নবাবপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে রহমত আলী চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। কোনো ভাবেই নির্বাচন হতে দেন না। এবার সব বাধা পার করে এলাকার লোকজন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচনে উক্ত চেয়ারম্যানকে পরাজিত করতে কয়েকটি দল একত্রিত হয়ে একজনকে মনোনয়ন দেয় এবং জনগণের সামনে তারা নির্বাচন-পূর্ব বেশ কয়েকটি দফা উপস্থাপন করেন। নির্বাচনে তাদের মনোনিত ব্যক্তি জিতলেও কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষ উক্ত নির্বাচন বাতিল করেন।
বনি এবং জনি দু'জন চাচাতো ভাই একই বাড়িতে বসবাস এবং একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। বনি সবার সাথে সুন্দর আচরণ করে। পড়ালেখা ভাল করে এবং সে নম্র ও ভদ্র। পক্ষান্তরে জনি ঠিক তার উল্টা। এমনকি বাবা মায়ের সাথেও ভাল আচরণ করে না। তাছাড়া সব সময় একটা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বা উগ্রতা তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। বনি মনে মনে ভাবে জনি তো কোনো বাজে ছেলেদের সাথে মেশে না, তাহলে দিন দিন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে কেন।
জমির মিয়া একজন গ্রামের জনপ্রতিনিধি। তার কাজের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তিনি ঐ সমস্ত কাজের পাশাপাশি সমাজের মারামারি, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের উপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও তিনি সম্পন্ন করে থাকেন।
জরিনার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সন্তানটিকে নিয়ে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এখানে এসে সে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সেলাইয়ের কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে সে একটি সেলাই মেশিন ক্রয়ের জন্য ঋণ নেওয়ার কথা বাবা, ভাইকে বললে, তারা বলে নিজস্ব বা নিজের নামে কোনো জমি বা সম্পদ না থাকলে কোনো ঋণ পাওয়া যায় না। শেষে একটি প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু জামানত না রেখে তাকে ঋণ দেওয়ায় সে একটি সেলাই ক্রয় করে।
'ক' এলাকায় প্রায়শই গোলমাল, ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। এলাকার মানুষের মধ্যে কোনো সদ্ভাব নেই। এগুলি দেখে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে এলাকার কিছু যুবক সম্মিলিতভাবে একটি সংঘ গঠন করে। এলাকার যেখানেই অশান্তি সৃষ্টি হয় সংঘটি সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করে এবং এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে। বর্তমানে ঐ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায়ও সংঘটি শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
রবিন বেশ কয়েক বছর দেশের বাইরে ছিল। মাস দু'য়েক হলো সে দেশে এসেছে। বাড়িতে এসে সে বেশ কিছু শারীরিক অসুবিধা অনুভব করছে। অসুবিধাগুলো হলো শরীরের ওজন কমে যাওয়া, সবসময় শরীরে জ্বর থাকা ও ডাইরিয়া লেগে থাকা, তাছাড়া শুকনা কাশি ও ঘাড়ে ব্যথাও আছে। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ঔষধ দিতে রাজী হলেন না।