ট্রানজিট কী? ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ট্রানজিট বলতে বুঝায় একটি রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী কোন রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে আরেকটি রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ। যেমন: বাংলাদেশের পণ্য যদি ভারতের মধ্য দিয়ে নেপালে সরবরাহ করা হয় তবে সেটা হবে ট্রানজিট বাণিজ্য।
ট্রানজিটের সুবিধাঃ
আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়াঃ আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এগিয়ে গেছে। পৃথিবীর কিছু কিছু দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং সেই সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। কিছু দেশ আছে যারা ভৌগলিক অবস্থানগত বিশেষ সুবিধা ভোগ করে এবং তা ব্যবহার করে তাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাণিজ্যিক লাভঃ ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে প্রতি টনে একটি সার্ভিস চার্জ পাওয়া যায় যা দেশের জন্য একটি বাণিজ্যিক কর হিসেবে আদায়কৃত অর্থ। যার ফলে জাতীয় আয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
পরিবহন খরচ হ্রাসঃ যেসকল দেশ ট্রানজিট সুবিধা গ্রহণ করে তারা তাদের পণ্য কম খরচে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবহন করতে পারে। ফলে অন্যদেশ সে সকল পণ্য কমদামে ক্রয় করতে পারে।
ট্রানজিটের অসুবিধাঃ
অবকাঠামোগত ক্ষতিঃ ট্রানজিটের ফলে এক দেশ অন্য দেশের পরিবহন ব্যবস্থাগ্রহণ করে ফলে ট্রানজিট দাতা দেশের পরিবহন খাতের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়। এছাড়াও ট্রানজিট প্রদান করার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হয় যার জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।