সমীর কৃষি বই পড়ে অতীতের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারে। দুর্ভিক্ষ সমগ্র বাংলাদেশকে গ্রাস করেছিল। সে সময়ে মানুষের পক্ষে মোটা ভীত, মোটা কাপড় জোগাড় করাও কষ্টকর ছিল। বাংলাদেশের আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সূচনা এই প্রেক্ষাপটেই হয়েছিল। এ সময়ে এ দেশে কৃষিশিক্ষা প্রসারের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়।
উদ্দীপকে উল্লিখিত সময়টিতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এই শিল্পায়নের যুগেও বাংলাদেশ কৃষির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক কৃষির সাথে তুলনা করলে অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশ যেমন কৃষিপ্রধান দেশ আর আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি তবুও ধান উৎপাদনে আমরা ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশ হতে অনেক পিছিয়ে আছি। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে যাচ্ছেন। একসময় বাংলাদেশে বিশ্বের ৭৫ ভাগ পাট উৎপাদন হতো। কিন্তু খানের চাহিদা ও কৃত্রিম আঁশের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে পাটের উৎপাদন কৃষকরা কমিয়ে দিয়েছেন। তবুও জাতীর আর বৃদ্ধিতে পার্ট অনেক অবদান রাখছে। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
বাংলাদেশের বাজারে শুধু যে বাংলাদেশের পণ্যই পাওয়া যায় তা নয়, প্রতিবেশী দেশের পণ্যও বাজারে প্রবেশ করেছে। এতে বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষির অবস্থা এ অধ্যায়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-