নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ভূগোল ও পরিবেশ - বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য | NCTB BOOK

নদীমাতৃক বাংলাদেশের সর্বত্র নৌপথ জালের মতো ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক গঠন নৌপথের অনুকূলে। যে কারণে নৌপথ বিস্তার করেছে তা বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করলে তা সহজে বোঝা যায় ৷

                                              নৌপথ গড়ে ওঠার অনুকূল অবস্থা
                      নিম্নভূমি          নদীবহুল অঞ্চল
   

নৌপথ বাংলাদেশের সুলভ পরিবহণ ও যাতায়াত ব্যবস্থা। অসংখ্য নদী ও খালবিলের সমন্বয়ে গঠিত প্ৰায় ৮,৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ আছে। এর মধ্যে প্রায় ৫,৪০০ কিলোমিটার সারাবছর নৌচলাচলের উপযুক্ত থাকে। অবশিষ্ট ৩,০০০ কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহার করা যায়। দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের নদীগুলো নৌ-চলাচলের জন্য বেশি উপযোগী। বর্তমানে বাংলাদেশের নৌ পরিবহণের সামগ্রিক অবস্থা নিম্নরূপ :

                                     সামগ্রিক অবস্থা

  লঞ্চঘাট


 ফেরিঘাট

        ৩৮০টি

          ৫৩টি

 

    সাল   অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের আয় (কোটি টাকায়)

২০১৩-২০১৪

২০১৪-১৫

২০১৫-১৬

২০১৬-১৭

২০১৭-১৮*

 ৩২০.০৪

৩৫৪.৫৮

৫০৬.৬৪

৬০৩.৪০

৪৭৭.৫০

উৎস : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৮* সাময়িক, (BIWTA, Ministry of Shipping)

কাজ : ‘নৌপথ সাশ্রয়ী পথ' ব্যাখ্যা কর।

নদীবন্দর (River ports ) : নদীবন্দরের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গোয়ালন্দ, বরিশাল, খুলনা, ভৈরববাজার, আশুগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, আরিচা, আজমিরীগঞ্জ ও মাদারিপুর উল্লেখযোগ্য (চিত্র ১২.২)।

বাণিজ্য, পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ করে বাংলাদেশ নৌপথ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। 

 কাজ : বাংলাদেশের প্রধান নদীবন্দরগুলো মানচিত্রে চিহ্নিত কর এবং শিক্ষকের কাছে জমা দাও।


 

Content added || updated By

Promotion