Punch): একটি বিন্দু চিহ্নিত করতে একটি সেন্টার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত গর্ত বা ছিল করার সময় একটি পর্ভের কেন্দ্র চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। সেন্টার পাঞ্চ এর পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ২০°।

• ডট পাঙ্ক (Dot Punch): ডটপাঞ্চ, সেন্টার পাঞ্চের ন্যায় কাজ করে কিন্তু ভটপাঞ্চের পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ৬০° হয়ে থাকে। 

• স্কাইবার  (Scrlber): ফাইবার হলো একটি হ্যান্ড টুল যা দিয়ে খাত কাজে মেশিনিং বা ওয়েল্ডিং বা কাটিং করার আগে ওয়ার্কপিলে লাইন চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফাইবার ব্যবহারের প্রক্রিয়াটিকে ফাইবিং বলা হয় এবং এটি মার্কিং করার একটি অংশ।

• হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপার্স (Harmafrodite Calipers ) : একটি হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপারের একটি পা ভিতরের দিকে বাঁকানো থাকে এবং একটি সোজা পা একটি ধারালো বিন্দুতে শেষ হয় এই ধরনের ক্যালিপার একটি সমতল বা বাঁকা পৃষ্ঠ থেকে একটি নির্দিষ্ট দুরত্বে লাইন স্কাইব করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

চিত্র-২.৫ হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপার্স

• ইনসাইড ক্যালিপার্স (Inside Calipers): ইনসাইড ক্যালিপার্স ভিতরের গর্ভের ব্যাস এবং পৃষ্ঠের মধ্যে দুরত্ব পরিমাণ করে।

• আউটসাইড ক্যালিপার্স (Outside Calipers): আউটসাইড ক্যালিপার্স বস্তুর বেধ এবং বাইরের ব্যাস পরিমাপ করে।

• ডিভাইডার (Divider): এটি দুই পা বিশিষ্ট একটি পরোক্ষ পরীক্ষণ ও মাপন হ্যাটুন। এটিকে মার্কিং এর কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইডারের পা দুটি ক্রমশ সরু হয়ে প্রান্ত ভাগ সূঁচালো থাকে। এটির সাহায্যে স্টিল রুল থেকে মাথ ভোলা, বৃত্ত বা বৃত্তচাপ অংকন, দুইটি বিন্দু বা রেখার দুরত্ব নির্ণয় করা এবং রেখাকে বিভক্ত করা যায়।

• সারফেস পেজ (Surface Gauge): সারফেস পেজগুলি প্রাথমিকভাবে প্লাউড বেস থেকে রেফারেন্স পৃষ্ঠগুলিকে নির্ভুল উলম্ব বা আনুভুমিক পৃষ্ঠ নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।

• সারফেস প্লেট (Surface Plate ): সারফেস গ্রেটের উপর সারফেস গেজ, মার্কিং ব্লক ইত্যাদি যন্ত্র রেখে বস্তুর উপরিভাগের সমতা পরীক্ষা করা যায়। তাছাড়া ওয়ার্কপিসকে সাধারণত সারফেস প্লেটের উপর রেখে মার্কিং করা হয়।

চিত্র-২.১০ সারফেস প্লেট 

• ভার্নিয়ার হাইট পেজ (Vernier Height Gange): এটি একটি প্রত্যক্ষ, সুক্ষ্ম ও সরল উচ্চতা ও উলম্ব দূরত্ব মাপক যন্ত্র। মেশিনশনে ও মেটাল ওয়ার্কিংশপে জবের উপর লে- আউট ও মার্কিং করার জন্য বিশেষভাবে এটি ব্যবহৃত হয়। ভার্ণিয়ার হাইট পেজের গঠন ও কার্যপ্রণালী ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সের মতই। তবে এটি উচ্চতা পরিমাপ করা বা উচ্চতা পরীক্ষা করা ছাড়াও সারফেস পেজের অনুরুপ মার্কিং করতে ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান স্কেলের দন্ডটি খাড়াভাবে ৰেসেৱ উপর শক্ত করে আটকানো থাকে।

চিত্র-২.১১ ভার্নিয়ার হাইট পেজ

এ যন্ত্রে দু'টি 'জ' এর পরিবর্তে একটি 'জ' থাকে। এবং 'জ' এর সাথে একটি ধারালো ফাইবার ক্ষু-এর সাহায্যে জাবদ্ধ করা থাকে। ফাইবারের স্থলে রড সংযুক্ত করে এর সাহায্যে ডেপথ পেজের ন্যায় গভীরতাও মেপে নেওয়া যায়। এ ছাড়া ফাইবারের পরিবর্তে ডায়াল ইন্ডিকেটর সংযুক্ত করে আরও সূক্ষ্ম এবং সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয়।

• ট্রাইস্কোয়ার  (Tri-Square): ট্রাই স্কোয়ার এক প্রকার প্রত্যক্ষ কৌণিক মাপক যন্ত্র। এটি কোনো বস্তুর সন্নিহিত দু'টি তল পরস্পরের সাথে এক সমকোণে আছে কি না অথবা কোনো তলের উপরিভাগের সমতলতা পরীক্ষা করা এবং মার্কিং করার সময় সরলরেখা টানতে ব্যবহৃত হয়।

• কম্বিনেশন সেট (Combination Set): কম্বিনেশন সূক্ষ্মভাবে বস্তুর সমকোণ ও সমতলতা পরীক্ষা করা ছাড়াও এটি কোনো বস্তুর ওপর সুক্ষ্মভাবে সমান্তরাল সরলরেখা টানতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষয়্যার হেডের সাহায্যে ৪৫° কোণে এবং ৯০° কোণে সরলরেখা টানা যায়।

• স্টিল রোল (Steel Rule) : মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপের কাজে বিভিন্ন মান গ্রহণে সবচেয়ে সরল ও সাধারণ মাপ যন্ত্র হলো প্লেইন স্টিল রুল বা সংক্ষেপে এটিকে স্টিল রুল ৰলা হয়। এটি সাধারণত ১৫ সে.মি. এবং ৩০ সে.মি. লম্বা হয়। এতে সর্বনিম্ন ০.৫ মি.মি. মাপ নেওয়া যায়। এটি স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি হয় এবং এর সাহায্যে জবের দৈৰ্ঘ্য, প্ৰন্থ, বেধ এবং উচ্চতার মাপ সরাসরি গ্রহণ করা যায়।

• প্যারালাল ক্যাম্প (Parallel Clamp): কাজ করার সময় যখন আন্যের সহায়তার প্রয়োজন হয় তখন প্যারালাল ক্যাম্প বন্ধু ক্লাম্প করার কাজে ব্যবহার করা হয়। 

চিত্র-২.১৫ প্যারালাল ক্যাম্প
Content added By

যে সকল টুলস দ্বারা ধাতুকে কাটা বা ক্ষয় করা যায় সে সকল টুলস কে কাটিং টুলস বলা হয়। যেমন-

ফ্লাট ফাইল (Flate File) : ফ্ল্যাট অর্থ সমতল বা চ্যাপ্টা সুতরাং এ ফাইলের উপরিভাগ সমতল বা চ্যাপ্টা হবে অগ্রভাগ ক্রমশ চিকন। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫ সেন্টিমিটার হতে ১৫ এবং ১৫ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওয়ার্কশপের অধিকাংশ কাজ এ ফাইল দ্বারা করা যায়। রাফ, বাস্টার্ড, সেকেন্ড কাট, সুখ এবং ভেড সুখ সকল গ্রেডের ফ্ল্যাট ফাইল বাজারে পাওয়া যায়।

চিজেল  (Chisel): এটি একটি ধাতু কর্তনকারী যন্ত্র। বাংলায় একে ছেনি বলে । কোনো চিজেলের মান বলতে এর কাটিং এজের দৈর্ঘ্যকে বুঝায়। এ সাপ ০৬ মিলিমিটার হতে ৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।

হ্যাক-স (Hack Saw): হ্যান্ড হ্যাকস দ্বারা কোনো বন্ধুকে কাটা বা বিদীর্ণ অর্থাৎ দ্বিখণ্ডিত করার প্রণালীকে হ্যান্ড হ্যাক সয়িং বলা হয়। সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট অল্প সংখ্যক বস্তু কাটতে এ প্রণালী ব্যবহৃত হয়। পাওয়ার হ্যাক'স এর অভাবে বড় ব্যাস বিশিষ্ট বন্ধু কাটতেও এ প্রশানী ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইহা সময় সাপেক্ষ

ট্যাপ (Tap): ট্যাপ নামক এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল দ্বারা গোলাকার ছিদ্রের ভিতরে আভ্যদ্বরীণ ক্রু-গ্রেড বা পাঁচ উৎপন করার পদ্ধতিকে ট্যাপিং বলা হয়। ট্যাপ হাই কার্বন স্টিল বা হাইস্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি করা হয় এবং ক্ষু-গ্রেড কাটা অংশটি টেম্পার দেওয়া থাকে। টেম্পার দেওয়ার কারণে ট্যাপ কিছুটা ভঙ্গুর থাকে, তাই সতর্কতার সাথে ট্যাপিং করতে হয়।

ডাই ও ডাই হ্যান্ডেল (Die and Die Handle ) : ডাই এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা সিপিক্ষিক্যাল জন্ম, পাইপ, গোলাকার রড এর উপরিভাগে স্ক্রু-থ্রেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই কাৰ্বন স্টিল বা হাই স্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এর ব্লেড অংশ শক্ত এবং টেম্পার করা থাকে। তাই ট্যাপ এর মত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড মালের ক্ষু-গ্রেড তৈরি করতে বিভিন্ন মাপ বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

রিমার (Reamer): ড্রিলিং বা বোরিংকৃত ছিদ্রকে রিমারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় মসৃণতা, সমান্তরালভা, গোলত্ব ও সঠিক আকারসহ ফিনিশিং করার জন্য মেশিনিং অপারেশনকে রিমিং বলা হয়।

পাইপ কাটার (Pipe Cutter): মেটাল পাইপ কাটার জন্য প্লায়ারগণ পাইপ ফিটিং কাজে পাইপ কাটার ব্যবহার করে থাকেন। এটি দ্বারা অতি সূক্ষ্মতা, সার্বিক মান, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পরিচ্ছন্নভাবে মেটাল পাইপ কাটা যায়। পাইপ কাটার সময় লুব্রিক্যান্ট বা কুল্যান্ট ব্যবহার করতে হয়।

ড্রিল বিট (Drill Bit): ড্রিল বিট এক প্রকার কাটিং টুলস যা নলাকার গর্ভ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় । এগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রভেদে অনেক আকারের হয়ে থাকে। ড্রিল বিটসমূহ সাধারণত একটি মেশিনের সাথে সংযুক্ত থেকে যোগার এবং গর্ত তৈরি করতে টর্ক এবং অক্ষীয় বল প্রদান করে।

লেদ টুল বিট (Lathe Tool Bit): লেদ কাটিং টুল হলো এমন সরঞ্জাম যা একটি লেদ মেশিনের সাহায্যে বেলনাকার বস্তুকে পছন্দসই আকারে তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

মিলিং কাটার (Milling Cutter): মিনিং কাটার একটি মিলিং মেশিনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি একটি কাটিং টুল যা একটি ওয়ার্কপিস থেকে অতিরিক্ত উপাদান কেটে প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রদান করে। সকল মিলিং মেশিনে কার্যবস্তুর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলার জন্য মিলিং কাটার ব্যবহার করা হয়। একটি সাধারণ মিনিং অপারেশন চলাকালীন, কাটারটি তার অক্ষের সাথে লম্বভাবে সরে যায়, যা এটি কাটারের পরিধিতে ওয়ার্কপিস থেকে উপাদান অপসারণ করতে সহায়তা করে। নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মিলিং কাটারের চিত্র দেওয়া হলো-

চিত্র-২.২৫ বিভিন্ন প্রকার মিলিং কাটার

কাউন্টার সিংকিং ড্রিল (Counter Sinking Drill) কাউন্টারসিংক ড্রিল হলো একটি শঙ্কু আকৃতির টুল যার কাটিং প্রাপ্ত একটি গর্তের চারপাশ দিয়ে কাটে। গর্ত এবং কাউন্টারসিংক এর শঙ্কুর কাটিং প্রায় দ্বারা প্রয়োজনীয় আকৃতি গঠন করে।

সেন্টার ড্রিল (Centre Drill): সেন্টার ড্রিল একটি অক্ষের উপর কেন্দ্রের মধ্যে ধরে রাখার জন্য একটি গর্ত ড্রিল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বন্ধু মেশিনিং করার সময় কেন্দ্রে ড্রিল করতেও ব্যবহৃত হয় তবে সেন্টারভিলেরে উদ্দেশ্যে স্পট ছিল করা।

কাউন্টার বোরিং কার্টার (Counter Boring Cutter): কাউন্টার বোরিং কাটার একটি কাটিং টুল যা স্পটফেস কাটতে ব্যবহৃত হয়। যদিও জন্মে পৃষ্ঠ সমতল করতে একটি এন্ডমিলও ব্যবহার করা যেতে পারে, তথাপি একটি কাউন্টার বোরিং টুল জবের উল্লখ পৃষ্ঠে কোনো ফাস্টেনারের হেড তৈরির জন্য একটি লম্ব পৃষ্ঠ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

Content added || updated By

মেশিন শপে বা ফিটিং বিভাগের সাধারণ কাজে অথবা অন্য টুলস্ এর সহকারী যা হিসাবে যেসকল টুলস ব্যবহৃত হয় তাদেরকে আনুষঙ্গিক টুলস বলা হয়। যেমন-

বলপিন হ্যামার (Ball-peen Hammer): বলপিন হ্যামার এর হেডটি বলের মত অর্থাৎ পোল তাই এ শ্রেণির হাতুড়ির নাম হয়েছে বল পিন হ্যামার। একটি বল পিন হ্যামারের হ্যাড সাধারণত সূক্ষ্মকাজের জন্য ২, ৪, ৮ ও ১২ আউন্স ওজনবিশিষ্ট হয়ে থাকে, এবং ভারী কাজের জন্য ১, ১, ২ ও ৩ পাউণ্ড ওজনের হয়ে থাকে। এর ফেস হার্ডেনন্ত করা থাকে এবং ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ধরনের কাজে এ হ্যামার ব্যবহার করা হয়।

প্লায়ার্স (Pilers): কোনো পাতলা শিট বা ভারকে ধরে কাজ করার জন্য, বৈদ্যুতিক তারের জোড়া দেওয়াও বিদ্যুতায়িত অবস্থায় ক্যাবল এর সাথে তারের সংযোগ দেওয়ার জন্য, তার কাটার জন্য প্রভৃতি কাজে প্রায়ার্স ব্যবহার করা হয়।

ভাইস (Vice): ভাইস হলো একটি ক্যাম্পিং ডিভাইস যা নাট ও বোল্টের সাহায্যে টেবিল বা বেঞ্চের উপর আবদ্ধ করে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এটি কাস্ট স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এ ভাইসের দু'টি 'জ' টেম্পারিং করা স্টিলের তৈরি থাকে এবং ভিতরের দিকে খাঁজ কাটা থাকে। বিভিন্ন কার্যবস্তুকে ফাইলিং, চিপিং, হ্যামারিং, সয়িং ইত্যাদি কাজের জন্য বেঞ্চ ভাইস ব্যবহার করা হয়।

রেঞ্জ (Wrench): নাট, বোল্ট বা স্টাডের ক্ষু অংশকে আটকানো বা গোলার জন্য যে টুলস ব্যবহৃত হয় উহাকে রেফ বলে। কখনো এটিকে স্প্যানারও বলা হয়। বোল্ট এর সাথে নাটকে টাইট দেওয়ার অন্য ব্রেঞ্চ ব্যবহার করা হয়।

পাইপ ডাইস্টক (Pipe die-stock): পাইপ ডাইস্টক  মরিচা বা জীর্ণ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়। তিনটি স্ক্রু ডাই স্টকের সাথে ব্যবহার করা হয় যা থ্রেড মেরামত করার সময় সারিবন্ধকরণে সহায়তা করে। টেম্পার পাইপ ডাইন্টক মরিচা বা জীর্ণ থ্রেড মেরাম বা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

স্ক্রু -ড্রাইভার (Screw Driver): স্ক্রু -ড্রাইভার এক ধরনের হ্যান্ডটুলস যা দিয়ে স্কুকে ঘুরিয়ে খোলা অথবা লাগানো যায়। নিম্নে কতিপয় স্ক্রু -ড্রাইভারের চিত্র দেওয়া হলো।

ড্রিল চাক অ্যান্ড চাক কি (Drill Chuck and Chuck Key): ড্রিল বিট একটি চাকের মাধ্যমে পোর্টেবল পাওয়ার ডিলের চাকে আটকানো থাকে। প্রচলিত ছিল চাকগুলি একটি তিন-চোয়াল বিশিষ্ট হয়ে থাকে যা বাইরের স্লিভের ঘোরানোর মাধ্যমে খোলা ও বন্ধ করা যায়; কিছু চূড়ান্তভাবে টাইট করতে একটি বিশেষ রেঞ্চ ব্যবহৃত হয় যা "চাক-কী" নামে পরিচিত। চাক-কী টি চাকের উপর একটি হোলে ঢোকানো হয় যাতে চাক কী এর দাঁতগুলো চাক স্লিভের সাথে মিলে গিয়ে দাঁতগুলোকে সংযুক্ত করে। চাক কী ঘুরিয়ে চূড়ান্তভাবে টাইট করা হয়।

