Summary
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি বা স্পিড ব্যান্ডউইথের উপর নির্ভর করে, যা প্রতি সেকেন্ডে ডেটা স্থানান্তরের হার নির্দেশ করে। ব্যান্ডউইথ সাধারণত bit per second (bps) হিসেবে পরিমাপ করা হয়, তবে বর্তমানে kbps, Mbps, কিংবা Gbps আরও বেশি ব্যবহৃত হয়।
একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়ামের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, ফাইবার অপটিক ক্যাবেল টেলিফোনের তারের তুলনায় বেশি ব্যান্ডউইথ প্রদান করে। সঠিক টারমিনাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার না করলে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় না।
নেটওয়ার্কে একাধিক ব্যবহারকারী থাকায় ব্যান্ডউইথ ভাগ হয়ে যায় এবং কখনো কখনো একজন ব্যবহারকারী অধিক অংশ দখল করে অন্যদের শেয়ার কমিয়ে দেয়। প্রকৃত ব্যান্ডউইথ মাপার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এবং নেটওয়ার্ক ডিজাইন বা যন্ত্রপাতিতে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। এ কারণে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
টেবিলে বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, যা জানায় যে নির্দিষ্ট সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ না থাকলে সার্ভিসটি সঠিকভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
বর্তমান বিশ্বে আমাদের সবারই কম-বেশি ইন্টারনেট এবং তার গতি বা স্পিড সম্পর্কে একটি ধারণা আছে। এই ‘ইন্টারনেট' -এর গতি বা স্পিড তার ব্যান্ডউইথের উপর নির্ভরশীল। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে। ব্যান্ডউইথ সাধারণত bit per second (bps) -এ হিসাব করা হয়। তবে ইদানীং নেটওয়ার্কে অনেক স্ট্রিমিং ভিডিও বেশি ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় বলে বিপিএস (bps) - এর পরিবর্তে কেবিপিএস (kbps: প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার বিট) বা এমবিপিএস (Mbps: প্রতি সেকেন্ডে এক মিলিয়ন বিট) এমনকি জিবিপিএস ( Gbps: প্রতি সেকেন্ডে এক বিলিয়ন বিট) অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। আট বিটকে এক বাইট বলা হয় বলে অনলাইন HD মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং 4 Mbps এক MBps বলতে আট Mbps বোঝানো হয় ।
একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ সেখানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়মের উপর নির্ভর করে। যেমন মিডিয়ম হিসেবে সাধারণ টেলিফোনের তার ব্যবহার করলে যত ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়, ফাইবার অপটিক ক্যাবলে তার থেকে অনেক গুণ বেশি পাওয়া যায়। আবার ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সাথে যদি যথাযথ স্পীডের টারমিনাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা না হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ পাওয়া সম্ভব হয় না।
একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যেহেতু অনেকে ব্যবহার করে তাই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ সকল ব্যবহারকারীর মাঝে ভাগ হয়ে যায়। অনেক সময় একজন ব্যবহারকারী কিংবা একটি সার্ভিস ব্যান্ডউইথের একটা বড় অংশ দখল করে অন্যদের শেয়ার কমিয়ে দেয়। একটি নেটওয়ার্কে একজন ব্যবহারকারী কতটুকু প্রকৃত ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে সেটি মাপার নানা ধরনের পদ্ধতি রয়েছে, নেটওয়ার্কের ডিজাইনে কিংবা যন্ত্রপাতিতে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো বের করা সম্ভব। সে কারণে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট বর্তমান সময়ে অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
2.1 টেবিলে বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। কাজেই একজন ব্যবহারকারীর যদি নির্দিষ্ট একটি সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ না থাকে তাহলে তার পক্ষে সেই সার্ভিসটি সঠিকভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
Read more