বনভূমির পরিমান
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনভূমির প্রয়োজন মোট ভূমির ২.৫ শতাংশ।
- সরকারি হিসেবে দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৭ শতাংশ।
- জনপ্রতি বনভূমির পরিমাণ প্রায় ০.০২ হেক্টর মাত্র।
- বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ।
- বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে কম ।
- দেশে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বনভূমি আছে ৭ টি জেলায়। যথাঃ খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান।
- উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী রয়েছে ১০টি জেলায়। এর কাজ- জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গঠন করা হয়।
- রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই দেশের- ২৮ টি জেলায়।
- রাষ্ট্রীয় বনভূমি আছে দেশের ৩৫ টি জেলায় ।
জাতীয় বন
- টাইডাল বন বা স্রোতজ বন বা ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে সুন্দরবন।
- বাংলাদেশের জাতীয় বন সুন্দরবন।
- একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি সুন্দরবন।
- পৃথিবীর বৃহতম নদীভিত্তিক ব- দ্বীপ সুন্দরবন।
- বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬২%)।
- ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের (৭৯৮তম) অংশ হিসেবে ঘোষণা করে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে।
- সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল বন চকোরিয়া বনাঞ্চল, কক্সবাজার।
- এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি আছে বাগেরহাট জেলায়।
- অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল।
- সুন্দরবনের অবস্থান দেশের ৫টি জেলায়। যথাঃ খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
জেনে নিই
- বাংলাদেশের জাতীয় বন সুন্দরবনের আয়তন ৬০১৭ বর্গ কি.মি. (২৪০০ বর্গমাইল)।
- সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কি.মি. জুরে বিস্তৃত।
- বাংলাদেশে অবস্থিত সুন্দরবনের ৬২% আর ভারতে অবস্থিত সুন্দরবনের ৩৮%।
- সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ/টাইডাল/স্রোতজ বন।
- পৃথিবীর বৃহত্তম নদীভিত্তিক ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ)- সুন্দরবন।
- সুন্দরবন এককভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি এর প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী (৭০%)
- সুন্দরবন রামসার জলাশয়ের অন্তর্ভূক্ত হয় ১৯৯২ সালে (৫৬০তম)
- সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্য কটকা, দক্ষিণ নীলকমল ও পশ্চিম মান্দার বাড়িয়া।
- সুন্দরবন দিবস পালিত হয়- প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি।
- সুন্দরবনের বেশির ভাগ অংশ অবস্থিত বাগেরহাটে, সুন্দরবনের অপর নাম গরান বনভূমি।
- হাড়িয়াভাঙ্গা ও রায়মঙ্গল দুটি প্রধান নদী সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
- সুন্দরবনের অবস্থিত পয়েন্ট ৩ টি (হিরণ পয়েন্ট, জাফর পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট)
- দেশের ব্যবহৃত কাঠের শতকরা ৬০ ভাগ আসে সুন্দরবন থেকে।
- সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম পাগমার্ক (বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১১৪ টি)।
- বাংলার আমাজন ও সিলেটের সুন্দরবন হিসেবে পরিচিত রাতারগুল জলাশয় (সিলেটের গোয়াইনঘাট) ।
- সুন্দরবনকে World Heritage (বিশ্ব ঐতিহ্য) ঘোষণা করে UNESCO।
- UNESCO সুন্দরবনকে World Heritage (বিশ্ব ঐতিহ্য) ঘোষণা করে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে (৭৯৮তম) ।
Content added || updated By
Read more