Back up প্রোগ্রাম বলতে কী বোঝানো হয়?

Created: 6 years ago | Updated: 1 month ago

প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামের রচয়িতা
ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অগাস্টা অ্যাডা বায়রনকে প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামের রচয়িতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
 

কম্পিউটারের ভাষা
কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র । ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটারের ভাষা। গণিতের বাইনারি পদ্ধতিতে যে কোনাে সংখ্যাকে ১ এবং ০ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। এরূপ বাইনারি যে কোনাে সংখ্যাকে ইলেক্ট্রনিক অন/অফ করে প্রকাশিত ভাষাই হলাে ইলেকট্রনিক ল্যাঙ্গুয়েজ বা কম্পিউটারের ভাষা। বাইনারি হলাে এমন সংখ্যা পদ্ধতি, যাতে যে কোনাে সংখ্যাকে ০ এবং ১ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। যেমন, ২৯ কে ১১১০১ দ্বারা, ২০৩ কে ১১০০১০১১ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। এভাবে যে কোনাে সংখ্যাকে ১ এবং ০ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। কম্পিউটার কেবল ইলেকট্রনিক সংকেত অর্থাৎ সার্কিটে বিদ্যুৎ আছে কি নেই তা বােঝে। অর্থাৎ কম্পিউটার শুধু দুটি অবস্থা বােঝে। বাইনারি 1 দ্বারা বিদ্যুৎ আছে (On) এবং 0 দ্বারা। বিদ্যুৎ নেই (Off) এর উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের ভাষা তৈরি করা হয়েছে। এভাবে যে কোনাে শব্দ বা চিহ্ন কম্পিউটারকে বােঝার উপযােগী করে অর্থাৎ ০ এবং ১ এ রূপান্তরিত করে। দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ এ।


প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
মেশিনের ভাষায় বিদ্যুতের অনুপস্থিতিকে ০ এবং উপস্থিতিকে ১ ধরা হয়। কিন্তু ০ এবং ১ দিয়ে লেখা মানুষের পক্ষে বুঝা কঠিন। প্রাথমিক পর্যায়ে কম্পিউটারের জন্য এ কঠিন কাজটি করতে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মানুষ কম্পিউটারকে মানুষের ভাষার কাছাকাছি কিছু শব্দ চেনাতে সক্ষম হয়েছিল। এ রকম কৃত্রিমভাবে তৈরী করা ভাষা দিয়ে প্রণীত নির্দেশাবলি কম্পিউটার বুঝতে পারে। এ ভাষাকে বলা হয় প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কম্পিউটার দিয়ে সহজে কোনাে সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারকে তার নিজস্ব বােধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদান করতে হয়। কম্পিউটারের নিজস্ব ও বােধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী শব্দ, বর্ণ, সংকেত ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট বিন্যাস হচ্ছে প্রােগ্রাম। প্রোগ্রামে ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ, সংকেত ইত্যাদি নির্দিষ্ট গঠনে তৈরি হয় প্রােগ্রামের ভাষা।


বিভিন্ন স্তরের প্রােগ্রামের ভাষা
প্রােগ্রামের ভাষাকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পাঁচটি স্তরে (Level) বা প্রজন্মে (Generation) ভাগ করা যায়। যথা-
ক. প্রথম প্রজন্ম ভাষা (১৯৪৫) : মেশিন ভাষা (Machine Language);
খ. দ্বিতীয় প্রজন্ম ভাষা (১৯৫০) : অ্যাসেম্বলি ভাষা (Assembly Language);
গ. তৃতীয় প্রজন্ম ভাষা (১৯৬০) : উচ্চতর বা হাই লেভেল (High Level) ভাষা।
ঘ. চতুর্থ প্রজন্ম ভাষা (১৯৭০) : অতি উচ্চতর বা ভোর হাই লেভেল (Very High Level) ভাষা ও
ঙ. পঞ্চম প্রজন্ম ভাষা (১৯৮০); স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল (Natural) ভাষা।

Content added By

Related Question

View More