SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

Job

Probashi Kollyan Bank Ltd. Recruitment Test for Officer (Cash) || 2021

All Question

নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে খরস্রোতা উত্তাল পদ্মায় আজ বাংলাদেশের পর্ব। প্রমত্তা পদ্মায় ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু গড়েছে বাংলাদেশের নতুন এক দিগন্ত। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পরার সাথে প্রকৃতির বিরূপ নানামুখী সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ উঁচু করে কথা বলতে শিখেছে এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ। এই দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ কাজ ছিল এটি। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার এই সেতু এখন। বাংলাদেশের বড় সেতু। এই সেতু প্রমাণ করেছে বাঙালি জাতি আর পিছিয়ে নেই। নিজস্ব অর্থায়নে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে। 

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের নতুন পরিচেনা মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন উদ্ভাবনের মডেল। উন্নয়নশীল দেশ হতে যে তিনটি সূচকে দরকার হয়, তা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মূল্যায়নের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ ঘোষনা কার্যকর হবে ২০২৪ সালে। জাতিসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল উল্লিখিত তিনটি বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশকে এ ঘোষণা দিয়েছে। ডেভলপিং কান্ট্রি হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। শর্ত অনুযায়ী একটি দেশকে উন্নয়নশীল হতে হলে সেই দেশকে প্রথমত, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয়ত, মানবসম্পদের উন্নয়ন অর্থাৎ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে। আর তৃতীয়ত, অর্থনৈতিকভাবে ভরত না হওয়ার মাত্রা নামিয়ে আনতে হয় ৩২ শতাংশে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে এই সূচকটি ২৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

করোনার সার্বিক অভিদাত মোকাবিলার সক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বে বসবাস উপযোগী নিরাপদ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২০ তম। দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশ এই তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে নেই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য ব্লুমবার্গ বিশ্বে নভো করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণসহ অর্থনীতিতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখা দেশগুলোর যে ব্যাংকিং করেছে, সেখানে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাপী করার পর থেকে বিশ্বের ৫০টি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডে মহামারি মোকাবিলার সক্ষমতা দিয়ে ১০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই ব্যাংকিং করা হয়। এমনকি জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোও রয়েছে এই তালিকায় বাংলাদেশের পেছনে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমার বিরোধ নিষ্পত্তি একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই অর্জনের ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।  

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। সেখানে আরও ৭ লাখ মানুষকেও খেতে দিতে পারবো - জাতির জনকের কন্যার এই মন্তব্যই বিরল মানবিকতার প্রমাণ।  
ভারতের সঙ্গে হিটমহল বিনিময় আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী সফলতা। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় থাকা বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের বন্দিত্বের অবসান হয়। 

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের রয়েছে বেশ কিছু সফলতা। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনটি ছিল সময়োপযোগী। প্রধানমন্ত্রীকে ইউএন উইমেন প্লানেট ৫০-৫০ মাম্পিয়ন এবং এজেন্ট এর ভূষিত করা হয়। এছাড়া ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর পা এবং গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ ২০১৮ পুরস্কারে ভূষিত হন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০ উন্নিতকরণ, উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি, ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী আসন ব্যবস্থা ছিল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৫ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। নারী উদ্যোক্তা ও ক্ষমতায়নে উৎসাহিতকরাণে ভাগ্নিতা পুরস্কার তৃণমূলে একারনের প্রতিযোগিতা তৈরি করেছে। তথ্য আপা প্রকল্পটিও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকনা ভূমিকা রাখছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ নয় মোবাইল এপস যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ ছিল দৃশ্যমান। ১১ মে ২০১৮ বাংলাদেশের জন্য ছিল এক ঐতিহাসিক দিন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। তথ্য প্রযুক্তি ও সফটওয়ার শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম এই খাতকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাইটেক পার্ক, টেকনোলজি পার্ক, টেনিং ইনস্টিটিউট যুবকদের কর্মসংস্থানে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সরকারি দপ্তরে ২৫ হাজারেরও অধিক ওয়েবসাইটকে একই স্থানে নিচে আনার কার্যক্রমটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এই জাতীয় তথ্য বাতায়ন ২০১৫ সালে দ্য ওয়ার সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কারে ভূষিত হন। তথ্য প্রযুক্তির সেবা তনমূলে পৌঁছে দেয়া ছিল অভূতপূর্ব। সারা দেশের প্রায় ৪৫৪৭টি ইউনিয়ন, ৩২৫টি পৌরসভা এমনকি প্রতিটি সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ভিত্তিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন ডিজিটাল বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের হাতের নাগালে পৌছানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনাধিকার প্রকল্প কমিউনিটি ক্লিনিক যুগান্তকারী সফলতা এনে দিয়েছে। সারাদেশে বর্তমানে সাড়ে ১০ হাজার ক্লিনিক চালু রয়েছে। স্বাস ব্যবহারে সাউথ সাউথ এওয়ার্ড ২০১১ অর্জন। টিকাদান কর্মফল ২০০৯ সালে এবং ২০১২ সালে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর প্র্যাকসিন এন্ড ইমানাইজেশন শ্রেষ্ঠ এওয়ার্ড অর্জন। অগ্রিম ও প্রযুবিকাশজনিত সমস্যার সমাধানে ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিসর্ডার এন্ড অটিকান স্থাপন। মূলত ২০১৬ সালে ন্যাশনাল স্ট্যাটেজি কান প্লান অন আটগ্রাম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস বাস্তবায়নে নানামুখী পদক্ষেপ ছিল প্রশংসনীয়। 

জলবায়ু প্রভাবজনিত প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশ দ্য গ্লোবাল গ্রিন ওয়ার্ড ২০১৪ অর্জন করে। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ- কমিটিকে ওয়ার্ল্ড এনভায়রনমেন্ট ডে হিরো' পুরস্কার দিয়েছে জাতিসংঘ । শুধু ২০২০ সালেই বন ও পরিবেশ উপ কমিটি সারাদেশে প্রায় ১ কোটিরও বেশি গাছের চারা রোপন করে। অর্থনীতির চালিকাশক্তি বৃদি বাণিজ্যিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪.১১ শতাংশ। কৃষিক্ষেতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজির দাদন ব্যবহারের ফলে কর্নেল ইউনিভার্সিটি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এওয়ার্ড ২০১৪ প্রদান করে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইডিবি প্রাইজ ২০১৬ অর্জন করে। কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাইলেয়াইশন, ই কৃষি প্রবর্তন, কৃষি কল সেন্টার, কৃষকের জানালা, কৃষি তথ্য বা প্রকৃতি অপূর্ব ভূমি রেখেছে কৃষির সম্প্রসারণে। কবি নীতি ২০১৮ একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। 

২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল একটি বাড়ি একটি আমার পল্লী উন্নয়নের এক কার্যকর মডেল। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। শট স্যাকে উৎসাহিত করতে রয়েছে পনপদের মানুষকে দারিদ্রতার বেড়াজাল থেকে উত্তরণের পথ সুগম করে দিয়েছে। যুব উন্নয়নে বেশ কিছু কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে ঘোষণা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া হয়েছে, তার বাস্তবায়নে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বেশ আলোচিত ছিল। বর্তমানে এই সার্ভিস সারাদেশে রয়েছে। যা যুবকদের দক্ষ ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য তৈরি করার অনন্য এক সুযোগ করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ জাপানের দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফাইল সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। 

10 months ago