Summary
১৯২০ সালে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে সার্বজনীন সংগঠনের প্রয়োজন অনুভবের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বিরতি ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা। কিন্তু ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাতিপুঞ্জ তার উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৬ সালে বিলুপ্ত হয়।
জাতিপুঞ্জের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- সদর দপ্তর: জেনেভা, সুুইজারল্যান্ড
- চুক্তিপত্র গৃহীত: ২৮ জুন, ১৯১৯
- প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১০ জানুয়ারি, ১৯২০
- মূল উদ্দেশ্য: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা
- সম্মেলন স্থান: ফ্রান্সের ভার্সাই নগরী
- প্রস্তাবক: উড্রো উইলসন
- মুখ্য সংগঠন: সাধারণ সভা, দপ্তর, পরিষদ
- লিগ অব নেশনস এর সদস্য: ৪২টি দেশ
- যুক্তরাষ্ট্র ছিল উদ্যোক্তা কিন্তু সদস্য নয়
- লিগ অব নেশনস আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত: ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬
Great War বা মহাযুদ্ধের পরে বিশ্ব নেতারা একটি সার্বজনীন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এভাবেই ১৯২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিপুঞ্জ। যুদ্ধ বিরতিসহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে জাতিপুঞ্জ তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে জাতিপুঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয় ১৯৪৬ সালে।
জেনে নিই
- জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর ছিল - জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) ।
- জাতিপুঞ্জের চুক্তিপত্র গৃহীত হয়- ২৮ জুন, ১৯১৯ সালে।
- জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়- ১০ জানুয়ারি, ১৯২০ সালে।
- প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
- জাতিপুঞ্জ গঠনের উদ্দেশ্যে সম্মেলন হয়- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে।
- ১৪ দফা উত্থাপন করেন- উড্রো উইলসন।
- জাতিপুঞ্জ যে চুক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল ১৪ দফা।
- জাতিপুঞ্জের মূল সংস্থা ছিল- তিনটি যথা: সাধারণ সভা, দপ্তর ও পরিষদ।
- যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ছিলেন জাতিপুঞ্জের প্রস্তাবক ।
- লীগ অব নেশনস এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল- ৪২টি দেশ।
- জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা হয়েও সদস্য ছিল না- যুক্তরাষ্ট্র।
- লীগ অব নেশনস আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়- ১৯৪৬ সালের ২০ এপ্রিল।