চিত্র-২.৩৫ ড্রিল চাক এন্ড চাক কি 

নাম্বার পাঞ্চ  (Number Punch): মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ ও মেটাল ওয়ার্কশপে কোনো জব না প্রডাক্টের যন্ত্রাংশসমূহকে জ্যাসেম্বলিং করার জন্য শনাক্ত করার স্যুবিধার্থে নামবার পাঞ্চ দিয়ে নাম্বারিং করা হয়। তাছাড়া প্রডাক্টের উৎপাদনের তারিখও ব্যাচ নাম্বার ধোলাই করে লেখার জন্যও নাম্বার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়।

লেটার পাঞ্চ (Letter Punch): ধাতব বা মেটালিক জবের উপর নাম ও শনাক্তকরণ চিহ্ন দেওয়ার জন্য লেটার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো মেকানিক্যাল ও মেটাল ওয়ার্কশপে উৎপাদিত প্রডাক্ট বা যন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠানের লোগোসমেও প্রডাক্টের নাম লেটার পাঞ্চ দিয়ে লেখা হয়ে থাকে।

 

স্ক্রু এক্সট্রাক্টর - (Screw extractor) : স্ক্রু যদি হোলের মেটাল বা কাঠের হোলের ভিতর ভেঙ্গে যায় বা আটকে যায় তবে ক্ষু-এক্সট্যাক্টর দিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া বা আটকে যাওয়া স্ক্রু-কে অপসারণ করা হয়।

হ্যান্ড ভাইস (Hand vice): একটি হ্যান্ডেলের উপর একটি ছোট ক্র্যাম্প বা ভাইস ছোট জবকে ধরে রাখার জন্য হ্যান্ড ভাইস ব্যবহার করা হয়।

পিন ভাইস (Pin Vice): পিন ডাইস টুল হোল্ডিং ডিভাইস যা ছোট টুলকে ক্লাম্প করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

সি-ক্লাম্প (C-clamp): এটি দেখতে ইংরেজি সি অক্ষরের মতো। তাই এর এরূপ নাম হয়েছে। ভারী এবং হালকা উভয় ধরনের কাজে এটি ব্যবহার করা যায়।

 

২.৪.৪ পাওয়ার টুলস (Power Tools)

যেসব টুলস বৈদ্যুতিক শক্তি, বাতাসের চাপ এবং ঘন তরলের চাপ দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদেরকে পাওয়ার টুলস বলা হয়। পাওয়ার টুলসমূহ মূলত প্রতিটি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশলে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে ।

পোর্টেবল এবং স্টেশনারি পাওয়ার টুলসমূহ সম্পর্কে এখানে আলোচনা এবং এই সরঞ্জামগুলির নিরাপদ অপারেশন সম্পর্কে বর্ননা করা হয়েছে। যথাশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ করলে টুলের সেলফ লাইফ এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঠিক সেট-আপ এবং অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা হ্রাস পায়।

বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত টুলসমূহ যখন ভুলভাবে ব্যবহার করা হয় তখন বিপজ্জনক হতে পারে। বিদ্যুতের উৎসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে যেমন বৈদ্যুতিক, নিউমেটিক, হাইড্রলিক ইত্যাদি। কর্মীদের সকল বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তাদের সম্ভাব্য বিপদগুলি বোঝার পাশাপাশি সেই বিপদগুলি ঘটতে না দেওয়ার জন্য সুরক্ষা পদ্ধতি ও সতর্কতাসমূহ মেনে চলা উচিত। অনিরাপদ ভাবে ব্যবহারের ফলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নিউমেটিক টুল (Pneumatic Tool): নিউমেটিক টুল মূলত বায়ুর প্রেশারে অপারেট করা হয়। প্রাথমিক ভাবে বায়ুর প্রেশার টুলসে পাওয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয় যেমন নেইল গান, পেইন্ট স্প্রেয়ার, পিট মেটাল শিয়ারিং মেশিন ইত্যাদি।

সার্কুলার-স' (Portable Circular Saw) : পোর্টেবল সার্কুলার-স' বিভিন্ন ম্যটেরিয়াল সোজা ভাৰে সক্ষম। এই করাতের অন্যান্য নাম হল স্কিল-স', ইউটিলিটি-স' বৈদ্যুতিক হ্যান্ডস' এবং 'বিস্তার-স করাভটির হ্যান্ডেলে, করাত শুরু করার জন্য একটি ট্রিগার স্যুইচ থাকে। ব্রেডের দাঁতের মুখ ঘূর্ণনের দিকে থাকে। ব্রেডটি দুই গার্ড দ্বারা সুরক্ষিত। উপরে একটি রিএড আছে যা ব্রেডের সাথে কনট্যাক্ট করতে পারেনা এবং ফ্লাইং অবজেট আটকাতে সাহায্য করে। নীচে একটি স্প্রিং-লোড গার্ড আছে যা উপরের গার্ডের নীচে স্প্রিং করে যখন করাভটি দিয়ে কাট দেয়া হয়।

চিত্র-২.৪৩ সার্কুলার-স

কাট-অফ স (Cut off saw): কাট-অফ-স' বা গ্রুপ- স ধাতব পদার্থ যেমন দোহা, সমতল বার, রড, এবং চ্যানেলসমূহকে সোজা বা কৌণিকভাবে কর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। কাট-অফ-স মেশিনে একটি পাতলা, ঘর্ষণকারী, বৃত্তাকার ভিন্ন- করাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ডিঙ্কটি খনিজ বা সিন্থেটিক থেকে তৈরি ফাইবার এবং রজন বস্তিং যুক্ত। এই ডিস্কসমূহ ২ নিশি থেকে ৩ মিনি (১/১৬ ইঞ্চি থেকে ১/৮ ইঞ্চি) পুরু এবং ১৫০ মিমি থেকে ৫০০ মিমি (৬ ইঞ্চি থেকে ২০ ইঞ্চি) ব্যাসে তৈরি হয়।

হ্যান্ড ড্রিল (Hand drill): পোর্টেবল বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ড্রিলিং হোল, ড্রাইডিং স্কু এবং স্টিয়ারিং পেইন্ট সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক ছিল কর্ড বা কর্ডলেস হতে পারে। কর্ড ড্রিল ডাবল ইনস্যুলেটেড বা তিন প্রান্তের হতে পারে। কিছু বৈদ্যুতিক ছিল একটি পিয়ল গ্রিপ থাকে একটি ট্রিগার সুইচ পিগুল গ্রিপের উপর অবস্থিত থাকে যাতে হালকা অপারেশনের সময় এক হাতে নিয়ে ব্যবহার করা যায়।

চিত্র-২.৪৫ হ্যান্ড ড্রিল 

হ্যামার ড্রিল ( Hammer Drill): হ্যামার ছিল গাঁথুনি বা পাঘরের মধ্যে ড্রিল করতে সক্ষম। এর জন্য বিশেষ হ্যামার ছিলটি আছে যা হোল থেকে ওয়েস্টেজ সরানো এবং সরানোর সময় পাউন্ডিং করতে পারে। হ্যামার ভিলের একটি স্প্রিং-লোড চাক রয়েছে, যাতে বিটগুলিকে শক্ত না করে ঢাকের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়। ছিলবিট-টি চাকে শক্তভাবে ধরে রাখা হয় না, তবে পিস্টনের মতো পিছনে পিছনে স্লাইড করতে পারে। ঘূর্ণায়মান ড্রাইভ স্লাইডিং এ কীওয়ে ব্যবহার করা হয় যা শ্যাংকের শেষে খোলা থাকে, যা চাকের চাবিগুলির সাথে সেট হয়ে যায়। 

ড্রিল প্রেস (Drill Press ) : বিভিন্ন কাজের উপযোগী ও সহজ অপারেশনের জন্য ভিলপ্রেস পাওয়ার টুলসের মধ্যে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি। একটি ভিলসে মেৰে বা বেঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ডিপ্রেসের চারটি মৌলিক অংশ হলো বেস, কলাম, টেবিল এবং হেড। টেবিলটি কলামের উপরে এবং নিচে সরানো যায়।

অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার (Angle Grinder): অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার এর একটি গ্রাইন্ডিংডিস্ক রয়েছে যা মোটরের অক্ষের দিকে ৯০° এ ঘোরে। ডিস্কের ব্যাস ১০০° মিমি থেকে ১৮০° মিসি (৪ ইঞ্চি থেকে ৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত, এবং প্রতিটি ডিস্কের ধরুন এবং আকার তার আরপিএম রেটিং নির্দিষ্ট থাকে। যেমন ৪ ইঞ্চি ডিক্সের আর পি এম ১৫৩০০ অর্থাৎ এই ডিক্সটি জাবশ্যই ডিক্সে উল্লেখিত আরপিএম এর কম আরপিএম মেশিনে ব্যবহৃত হতে হবে যদি এর অতিরিক্ত আরপিএম যুক্ত মেশিনে ব্যবহার করা হয় তাহলে ভিন্ন ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চিত্র-২.৪৮ অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার 

বেঞ্চ গ্রাইন্ডার (Bench Grinder): বেঞ্চ গ্রাইন্ডার সাধারণত মোটর শ্যাফটের উভয় প্রায়ে গ্রাইন্ডিং বা ভারের চাকার সাথে একটি বৈদ্যুতিক মোটর নিয়ে গঠিত। চাকাগুলো পার্ডের মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং সামনের দিকে একটি টুল রেস্ট এবং একটি স্পার্ক শীভ থাকে। অপারেটররা যাতে গ্রাইন্ডিং করতে পারে সে জন্য চাকাগুলো ঘুরে। ৰেফ গ্রাইন্ডার একটি বেঞ্চে বা ফ্রি-স্ট্যান্ডিং পেডেস্টালে মাউন্ট করা থাকে।

Content added || updated By

মেশিন টুলস হলো শক্তি চালিত যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা কাটিং টুলের সাহায্যে ওয়ার্কপিস থেকে নির্ধারিত পরিমাণ ধাতু অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আকার, আকৃতি ও মসৃণতা প্রদানে ব্যবহৃত হয়। যেমন-

লেদ মেশিন (Lathe Machine): একটি লেদ মেশিন হলো একটি মেশিন টুল যা একটি ঘূর্ণায়মান ওয়ার্কপিস থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ কেটে বস্তুকে প্রয়োজন অনুযায়ী আকৃতি প্রদান করে। লেদ মেশিন দ্বারা সাধারণত একটি একমুখো কাটিং টুল এর সাহায্যে স্পিন্ডলের সাথে সংযুক্ত চাকে বাঁধা অবস্থার ঘুরন্ত কার্যবস্তুকে কেটে প্রধানত সিলিন্ড্রিক্যাল, কোনিক্যাল, ফেসিং ইত্যাদি জব ও স্ফলু-থ্রেড তৈরি করা যায়।

শেপার মেশিন (Shaper Machine) শেপার মেশিন মূলত অনুভূমিক, উল্লম্ব ৰা সমতল পৃষ্ঠ উৎপাদন করার জন্য ব্যবহৃত মেশিনের একটি পারস্পরিক ধরনের। শেপারটি র‍্যামে একক পয়েন্ট কাটার সরঞ্জামটি ধরে রাখে এবং ওয়ার্কপিসটি টেবিলে স্থির থাকে।

চিত্র-২.৫১ শেপার মেশিন

প্ল্যানার মেশিন (Planer Machine) : প্ল্যানার মেশিন ভারী যন্ত্রাংশ বা ওয়ার্কপিসে সমতল পৃষ্ঠ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ওয়ার্কপিস টেবিলের উপর স্থাপন করা হয় এবং কাটিং টুল স্থির থাকে, টেবিল ওয়ার্কপিসসহ চলাচল করে অপ্রয়োজনীয় ধাতু কেটে ফেলে ইঙ্গিত আকৃতি প্রদান করে থাকে।

চিত্র-২.৫২ প্ল্যানার মেশিন

পেডেস্টাল ড্রিল মেশিন (Pedestal drill machine): পেডেন্টাল ড্রিল মেশিন হলো এক ধরনের পাওয়ার টুল যা ওয়ার্কশপের মেঝেতে সি.সি. ফাউন্ডেশন করে নাট-বোল্টের মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা হয়। এই মেশিনকে পিলার ড্রিল মেশিনও বলা হয়। এটিকে ওয়ার্কশিসের পুরুত্ব অনুযায়ী ওয়ার্কবেক্ষকে সমন্বয় করা যায়। মেশিনটিতে মোটর ব্যবহার করে উচ্চ গতিতে ড্রিল টি রোটেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়, ওয়ার্কপিসে হোল বা ছিদ্র করা যায়। 

মিলিং মেশিন (Milling Machine ) : মিলিং মেশিন একটি কাটিং টুল (Milling Cutter) ঘোরানোর মাধ্যমে একটি ষাভ জবের টুকরো থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলে প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রদান করে থাকে। সিলিং মেশিনে সাধারণত উল্লম্ব বা অনুভূমিক, ফ্ল্যাট এবং অনিয়মিত পৃষ্ঠগুলি মেশিনিং করা হয়। পিয়ার, প্লাইন, ব্রেড, স্লট, ইত্যাদি তৈরি করতে ও ধাতব ওয়ার্কপিসের মধ্যে ড্রিং এবং বোরিং করতে মিলিং মেশিন ব্যবহার করা হয়।

পেডেস্টাল গ্লাইডার (Pedestal Grinder machine): পেডেস্টাল গ্রাইন্ডার লেন এবং সিলিং মেশিনে ব্যবহৃত উচ্চ-গতির ইস্পাত কাটার জন্য কাটিং টুলকে তীক্ষ্ণ করতে ব্যবহার করা হয়।

বোরিং ও হোনিং মেশিন (Boring and Honing Maching): বোরিং মেশিনে একটি বোরিং টুল দিয়ে বিদ্যমান ভিন্ন গুলিকে বড় কর হয় এবং হোনিং প্রক্রিয়ায় ওয়ার্কপিস মসৃণ করা ও সারফেস ফিনিস করা হয়।

পাওয়ার হ্যাকস মেশিন (Power Hacksaw): পাওয়ার হ্যাকস মেশিন ধাতু কর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, এবং হালকা স্টিল এবং অন্যান্য খাতব কার্যবস্তু পাওয়ার হ্যাকস-এর মাধ্যমে কর্তন করতে সক্ষম।

ব্র্যান্ড-স মেশিন (Band naw): একটি ব্যাঙ্ক- স হলো একটি পাওয়ার-স মেশিন যার একটি দীর্ঘ ধারালো ব্লেড থাকে যা বন্ধু বা মেটাল কাটার জন্য দুই বা ততোধিক চাকার সাথে বেস্ত করা থাকে । ধাতু কাটিং করার সময় এই ব্রেড কনটিনিউয়াস ভাবে চলতে থাকে।

২.৪. 'ইনসট্রুমেন্ট পরিচিতি

ইনসট্রুমেন্ট সুলভ কোনো প্যারামিটার পরিমাপের জন্য বা কোনো প্যারামিটার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তাপমাত্রা ও চাপ পরিমাপ করা ইত্যাদি এবং ভালভ দিয়ে প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। বিশেষ যন্ত্রগুলি প্রসেস প্যারামিটার পরিমাণ বা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

২.৪.১. ইনস্ট্রুমেন্টের প্রকারভেদ

ইনস্ট্রুমেন্ট দুই ধরনের

১. অ্যানালগ বা মেনুয়্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট

২. ডিজিট্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট

২.৪.২. ম্যানুয়্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট (Manual Instrument) 

যে সকল ইনস্ট্রুমেন্ট মাগগ্রহণ করতে, মাপ জানতে, ও মাপ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয় সেসকল ইনস্ট্রুমেন্টকে মেজারিং ইনট্রুমেন্টস বলা হয়। মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট এর মধ্যে যেসকল টুলস সাধারণত মাপ পরীক্ষা করার কাজে ব্যবহার করা হয় তাদেরকে আলাদাভাবে টেস্টিং টুলস বলা হয়। যেমন- ট্রাই-স্কয়ার, কম্বিনেশন-স্কয়ার, বিভেল-প্রোট্রাক্টর, স্ট্রেইট-এজ, স্টিল-রুল ইত্যাদি। মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট এর মধ্যে যেসকল ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরি করা বস্তু কাজের উপযোগী কিনা, এর মাপ গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে আছে কিনা ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত হয়, সে সকল মেজারিং ইনট্রুমেন্টসমূহকে পেজ বলা হয়। যেমন- প্লাগ-গেজ, রিং-গেজ, স্ন্যাপ-গেজ, রেডিয়াস-গেজ, ইন্ডিকেটিং হোল-গেজ, স্ক্রু-পিচগেজ, ফিলার-পেজ ইত্যাদি।

২.৪.৩. বিভিন্ন অ্যানালগ বা ম্যানুয়্যাল মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট

- ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স (Vernier Calipers): ভার্নিয়ার ক্যালিপার হলো একটি সূক্ষ্ম পরিমাপক ও পরীক্ষণ যন্ত্র, যার সাহায্যে কোনো বস্তুর বা ওয়ার্কপিসের ভিতর, বাহির এবং গভীরতার মাপ সূক্ষ্মভাবে নেওয়া যায় বা পরীক্ষা করা যায়। এটির দুটি আউটসাইড 'জ' এবং দুটি ইনসাইড 'জ' থাকে। প্রতি জোড়া ‘জ’মিলিত অবস্থায় ভার্নিয়ার স্কেলের একপার্শ্ব বিম বা প্রধান স্কেলের সাথে শূন্য দাগে অবস্থান করে। ভার্নিয়ার ক্যালিপার দ্বারা কোনো প্রকার অতিরিক্ত হিসাব ছাড়াই একপার্শ্ব দিয়ে আউটসাইড এবং অপর পার্শ্ব দিয়ে ইনসাইড মাপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কোনো কোনো ভার্নিয়ার ক্যালিপারের মাথার দিকে ডেপথ প্রব থাকে যার সাহায্যে একই স্কেলের মাধ্যমে গভীরতার মাপও নেওয়া যায়।

চিত্র-২.৬০ ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স

মাইক্রোমিটার (Micrometer): মাইক্রোমিটার এক প্রকার সরাসরি বা প্রত্যক্ষ স্থাপনযন্ত্র । একে মাঝে মাঝে ক্ষু-গেজও বলা হয়। স্থির নাটের ভেতর দিয়ে ক্ষু-প্রড কাটা দন্ড বা বোল্টের যাওয়া আসা নীতির উপর ভিত্তি করে মাইক্রোমিটার তৈরি করা হয়। নাটের ন্যায় ক্রিয়াশীল অংশকে বিষল এবং বোস্টের ন্যায় ক্রিয়াশীল অংশকে ব্যারেল বলা হয়। ব্যারেলের উপর রৈখিক স্কেল দাগাংকিত থাকে যাকে প্রধান স্কেল বলা হয়। বিষলের বিডেল বা ঢালু প্রান্তে বৃত্তাকার স্কেল বা দিঘল স্কেল থাকে। এই দুই দাগ বিবেচনা করে মেজারমেন্ট নেয়া হয়।

ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্র্যাক্টর (Vernier Bevel Protractor): সাধারণ বিভেল প্রোট্যাক্টরের-এর সাহায্যে এক ডিগ্রীর চেয়ে কম কোনো কোপ পরিমাপ করা যায় না। কিন্তু ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্যান্টর-এর সাহায্যে সাধারণত এক ডিগ্রীর ১/১২ অংশ বা ৫ মিনিট কোণ পর্যন্ত পরিমাপ করা যায়। এটিকে ইউনির্ভাসেন বিষে প্রোট্র্যাক্টর ও বলা হয়। কৌণিক পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে এটি সুক্ষ্মভাবে কোণ পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি অত্যন্ত মূল্যবানও প্রয়োজনীয় যন্ত্র।

সাইন বার (Sin Bar): সাধারণত প্রোট্যাক্টর বা ভার্নিয়ার বিভেল প্রোস্টাক্টর-এর সাহায্যে যেসকল বস্তু বা যন্ত্রাংশের কোণের পরিমাপ সুক্ষ্মভাবে নেওয়া সম্ভব নয়, সেখানে সাইन বার ব্যবহৃত হয়।

স্পিরিট লেভেল (Spirit Level): স্পিরিট মেডেল হলো একটি পরীক্ষা করার যন্ত্র যা একটি সারফেস লেভেন পরীক্ষা করা হয়। এটিতে একটি প্লাস্টিক, কাঠ বা মাতৰ ফ্ৰেম থাকে যার মধ্যে একটি বায়ু বুদবুদ সহ তরল ভরা একটি কাচের নগ থাকে।

ট্রেড গ্যাজ (Thread gauge): কোনো বস্তুর বাহিরের বা ভিতরের তলে স্কু- থ্রেড করা থাকলে উহার পিচ কত অথবা উহাতে প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি ক্ষু-থ্রেড বর্তমান থাকে, উহা জানার জন্য ক্ষু-পিচ গেজ ব্যবহৃত হয়। এই গেজ দ্বারা ইঞ্চি ও মিলিমিটার সংক্রান্ত উভয় প্রকার প্লেডেরই মাগ নির্ণয় করা যায়।

ডায়াল ইন্ডিকেটর (Dial Indicator) : ওয়ার্কশপে ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি দ্বারা কোনো যন্ত্রাংশের সমতলতা ও মসৃণতা নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করা যায়, কোনো জবকে মেশিনে নিখুঁতভাবে টাল ভেলে আবদ্ধ করা যায়, গোলাকার জবের এককেন্দ্রিকতা নির্ণয় করা যায়, অভি সুক্ষ্ম ও সঠিকভাবে অবকে কেন্দ্রীভূত করে বাধা যায় ।

চিত্র-২.৬৬ ডায়াল ইন্ডিকেটর

ওয়ার গেজ (Wire Gauge): ওয়্যার পেল ওয়ান বা ভারের ব্যাস সুক্ষ্মতাৰে পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ওয়্যার গেজের প্লেটের চাকতিকে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর পরিষ্কার নরম ও পাতলা কাপড় দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে উত্তম রূপে তেল বা পাতলা করে গ্রীজ লাগিয়ে যথাস্থানে রাখতে হবে।

২.৪.৪ ডিজিট্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট 

যে সমস্ত ইনস্ট্রুমেন্টে মেজারমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল রিডার ব্যবহৃত হয় সেই ইনট্রুমেন্টকে ডিজিটাল ইনট্রুমেন্ট বলে।

চিত্র-২.৬৮ ডিজিট্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস

এখানে কতিপয় ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্টস এর সচিত্র পরিচিতি দেওয়া হলো-

টেকোমিটার (রিভলিউশ্যান- কাউন্টার RPM গেজ): এটি এমন একটি যন্ত্র যা মোটর বা অন্যান্য মেশিনের শ্যাফট বা চাকের ঘূর্ণন পত্তি পরিমাপ করে।

ইনফ্রারেড থার্মোমিটার : এটি এমন একটি ডিভাইস যা কপাল থেকে নির্গত ইনফ্রারেড আলোর তীব্রতা শনাক্ত করে মানুষের দেহের তাপমাত্রাকে পরিমাপ করতে সক্ষম। এটি পরিমাপ করা তাপকে এলসিডি স্ক্রিনে ডিজিটাল সংখ্যায় সুক্ষ্মভাবে পাঠ দিয়ে থাকে।

মাল্টিমিটার  (Multimeter): এটি অ্যাভোমিটার (AVO meter) নামেও পরিচিত। এটি একটি ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্র, যেখানে বিভিন্ন পরিমাপের কাজ একটি ইউনিটে একত্রিত থাকে। একটি সাধারণ মাল্টিমিটার বিভৰ (Voltage), প্রবাহ (Current) এবং রোধ ( Resistance) পরিমাপ করতে পারে।

এয়ার ফ্লো মিটার: এই মিটার দিয়ে কোনো নলের ভিতর দিয়ে বাতাসের প্রবাহ বা গ্যাসের প্রবাহ পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

ডিজিটাল ক্যালিপার্স: এটি ভার্নিয়ার কালিপার্সের মেজারমেন্ট ডিজিট্যাল রিডারে প্রকাশ করে। আলাদা ভাবে কোনো হিসাব করার প্রয়োজন হয় না।

Content added || updated By

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

১. টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট কি?

২. স্ক্রাইবারের কাজ কি?

৩. ডিভাইডার কাজ কি?

৪. ভার্নিয়ার হাইট গেজ?

৫. হ্যাক্‌স কি?

৬. মেজারিং টুলস কি?

৭. ট্রাই-স্কয়ার কাজ কি?

 

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

১. সেন্টার ড্রিল কেন ব্যবহার করা হয়? 

২. স্ক্রু এক্সট্র্যাক্টর কি কাজে লাগে?

৩. নিউমেট্রিক টুল কি?

৪. কাট-অফ-স' এর কাজ কি?

৫. থ্রেড গেজ ও ওয়ার গেজের পার্থক্য কি?

৬. পাইপ কাটার ও মিলিং কাটারের পার্থক্য কি? 

৭. সেন্টার পাঞ্চ ও ডট পাঞ্চ এর পার্থক্য কি?

 

রচনামূলক প্রশ্ন

১. মেকানিক্স কাজে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট কয়ভাগে বিভক্ত করা যায় ও কি কি?

২. কাটিং টুলস কাকে বলে? ৫টি কাটিং টুলের কাজ উল্লেখ করো?

৩. হ্যান্ড ড্রিল ও হ্যামার ড্রিল এর পার্থক্য কি?

৪. মেশিন টুলস্ কাকে বলে ৫ টি মেশিন টুলসের নাম উল্লেখ করো ? 

৫. কাউন্টার বোরিং ও কাউন্টার সিংকিং এর পার্থক্য কি?

Content added By

আমরা দৈনন্দিন অনেক কাজেই পরিমাপ শব্দটির ব্যবহার করে থাকি; যেমন কোন দর্জির নিকট কিছু তৈরি করতে পেলে মেজারিং ফিতা দিয়ে শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যষ্পর পরিমাপ নেয় তেমনি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে কোন কিছু তৈরি করতে হলে বিভিন্ন মেজরিং টুলস ব্যবহার করে পরিমাপ নেয়া হয়, আবার তৈরির পরও পরিমাপ নেয়া হয় এ কাজ হল পরিমাণ করন। তোমাদের আশেপাশের ওয়ার্কশপে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবে যে, কোনো কাজ করার পূর্বে বহুতে বিভিন্ন মেজারমেন্টে দাগ টানা হয় পরবর্তীতে ঐ দান বরাবর কাটিং বা ফাইলিং করা হয়। এই দাগ দেয়ার পদ্ধতি হল লে-আউট বা মার্কিং। এই জব লে-আউট ও পরিমাপকরণ কাজে প্রয়োজন ভেদে টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো ব্যবহৃত হয় যেমন স্ফাইভার, পাঞ্চ, ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স, হাইড গেজ, মাইক্রোমিটার, স্টিল স্কয়ার, ট্রামেল, ডিভাইডার ইত্যাদি।

Content added By

ধাতুখণ্ডকে নির্দিষ্ট মাপ এবং আকারে পরিণত করার জন্য এর কোনো স্থানকে কতটুকু ক্ষয় করতে হবে, ছিন্ন বা নালী করতে হলে তা কোন স্থানে কত গভীর এবং কি আকারের করতে হবে, ছিদ্রের মধ্যে ক্ষু-গ্রেড করতে হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় কাজ আরম্ভ করার পূর্বেই স্থির করে নেয়া প্রয়োজন হয়। এটা না করে প্রথমেই যদি কাজে অগ্রসর হওয়া যায়, তাহলে, ধাতুখণ্ড অর্থাৎ বস্তুটি কখনও যথাযথ আকার বা মাপের হতে পারে না। এজন্য, কাজ আরম্ভ করার আগে প্রত্যেক বস্তুর বা ধাতুখণ্ডের উপরিভাগে নক্সা অনুসারে কতকগুলো রেখা টেনে এবং চিহ্ন দেওয়ার প্রণালীকে মার্কিং-অফ বা লেয়িং-আউট বলে। একে সংক্ষেপে কেবল মার্কিং বা লে-আউট করা বলা হয়ে থাকে।

৩.১.১. মার্কিং বা লে-আউট টুলস্ (Marking or Layout Tools)

কাজ আরম্ভ করার পূর্বে অথবা কাজের সময় ড্রয়িং অনুযায়ী ধাতুপক্ষের উপরিভাগে যেসকল টুলস দ্বারা মার্কিং করা হয় বা দাগ কেটে চিহ্ন দেওয়া হয় বা চিহ্নিত করার কাজে সাহায্য করে, সেসব টুলসকে মার্কিং বা লে-আউট টুলস বলা হয়। প্রদত্ত ডুয়িং অনুসারে কার্যবস্তুর উপরিতলে ড্রয়িং বা নকশা অংকন করাকে 'মার্কিং অথবা লে-আউট বলা হয়। কাগজের উপর পেন্সিল ব্যবহার করে যে নিয়মে মেকানিক্যাল ড্রয়িং করা হয় অনুরূপ নিয়মে মার্কিং অথবা লে-আউট টুলস ব্যবহার করে কার্যবস্তু তৈরি করার জন্য ওয়ার্কশিসের উপর মার্কিং অথবা লে-আউট করা হয়। বেঞ্চ ওয়ার্ক, শিট মেটাল ওয়ার্ক, ফিলিং এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য লে-আউট ওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন প্রকার মার্কিং অথবা লে-আউট টুলগুলো হলো-

৩.২. বিভিন্ন প্রকার মার্কিং অথবা লে-আউট টুলস ব্যবহার পদ্ধতি 

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার মার্কিং ও লে-আউট টুলসের ব্যবহার আলোচনা করা হলো- 

৩.২.১. ফাইভারের ব্যবহার পদ্ধতি

যে ওয়ার্কপিসে মার্কিং করা হবে পূর্বে ওয়ার্কপিসটি নরম Bristle Brush ব্যবহার করে তার পৃষ্ঠটি পরিষ্কার করতে হবে।ওয়ার্কপিস যদি খাতৰ হয় তাহলে ছোট পেইন্ট ব্রাশ ব্যবহার করে পৃষ্ঠকে একটি পাতলা চিহ্নিত কালির স্তর দিয়ে প্রলেপ দিতে হবে এবং এটি শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। ওয়ার্কপিস এখন মার্কিং করার জন্য প্রস্তুত ।

যেভাবে কলম ধরা হয় ফাইবারকে সেই ভাবে ধরে রেখে, ফাইবারকে একটি স্টিবুলার বা ট্রাই ফোয়ার বা টেমপ্লেটের প্রান্তের বিপরীতে রাখতে হবে। ওয়ার্কপিসে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ফাইবারকে ধরে রাখতে হবে।

ফাইবারের টিপটি স্টিলপারের প্রান্তের বিপরীতে রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং করার বা টেমপ্লেট, এবং একই কোণে ফাইবারকে ওয়ার্কপিসের সাথে ফাইবার মাথাটি যে দিকে কাত হয়েছে সেদিকে টানতে হবে। একজন টেকনিশিয়ান ফাইবার ব্যবহার করে, ওয়ার্কপিসে একটি লাইন ফাইৰ করে সরাতে হবে যেদিকে ফাইবার হেড কাত হয়েছে সেদিকে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে হবে যাতে ওয়ার্কপিস পৃষ্ঠের সাথে টিপটি জবিচ্ছিন্ন যোগাযোগে থাকে। ওয়ার্কপিসের পাঢ় কালিযুক্ত পৃষ্ঠে একটি হালকা লাইন তৈরি করবে যা উজ্জ্বল হবে। ওয়ার্কপিসে মার্ক আউট এবং অন্যান্য কাজ শেষ করার পরে, একটি দ্বাবক ক্লিনার বা সিখাইলেড স্পিরিট ব্যবহার করে কালিযুক্ত পৃষ্ঠের কালি পরিষ্কার করতে হবে।

৩.২.২ ম্যানুয়াল সেন্টার পাঞ্চ ব্যবহারের পদ্ধতি 

১. ফাইবার দিয়ে পাঞ্চ করার জন্য উপাদানটিকে চিহ্নিত করতে হবে।

২. চিহ্নের উপর পাক্ষ ধরে রাখতে হবে। এটিকে কাত করে ধরতে হবে যাতে পয়েন্টের কেন্দ্রের সাথে টিপটি সারিবদ্ধ করতে পারে।

৩.পাক্ষটিকে সোজা করে রাখতে হবে।

৪.একটি হাতুড়ি দিয়ে পাঞ্চের ভোঁতা প্রান্তে আঘাত করতে হবে।

চিত্র-৩.১৪ পাঞ্চিং

৫.পাঞ্চটি অপসারণ করতে হবে এবং পাঞ্চিং চিহ্ন চেক করতে হবে। যদি এটি মার্কিং এর কেন্দ্রে না থাকে বা যথেষ্ট গভীর না হয় তবে আবার পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে। 

৩.২.৩ অডলেগ ক্যালিপার্স এর ব্যবহার পদ্ধতি

একটি ধাতুর ওয়ার্কপিসে প্রান্তের সমান্তরাল রেখা টানতে হলে চিত্রের ন্যায় ব্যবহার করতে হবে এছাড়াও বলেগ ক্যালিপার দ্বারা একটি বৃত্তাকার বারের কেন্দ্র খুঁজে পেতে ব্যবহার করা হয়।

চিত্র-৩.১৫ অডলেগ ক্যালিপার্স এর ব্যবহার

৩.২.৪ ডিভাইডার ব্যবহার পদ্ধতি

একটি ধাতব ওয়ার্কপিসে বৃত্ত বা আর্কস চিহ্নিল্ড করতে ডিভাইডার ব্যবহার করা হয়। প্রথমে আর্ক বা সার্কেল মার্কিং করতে হলে বৃত্ত বা আর্ক এর সেন্টার মার্কিং করতে হবে তারপর ডিভাইডারের একটি লেগ পয়েন্ট সেন্টারে চাপ দিয়ে রেখে অন্য লেগটি দিয়ে আর্ক বা সার্কেল আকতে হবে।

চিত্র-৩.১৬ডিভাইডার ব্যবহার

একটি ধাতব ওয়ার্কপিসের উপর ৯০° কোণে একটি লাইন চিহ্নিত করতে ট্রাই স্কয়ার ব্যবহার পদ্ধতি।

৩.২.৫ সারফেস পেজের ব্যবহার পদ্ধতি

বৃত্তাকার অংশের উপাদানের একটি অংশের কেন্দ্র খুঁজে বের করার জন্য একটি সারফেজ লেজ খুব দরকারী। এটি সাধারণত্ত সমান্তরাল রেখা 'মার্কিং করতে ব্যবহৃত হয়।

চিত্র-৩.১৭ সারফেস পেজের বিভিন্ন অংশ

এর বেসটি ভারী থাকে যাতে এটি ব্যবহার করার সময় স্থিতিশীল। সারফেস গেজের স্টান্ড চৌম্বকীয় সিস্টেমের থাকে অর্থৎ এর অর্থ হল মাতব পৃষ্ঠের উপর লক করা যেতে পারে যাতে এটি ব্যবহার করা সহজ হয়।

উপরের চিত্রটি একটি ভি ব্লকে রাখা বেলনাকৃতি ইস্পাত। সারফেস গেজ দ্বারা বেলনাকৃতি ইস্পাত ফেইজে মার্কিং করা হবে। প্রথমে ডি-ব্লকে বন্ধুটিকে রাখতে হবে এবং সারফেস গেজ টি চিত্রের ন্যায় বসাতে হবে। বৃত্তাকার পৃষ্ঠ জুড়ে সারফেস পেজটি সরাতে হবে এবং একটি লাইন ফাইবিং হবে।

তারপর ইস্পাতটি ১০ ডিগ্রি ঘোরানো হবে এবং আরেকটি লাইন মার্কিং করতে হবে। কেন্দ্রে একটি বর্গক্ষেত্র তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে (উপরের চিত্রগুলি দেখুন)। তারপর বৃত্তের সঠিক কেন্দ্রটি শনাক্ত করতে বর্গক্ষেত্রের প্রতিটি কোণ থেকে তির্যক রেখাগুলি আঁকতে হবে। ৩.২.৬ কম্বিনেশন ক্ষরার সেট ও এর ব্যবহার

চিত্র-৩.২০ কম্বিনেশন স্কয়ার সেট

▪️প্রোডাক্টর হেড ব্যবহার পদ্ধতি 

প্রোস্টাক্টর হেডটি নির্দিষ্ট কোণ নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়, কারণ একটি বর্গক্ষেত্রের বিপরীতে প্রোট্যাক্টরটি কোণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

যখন স্টিল রুলটি খুলে ফেলা হয়তখন তির্যক প্রান্ত দ্বারা কোন পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়।

▪️সেন্টার হেড ব্যবহার পদ্ধতি

কম্বিনেশন স্কয়ার সেট টি বৃত্তাকার বস্তুর উপর কেন্দ্রের মাথা সংযুক্ত করতে হবে।

চিত্র-৩.২৩ সেন্টার হেড ব্যবহার

■ বস্তুর ব্যাস চিহ্নিত করার পদ্ধতি

কম্বিনেশন ক্ষরার সেটটি ৯০° ঘুরাতে হবে এবং আরেকটি ব্যাস লাইন মার্কিং করতে হবে। যেখানে লাইনগুলি একে অপরকে ক্রস করে বস্তুর কেন্দ্র চিহ্নিত করবে।

চিত্র-৩.২৪ সেন্টর হেড ব্যবহার করে সেন্টার বের করার পদ্ধতি

কখনও কখনও বস্তুটি একটি সঠিক বৃত্ত নাও হতে পারে। তখন দুটি ব্যাসের বেশি লাইন চিহ্নিত করা দরকার পরে এবং রেখাগুল একই বিন্দু থেকে যাবে না। তারপর কেন্দ্রটি আসলে কোথায় তা রেখা গুলোর হেনবিন্দু নির্দেশ করবে। 

৩.৩ ভার্নিয়ার ধ্রুবক (vernier Constant) 

প্রধান স্কেলের আকার অনুযায়ী ভার্নিয়ার স্কেলের আকার রৈখিক বা গোলাকার হয়ে থাকে। সকল ভার্নিয়ার স্কেল একই নীতিতে তৈরি হয় না। তৈরির নীতি অনুযায়ী ভার্নিয়ার স্কেলের ধ্রুবক নির্ধারিত হয়ে থাকে। প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ঘরের মান এবং ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যার ভাগফলকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।

ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট = প্রধান স্কেলের এক ভাপের মান + ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা।

ধরা যাক,

একটি ভার্নিয়ার ক্ষেলের মোট ভাগ সংখ্যা ২০ এবং ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সের মেইন স্কেলের ক্ষুদ্রতম ঘরের মান ১ মিমি।

সুতরাং ভার্নিয়ার ধ্রুবক হবে = ১ ÷ ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা

ভার্নিয়ার ধ্রুবক = 

ভার্নিয়ার ধ্রুবক = ০.০৫ মিমি

উদাহরণ- ১ একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা ১০ যাহা প্রধান স্কেলের ভাগের দূরত্বের সমান। প্রধান স্কেলের ১ ভাগের মান ১ সিসি। ভার্নিয়ার ধ্রুবক বাহির কর।

সমাধান:  আমরা জানি,

ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট = প্রধান স্কেলের এক ভাগের মান + ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা

=১ মিমি ÷ ১০

= ০.১ মিমি

উত্তর: ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট হবে ০.১ মিমি।

৩.৩.১ ভার্নিয়ার ক্যালিপারের পরিমাণ পদ্ধতি

বস্তুর প্রকৃত পরিমাপ সবসময় পূর্ণ সংখ্যায় হয় না। ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ যদি প্রধান স্কেলের যে কোন দাগের সাথে মিলে যায় তাহলে পরিমাণ তত মিসি হয়। কিন্তু ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ যদি প্রধান স্কেলের দু'টি দাগের মধ্যবর্তী কোন স্থানে অবস্থান করে তাহলে ভার্নিয়ার ক্ষেল থেকে মাণ পড়ার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ভার্নিয়ার ক্ষেলের শূন্য চিহ্নিত দাগটি প্রধান স্কেলের যে দাগ অতিক্রম করে সে দাগ পর্যন্ত দূরত্বকে বছর পূর্ণ পরিমাপ ধরা হয়। আবার ভার্নিয়ার স্কেলে যত সংখ্যক দাগটি প্রধান স্কেলের একটি মাত্র দাগের সাথে একই সরলরেখায় চলে আসে বা সবচেয়ে কাছাকাছি হয় তার সাথে ভার্নিয়ার ধ্রুবক গুণ করে যা পাওয়া যায়, তাকে ইতিপূর্বে প্রাপ্ত পূর্ণমাপের সাথে যোগ করে বস্তুর প্রকৃষ্ণ পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়।

চিত্র-৩.২৬ ভার্নিয়ার ক্যালিপার ব্যবহার পদ্ধতি

এই ভার্নিয়ার স্কেলের ধ্রুবক ০.০২ মিমি

★ ভার্নিয়ার স্কেলে শূন্য রেখার ঠিক আগে প্রধান স্কেল রিডিং নোট কর।

★ এখানে, ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য অবিলম্বে ২৯ মিমি পূর্বে।

★ এটি (২৯ মিসি) ভার্নিয়ার ক্ষেলে দশমিক রিডিংয়ের সাথে যোগ করতে হবে। 

★ ভার্নিয়ার স্কেলের লাইনটি লক্ষ্য কর, যা মূল স্কেলে একটি লাইনের সাথে মিলিত আছে।

★ ভার্নিয়ার স্কেলের ৩১নং ভাগের সাথে লাইন প্রধান স্কেলের একটি লাইনের সাথে মিলে গেছে।

সুতরাং, , রিডিং হল ২৯ মিমি গ্রাস ০.০২ মিমি মোট ৩১ ডিভিশন

২৯ সিমি + ৩১x০.০২ = ২৯.৬২ মিমি

Content added || updated By

মেট্রিক পদ্ধতিতে মাল নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোমিটারের প্রধান স্কেলে রৈখিক দাগ ও দাগের মান উপর ও নিচে দুই দিকে থাকে। উপরের ও নিচের রৈখিক স্কেলের মাঝে ব্যারেলের অ বরাবর একটি সরলরেখা বা দাগ থাকে। উপরের রৈখিক স্কেলের ক্ষুদ্র এক ভাগের মান ১ মিমি। আবার নিচের স্কেলে উপরের প্রতি ঘরের মাঝ বরাবর দাগকাটা থাকে যাতে করে উপরের প্রতি ঘরের দৈর্ঘ্যের অর্ধেক মাপ নেওয়া সহজ হয়। ফলে রৈখিক ফেল হতে সর্বনিম্ন ০.৫ মিমি মাপ নেওয়া যায়। বৃত্তাকার স্কেলের থিষলকে একপাক ঘুরালে রৈখিক দাগ বরাবর ০.৫ মিমি অগ্রসর হয় বা পিছিয়ে আনে। স্যুতরাং রৈখিক স্কেলের ০.৫ মিমি দূরত্ব বৃত্তাকার স্কেলের ৫০ ভাগের সমান।

চিত্র-৩.৩০ মাইক্রোমিটারের স্কেল

অতএব, বৃত্তাকার স্কেলের এক ভাগের মান - (০.৫ ÷ ৫০) মিমি

= ০.১ মিমি

এটিকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট বলা হয়। মাইক্রোমিটার দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় বিশ্বলের বিভেল প্রান্ত ব্যারেল ক্ষেলের যত দাগ অতিক্রম করেছে সেই অতিক্রান্ত দাগের মাপ নির্ণয় করে এর সাথে সার্কুলার স্কেলের যে দাগ ডেটাম লাইনের সাথে মিলেছে অর্থাৎ প্রায় একই সরলরেখায় এসেছে সেই দাগ সংখ্যাকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট দিয়ে গুণ করে গুণফলকে যোগ করতে হবে। সর্বমোট যোগফলই হবে নিৰ্ণেয় পরিমাপ।

৩.৩.৩ আউটসাইড মাক্রোমিটারের কার্যনীতি (ব্রিটিশ পদ্ধতিতে)

 আমরা জানি কোনো একটি গ্রেডযুক্ত বোল্টের সাথে একই মাপের গ্রেভযুক্ত একটি নাটকে এক প্যাঁচ ঘুরালে নাটটি বোল্টের উপর এক পিচ পরিমাণ দৈর্ঘ্য অগ্রসর হয়। নাট ও বোল্টের এই নীতির উপর ভিত্তি করে মাইক্রোমিটার তৈরি করাহয়। মাইক্রোমিটারের স্পিন্ডলকে এক পাক ঘুরালে উহার পিচ অনুসারে বিষল ০.০২৫ ইঞ্চি অথবা ০.৫ সরে যায়। সাধারণ আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেলের উপর অঙ্কিত স্কেলের নির্দেশক রেখার উপর এক ইঞ্চি স্থানকে সমান ৪০ ভাগে অথবা ২৫ স্থানকে ৫০ ভাগে বিভক্ত করা থাকে। ব্রিটিশ পদ্ধতিতে তৈরি আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেল এবং বিষনে প্রতি ইঞ্চিতে ৪০ টি স্ক্রু - থ্রেড থাকে। ফলে, স্পিন্ডলকে পূর্ণ এক পাক ঘুরালে উহা (১ ÷ ৪০) ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি অগ্রসর হয় অথবা পশ্চাৎ দিকে ৪০ পিছিয়ে আসে। স্পিন্ডলকে ডানদিকে পূর্ণ এক পাক ঘুরানে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দু'টির ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি কমে যায়। আবার যদি বামদিকে ঘুরানো হয়, তবে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দুটির দুরত্বের ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি বেড়ে যায়। স্পিন্ডল এবং বিম্বল পরস্পর প্রেড দ্বারা যুক্ত থাকায় বিষলের সঙ্গে স্পিন্ডল ঘুরতে থাকে। ব্যারেলের উপরিভাগে এক ইঞ্চি পরিমাণ স্থান সমান ৪০ ভাগে ভাগ করা থাকে।

স্যুতরাং ব্যারেলের প্রতি বিভাগের মান ১ ÷ ৪০ ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি। এখন বিম্বল স্ক্যালে মোট ভাগ সংখ্যা হলো ২৫। এখন লিমন স্কেলের এক ভাগ ঘুরালে উহা ০.০২৫-২৫ - ০.০০১ ইঞ্চি স্থান অতিক্রম করে। মাপ নির্ণয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যে বিশ্বলের প্রাপ্ত ব্যারেলের কোনো অঙ্গ চিহ্নিত রেখাটিও কয়টি ক্ষুদ্ররেখা অতিক্রম করেছে ও মিমনের কোনো রেখাটি নির্দেশক রেখা'-এর সাথে ঠিক মিলে গিয়েছে। এখন রেখা গুলির সম্পর্কযুক্ত মালগুলি যোগ করলেই সম্পূর্ণ মাপ পাওয়া যাবে। 

উদাহরণ : ১ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০১ স্কেলার  মাইক্রোমিটার

চিত্র-৩.৩১ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট

উপরের ছবিতে, সিম্বলটি যেখানে ২য় এবং ৩য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে।

শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x.০.২৫ ÷ ১০০ ইঞ্চি

যেহেতু ২ পর্যন্ত অতিক্রম করছে স্যুতারং ২ x ০.১০০ ÷ ২০০ এর পরে আরো তিনটি অতিরিক্ত উপ-বিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল ৩ x .০২৫" = ০.০৭৫" ইঞ্চি 

সবশেষে শিখল উপর ১ ঘর অতিক্রম করছে বা খুব কাছাকাছি ভাই ১ x ০.০০ ÷ ০.০০১ |

এইভাবে রিডিং হবে ০.২০০ + ০.০৫ + ০.০০১ =০.০২৭৬।

উদাহরণ -২ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০০১ স্ক্যাল  মাইক্রোমিটার:

যেহেতু মাইক্রোমিটারটি ১ ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি রেইজের সুতারং ১ ইঞ্চি গ্লাস ধরে মেজারমেন্ট নিতে হবে। উপরের ছবিতে সিম্বলটি যেখানে ১ম এবং ২য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে। শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত-

■ ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x,025 = 0.১০০ ইঞ্চি 

■ যেহেতু ১ পর্যন্ত অতিক্রম করছে সুতারং ১x০.১০০ ইঞ্চি - ০.১০০ ইঞ্চি

■ এর পরে আরো দু'টি অতিরিক্ত উপবিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল 2×০.০২৫ ইঞ্চি-০.০৫০ ইঞ্চি।

■  বিম্বল উপর ৫ ঘর অতিক্রম করছে যা খুব কাছাকাছি ভাই ৫×০.০০১ ইঞ্চি - ০.০০৫ ইঞ্চি। 

■ সবশেষে ভার্নিয়ার স্কেলের ১ ভাগের সাথে খুব কাছাকাছি তাই ১x০.০০০১ ইঞ্চি-০.০০০১ ইঞ্চি 

এইভাবে রিডিং হবে: (10+0.100 + 0.050 + 0.00001) ইঞ্চি = ১.১৫৫১ ইঞ্চি ।

Content added || updated By

মিলিমিটার পদ্ধতিতে নির্মিত মাইক্রোমিটার এর কার্যনীতি ও নাট ও বোল্টের অনুরূপ। ব্যারেলের অংশটি নাটের ন্যায় এবং স্পিডলের অংশটি বোল্টের ন্যায় কাজ করে। ব্যারেল ও বিফল উভয়েরই ট্রেড ০.৫ পিচবিশিষ্ট। থিষলকে পূর্ণ একপাক ডানদিকে ঘুরালে স্পিন্ডল ও জ্যানভিলের সুখ দুটির ব্যবধান ০.৫ মি করে যায় এবং বাম দিকে ঘুরালে ব্যবধান ০.৫ বেড়ে যায়। বিমল ও স্পিন্ডল পরস্পর যুক্ত থাকার ফলে সিম্বলকে ঘুরালে স্পিন্ডল ঘুরে ব্যারেলের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যারেলের উপরিভাগে ২৫ স্থান ৫০ ভাগে বিভক্ত করা থাকে। তাই ব্যারেলের প্রতিটি বিভাগ ০.৫ মিমি মাগ সূচিত করে। বিমলকে পূর্ণ একপাক ঘুরালে ব্যারেলের ০.৫ মিমি বিভাগের একটি রেখা অতিক্রম করে। বিফল ফেলে মোট ভাগ সংখ্যা হলো ৫০। এখন বিঘল স্কেলের একভাগ ঘুরালে তা ০.৫ +৫০ = ০.০১ মিমি স্থান অতিক্রম করে। মান নির্ণয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যে বিষলের প্রাপ্ত ব্যারেলের কোনো অঙ্ক চিহ্নিত রেখাটি ও কয়টি ক্ষুদ্র রেখা অতিক্রম করেছে ও দ্বিঘলের কোন রেখাটি 'নির্দেশকরেখা-এর সাথে ঠিক মিলে গিয়েছে। এখন রেখাগুলির সম্পর্কযুক্ত সাপগুলি যোগ করলেই সম্পূর্ণ মাপ পাওয়া যাবে। এটিকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট বলা হয়।

