SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৪.৩.২ ফোটানোর ডিম সংরক্ষণ (Preservation of hatching eggs):

মুরগির ঘর থেকে ট্রে বা ঝুড়িতে করে ডিম সংগ্রহ করার পর ডিমগুলো পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে শুষ্ক অবস্থায় অথবা ঈষৎ গরম পানির সাহায্যে ডিম পরিষ্কার করা যায়। এর সাথে সাথেই জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে ডিমের খোসার পানি শুকিয়ে নিতে হবে। হঠাৎ ঠান্ডা বা গরমে ডিমের ক্ষতি হতে পারে। সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। অসুস্থ বা স্বাস্থ্যহীন মুরগির ডিম ফোটানো উচিত নয়।

সংরক্ষণের নিয়মাবলি নিম্নরূপ: 

১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে ডিম সংরক্ষণ করতে হয়, কারণ ময়লা লাগলে ডিমের খোসার ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ভ্রুণের শ্বাসকার্য ব্যাহত হয়। 

২. ডিম সাধারণত ১০-১৫.৬ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ডিম কখনও অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশে রাখা ঠিক নয়। বড় বড় হ্যাচারিতে ডিম সংরক্ষণ করতে হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ব্যবহার করা উচিত। গ্রামে ডিম সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ছায়াযুক্ত স্থান ব্যবহার করা উচিত।

৩. ৬০-৭০% আপেক্ষিক আর্দ্রতা ডিম সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত। ঘরের ভিতরে পানির পাত্র বসিয়ে বা ভিক্ষা চট দিয়ে ঘরের আর্দ্রতা কিছুটা নিররণ করা যায় । যদি ঘরের আর্দ্রতা অনেক কম হয় তবে ডিমে বাস্পীভবন হবে, ফলে বায়ুকোষ আকারে বড় হবে এবং হ্যাচাবিলিটি কমে যাবে।

৪. ডিম সংরক্ষণের সময় ডিমের মোটা অংশের উপরের দিকে রাখতে হয় । 

৫. ডিম গ্রীষ্মকালে ৩-৪ দিন এবং শীতকালে ৭-১০ দিনের বেশি সংক্ষরণ করা যায় না। বেশি দিন ডিম সংরক্ষণ করলে ডিম হতে পানি বেরিয়ে বায়ুকোষ বেশি বড় হয়, ফলে সেই ডিম ফোটে না । 

৬. ডিম ৭(সাত) দিনের বেশি সংরক্ষণ করলে দিনে ৩-৪ বার উল্টিয়ে দেয়া ভালো।

 

 

Content added By