মাছের কৌটাজাতকরণের ধাপসমূহ
১. কাঁচামাল প্রস্তুতি
- মাছ সংগ্রহ: তাজা মাছ নির্বাচন করা হয়, যা উচ্চমান বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
- পরিষ্কারকরণ: মাছের আঁশ, নাড়িভুঁড়ি, এবং মাথা অপসারণ করে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া হয়।
- কাটা এবং শ্রেণীবিন্যাস: নির্দিষ্ট আকারে মাছ কাটা হয় এবং মান অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।
২. ব্লাঞ্চিং বা প্রি-কুকিং
- ব্লাঞ্চিং: মাছের মাংস নরম করা, জীবাণুমুক্ত করা এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্লাঞ্চিং করা হয়। এটি গরম পানি বা বাষ্প দিয়ে করা হয়।
- ঠান্ডা করা: ব্লাঞ্চিংয়ের পর মাছ দ্রুত ঠান্ডা পানিতে রাখা হয়।
৩. কৌটায় ভরা
- কৌটাসামগ্রী প্রস্তুতি: স্টেরিলাইজড কৌটা বা টিন ব্যবহার করা হয়।
- মাছ ভরা: কৌটায় নির্দিষ্ট পরিমাণে মাছ ভরা হয়।
- লিকুইড ফিলিং: মাছের সাথে সাধারণত তেল, লবণ পানি, বা টমেটো সস যোগ করা হয়।
৪. এয়ার সিলিং
- কৌটাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে সিল করে বায়ু মুক্ত করা হয়। এয়ার সিলিং জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করে।
৫. তাপ প্রক্রিয়াকরণ (স্টেরিলাইজেশন)
- অটোক্লেভিং: ১১৫-১২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি কৌটার অভ্যন্তরে থাকা সকল জীবাণু ধ্বংস করে।
৬. ঠান্ডা করা
- প্রক্রিয়ার পর কৌটা দ্রুত ঠান্ডা করা হয়। এতে পুষ্টি এবং গুণগত মান বজায় থাকে।
৭. লেবেলিং এবং সংরক্ষণ
- লেবেলিং: কৌটায় প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং উপাদান উল্লেখ করা হয়।
- সংরক্ষণ: কৌটা শুকনো এবং শীতল স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
মাছের কৌটাজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ
- মান নিয়ন্ত্রণের জন্য HACCP বা ISO মান অনুসরণ করা হয়।
- তাপমাত্রা এবং প্রক্রিয়ার সময় সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এভাবে মাছের কৌটাজাতকরণ পদ্ধতি সম্পন্ন করে দীর্ঘমেয়াদে পুষ্টি ও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব।
Content added By
Read more