মাইক্রোমিটার দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় শিখলের বিভেল প্রাপ্ত ব্যারেল স্কেলের যত দাগ অতিক্রম করেছে সেই অতিক্রান্ত দাগের মাগ নির্ণয় করে এর সাথে সার্কুলার স্কেলের যে দাগ ডেটাম লাইনের সাথে মিলেছে অর্থাৎ প্রায় একই সরলরেখায় এসেছে সেই দাগসংখ্যাকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট দিয়ে গুণ করে গুণফলকে যোগ করতে হবে। সর্বমোট যোগফলই হবে নির্ণেয় পরিমাণ। 

উদাহরণ-১ মেট্রিক পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০১ যিনি ছেলের মাইক্রোমিটার ডানের ছবিতে, বিখলটি সেখানে অবস্থান করা আছে যেখানে থিম্বল বেডেলের প্রান্তটি স্কেলের উপরের দিকে ৫ এবং ৬ তম গ্র্যাজুয়েশনের মধ্যে অবস্থান করছে, সুতরাং-মেইন স্কেলের ৫.০ মিলিমিটার অতিক্রম করছে। মেইন স্কেলের নিচের দিকে পরবর্তী গ্র্যাজুয়েশনও অতিক্রম করছে এইভাবে একটি অতিরিক্ত ০.৫ মিমি অতিক্রম করছে। শেষে বৃত্তাকার ফেল এর ভালে ২৮, বিশ্বলের উপর কেন্দ্রীয় দীর্ঘ লাইনের সাথে মিলে গেছে। সুতরাং রিডিং হবে ৫.০০ +  ০.৫ + ০.২৮ = ৫.৭৮ মিমি।

চিত্র-৩.৩৪ মেট্রিক মাইক্রোমিটারের মেজারমেন্ট

উদাহরণ-২ মেট্রিক পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০১ মিমি স্কেলের মাইক্রোমিটার 

উপরের ছবিতে, বিমলটি সেখানে অবস্থান করা আছে যেখানে থিষল বেডেলের প্রান্তটি স্কেলের উপরের দিকে ৫.৫ এবং ৬ তম গ্র্যাজুয়েশনের মধ্যে অবস্থান করা আছে।

- মেইন স্কেলের ৫.৫০ মিলিমিটার অতিক্রম করছে।

- শেষে বৃত্তাকার স্কেল এর ভাগে ২৮ (২৮) বিশ্বলের উপর কেন্দ্রীয় দীর্ঘ লাইনের সাথে মিলে গেছে।

- ভার্নিয়ার স্কেলের ৩ভাগের সাথে খুব কাছাকাছি ভাই ৩০.০০১ 0.000 স্যুতারং রিডিং হবে ৫.৫ + 0.25+0.003 = 5.৭৮৩ মিমি।

৩.৯.২. ডায়াল ইন্ডিকেটর দিয়ে পরিমাপ গ্রহণ পদ্ধতি 

ডায়ান্স ইন্ডিকেটরের ডায়ালের উপর ০ (শূন্য) চিহ্নিত রেখাটি মধ্যস্থান হতে ডান ও বামদিকে সমান ২৫টি ভাগ থাকে। ৰামদিকের ভাগগুলি কনটাক্ট পয়েন্ট নিচে নামার উচ্চতা নির্দেশ করে এবং ডানদিকের ভাগগুলি কনটাক্ট পয়েন্ট উপরে উঠার অর্থাৎ বেশি মাপকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সেইজন্য ডায়ালের বামদিকে বিয়োগ (-) চিহ্ন এবং ডানদিকে যোগ (+) চিহ্ন থাকে।

Content added || updated By

এটা একপ্রকার কৌণিক মাপন যন্ত্র যার সাহায্যে ১° সুক্ষ্মতায় প্রিসিশন যন্ত্র হিসেবে যেকোনো কোশ পরিমাণ এবং নিরীক্ষা করা যায়। প্রোটেক্টিরের হেড ব্লেড বরাবর মুক্তভাবে স্লাইড করতে পারে এবং অর্থবৃত্তাকার ডিস্কে ০° থেকে ১০° পর্যন্ত উভয়দিকে ১° করে দাগকাটা থাকে। প্রোট্রাক্টরের স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে কৌশিক বা ঢালুগুলের লেবেল পরীক্ষা করা যায়। প্রয়োজনে ব্লেড অংশের সাহায্যে সাধারণ দৈর্ঘ্যের মাপও নেয়া যায়।

চিত্র-৩.৩৯ বিভেদ প্রোডাক্টর

৩.১০.১. বিভেদ প্রোটেক্টরের পরিমাণ পদ্ধতি

কোনো কার্যবস্তুর কোণের পরিমাণ সরাসরি জানতে হলে ক্যাম্প-স্ক্রু ঢিলা করে প্রোটেক্টরকে কার্যবস্তুর উপর স্থাপন করতে হবে এবং যে দুটি ভলদ্বারা কোণ গঠিত উক্ত তল দু'টিকে প্রোটেক্টরকে ভলের সাথে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে কোনো প্রকার ফাঁক বা বিচ্যুত্তি না থাকে। সঠিকভাবে ক্যাম্পের স্কু-কে টাইট দিতে হবে এবং ইন্ডিকেটিং লাইন সংযুক্ত দাগাংকিত রেখা কোণের পরিমাপ নির্দেশ করে।

কোনো কার্যবস্তুর নির্দিষ্ট কোণ পরিমাপ করতে প্রোট্রেক্টরের সঠিক কোণে সেট করে কার্যবস্তুতে স্থাপনের পর যদি কোনো ফাঁক বা বিচ্যুতি থাকে তবে ফিলার গেজের ব্রেড কার্যবস্তু এবং প্রোট্রোক্টরের মধ্যে স্থাপন করে ক্রটির পরিমাণ নিরীক্ষা করা যায়।

চিত্র-৩.৪০ বিভেদ প্রোটেক্টরের বিভিন্ন অংশ

ঢালুতলের কোণের পরিমাণ নির্ণয়ে প্রোটেক্টরের সাথে ব্রেড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়না। প্রোট্যাক্টর কৌণিক বা ঢালুগুলে স্থাপনের পর স্পিরিট লেভেলকে এরুপে ঘুরানো হয় যতক্ষণ না লেভেল সঠিকভাবে অনুভূমিক ভলে অবস্থান করে। এমন অবস্থার প্রোটেক্টর স্কেল থেকে সরাসরি কোপের মান পাঠ করে ঢালের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। প্রোটেক্টরের সাহায্যে ০° থেকে ৯০° পর্যন্ত কোপ সরাসরি মালাযায়। কিন্তু কোণের মান ৯০° থেকে বেশি হলে ১৮০° হতে পাঠকৃত মান বিয়োগ করে প্রকৃত মাপ পাওয়া যায়।

৩.১১. ঘনবস্তু পরিমাণ

একটি বস্তু ধারণ করতে পারে এমন মোট ঘন ক্ষমতা বের করার ব্যবহৃত সূত্রটি হল এর আয়তন সূত্র। একটি তিন-মাত্রিক আকারের আয়তনের একককে ঘন একক হিসাবে প্রকাশ করা হয়। তিন মাত্রিক আকারের বস্তু ও ভাগের আয়তন নির্ণয়ের সূত্রগুলি নিচে দেয়া হল- 

৩.১১.১. সিলিন্ডার পরিমাপকরণের সূত্রসমূহ

একটি সিলিন্ডার হল একটি তিন-মাত্রিক আকৃতি যার দু'টি বৃত্তাকার মুখ রয়েছে, একটি উপরে এবং একটি নিচে এবং একটি বাঁকা পৃষ্ঠ। একটি সিলিন্ডারের উচ্চতা এবং একটি ব্যাসার্ধ আছে। একটি সিলিন্ডারের উচ্চতা হুল উপরের এবং নিচের মুখের মধ্যে লম্ব দূরত্ব। একটি সিলিন্ডারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে তালিকাভুক্ত করা হল-

৩.১১.২ কোণ(Cone) পরিমাপকরণের সূত্রসমূহ

কোণ হল আরেকটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি (3D আকৃতি) যার একটি সমতল ভুমি বা বৃত্তাকার আকৃতির এবং শীর্ষে একটি সূক্ষ্ম টিপ। কোণের শীর্ষে বিন্দুযুক্ত প্রান্তটিকে 'এপেক্স' বলা হয়। কোপ একটি বাঁকা পৃষ্ঠ আছে সিলিন্ডারের মতো।

৩.১১.৩. গৌলক

একটি গোলক আকারে গোলাকার। এটি একটি 3D জ্যামিতিক আকৃতি যার পৃষ্ঠের সমস্ত বিন্দু রয়েছে যা এর কেন্দ্র থেকে সমান দূরত্বে রয়েছে।

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;

• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

• কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং কালেক্ট করা;

• জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাচামাল সংগ্রহ করা;

• ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া;

• কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলসও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা;

• কাজ শেষে ওয়ার্কগের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলসও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া;

• অব্যবহৃত মালামান নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা : ওয়েস্টেজ এবং ক্ষ্যাপগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা।

🔳 প্রয়োজনীয় ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

পিপিই এর নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
নিরাপদ জুতাস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
সেফটি হেলমেটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
বয়লার স্যুটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
হ্যান্ড গ্লাভসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
সেফটি গগলসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
ইয়ার প্লাগ স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমুহ:

যন্ত্রপাতির নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
ভার্নিয়ার ক্যালিপার৬ ইঞ্চি১ টি
স্কাইভার ৬ ইঞ্চি১ টি
স্টিল রোল ৬ ইঞ্চি১ টি
কম্বিনেশন সেটস্ট্যান্ডার্ড১ টি
অ্যাঙ্গেল প্রোট্যাক্টর স্ট্যান্ডার্ড১ টি
ট্রাই স্কয়ার ৬ ইঞ্চি১ টি
ডিভাইডারস্ট্যান্ডার্ড১ টি

প্রয়োজনীয় কাচাঁমাল সমুহ:

কাচামালের নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
এসএস শ্যান্টের টুকরাব্যাস ৮০ মিমি ও উচ্চতা ১০০ মিমি১ পিস
পেপারঅফসেট২ পিস

কাজের ধারা:

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করো;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করো;

৩. চিত্রে প্রদর্শিত জবটির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো; 

৪. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও সরঞ্জামগুলি

৫. সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নাও; ৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করো;

৬. জবটির কাচামাল স্টিল রুলের সাহায্যে পরিমাপ করো;

৭. জবটির এমারি-ক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করো;

৮. জবের ডায়ামেটার ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;

৯. জবের উচ্চতা ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিনবার পরিমাপ কর ও নোট করো; 

১০. জব্দের প্রাপ্ত ডাটা (মাপ) ডায়ামেটা ও উচ্চতা আলাদা আলাদা ভাবে গড় ডাটা (মাল) বের করে নোট করো।

 সিলিন্ড্রিক্যাল দন্ডের প্রাপ্ত সাপসমূহ:

ক্রমধাপসমূহপ্রাপ্ত ডাটাউচ্চতা মেজারমেন্টপ্রাপ্ত ডাটা
ডায়ামেটার ১ম বার৮০.২৫ মিমিউচ্চতা ১ম বার১০০.৩৫ মিমি
ডায়ামেটার ২য় বার৮০.৩০ মিমিউচ্চতা ২য় বার১০০.২৫ মিমি
ডায়ামেটার ৩য় বার৮০.১৫ মিমিউচ্চতা ৩য় বার১০০.৩০ মিমি
গড় ডায়ামেটার ৮০.২৪ মিমি প্রায় গড় উচ্চতা ১০০.৩ মিমি
ব্যাসার্ধ৪০.১২ মিমি প্রায়   

১১. কোনো সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;

১২. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো; 

১৩. টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো।

কাজের সতর্কতা

• টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;

• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো পরিষ্কার

• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার

• সঠিক ভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলো।

অর্জিত দক্ষতা /ফলাফল

লে-আউট টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ও মেজারিং টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ঘনবস্তুর পরিমাপ ও আয়তনের গাণিতিক হিসাব করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই। আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added || updated By

পারদর্শিতার মানদণ্ড

▪️স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিম্পত্ত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;

▪️প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং কালেক্ট করা :

▪️জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচামাল সংগ্রহ করা;

▪️ ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া; 

▪️ কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলসও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা ;

▪️কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলস ও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া;

▪️অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা ;

▪️ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;

প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা (PPE)

পিপিই এর নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
নিরাপদ জুতাস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
মাস্ক স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
সেফটি হেলমেটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
বয়লার স্যুটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
হ্যান্ড গ্লাভসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
সেফটি গগলসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
ইয়ার প্লাগস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসমুহ:

যন্ত্রপাতির নাম স্পেসিফিকেশনপরিমাণ
ভার্নিয়ার ক্যালিপার৬ ইঞ্চি১ টি
স্টিল রুল৬ ইঞ্চি১ টি
কম্বিনেশন সেটস্ট্যান্ডার্ড১ টি
অ্যাঙ্গেল প্রটেক্টর স্ট্যান্ডার্ড১ টি
ট্রাই স্কয়ার ৬ ইঞ্চি১ টি

প্রয়োজনীয় কাচাঁমাল সমুহ:

কাচামালের নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
ফাঁপা পাইপের টুকরাআউট ডায়া ৮০মিমি, ইনার ডায়া ৪০ মিমি ও উচ্চতা ১০০মিমি১ পিস
এমারি ক্লথ o নম্বর১ পিস
পেপারঅফসেট২ পিস

কাজের ধারা

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোষন পোশাক পরিধান করো; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করো;

৩. চিত্রে প্রদর্শিত জবটির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো;

৪. কাজের প্রয়োজন অনুযারী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইনট্রুমেন্ট সরঞ্জামগুলির সম্পর্কে ধারণা লাভ করো;

৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইনস্ট্রুমেন্ট সিলেক্ট এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করো; 

৬. জবটির কাচামাল স্কিন রুলের সাহায্যে পরিমাপ করো :

৭. জবটি এনারিথ দিয়ে পরিষ্কার করো;

৮. জবের ডায়ামেটার ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;

৯. জবের ইন সাইড ডায়ামেটার তিন বিন্দুতে উভয় পাশ থেকে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;

১০. জবের উচ্চতা ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিনবার পরিমাপ কর ও নোট করো;

১১. জবের প্রাপ্ত ডাটা (মাণ) ডায়াটো ও উচ্চতা আলাদা অৱাদা ভাবে গড় ডাটা (যাপ) বের করে নোট করো;

ফাঁপা সিলিন্ডারের প্রাপ্ত মাণসমূহ:

আউট ডায়ামেটারপ্রাপ্ত ডাটাইনার ডায়ামেটারপ্রাপ্ত ডাটাউচ্চতা প্রাপ্ত ডাটা
১ম বার৮০.৩০ মিমি ১ম বার৪০.২০ মিমিউচ্চতা ১ম বার১০০.৩৫ মিমি
২য় বার৮০.২০ মিমি ২য় বার৪০.১০ মিমিউচ্চতা ২য় বার১০০.২৫ মিমি
৩য় বার৮০.১০ মিমি৩য় বার৪০.১৫ মিমিউচ্চতা ৩য় বার১০০.৩০ মিমি
গড় আউট ডায়ামেটার৮০.২০ মিলি প্রায়গড় ইনার ডায়ামেটার৪০.১৫ মিমিগড় উচ্চতা ১০০.৩ মিমি
ব্যাসার্ধ৪০.১০ মিলি প্রায় ব্যাসার্ধ ২০.৭ মিমি  

১৪. কোন সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;

১৫. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো; 

১৬. টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো ।

কাজের সতর্কতা

• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;

• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টগুলো পরিষ্কার করো;

• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার করো; সঠিকভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলো।

অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল

 লেআউট টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টের ও মেজারিং টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ফাঁপা ঘনবস্তুর পরিমাপ ও আয়তনের গানিতিক হিসাব করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added || updated By

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

 

১) মেজারিং টুল বলতে কি বুঝায়?

২) ভার্নিয়ার ক্যালিপার কি ধরনের টুলস?

৩) প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্র কাকে বলে?

৪) মাইক্রোমিটার প্রধানত কয় প্রকার ও কি কি?

৫) বিভেল প্রোট্রেক্টর কি কাজে ব্যবহৃত হয়?

৬) পরীক্ষণ ও পরিমাপ করণের পার্থক্য উল্লেখ কর।

 

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

 

১) প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্র কাকে বলে? ৫টি প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্রের নাম লেখ।

২) সূক্ষ্ম পরীক্ষণ ও পরিমাপকরণ যন্ত্র কাকে বলে? এপ্রকার ৫টি যন্ত্রের নাম লেখ।

৩) পাঞ্চ কি কাজে ও কিভাবে ব্যবহার করা হয় বর্ণনা করো।

৪) বিভেল প্রোট্র্যাক্টর এর বিভিন্ন অংশের নাম লেখ।

৫) বিভেল প্রোট্র্যাক্টর -এর সূক্ষ্মতার মাত্রা কত ডিগ্রী?

৬) একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগসংখ্যা ৫০ যা দৈর্ঘ্য প্রধান স্কেলের ৪৯ ভাগের দূরত্বের সমান। প্রধান স্কেলের এক ভাগের মান ০.৫ মিমি। ভার্নিয়ার ধ্রুবক বের করো।

 

রচনামূলক প্রশ্ন

 

১) একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের বিভিন্ন অংশের কার্যাবলী বর্ণনা করো।

২) মেট্রিক পদ্ধতিতে ভার্নিয়ার ক্যালিপারের পাঠ কিভাবে গ্রহণ করা হয় বর্ণনা করো।

৩) মাইক্রোমিটারের ক্ষেত্রে মেট্রিক পরিমাপ গ্রহণ পদ্ধতি বর্ণনা করো।

৪) আউটসাইড মাইক্রোমিটারের বিভিন্ন অংশের গঠন ও কার্যাবলী বর্ণনা করো।

৫) মার্কিং ব্লকের ব্যবহার বর্ণনা করো।

৬) মেজারিং টুলের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বর্ণনা করো।

Content added By

তোমরা তোমাদের ঘরের বিভিন্ন কাঠের, বোর্ডের ও স্টিলের আসবাবপত্র দেখবে যার মধ্যে অনেক রকমের জোড়া থাকে। এসব জোড়া কিসের সাহায্যে দেয়া হয় এবং ঘরবাড়ি ও কারখানার টিনের চালে টিন লাগাতে কি ব্যবহার করা হয় তোমরা কি জান? সাধারণত বিভিন্ন কাঠের, বোর্ডের ও স্টিলের আসবাবপত্র রিভেট ও ক্ষু এর সাহায্যে জোড়া দেওয়া হয়। ঘরবাড়ি ও কারখানার টিনের চালে টিন লাগাতে স্ক্রু ব্যবহৃত হয়। মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে, স্টিলের আসবাবপত্র তৈরি করার কারখানায় সলিড রিডেটের সাহায্যে স্টিলের আসবাসপত্র তৈরি করা হয়। বর্তমানে বোর্ডের টেবিল, আলমারি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্ক্রু ব্যবহার করা হয়।

Content added || updated By

রিভেট হল খাতবের তৈরি একটি সলিড পিন। দু'টি ধাতব প্লেট বা শিটকে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করার জন্য ধাতব পিনের মত যন্ত্রাংশকে রিভেট বলা হয়। যার এক প্রান্তে মাথা থাকে এবং এর সাথে নলাকার দন্ড বা ম্যান্ডেল থাকে। অন্য ভাবে বলা যার রিভেট একটি ছোট ধাতব পিন বা ধাতুর দুটি প্লেট একসাথে ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। রিভেট দেখতে অনেকটা বোল্টের মতো হলেও এর কোনো ট্রেড বা প্যাঁচ থাকে না। এক প্রান্ত সাধারণত চ্যাপ্টা বা অর্ধ গোলাকার থাকে যাকে মাথা (Head) বলা হয়, অপর প্রান্ত লম্বা নলাকার বা নিরেট সিলিটিক্যাল হয়ে থাকে যাকে ম্যাক্রেল (Mendral) বলা হয়। এটির মাথাবিহীন প্রান্তটি জোড়া দেওয়ার পর পিটিয়ে চ্যাপ্টা করা হয় যাতে সংযুক্ত ধাতব পিট বা প্লেটগুলো দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে।

চিত্র:৪.১ বিভিন্ন রিভেটস

৪.১.১ রিভেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা

রিভেট বিভিন্ন ধরনের ইস্পাত কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইস্পাত নির্মাণ শিল্পের জন্য রিভেটিং একটি জনপ্রিয় বন্ধন পদ্ধতি। রিভেট ব্রিজ বা বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের জন্য একটি সুবিধাজনক ফাস্টেনার বা দৃঢ় ভাবে আবদ্ধকারী বস্তু।

▪️খরচ বাচায়:

রিভেট ঢালাই এবং ধাতু ৰাউন্ডিং এর বিকল্প। ওয়েল্ডিং সংযোগের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের প্রয়োজন যা রিজেট ব্যবহারে প্রয়োজন নাই। সংযোগের বা জোড়ার জন্য কোনো বিশেষ উপকরণের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু ওয়েন্ডিয়ের জন্য ইস্পাত জোড়া দেওয়ার জন্য একটি ফিলার মেটাল বা ইলেকট্রিড ব্যবহার করা হয়। রিভেট আকারে ছোট বলে একবারে প্রচুর পরিমাণে পরিবহন করে পরিবহন খরচও বাঁচায়।

▪️উৎপাদনশীলতা বাড়ায় :

ওয়েল্ডিং করার সময়ে ৰেজ মেটাল (যেগুলো ওয়েল্ডিং করা হবে) প্রস্তুতির প্রয়োজন, ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একত্রে ওয়েন্ডিং করতে এবং জয়েন্টগুলিতে থাকা অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় মেটালকে পরিষ্কার করতে প্রচুর সময় লাগে। এটি উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবং দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে। অন্যদিকে রিভেটিং জয়েন্ট করার জন্য অনেক কম সরঞ্জাম লাগে এবং জয়েন্টটি রিডেট করার পরে সামান্য বর্জ্য অবশিষ্ট থাকে এতে উৎপাদন খরচ কমে যায় এবং উৎপাদনের লাভ বাড়ে ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

▪️ডিজাইনে নমনীয়তা:

রিভেট নির্মাণের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির তৈরি করা হয়। এগুলো বিভিন্ন আকৃতির পাওয়া যায় যা ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তাদের ইস্পাত নির্মাণ নকলার জন্য বেছে নেওয়া হয়। ওভাল- হেডেড, ব্রেজিয়ার হেডেড এবং টিউবুলার রিডেট কিছু সাধারণ ডিজাইন এবং এগুলোর বিভিন্ন শক্তি এবং সহনশীলতার মান নির্দিষ্ট। মূল কাজের কাঠামোর সাথে মিল রেখে রিভেট পালিশ করা যায়।

▪️স্থায়িত্ব 

রিভেটগুলো অত্যন্ত টেকসই হয়। এগুলো ক্ষয়, আর্দ্রতা এবং এমনকি রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধী। ইস্পাত নির্মাণে ব্যবহৃত বেশিরভাগ রিভেট অত্যন্ত প্রতিরোধী ধাতু এবং গ্যালভানাইজড স্টিল, নিকেল, টাইটানিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়ের তৈরি হয়ে থাকে। যা উচ্চ চাপ এবং শেয়ারিং লোভের সহনশীলতা বাড়ায়। ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্যগুলি একসাথে যুক্ত হওয়ায় রিডেট অংশের আয়ু বেড়ে যায়। 

▪️সহজ পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষণ:

ওয়েন্ডিং করা কাঠামো পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে রিভেটের চেয়ে বেশি সময় লাগে। ওয়েডিং করা জয়েন্টগুলির ক্ষত বা ফাটল খুঁজে বের করতে এবং জয়েন্টগুলির স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করার জন্য খুব কাছ থেকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। যদি কোনো কারণে ওয়েন্ডিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়া ধারাবাহিক রাখার জন্য ওয়েন্ডিয়ের শেষ স্থান পরিষ্কার করতে হয় অন্যদিকে রিভেটস এর ক্ষেত্রে সুক্ষ্ম পরিদর্শন প্রয়োজন হয় না এবং ক্ষয়প্রাপ্ত রিভেটাট হাইড্রোলিক রিভোটং মেশিন বা একটি সাধারণ হাতুড়ি দিয়ে সহজেই পুনরায় লাগানো যায়।

৪.১.২. রিভেট কিভাবে কাজ করে

■ যখন রিভেট লাগানো হয় তখন প্রথমে ড্রিল করা হয় এবং রিভেট একটি হোলে রেখে চাপ দেওযা হয় এবং ম্যান্ডেল বিকৃত হয় যার কারণে রিজেটটিকে জায়গায় ধরে রাখে। ম্যান্ডেলকে ধাক্কা দিয়ে বা থেঁতলে দিয়ে রিভেট বিকৃত করা হয় যা জোরাকে সম্পূর্ণ করে তোলে এবং সাধারণত ম্যান্ডেলকে স্টেমের আসল ব্যাসের আকারের প্রায় দেড়গুণ প্রসারিত করে।

চিত্র-৪.২ রিভেটস

▪️কাজ শেষ হলে স্যান্ডেল ডাম্বেল আকৃতির জাকার ধারন করে যা রিভেটেড জয়েন্টকে সম্পূর্ণ করে। 

▪️রিভেটিং সিঙ্গল, ডাবল এবং জিগ-জ্যাক আকারের সাথে ল্যাপ বা বাট জয়েন্ট তৈরি করতে পারে।

 

৪.২. রিভেটের প্রকারভেদ

রিভেট হল ফাস্টেনার (জোড়া দেওয়ার যন্ত্রাংশ) যা ব্রিজ, জাহাজ, ক্রেন, স্ট্রাকচারাল স্টিলওয়ার্ক, বয়লার, বিমান ইত্যাদি তৈরির কাজে ধাতব প্লেট যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। রিভেট সবসময় জোর করে ঢোকানো হয় এবং জোর করে বন্ধ করা হয় যাতে এটি সম্পূর্ণভাবে হোমগুলি পুরণ করে। রিভেট জয়েন্ট তৈরি করে এবং রিভেটিং হল স্থায়ী জয়েন্ট তৈরির পদ্ধতি যা প্লেটগুলিকে ভিল করে বা পাঞ্চ করে যুক্ত করা হয়।

চিত্র-৪.৩ রিভেট এর বিভিন্ন অংশ

কাজের ভিত্তিতে সাধারণত ১১ ধরনের রিভেট ব্যবহার হয়ে থাকে-

১. নিরেট রিডেট বা সলিড রিডেট

২. মাশরুম হেড রিডেটস

৩. স্প্লিট রিভেটস বা বিভক্ত রিসে

৪. কাউন্টার শ্যাংক রিভেটস

৫. ফ্ল্যাটহেড রিডেটস

৬. ব্লাইন্ড রিডেটস

৭. টিউবলার রিভেটস বা নলাকার রিভেটস

৮. কনিক্যাল হেড রিভেটস 

৯. স্ল্যাপ হেড রিভেটস

১০. প্যান হেড রিভেটস

১১. প্যান হেড ও টেম্পারযুক্ত নেক রিভেটস

৪.২.১. সলিত বা নিরেট রিভেট

সলিড রিভেটের শ্যাঙ্ক শক্ত এবং সাধারণ কাজে ব্যবহৃত হয়। এই রিভেটসমূহ হাতুড়ি বা রিভেট পানের মাধ্যমে শক্তিশালী, নির্ভরযোগ্য জোড় বা সংযোগ প্রদান করে থাকে। এই ধরনের রিভেট অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, তামা, স্টেইনলেস স্টিল ইত্যাদি ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং অনেক রঙ ও আকারে পাওয়া যায়।

৪.২.২. স্প্রিট রিভেটস

এই রিভেটগুলো হেড ও শ্যাংক অংশে বিভক্ত এবং তাদের টেলের জোড়া পা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যা রিভেটটি লাগানোর পরে নিজের উপর ভাঁজ করা হয়। এই রিডেট টিনের প্লেট, টেক্সটাইল, চামড়া, প্লাস্টিক এবং সাইকেলের সিট এবং এধরনের হালকা কাজে ব্যবহৃত হয়। নাম অনুসারে, এটি বডির দিক থেকে দুটি অংশে বিভক্ত এবং শীর্ষে একটি একক মাথা রয়েছে। এটি বিশ্বস্তিভ রিভেট নামেও পরিচিত।

৪.২.৩. রাইন্ড রিভেটস

ফাঁপা পৃষ্ঠের দিক হতে যদি ধরা না যায় এমন যায়গায় ব্লাইন্ড রিভেট ব্যবহার করা হয়। রিভেট গানের সাহায্যে রাইন্ড রিভেট দ্বারা ধাতব শিট এবং অন্যান্য শক্ত বন্ধু আটকানো যায়। এই রিজেটগুলির সাধারণ ভঙ্গুর এবং নরম ইকুপমেন্টর জন্য যেমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, অটোমোবাইল, হ্যান্ড টুলস, ভালা এবং বাড়ির যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত হয়।

৪.২.৪. টিউবুলার রিভেটস 

টিউবুলারের শ্যাংক আকৃতির ফাঁপা এবং বাকি অংশ শক্ত রিভেটের মতো। এটি জুতা এবং ফাইন কভার ইত্যাদি ছিল করে ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যালুমিনিয়ামের পাতলা ধাতুর শিট, প্লাস্টিক, চামড়া যেখানে চলাচলের প্রয়োজন হয় এবং বেঁধে রাখতেও ব্যবহার করা হয়। বডির প্রান্তে ফাঁপা আকৃতির কারণে ফাঁপা রিভেট (Hollow Rivet) নামেও পরিচিত।

টিউবুলার রিভেট দু'প্রকারের হয়ে থাকে-

• সম্পূর্ণ টিউবুলার

• সেমি টিউবুলার

চিত্র-৪.৭ টিউবুলার রিভেটস

৪.২.৫. গ্যাপ হেড রিভেট

স্ল্যাপ হেড বা ক্যাপ হেড রিভেট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রিভেট এবং এটি একটি খুব শক্তিশালী জয়েন্ট । এই রিভেটগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণভাবে সর্বাধিক শক্তি সরবরাহ করার জন্য এটি উৎপাদন এবং নির্মাণ শিল্পের মতো বিভিন্ন শিল্পের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এর শ্যাংকের ব্যাস প্রায় ৰভির ডায়ালেটারের ১.৬ পুপ এবং মাথার দৈর্ঘ্য বক্তির ডায়াসেটারের ০.৭ গুণ ।

৪.২.৬. প্যান হেড রিভেটস 

এই রিডেটটি সামান্য গোলাকার হেড জন্য আকারের রয়েছে এবং মাথার উপর থেকে নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে (চিত্রের ৪.৯)। আটকে রাখার প্রক্রিয়ার সময় একটি শক্ত গ্রিল প্রদান করতে এটি কার্বন ইস্পাত, পিতল, ভাষা, অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হয়। এর দৈর্ঘ্য সাধারণভাবে ৬ মিমি থেকে ১০০ মিমি। প্যান হেড রিডেটসমূহ ভারী কাঠামোগত কাজে ব্যবহার করা হয় যাতে সর্বোচ্চ শক্তি এবং গ্রিপ প্রদান করা যায়।

৪.২.৭. মাশরুম মাথা রিভেটস

মাশরুম হেড রিভেটগুলি বিভিন্ন বেধের লিটকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং শব্দরোধী কাঠামো তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। নাম অনুসারে, এই রিভেটগুলি মাশরুষের মাথার মতো দেখায় এই রিভেট তৈরি করতে অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়, টাইটানিয়াম এবং নিকেল অ্যালয় ইত্যাদি ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করা হয়।

৪.২.৮. কাউন্টার শ্যাংক রিভেটস

একটি কাউন্টার শ্যাংক রিভেট, যা ফ্ল্যাট রিডেট নামেও পরিচিত, কাউন্টার শ্যাংক গর্তে ব্যবহৃত হয় এবং একবার সেট হয়ে গেলে পৃষ্ঠে ফ্লাশ করা হয়। কাউন্টার শ্যাংক হেড রিভেট ব্যবহার করা হয় যেখানে প্লেটের উপরের পৃষ্ঠটি প্রজেক্টিং রিভেট হেড থেকে যুক্ত থাকে। এটি কাউন্টার শ্যাংক বা ডিম্পল হোলে ব্যবহৃত হয় এবং বেশিরভাগই এয়ারোডাইনামিক নমনীয়তার জন্য বিমানে ব্যবহৃত হয়। এটি ফ্লাশ রিভেট নামেও পরিচিত।

এই রিভেট তাদের নেকের কোনের উপর ভিত্তি করে তিন ধরনের হয়।

• ১০০ শ্যাংক

• ১২০০ শ্যাংক

• ৬০° শ্যাংক

৪.২.১. ফ্ল্যাটহেড রিভেটস

বৃত্তাকার, সমস্তল এবং শক্ত নলাকার নকশা, জয়েন্ট আটকে রাখা, অংশগুলি ঘোরানো এবং অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত।

৪.২.১০. কোনিক্যাল হেড রিডেটস 

এই ব্রিটেটি কিছুটা জটিল ডিজাইনের। যার গলার কোপ ৬০° থাকে যার দৈর্ঘ্য ০.১২৫ ঘাড় থেকে নিচে (শ্যাংক) সহ মাথার উচ্চতা ০.৮di

৪.২.১১. প্যান মাথা ও টেপারযুক্ত নেক রিভেটস

 এটির মাথার উচ্চতা ০.৭ বডির ডায়ামেটারের ১.৬ গুণ এবং শীর্ষ টেম্পারড যুক্ত ব্যাস বস্তির ডায়ামেটারের ১.৬ গুণ এবং নেকের কোপের ১৫° ।

৪.৩. রিভেটের পরিমাপ

রিভেট সাধারণত হালকা ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয় তবে কখনও কখনও রিভেট পিতল, ভাষা এবং অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি দিয়েও তৈরি হয়। কাঠামো, সেতু, শিট মেটাল অপারেশন, জাহাজ এবং অনেক শিল্পে ব্যবহৃত হয়।

চিত্র-৪.১৫ রিভেটের বিভিন্ন অংশ
Content added || updated By

 ■ মাথা : রিভেটের উপরের অংশটিকে "মাথা" বলা হয়। এগুলি বিভিন্ন কাজ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের তৈরি করা হয়। 

■ শ্যাংক: রিডেটের নিচের অংশকে শ্যাংক বা বডি বলে। এটি আকারে গোলাকার।

■ টেল বা লেজ: এর কেন্দ্রের নীচের অংশটিকে টেল বলে। এটি কিছুটা টেপারড। এটি দুটি প্লেটের গর্তে ঢোকানো হয় এবং তাদের টেল পিটিয়ে মাথা তৈরি করা হয়। লেজের দৈর্ঘ্য ½ DI একটি রিডেট তার দৈর্ঘ্য এবং মাথার আকৃতি দ্বারা পরিচিত।

৪.৩.২, বিভিন্ন রিভেটের মেজারমেন্ট

৪.৩.৩, রিভেটার  বিভিন্ন জয়েন্ট সমূহ

🔳 নিজেকে যাচাই করো

Content added By

রিভেটের জন্য একটি টুলের প্রয়োজন হয় যা রিডেটের ক্যাপকে লাগানোর সময় পৃষ্ঠের সাথে শক্তভাবে চেপে রাখে এবং একই সাথে ম্যাঞ্চেলটিকে এটি থেকে সরিয়ে দেয়। এই ইকুইপমেন্ট কে সাধারণত রিভেট পান, রিভেটার, রিডেট টুল বা রিডেটিং টুল বলা হয়। রিডেট পান আনেক ধরনের হয়, যথা- 

(ক) হ্যান্ড রিডেট গান, 

(খ) হেভি ডিউটি লিভার রিভেটার, 

(গ) কর্ডলেস ব্যাটারি রিডেটিং টুল ও 

(ঘ) নিউমেটিক রিভেট গান।

চিত্র- ৪.২৮ হ্যান্ড রিভেট গান

সব রিডেট পান একই ভাবে তৈরি নয়, ব্যবহারের প্রয়োজন অনুযায়ী রিডেট পান নির্বাচন বা বাছাই করতে হয়। 

৪.৩.৫. হ্যান্ড রিভেট গান

হাতে চালিত পপ রিভেট গান একটি সাধারণ লিভার এবং ভুইজ টেকনিকে কাজ করে। এটি ব্যবহার করার সময় প্রথম ধাপ হল সঠিক নোস সাইজ ঠিক করা। রিভেট গানগুলো সাধারণত ব্লাইন্ড রিডেট ইনস্টল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। হস্তচালিত রিভেট পানে বিভিন্ন ধরনের রিডেট ব্যবহৃত হয়, এটি সাধারণত একটি রাবার গ্রিপ থাকে এবং বেশিরভাগ লোহার তৈরি এবং দামে সস্তা।

হ্যান্ড রিভেট গান পেশাদার ব্যবহারকারীরা খুব পছন্দ করে। হ্যান্ড রিভেট গান টুলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পিষন সময় (Squeezing time)। বারবার ব্যবহার করা হলে, এটি হাত, কজি এবং বাহুতে খুৰ চাপ অনুভুত হতে পারে যা অনেক রিডেট ইনস্টলেশনের সময় দেখা দেয় তা ইনস্টলেশনের সময় মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে হয়।

৪.৩.৬. হেভি ডিউটি লিডার রিভেটার 

হেভি ডিউটি লিভার রিডেটিং গান হল হ্যান্ড রিডেট গানের তুলনায় শক্তিশালী। নোস সাইজের সাথে ব্যবহারিত হয় এছারাও রিভেট আকার ভেদে বিস্তৃত পরিসরের ব্যবহৃত হয়। লিডার রিভেট গান হ্যান্ড রিভেট গানের তুলনায় বেশি ভারী ও শক্তিশালী এবং ব্যবহারকারীর পক্ষে রিডেটিং করা সহজ। হেভি ডিউটি লিভার রিডেটিং টুলের বৃহত্তর আকার এবং লিভার এর কারণে, রিবেটিংয়ের প্রয়োজনীয় শারীরিক শক্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

চিত্ৰ-৪.২১ হেবি ডিউটি রিডেট পান

লিভার রিডেটিং গান ব্যবহার করে একটি রিভেট লাগাতে প্রথমে বাহুগুলিকে সমান্তরালভাবে খুলতে হবে। তারপর নোসের ম্যান্ড্রেলে রিভেটটি ঢুকিয়ে দিতে হবে। রিডেটের বডি নোসের মধ্যে পৌঁছালে, এটি লাগানোর জন্য গর্ভে বা হোলে ঢুকাতে হবে। তারপর দুটি হাতল একসাথে চাপ দিতে হবে। এটি ম্যাচেনটিকে টেনে আনবে এবং এটিকে স্ল্যাপ করবে। এখন লিন্ডার রিভেট পানটি ধরে রাখতে হবে যাতে নোসের টুকরোটি ছেরে না দেয় এবং বাহুগুলি খুলতে হবে। এটি ম্যান্ডেলের হোল্ডকে ছেড়ে দেবে এবং এটি বোতলের ক্যাচের মধ্যে পড়বে। হেভি ডিউটি লিতার রিভেটিং টুল হল একটি চমৎকার টুল যা অনেক কাজের জন্য পাওয়া যায়। এটি হ্যান্ড রিভেটার ব্যবহার করার চেয়ে রাইন্ড রিভেটগুলি ইনস্টল করা অনেক সহজ করে তোলে তবে ম্যানুয়ালি করা হয়।

৪.৩.৭. কর্ডলেস ব্যাটারি রিডেটিং টুল 

ব্যাটারি চালিত পপ রিভেট গান বিভিন্ন ধরনের হয়। দুই প্রকারের গান মূলত একইভাবে কাজ করে। ব্যাটারি চানিত রিডেট গান সামনের দিক থেকে ম্যান্ডেলকে সামনের দিকে চাপ দেয় এবং অন্যটি ম্যাকেলটিকে স্যান্ডেল হোল্ডারে টেনে নিয়ে যায় ভাই ক্যাচিং পট খালি না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নেয়া যায়। ক্যাচিং পট রিভেটের অতিরিক্ত অংশে ভরে গেলে খালি করতে হবে।

চিত্র-৪.৩০ কর্ডলেস রিভেট গান

ব্যাটারি চালিত রিভেট গান কাজের যেকোনো স্থানের জন্য উপযুক্ত কর্ড না থাকায় এর ব্যবহার বহুমাত্রিক এবং রিভেট ইনস্টল করার জন্য সুইচ চাপ দিয়ে কাজটি সহজে করা যায়।

৪.৩.৮.নিউমেটিক রিভেট গান (Pneumatic Rivet Gun )

 নিউমেট্রিক রিভেট গান খুব দ্রুত এবং সহজেই ব্লাইন্ড রিভেট ইনস্টল করতে বায়ুর চাপে দ্বারা চালিত হয়। একটি অন্তনির্মিত ক্যাচ সহ, নিউমেট্রিক রিভেট পানটি দ্বারা সহজেই রিভেটস ইনস্টল করার দ্রুততম উপায়।

চিত্র-৪.৩০ নিউমেটিক রিভেট পান।

নিউমেটিক রিভেট গানের অসুবিধার দিক হল যে বাতাসের সাপ্লাই দেয়ার জন্য একটি পাইপ সংযোগ প্রয়োজন। যদি কোন কাজের জন্য জন্য প্রচুর সংখ্যক রিডেট ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় তবে এটি নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম যন্ত্র ।

Content added By

স্ক্রু হলো ক্ষুদ্র ধাতব পিন যার চারপাশে হেলিক্যাল থ্রেড রয়েছে এবং যার মাথা বা হেড খাঁজ কাটা (slotted) থাকে। এই খাঁজকাটা মাথা ঝু-ড্রাইভার দ্বারা ঘুরিয়ে দু'টি কাঠ বা ধাতব অংশকে ছিদ্র করে জোড়-প্রদান করে।

চিত্র-৪.৩১ স্ক্রু 

৪.৪.১. স্ক্রু'র প্রকারভেদ

স্ক্রু, পেরেকের মতো, একটি সাধারণ ধরনের ফাস্টেনার যা বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস জোড়া দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। হাত দিয়ে কাজ করার জন্য বেশিরভাগ কর্মী বিভিন্ন সময় স্ক্রু ব্যবহার করে থাকে । যদিও স্ফু’গুলি দেখতে একই রকম, আসলে সেগুলি বিশেষভাবে বিভিন্ন ধরনের ফাংশন এবং বিভিন্ন ভাবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্ক্রু তৈরি করা হয়েছে

৪.৪.২. উড স্ক্র 

কাঠের স্ক্রু কাঠের সাথে কাঠ সংযুক্ত করার জন্য মৌলিক কাঠের তৈরি এবং কাঠের কাঠামো নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। মোটা গ্রেড, মসৃল শ্যাঙ্ক এবং টেম্পারড হেড কাঠের স্কুগুলিকে কাঠের কাজের জন্য একটি আদর্শ করে তোলে। যদি স্ক্রুটি  নিজেই ঋ-ট্যাপিং না হয়, অর্থাৎ এটি সরাসরি কাঠের মধ্যে চালিত হতে না পারে, তাহলে স্কুটিকে  কাঠের মধ্যে ঢোকানোর আগে একটি পাইলট গৰ্ভ বা পূর্বে ফিল করা গর্ভের প্রয়োজন হবে। কাঠের ধরনের উপর নির্ভর করে কাঠের স্ক্রুগুলিতে বিভিন্ন ধরনের ব্লেড বা প্যাঁচ থাকে। সাধারণত কাঠের স্ক্রু যেগুলির প্রতি ইঞ্চিতে কম থ্রেড থাকে সেগুলি পাইনের মতো নরম কাঠকে জোড়া দেওয়ার জন্য সর্বোত্তম, ওকের মতো শক্ত কাঠের সাথে সংযোগ করার জন্য সুক্ষ্ম শ্রেষ্ঠ বিশিষ্ট স্ক্রু ব্যবহৃত হয়।

কাঠের স্ক্রু  বিভিন্ন মাথা ধরনের বিশিষ্ট হতে পারে তবে সাধারণত একটি গোলাকার মাথা বা একটি সমতল মাথা থাকে। একটি গোলাকার মাথা তৈরিকৃত কাঠামোর সামান্য উপরে বসবে যেখানে মাথার প্রান্তভাগ কাঠামোর প্রান্তভাগের সাথে আরও ফ্লাশ হয়। কাঠের স্ক্রু উপযুক্ত কিনিশ সহ অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক ডিজাইনে পাওয়া যায়।

৪.৪.৩. ডেক স্ক্রু 

ডেক ক্ষু কয়েকটি অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য সহ কাঠের ক্ষুর মতো দেখতে হয়। ডেকিংয়ের জন্য ডিজাইন করা, এই ক্ষুগুলি একটি ডেক ফ্রেম বা একাধিক ডেকিংয়ের সাথে ডেকিং সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ডেক স্ক্রুগুলির মাথাগুলিও কাউন্টার শ্যাংক করার জন্য ডিজাইন করা হয়, যার অর্থ কাঠের মধ্যে সামান্য ডুবে যায় বা ফ্ল্যাশ হয়ে থাকে।

৪.৪.৪, ড্রাইওয়াল স্ক্রু 

ড্রাইওয়াল স্ক্রুগুলো  ফ্লাইওয়ালের ক্ষতি না করে এর খ-ট্যাপিং হেডের সাহায্যে সিংক করার জন্য ডিজাইন করা হয়, এই ক্ষু ড্রাইওয়ানের শিট থেকে প্রাচীরের স্টাড বা সিলিং জয়েন্ট গুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফাস্টেনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই স্ফুটির মাথায় একটি অনন্য ডিম্পল রয়েছে, যার জন্য একটি নির্দিষ্ট ড্রিল বিট প্রয়োজন যা বেশিরভাগ স্ট্যান্ডার্ড ড্রিল সেটে থাকেনা।

৪.৪.৫ মেশনারি স্ক্রু 

মেশনারি ক্ষু হল ভারী ও শুষ্ক ফাস্টেনার যা রাজমিস্ত্রি কংক্রিটের সাথে কাজ করতে ব্যবহার করে থাকে। এই ক্ষু' গুলোর সাধারণত ফ্ল্যাট পিস এবং গোলাকার ও হেক্সাপনাল হেড থাকে। সাধারণত মেশনারি স্কু লাগানোর আগে অবশ্যই ছিদ্র করে রাউয়াল প্লাগ লাগিয়ে নিতে হয়।

 

৪.৪.৬ শিট মেটাল স্ক্রু 

স্ক্রু নাম থেকেই বোঝা যায় শিট মেটাল স্ফুত সমূহ খাতৰ শিট সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো কাঠের জন্য বা অন্যান্য উপকরণগুলিকে একসাথে সুরক্ষিত করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, ভবে প্রাথমিকভাবে ধাতব শিটের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ফ্লু'তে মসৃণ স্ট্যাফট থাকে না এবং সাধারণত মাথা পর্যন্ত থ্রেডিং থাকে যাতে তারা সহজেই শিট মেটালের মধ্য দিয়ে চলতে পারে। সাধারণত এই ক্ষুগুলো ইস্পাত দিয়ে তৈরি, এই ক্ষুপুলি ধাতুর মাধ্যমে স্ব-ট্যাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়, এগুলো ধারালো এবং টেকসই। মেশনারি স্কু তীক্ষ্ণ পয়েন্ট এবং ফ্ল্যাট বা হেক্সানাল হেন্ত সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং এগুলো বহুমুখী এবং নির্ভরযোগ্যভাবে শিট মেটাল জোড়া দিতে ব্যবহার করা হয়।

৪.৪.৭. ল্যাগ বোল্ট বা ল্যাগ স্ক্রু  

ল্যাগ বোল্ট, বা ল্যাগ ক্ষু এবং ক্যারেজ ক্ষু, ব্যাসে বড় এবং কাঠ বা অন্যান্য উপকরণের গভীরে প্রবেশ করার জন্য লম্বা হয়। ল্যাগ বোস্টগুলি অভ্যন্ত টেকসই এবং একটি ক্ষয়-প্রতিরোধী আবরণে প্রলেপ দেওয়া হয় যাতে উপাদানগুলি বা অন্যান্য নির্মাণ ক্ষয়কারী পদার্থের সংস্পর্শে তারা ক্ষয় করতে না পারে। এগুলি খুব দৃঢ় সংযোগ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণত ডেক, দেয়াল এবং অন্যান্য কাঠামোতে পাওয়া যায়। ক্যারেজ বন্টু, এক ধরনের ল্যাগ বল্টু, কাঠের মোটা টুকরো একসাথে আটকে রাখতে ব্যবহার করা হয়। তাদের বৃত্তাকার মাথায় টেম্পার-প্রুফ করে তোলে, যা সর্বজনীন স্থানে বাহ্যিক কাঠামোর জন্য আদর্শ। ল্যাপ পোস্টগুলির চালানোর জন্য অন্যান্য সরঞ্জাম এবং একটি প্রিভিল বা পাইলট গর্তের প্রয়োজন হয়।

৪.৪.৮. হেক্স বোল্টস

প্রায়ই কাউকে ধাতুর সাথে আটকে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন আসবাবপত্রে, হে ৰোস্টের একটি ষড়ভুজ আকৃতির মাথা, ছোট গ্রেড থাকে। এই ধরনের স্ক্রু অভ্যন্তরীণ সংযোগ তৈরির জন্য দুর্দান্ত, তবে বাইরের ব্যবহারের জন্য ইস্পাত বা গ্যালভানাইজের তৈরি পাওয়া যায়। হো বোল্টকে ফাষণ আটকে রাখার জন্য একটি ছিল এবং একটি রেফ উভয়ের প্রয়োজন হয়।

৪.৫. ক্রু'র প্রধান অংশসমূহ

স্ক্রুর প্রধান অংশগুলির মধ্যে রয়েছে ড্রাইভ, মাথা, শ্যাংক, ডে এবং টিল।

🔳 নিজেকে যাচাই করো

Content added || updated By

৪.৫.১. হেড

হেতটি স্কুটির শীর্ষ। এটি সাধারণত শ্যাংক এবং থ্রেডের চেয়ে প্রশস্ত। মাথা সমতল বা পম্বুজ হতে পারে। কিছুর ব্যাস ছোট ছোট শ্যাঙ্কের সাথে সম্পর্কিত এবং অন্যগুলি খুব প্রশস্ত।

৪.৫.২. ড্রাইভ

এটি সেই স্লট যেখানে স্ক্রু ড্রাইভারের টিপ ঢুকে যায়। এটি একটি ক্ষু হেড হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভে আছে সেই অনুযায়ী অনেক স্ক্রু ড্রাইভার পাওয়া যায়।

