ক্রিয়ার কাল ও ভাব

- বাংলা বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ) | - | NCTB BOOK
949
949
Please, contribute by adding content to ক্রিয়ার কাল ও ভাব.
Content

ক্রিয়ার কাল

944
944

কাল : ক্রিয়া সংঘটনের সময়কে কাল বলে।

১. আমরা বই পড়ি। ‘পড়া’ ক্রিয়াটি এখন অর্থাৎ বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে।

২. কাল তুমি শহরে গিয়েছিলে। ‘যাওয়া’ ক্রিয়াটি পূর্বে অর্থাৎ অতীতে সম্পন্ন হয়েছে।

৩. আগামীকাল স্কুল বন্ধ থাকবে। ‘বন্ধ থাকা' কাজটি পরে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে। সুতরাং, ক্রিয়া, বর্তমান, অতীত বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্দেশই ক্রিয়ার কাল। এ হিসেবে ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন প্রকার : ১. বর্তমান কাল, ২. অতীত কাল এবং ৩. ভবিষ্যৎ কাল।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধ্বনিতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব
ছন্দতত্ত্ব

বর্তমান কাল

711
711

বর্তমান কাল  :-

যে ক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয় বা হচ্ছে বুঝায়, তাকে বর্তমান কাল বলে। যেমন:

আমি পড়ি।

সে যায়।

কাকলি দৌড়ায়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাধারন বর্তমান
নিত্যবৃত্ত বর্তমান
ঘটমান বর্তমান
পুরাঘটিত বর্তমান

সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল

585
585

নিত্য বা সাধারণ বর্তমান :-

সাধারণভাবে যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটে, বা নিত্যই ঘটে, তাকে বলা হয় নিত্য-বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর সঙ্গে ই, অ, এন, ইস্, এ ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

সে হাসে। আমি পড়ি। সূর্য ওঠে। মানুষ মরে। বাতাস বয়।

 

Content added By

ঘটমান বর্তমান কাল

456
456

ঘটমান বর্তমান :-

বর্তমানে যে ক্রিয়ার কাজ আরম্ভ হয়েও শেষ হয়নি, অর্থাৎ যে-ক্রিয়ার কাজ এখনও চলছে, তাকে বলা হয় ঘটমান বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইতেছে’ (ছে), ইতেছ (ছ), ইতেছি (ছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। সাধুভাষায় ইতেছে, ইতেছ, ইতেছি এবং চলিতভাষায় ছে, ছ, ছি প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। যদিও বর্তমানে চলিতভাষা প্রাধান্য পেয়েছে, তবুও সাধুভাষায় ক্রিয়া-বিভক্তির রূপগুলি জানা প্রয়োজন।

 

বন্ধনীর মধ্যে চলিতভাষার ক্রিয়ারুপ দেখানো হয়েছে। যেমন :

সে হাসিতেছে (হাসছে)‌।

তুমি কাঁদিতেছ, (কাঁদছ)।

আমি পড়িতেছি (পড়ছি)।

সূর্য উঠিতেছে (উঠছে) ইত্যাদি।

Content added By

পুরাঘটিত বর্তমান কাল

427
427

পুরাঘটিত বর্তমান :-

কিছুক্ষণ পূর্বে যে ক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে, অথচ যার ফল এখনও বর্তমান, তার কালকে বলা হয় পুরাঘটিত বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছে (এছে), ইয়াছ (আছ), ইয়াছি (এছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন : 

সে হাসিয়াছে (হেসেছে)।

তুমি কাঁদিয়াছ (কেঁদেছ)‌।

আমি পড়িয়াছি (পড়েছি) ইত্যাদি।

Content added By

অতীত কাল

1k
1k

ক্রিয়া আগেই সম্পন্ন হয়েছে, তার কালকে অতীত কাল বলে। যেমন:

আমি তাকে দেখেছিলাম।

গতকাল ঢাকা গিয়েছিলাম।

মা রান্না করছিলেন।

অতীত কালের প্রকারভেদ :-

অতীত কালকে চারভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন -

১.নিত্য-অতীত;

২. ঘটমান অতীত;

৩. পুরাঘটিত অতীত এবং

৪. নিত্যবৃত্ত-অতীত।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সামাজিক- অর্থনৈতিক
সামাজিক- রাজনৈতিক
সামাজিক-মানসিক
সামাজিক- সাংস্কৃতিক
চোখের আলোয় দেখেছিলাম
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
গাইতাম গীত শুনি কোকিলের ধ্বনি
বেলা যে পড়ে এল
সাধারণ অতীত কাল
ঘটমান অতীত কাল
পুরাঘটিত অতীত কাল
নিত্তবৃত্ত অতীত কাল
সাধারণ অতীতকাল
ঘটমান অতীতকাল
পুরাঘটিত অতীতকাল
নিত্যবৃত্ত অতীতকাল

সাধারণ অতীত কাল

666
666

নিত্য বা সাধারণ অতীত :-

সাধারণভাবে যে-ক্রিয়ার কাজ পূর্বে অর্থাৎ, অতীতে সম্পূর্ণ হয়েছে তার কালকে বলা হয় নিত্য-অতীত। এতে নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ থাকে না। তবে বাক্য থেকে বুঝা যায় যে, এই শ্রেণির কাজ খুব বেশি পূর্বে নিষ্পন্ন হয়নি।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইলাম (লাম), ইলে (লে), ল প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিল (গাইল)। 

আমি একটি গল্প লিখিলাম (লিখলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিলেন (এলেন)।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিত্যবৃত্ত অতীত কাল

355
355

নিত্যবৃত্ত অতীত :

পূর্বে যে ক্রিয়ার কাজ কিছুকাল ধরে চলত বা নিয়মিত ভাবে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হত, তার কালকে বলা হয় নিত্যবৃত্ত অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইত (-ত), ইতাম (-তাম), ইতে (-তে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

