হিগস-বোসন

- সাধারণ বিজ্ঞান - ভৌতবিজ্ঞান | NCTB BOOK
1.5k
Summary

হিগস-বোসন (Higgs Boson) মহাবিশ্বে দুই ধরনের মৌলিক কণিকা রয়েছে: বোসন ও ফার্মিয়ন। চার ধরনের বল: মহাকর্ষ, তাড়ীৎচৌম্বকীয়, দুর্বল নিউক্লিয়ার বল, এবং শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল বিদ্যমান। এই বলসমূহ বলবাহক কণাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর হয়, যেমন গ্রাভিট্রন, ফোটন, ডব্লিউজেড, ও গ্লুয়ন। বোসন কণাগুলোর স্পিন পূর্ণ সংখ্যার এবং তারা বোস-আইনাস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে। সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং আলবার্ট আইনস্টাইন যৌথভাবে বোস-আইনাস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদানের জন্য পরিচিত। পিটার হিগস ১৯৬৪ সালে হিগস কণার ধারণা দেন, যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে এবং এটি হিগস বোসন নামে পরিচিত। হিগস বোসনকে মাঝে মাঝে 'ঈশ্বরের কণিকা' বলেও উল্লেখ করা হয়। মহাবিশ্বে আরও কিছু কণা যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন, এবং নিউট্রন রয়েছে, যাদের ফার্মিয়ন বলা হয় এবং যাদের স্পিন ভগ্নাংশ সংখ্যার। এ কণাগুলো ফার্মি-ডিরাক পরিসংখ্যান মেনে চলে।

হিগস-বোসন (Higgs Boson)

মহাবিশ্বে দুই ধরণের মৌলিক কণিকা আছে। যথা- বোসন ও ফার্মিয়ন। মহাবিশ্বে চার ধরনের বল রয়েছে। যথা- মহাকর্ষ, তাড়িৎচৌম্বকীয়, দুর্বল নিউক্লিয়ার বল এবং শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল। এ বল বা মিথষ্ক্রিয়াগুলো কার্যকর হয় বলবাহক কণাগুলোর আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে। বলবাহক এ কণাগুলো হচ্ছে গ্রাভিট্রন, ফোটন, ডব্লিউজেড ও গ্লুয়ন। কণাগুলোর সাধারণ নাম বোসন কণা। বোসনের একটি সাধারণ ধর্ম হচ্ছে স্পিন বা ঘূর্ণনবেগ পূর্ণ সংখ্যার। এই বোসন কণাগুলো বোস-আইনাস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে। ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু (Prof. M.N Bosh) আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন। অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু বৃহত্তর বাংলার তিন ‍শিক্ষায়তন ঢাকা, কলকাতা এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যৗালয়ের সাথে সম্পৃত্ত ছিলেন। ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস ১৯৬৪ সালে শক্তি হিসেবে এমন একটি কণার ধারণা দেন, যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে এবং এর ফলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। এই কণাটি হল হিগের কণা। হিগস কণাকে বিজ্ঞানে হিগস বোসন বলেই উল্লেখ করা হয়। কারণ হিগস কণা একটি বোসন কণা। এ কণিকাকে অনেকে মজা করে ঈশ্বরের কণিকাও বলে খ থাকেন। হিগস বোসন কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটি বিষয়। মহাবিশ্বে আরেক ধরণের কণা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন। এগুলোকে বলা হয় ফার্মিয়ন। ফার্মিয়নের স্পিন ভগ্নাংশ সংখ্যার। এ কণাগুলো ফার্মি-ডিরাক-ডিরাক পরিসংখ্যান মেনে চলে।

 

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...