৪.৫.৩. গ্রেড দৈর্ঘ্য 

গ্রেড দৈর্ঘ্য হয় পূর্ণ দৈর্ঘ্য বা আংশিক। সম্পূর্ণ ট্রেড এবং আংশিক থ্রেড স্ক্রু পাওয়া যায়।

৪.৫.৪. পয়েন্ট বা টিপ: 

স্পষ্টতই যেখানে স্ক্রুটি যে উপাদানে থাকে তাতে স্ক্রু প্রবেশ করে। যদি কোনো বিন্দু (অর্থাৎ টিপ) না থাকে তবে এটি একটি বোল্ট যার জন্য একটি পূর্ব-তৈরি গর্ত প্রয়োজন হয় আর টিপ থাকলে স্ক্রু নিজে নিজে বন্ধুতে ঢুকে যেতে পারে।

৪.৫.৫. থ্রেড 

 থ্রেড  মানে প্যাচ ক্রু'র দৈর্ঘ্য বরাবর পৃষ্ঠে যে সিরা জরানো থাকে তা হল প্যাচ বা থ্রেড থ্রেডের অনেক প্রকার আছে এবং স্কুগুলির মধ্যে তা পরিবর্তিত হয়। থ্রেডের কিছুটা অংশ খাড়াভাবে নিচের দিকে কোণ করে থাকে। পিচ হল দুটি গ্রেডের দূরত্বর পার্থক্য। কিছু ক্ষুকে ব্লেড থাকে যা ছোট এবং একসাথে খুব কাছাকাছি থাকে।

৪.৫.৬. স্ক্রু  ব্যাস (ছোট এবং বড় ব্যাস): 

স্ক্রু ব্যাসের ক্ষেত্রে দুটি পরিমাণ আছে। ছোট (কোর ডায়া) এবং বড় ব্যাস (আউট ডায়া) আছে। 

৪.৫.৭. ফ্রেন্ট: ক্রেস্ট হল থ্রেডের শীর্ষ।

৪.৬ স্ক্রুর ব্যবহার

বিভিন্ন ধরনের স্ক্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।

৪.৬.১. শিটমেটাল স্ক্রু : নিটমেটামে কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

৪.৬.২. মেশিন স্ক্রু'র  ব্যবহার

৪.৬.৩. কাঠের স্ক্রু 

৪.৭. স্ক্রু'র ব্যবহারের সুবিধা 

ফান্টেনার হিসাবে ক্ষু নির্বাচন করার সময় কিছু সুবিধা আছে। সাধারণভাবে স্ক্রু সবচেয়ে সাধারণ এবং মৌলিক ধরনের ফাস্টেনার গুলির মধ্যে একটি এবং কার্যকরভাবে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় । এপোলো বিভিন্ন আকারে থাকে এবং বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল দ্বারা তৈরি হয় যা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি জোড়া দেওয়ার দিবার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৪.৭.১. যান্ত্রিক সুবিধা

যখন স্ক্রু নির্বাচন করা হয়, তখন এই প্রক্রিয়াটিতে অবশ্যই কিছু যান্ত্রিক সুবিধা থাকে। একই উপাদানে স্কু আটকানো এবং পেরেক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ঢুকানোর জন্য কম শক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই যেখানে হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয় সেখানে স্ক্রু ব্যবহার করা হলে কাজটি অনেক সহজ হবে এবং এটি পাওয়ার টুলসের মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায় এবং তখন কম শক্তির প্রয়োজন হয়। 

৪.৭.২. অতিরিক্ত শক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী ভাবে আটকিয়ে রাখা

স্ক্রু খুব শক্তিশালী এবং স্থায়ীভাবে নির্মিত। এটি পেরেকের সম্পূর্ণ বিপরীত, যা সময়ের সাথে সাথে ঢিলা হতে পারে। যে ম্যাটেরিয়ালস সময়ের সাথে প্রসারিত এবং সঙ্কুচিত হতে শুরু করে ঐ ম্যাটেরিয়ালসের সাথে সংযোগ থাকলে স্ক্ৰু সময়ের সাথে সাথে ঢিলা হতে পারে। স্ক্রু এর এই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী স্ক্রু তৈরি করা হয়। স্ক্রু শক্তিশালী হলে সংযোগের বা জোড়ের স্থায়ীত্ব অনেক বেড়ে যায়।

৪.৭.৩. মরিচা প্রতিরোধী

যেহেতু স্ক্রু সংলগ্ন উপাদানগুলির সাথে একটি শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তাই এটি মরিচা পড়ার জন্য কম সক্রিয় হয়। টাইট থাকলে আর্দ্রতা এবং বাতাস স্ক্রু শ্যাফটের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়, এইভাবে এটি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে ধরে রাখার জন্য সংরক্ষিত থাকে। সুতরাং ক্রু'র মাথায় মরিচা ধরতে শুরু করলেও, ক্রু’টি অক্ষত থাকে এবং বস্তুকে ধরে থাকবে। এই সুবিধাটির জন্য দীর্ঘমেয়াদে আটকিয়ে রাখার জন্য পেরেকের চেয়ে স্ক্রু গুলোকে বেশি পছন্দ করা হয়।

৪.৭.৪. বিভিন্ন আকার এবং আকৃতি

স্ক্রু এর বিভিন্ন আকার এবং আকৃতি রয়েছে। স্ক্রু এর বিভিন্ন থ্রেড প্যাটার্নের তৈরি হয় সুতরাং কাঠ, ড্রাইওয়াল, শিট মেটাল, কংক্রিট বা আরও অনেক কিছুতে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ডিজাইনের পাওয়া যায়। যখন সঠিক টাইপ স্ক্রু ব্যবহার করা হয় তখন স্ক্রু এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের উপকার পাওয়া যায়। স্ক্রুগুলোর বিভিন্ন ধরনের মাথা থাকে, যা তাদের বিভিন্ন ধরনের ইকুইপমেন্টর সাথে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

৪.৭.৫. অপসারণের ক্ষেত্রে

স্ক্রু রিমুভিং বা অপসারণের ক্ষেত্রে স্ক্রু সবচেয়ে সহজ ফাস্টেনার । পেরেক অপসারণ করতে একটি বিশেষ ইকুইপমেন্ট দরকার হয় কিন্তু ক্রুর ক্ষেত্রে যে টুলস দিয়ে স্ক্রু ঢোকানো হয়েছে তা দিয়েই বের করা যাবে। তাই অন্য কোনও টুল খুঁজতে যেতে হবে না এবং কাজ করার সময় বাঁচবে।

৪.৭.৬. স্ক্রু পুনরায় ব্যবহার করণ

স্ক্রু’গুলোর শক্তি এবং দীর্ঘায়ুতার কারণে, পেরেকের তুলনায় বেশি ব্যবহার করা হয়। অপসারণের সময় এগুলো খুব কমই বেঁকে যায়, তাই অন্য কাজের জন্য এগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪.৮. পাওয়ার স্ক্রু ড্রাইভার

পাওয়ার স্ক্রু ড্রাইভার হল একটি স্ক্রু ড্রাইভার যা মানুষের পেশীর উপর নির্ভর না করে ড্রাইভিং স্ক্রু চালানোর জন্য কিছু ইলেকট্রিক শক্তির ব্যবহার করে। পাওয়ার স্ক্রু ড্রাইভার সাধারণত বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে কাজ করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাটারি চালিত হয়ে থাকে।

৪.৯ স্ক্রু এক্সট্রাক্টর  

স্ক্রু-এক্সট্রাক্টর হল ভাঙ্গা স্ক্রু অপসারণের একটি টুলস। স্ক্রু এক্সট্র্যাক্টরের দুই প্রকার একটি স্পাইরাল গঠন, যাকে সাধারণভাবে ইজি আউট বলা হয় এবং অন্যটির একটি সোজা ফ্রুট কাঠামো রয়েছে।

স্ক্রু এক্সটাক্টরগুলি শক্ত, ভঙ্গুর ইস্পাত দিয়ে তৈরি, এবং যদি খুব বেশি মোচরান শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে যে ভ্রুটি বের করা হচ্ছে তার ভিতরের অংশ ভেঙে যেতে পারে। যদি ফাস্টেনারটি ভেঙ্গে যায় তাহলে ফাস্টেনারটির পিছনে বা প্রান্তের মাধ্যমে ক্ষু থেকে তা সহজ বের করার জন্য একটি পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়।

Content added || updated By

পারদর্শিতার মানদন্ড

■ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;

■ প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

■ কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট বাছাই এবং সংগ্রহ করা;

■ জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাচাঁমাল সংগ্রহ করা;

■ ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া;

■ মেজারমেন্ট অনুযায়ী ড্রিল করা;

■ রিভেট গানের সাহায্যে রিডেটিং সম্পন্ন করা; কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলস ও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা;

■ কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলস ও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া; অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

■ ওয়েস্টেজ এবং স্ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা।

প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

পিপিই এর নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
নিরাপদ জুতাস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
মাস্কস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
বয়লার স্যুটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
হ্যান্ড গ্লাভসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
সেফটি হেলমেটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
সেফটি গগলসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
ইয়ার প্লাগস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমুহ :

যন্ত্রপাতির নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
স্টিল রুল৬ ইঞ্চি১ পিস
 স্ক্রাইবার ৬ ইঞ্চি১ পিস
ট্রাই স্কয়ার৬ ইঞ্চি১ পিস
ডিভাইডারস্ট্যান্ডার্ড১ পিস
হ্যান্ড রিভেট গান১২ ইঞ্চি১ পিস
সেটার পাঞ্চ৬ ইঞ্চি১ পিস
বলপিন হ্যামার২ পাউন্ড১ পিস
প্রিটেবল ড্রিল মেশিন৬৫০ ওয়াট১ পিস
ড্রিল বিটরিভেট সাইজ ৫ মিমি১ পিস

প্রয়োজনীয় কাচাঁমাল সমুহ:

কাচামালের নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
এম এস শিট মেটালডায়া ৮০ মিমি ও উচ্চতা ১০০ মিমি১ পিস
ব্লাইন্ড  রিভেট৪.৮ x ১৮ মিমি৬ পিস
কটন ওয়েন্টস্ট্যান্ডার্ড৫০ গ্রাম
পেপারঅফসেট২ পিস

জবের ড্রইং

কাজের ধারা

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করো; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রভুত করো;

৩. চিত্রে প্রদর্শিত জব টির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো;

৪. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সরঞ্জামগুলির সম্পর্কে ধারণা লাভ করো;

৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করো;

 ৬. কাজ টির কাচামাল স্টিল রুলের, ট্রাই স্কয়ার, ফাইভারের সাহায্যে ডিজাইন অনুযায়ী মার্কিং করো;

৭. ৫ মিমি টুইন্ট ড্রিল ও পোর্টেবল ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে রিডেটের জন্য ড্রিল করো;

৮. ৪.৮ মিমি রিডেটের জন্য মেশিনের নোস হেড়ে নিপল বা টিশ সংযুক্ত করো :

৯. রিডেট গানের অগ্রভাগে প্রথমে রিডেটাট লম্বা পাশে নিপলের মধ্যে প্রবেশ করাও;

১০. ল্যাপ জয়েন্টের দু'টি প্লেটের হোলে মধ্যে রিডেটের ৰচিটি প্রবেশ করাও ও গানটি সামান্য চাপ দাও; 

১১. রিভেট পানের হ্যান্ডেল ট্রিলারটি চাপতে থাক যতক্ষণ না রিডেটটি সংযুক্ত হয় এবং রিডেটটি সেট হয়;

১২. পরবর্তীতে একই ভাবে অনান্য হোলে রিভেটেং সম্পন্ন করো;

১৩. জবটি এমারিরুখ দিয়ে পরিষ্কার করো;

১৪. কোন সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;

১৫. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো, 

১৬. টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো,

কাজের সর্তকতা

• টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;

• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো পরিষ্কার করো;

• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার করো;

• সঠিক ভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ম মানা আবশ্যক।

অর্জিত দক্ষতা /ফলাফল

রিভেট পান ব্যবহার করে ল্যাপজয়েন্ট তৈরি করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড রিভেটগানের দ্বারা রিভেটিং করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added || updated By

পারদর্শিতার মানদন্ড

■ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;

■ প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

■ কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট বাছাই এবং সংগ্রহ করা;

■ জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাচাঁমাল সংগ্রহ করা;

■ ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া;

■ মেজারমেন্ট অনুযায়ী ড্রিল করা;

■ রিভেট গানের সাহায্যে রিডেটিং সম্পন্ন করা; কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলস ও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা;

■ কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলস ও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া; অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

■ ওয়েস্টেজ এবং স্ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা।

প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

পিপিই এর নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
নিরাপদ জুতাস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
মাস্কস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
বয়লার স্যুটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
হ্যান্ড গ্লাভসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ জোড়া
সেফটি হেলমেটস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
সেফটি গগলসস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি
ইয়ার প্লাগস্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী১ টি

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমুহ :

যন্ত্রপাতির নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
স্টিল রুল৬ ইঞ্চি১ পিস
 ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স  ৬ ইঞ্চি১ পিস
স্ক্রু-এক্সট্রাক্টর৩-২৫ মিমি সেট১ সেট
ডিভাইডারস্ট্যান্ডার্ড১ পিস
হ্যান্ড রিভেট গান১২ ইঞ্চি১ পিস
সেটার পাঞ্চ৬ ইঞ্চি১ পিস
বলপিন হ্যামার১.৫ পাউন্ড১ পিস
প্রোট্রেবল ড্রিল মেশিন৮০০ ওয়াট১ পিস
ড্রিল বিটপ্রয়োজন অনুসারে ১ টি
স্ক্রু-এক্সট্রাক্টর হ্যান্ডেলপ্রয়োজন অনুসারে১ টি

প্রয়োজনীয় কাচাঁমাল সমুহ:

কাচামালের নামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
এমারি ক্লথ ০ নম্বর ১ টি
WD ৪০-০১
মবিল ৪০ গ্রেড ১০০ মিলি লিটার
পেপারঅফসেট২ পিস

জবের ড্রইং

কাজের ধারা

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করো;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করো;

৩. চিত্রে প্রদর্শিত জবটির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো; 

৪. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সরঞ্জামগুলির সম্পর্কে ধারণা লাভ করো;

৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট সংগ্রহ করো;

৬. অপসারণের জন্য স্ক্রু প্রস্তুত  করো;

৭. স্ক্রুটির  উপর একটি সেন্টর পাঞ্চের মাধ্যমে পাঞ্চিং করো;

৮. স্ক্রু  তে এক ফোঁটা প্লেড কাটিং তেল দাও; 

৯. মরিচা পড়া স্কুতে এক ফোঁটা তেল দাও;

১০. স্ক্রু  ডিলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করো;

১১. ফু থেকে সামান্য ছোট একটি ছিল বিট নির্বাচন করো; ১২. স্কুটির কেন্দ্রের সাথে ছিল বিট লাইন আপ করো;

১৩. এক্সট্র্যাক্টরের জন্য একটি হোল ড্রিল করো;

১৪. ড্রিল করা গর্তে এক্সক্সট্যান্টর প্রবেশ করাও; 

১৫. একটি রেফ বা হ্যান্ডেল দিয়ে এক্সটাক্টরটি ঘুরাও। 

১৬. স্ক্রু আটকে থাকলে তা পরম হিটের মাধ্যমে পরম কর ও হ্যান্ডেল দিয়ে এক্সট্র্যাক্টরটি ঘুরিয়ে বের করো; 

১৭. প্রায়ার দিয়ে স্কু'টি টেনে বের করো;

১৮. কোন সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;

১৯. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো; 

২০. টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো।

কাজের সর্তকতা

টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;

টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো পরিষ্কার করো;

টুলস ও ইনট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার করো; 

• সঠিক ভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ন যানা আবশ্যক।

অর্জিত দক্ষতা /ফলাফল

ফ্লু-এক্সট্রাক্টর ব্যবহার করা এবং ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ক্ষু-এক্সট্রাক্টর ব্যবহার করে ভাঙ্গা স্ক্রু বের করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added || updated By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. রিভেট কি?

২. স্ক্রু কি?

৩. স্ক্রু'র প্রধান অংশগুলোর নাম লেখ।

৪. পাওয়ার স্ক্রু ড্রাইভার কি?

৫. রিভেটগান কি?

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. রিভেটস কি ভাবে কাজ করে?

২. নিরেট রিভেট বা সলিড রিভেট সম্পর্কে লেখ।

৩. ব্লাইন্ড রিভেটস এর মেজারমেন্ট লেখ। ৪. রিভেটের অংশ সমুহের নাম লেখ।

৫. মেশনারী ও উড স্ক্রু'র বর্ননা দাও।

৬. শিট মেটাল স্ক্রু কোন কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ?

৭. স্ক্রু'র ব্যবহারের যান্ত্রিক সুবিধা কি?

 

রচনামূলক প্রশ্ন

১. রিভেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বর্ননা করো।

২. রিভেটের প্রকারভেদ উল্লেখ করো।

৩. কাউন্টার শ্যাংক রিভেটসের কত প্রকার কিকি এবং কাউন্টার শ্যাংক রিভেটস কোন কাজে ব্যবহার হয়?

8. রিভেট গানের প্রকারভেদ ও ব্যবহার লেখ।

Content added By

Promotion