SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

মাছ ও চিংড়ি চাষের বেশ কিছু ঋতুভিত্তিক ঝুঁকি থাকে। এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এমন কি অনেক সময় সমস্ত চাষ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। ঝুঁকি গুলো হচ্ছে-

(১) বর্ষাকালীন ঝুঁকিঃ বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি বা বন্যায় সমস্ত মাছ ও চিংড়ি ভেসে যেতে পারে। তাই সময়ের আগেই বিক্রয়যোগ্য মাছ ও চিংড়ি আহরণ করা উচিত।

(২) শুষ্ক মৌসুমের ঝুঁকিঃ শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যেতে পারে বা পানির গভীরতা কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় পানি তাড়াতাড়ি গরম হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ফলে সমস্ত মাছ ও চিংড়ি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

(৩) শীতকালীন ঝুঁকিঃ শীতকালীন ঝুঁকির অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে মাছের ক্ষতরোগ। এ রোগ সাধারণত নভেম্বর- ফেব্রুয়ারি মাসেই বেশি দেখা যায়। এ সময়ে পুকুরে জীবভর বেশি থাকলে এ রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সে কারণে এ সময়ের আগেই বড় মাছ ও চিংড়ি পুকুরের জীবভর কমিয়ে দেওয়া উচিত।

(৪) চুরিঃ এটি সামাজিক ঝুঁকি। পুকুরে মাছ ও চিংড়ি বড় হলে এ ঝুঁকি বেড়ে যায়। সে কারণে বড় মাছ ও চিংড়ি আংশিক আহরণ করলে চুরির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। 

Content added By