সোহেলীর বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকার। সোহেনীও বাবার মতো ব্যাংকার হতে চায়। তাই সোহেলী ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তার বাবা তাকে পড়াশুনার জন্য সার্বক্ষণিক সাহায্য করেন। অপরদিকে সোহেলীর মা মেয়ের নিয়মিত স্কুলে যাওয়া, পড়াশুনা করাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেন ।
শোভা দেখতে তার মায়ের মতো লম্বা, ফর্সা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মনে করে শোভা ছোট ফুফুর মতোই হাসিখুশি। শোভার মামা গহর আলী রাঙামাটিতে বসবাস করেন। মামি চাকমা বংশোদ্ভূত, তাদের যমজ দুই মেয়ে রাইসা ও সামিহা। গহরের ছোট বোনের কোনো সন্তান না থাকায় মেয়ে সামিহাকে প্রতিপালনের জন্য ঢাকায় ছোট বোনের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। অপর মেয়ে রাইসা খুব কর্মঠ ও সুঠাম দেহের অধিকারী। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তিতে তটা উন্নত নয়। ঢাকার পরিবেশে সামিহা পড়াশুনায় বেশ বিচক্ষণ। সে মানসিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তায় খুব উন্নত হলেও অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
জেবার ছোট ছেলে জাবেন প্রায়ই সর্দি-কাশিজনিত সমস্যায় ভোগে। কয়েকদিন আগে খেলতে গিয়ে পা কেটে ফেলেছিল এখনও শুকাচ্ছে বড় মেয়ে জেরিন এসে বলল, “মা সন্ধ্যায় পড়তে গেলে বইয়ের অক্ষরগুলো অস্পষ্ট মনে হয়। আর অল্প আলোতে দেখতেও অসুবিধা হচ্ছে।” মা রেগে গিয়ে বলেন, “শুধু মাংস খেতে চাও। শাকসবজি, ফলমূল না খাওয়াটাই আজ তোমার এ অবস্থার জন্য দায়ী।”
হোমায়রা ও রুহি দুই বান্ধবী। তারা নবম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে হোমায়রা সফট ড্রিংকস এবং সন্ধ্যায় পড়তে বসার আগে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খায়। অবসর সময়ে কম্পিউটারে গেমস খেলে সময় কাটায়। অপরদিকে রুহির খাবারের প্রতি ততটা আগ্রহ নেই। সে ডিম ও দুধ খেতে চায় না। মা চেষ্টা করেন প্রতিদিনই তাকে দুধ বা ডিম জাতীয় খাদ্য খাওয়াতে। তাছাড়া মা যকৃৎ, ছোট মাছ, সবুজ শাকসবজি, ডাল ও ফল ইত্যাদির মধ্যে প্রতিদিনই দুটি বা তিনটি খাবার খাদ্য তালিকায় রাখেন।
সূচির গায়ের রং শ্যামলা। বান্ধবী লাভলীর জন্মদিনে যাবে বলে সূচি হালকা রঙের শাড়ি নির্বাচন করে। শাড়িটির জমিন হালকা ক্রিম রঙের কোমরের কাছে গাঢ় বেগুনি রঙের ফুল করা। অপরদিকে লাভলী ফর্সা ও সুঠাম দেহের অধিকারী। লাল রঙের জাঁকজমকপূর্ণ নকশা করা শাড়ি পরায় তাকে আরও সুন্দর দেখাচ্ছিল। সূচি লাভলীকে অভিনন্দন জানাতে যেয়ে বলে, “আজকে তোর নির্বাচিত শাড়িটিতে তোকে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।”
দোলা , সোমা ও সাথী তিন বান্ধবী। দোলা দুই গজ পাতলা কাপড়ে রং করতে যেয়ে প্রথমে পানিতে কাপড় কাচার সোডা ও লবণ মেশায় এবং ফুটন্ত অবস্থায় পানিতে কাপড় উল্টেপাল্টে দিয়ে তুলে শুকিয়ে ইঞ্জি করে। সোমা কাপড়টিতে পেন্সিল দিয়ে সরল রেখা এঁকে রেখা বরাবর বড় বড় কাঁথা স্টিচ সেলাই করে সুতা টেনে গিট দেয় এবং রং করে। অন্যদিকে, সাথী নিজের জামা তৈরির কাপড়টিতে ভাঁজ দিয়ে বেঁধে দেয় এবং রং করে ।