বিদেশি শাসনাধীন একটি রাষ্ট্রে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। এরূপ অবস্থায় একজন রাজনৈতিক নেতা বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর নিকট একটি প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবে তার নিজ সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক রাষ্ট্রসমূহের দাবি জানানো হয়।
'ক' নামক রাষ্ট্র দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। পূর্ব অংশের সম্মোহনী নেতার সাথে সরকারের চরম বিরোধ শুরু হয়। সরকার জেল, জুলুম ও নির্যাতন শুরু করে। সম্মোহনী নেতা তাঁর বক্তৃতায় জনগণকে আকৃষ্ট করে আন্দোলনের ডাক দেন। সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে। পূর্ব অংশের ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, জনতা ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে স্বাধীনতা অর্জন করেন।
হাসানপুর গ্রামের 'Y' একজন শিক্ষিত, সৎ ও সাহসী ব্যক্তি। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে সোচ্চার। তিনি লক্ষ্য করলেন গ্রামের গরিব কৃষকরা সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তিনি কৃষকদের সামরিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তোলেন এবং সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।তিনি এ আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।