প্রত্যহ সকালে হেনা সঙ্গীতচর্চা করিত (রোজ সকালে হেনা গানের রেওয়াজ করত)। 

আমি যখন ঘুম হইতে উঠিতাম (আমি যখন ঘুম থেকে উঠতাম)। 

বাবা তখন প্রাতর্জ সারিয়া বাড়িতে ফিরিতেন।

Content added || updated By

ঘটমান অতীত কাল

554
554

ঘটমান অতীত কাকে বলে :-

পূর্বে যে-ক্রিয়ার কাজ হচ্ছিল এবং তখনও যা সম্পূর্ণ হয়নি, তার কালকে বলা হয় ঘটমান অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে- ইতেছিলাম (ছিলাম), -ইতেছিলে (ছিলে). ইতেছিল (ছিল) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিতেছিল (গাইছিল, গাচ্ছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিতেছিলাম (লিখছিলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিতেছিলেন (আসছিলেন)।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুরাঘটিত অতীত কাল

582
582

পুরাঘটিত-অতীত :

অনেক পূর্বেই যে ক্রিয়ার কাজ ঘটেছিল, তাকে বলা হয় পুরাঘটিত-অতীত।

এই ঝাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছিল (এছিল), ইয়াছিলাম (এছিলাম), ইয়াছিলে (-এছিলে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিয়াছিল (গেয়েছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিয়াছিলাম (লিখেছিলাম)। 

তখন বাবা বাজার থেকে আসিয়াছিলেন (এসেছিলেন)।

Content added By

ভবিষ্যৎ কাল

720
720

ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে :-

যে ক্রিয়া আগামীতে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে এমন বোঝায়, তার কালকে ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন:

বৃষ্টি আসবে।

সীমা কাল গান গাইবে।

পার্থ নাচবে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আমি হব সকাল বেলার পাখি
তুমি বোধ হয় কঠিন অঙ্কটা বুঝবে
আমিনা কথা বলতে থাকবে
আমার ছোট ভাই লিখছে
চেষ্টা কর বুঝতে পারবে
সদা সত্য কথা বলতে হবে
রোগ হলে ঔষধ খেতে হবে
কোনটিই নয়

সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল

435
435

সাধারণ ভবিষ্যৎ :-

পরে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে ক্রিয়ার কাজ অনুষ্ঠিত হবে, তার কালকে বলা হয় সাধারণ ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে হবে -ইব (-ব), (-বে) ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

কাল পরীক্ষা হইবে (হবে)। 

আমি তোমার গান শুনিব (শুনব)। 

বাবা বেড়াইতে যাইবেন (বেড়াতে যাবেন)।

Content added By

ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল

353
353

ঘটমান ভবিষ্যৎ :-

পরে যে ক্রিয়া ঘটতে থাকবে, তার কালকে বলা হয় ঘটমান-ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে মূল ধাতুর শেষে-ইতে (-তে) ক্রিয়া-বিভক্তি এবং তার পরে আছ (থাক্) ধাতুর সাথে -ইব (-ব), ইবে (-বে), ইবি (-বি) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

সে তখন হাঁটিতে থাকিবে (হাঁটতে থাকবে)। 

আমি যখন লিখিতে থাকিব (লিখতে থাকব)।

পাশের বাড়িতে তখন কাসরঘণ্টা বাজিতে থাকিবে (বাজতে থাকবে)।

Content added By

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল

568
568

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ :-

পূর্বে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকবে, তার কাল হয় পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ। যেমন :

আপনি সেদিন আমাকে ভুল বুঝিয়া থাকিবেন (বুঝে থাকবেন)। সেই হয়তো লিখিয়া থাকিবে (লিখে থাকবে) ইত্যাদি।

 

Content added By

ক্রিয়ার ভাব

1k
1k

ক্রিয়ার ভাবের সংজ্ঞা : যা দ্বারা ক্রিয়াপদের বর্ণিত কার্য ঘটার ধরন, প্রকার বা রীতিবোধ প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব বা ধরন বলে।

অথবা, যা দ্বারা কোনো কাজ সংঘটিত হওয়ার ভাব অর্থাৎ রীতি প্রকাশ পায় তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে।

ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ : ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব চার ভাগে বিভক্ত। যথা–

(১) নির্দেশক ভাব

(২) অনুজ্ঞা ভাব

(৩) শর্তবাচক ভাব

(৪) আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব

Content added By

নির্দেশক ভাব

415
415

নির্দেশক বা অবধারক ভাব : সাধারণভাবে কোনো কিছু নির্দেশ করলে তখন তাকে ক্রিয়াপদের নির্দেশক ভাব বলে। যেমন– “অর্থ, হায়রে পাতকী অর্থ, তুই জগতের সকল অনর্থের মূল।”

যারা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করে তারা মুসলমান।

Content added By

অনুজ্ঞা ভাব

434
434

অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব : যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, উপদেশ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা, কামনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে তাকে ক্রিয়া পদের অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব বলে। যেমন– এখন পড়। সদা সত্য কথা বলবে। গোলমাল করো না। সুখে থাক।

Content added By

সাপেক্ষ ভাব

411
411

শর্তবাচক বা সাপেক্ষ ভাব : কোনো বাক্যে একটি ক্রিয়া শর্তের ওপর নির্ভর করে সম্পাদিত হলে তাকে ক্রিয়াপদের শর্তবাচক ভাব বলে। যেমন– প্রভু, এমন শক্তি দাও যাতে জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারি। পরিশ্রম করলে তোমরা অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে।

Content added By

আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব

346
346
Please, contribute by adding content to আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব.
Content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion