'ক' নামক একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন চলছিল। কিন্তু দেশটির কিছু ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্য ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার সামরিক আইন চলছিল। সামরিক স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেশের ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা সভা ও মিছিল করে। কেউ ব্যানার কেউ পোস্টার বহন করে। তাদের মধ্যে এক যুবক নিজের বুকে ও পিঠে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের পুলিশের গুলিতে সেই যুবকের জীবন অকালেই ঝরে পড়ে।
আরিফ তার পিতা-মাতার সাথে শহরে থাকে। তাদের পিতা-মাতা উভয়ই চাকুরিজীবী। শহরের পরিবেশে আরিফ তার প্রতিবেশি, বিদ্যালয় ও সহপাঠীর সহযোগিতায় ক্রমেই সামাজিক হয়ে উঠছে। অপরদিকে তার চাচাতো ভাই শরিফ গ্রামে থাকে। সেখানে সে মা-বাবা, দাদা-দাদি ও চাচাদের সাথে বসবাস করছে। তাদের চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক আদর্শেই সে বেড়ে উঠছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সোহাগ। তার বাবা একজন রিকশাচালক। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সোহাগ ঢাকা শহরে টিউশনি করে পড়াশুনার খরচ চালায়। তার বাবার প্রত্যাশা সন্তান বড় হয়ে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হবে এবং সংসারের দুর্দশা দূর করবে। কিন্তু দূর্ভাগ্য প্রতিদিনের সেদিনও টিউশনি করে হলে ফেরার পথে সে বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এখানেই তার বাবার স্বপ্নের অবসান হয়।
কামাল তার বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সন্ধ্যাবেলায় পানির অপরূপ শান্ত প্রকৃতি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর তারা দেখে সাগরের পানি ক্রমশ ফুলে উঠছে। পানির ঢেউ তীরে এসে ভীষণভাবে গর্জন করছে। মা তাকে ভীত হতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, “এটা সমুদ্রের একটি স্বাভাবিক ঘটনা, কিছুক্ষণ পরই আবার দেখবে পানি নেমে যাবে।”
জেমস স্টিফেন এমন একটি দেশের নাগরিক যেখানে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত। সেখানকার সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। এমনকি রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত বলে এই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত হয়।
সম্প্রতি 'কোমেন' নামে একটি ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় জেলার উপরে আঘাত হানে। তাতে ঐ অঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূলীয় জেলায় নিয়োজিত জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দেন এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কারণ তিনি নিজেকে উক্ত জেলার জনগণের বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
জনাব আব্দুস সালাম বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পপতি। তিনি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বত্র জনগণকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা। তার ব্যাংকের কাজ হলো জনগণের সঞ্চিত অর্থ বিভিন্ন মেয়াদে জমা রেখে ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা ও আবাসন প্রকল্পে ঋণ প্রদান করা । এছাড়াও তার ব্যাংক গ্রাহকদের সুবিধার্থে বন্ড, স্টক, শেয়ার ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে ।