Summary
১৮৫৬ সালে এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দুকের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে ব্যবহার করতে হতো। গুজব ছিল যে, এই কার্তুজ গরু ও শুয়োরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে হিন্দু ও মুসলমান সৈনিকদের মধ্যে ধর্মের ক্ষতির ধারণা তৈরি হয়। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরে সিপাহী মঙ্গলপান্ডে এই কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আক্রমণ করেন।
সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৮৫৭ সালে, এর নেতা ছিলেন হাবিলদার রজব আলী ও মঙ্গল পাণ্ডে। সিপাহী বিদ্রোহে সমর্থন দেওয়ার কারণে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তাকে রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়। ১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ইস্ট ইন্ডিয়ার কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৮৫৬ সালে এনফিল্ড নামক এক প্রকার রাইফেল ব্যবহার শুরু হয়। এই বন্দুকের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে ব্যবহার করতে হতো। গুজব রটে যে, এই বলুকের কার্বুজ গরু ও শুয়োরের চর্বি নিয়ে তৈরী। হিন্দু-মুসলমান সৈনিকদের মনে ধারণা জন্মে যে, তাদের ধর্ম বিনষ্ট করার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের দমদমে সিপাহি মঙ্গলপান্ডে কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আক্রমণ করেন।
জেনে নিই
- সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৭৫৭ সালে।
- সিপাহী বিদ্রোহের নেতা হাবিলদার রজব আলী ও মঙ্গল পান্ডে।
- সিপাহী বিদ্রোহ সমর্থন করার ক্ষমতাচ্যুত হন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ।
- দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসন দেওয়া হয়- রেঙ্গুনে (মিয়ানমার)।
- ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়ার নিকট থেকে ক্ষমতা গ্রহন করে রানী ভিক্টোরিয়া স্বয়ং।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Read more