“প্রভাত ফেরি, প্রভাত ফেরি আমায় নিবে সঙ্গে
বাংলা আমার বচন আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।”
আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে রাতুল আবৃত্তি করবে। তার মা কবিতাটি শেখাচ্ছেন। রাতুলের আবৃত্তি শুনে বৃদ্ধ দাদু মোশারফ সাহেবের তাঁর ছাত্র জীবনের একটি আন্দোলনের কথা মনে পড়ে গেল। ফেব্রুয়ারি মাসের সেই দিনে ঢাকা শহরে ছাত্র জনতা বিশাল মিছিল নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। শুরু হয় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ। সেই গোলাগুলিতে অনেকে শহিদ হন।
প্রথম বক্তা: স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তের জাতীয় নির্বাচনটি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
দ্বিতীয় বক্তা: হ্যাঁ, এই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য বিপুল আসন লাভ করে। কিন্তু তারা সরকার গঠন করতে চাইলেও নানা কারণে তা আর হয়নি।
প্রথম বক্তা: বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে ঐ নির্বাচন মূল সিঁড়ি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি তার সদস্যদের সাথে আলোচনা ও মতামত নিয়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও সেবাধর্মী কাজ করেন। এলাকায় কৃষি, গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন ।
জাইমা তার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনায় জানতে পারল একটি বিশ্বসংস্থা ও তার আওতাভুক্ত বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। স্যার আরও বললেন- বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সোহেল আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে নিজ বাড়িতে একটি হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। মাঝারি উৎপাদনের খামারটিতে দুই তিন জন লোক কাজ করে। কিন্তু খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রয়ের জন্য শহরে আনার রাস্তা খুব খারাপ। অনেক জায়গা ভাঙ্গা ও খানাখন্দ। ফলে কম দামে সোহেল গ্রামে ডিম ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করছে। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক বেশি পড়ছে। লোকসানের ফলে সোহেল খামার ব্যবসা পরিবর্তনের চিন্তা করছে।
চাকুরিজীবী বাবা-মার একমাত্র সন্তান সুজন। ৯ম শ্রেণির ছাত্র সুজন বাবা মা’র আদর স্নেহ তেমন একটা পায় নি, তার বাব-মা ছোট খাট বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া করে। সুজনের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যের প্রতি উনাদের তেমন একটা খেয়াল নেই। সুজন তার ঘনিষ্ট সহপাঠী রাসেলের সাথে তার নিঃসঙ্গতা ও পারিবারিক সমস্যাগুলো আলোচনা করেছে। রাসেল সুজনকে বাবা মা মনে আঘাত পায় এমন কাজ করতে নিরুৎসাহিত করেছে এবং সুজনের বিষয়ে শ্রেণি শিক্ষক আজমল স্যারের পরামর্শ নিয়েছে। স্যার সুজনকে ডেকে এনে অনেক উৎসাহ ও আশাব্যঞ্জক পরামর্শ দিয়েছেন।