Summary
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স একটি রাসায়নিক ব্যালেন্স যা 1866 সালে জার্মান প্রকৌশলী Paul Bunge দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। এটি 0.0001g পর্যন্ত ওজন পরিমাপ করতে সক্ষম।
ব্যালেন্স ব্যবহারের পদ্ধতি:
- নিকটিটি ভূমির সমান্তরালে আছে কিনা স্পিরিট লেভেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে হয়।
- বক্সের সামনের গ্লাস তোলা হয় এবং পাল্লার স্থিতি পরীক্ষা করা হয়।
- ওজন বক্স থেকে 5mg অথবা 10mg রাইডার তুলাদণ্ডের শূন্য (0) দাগে রাখা হয় এবং হ্যান্ডল ঘোরানো হয়।
এই পদ্ধতিগুলি সম্পন্ন হলে রাসায়নিক বস্তুর ওজন পরিমাপ করা যেতে পারে।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স
যে রাসায়নিক ব্যালেন্সে তুলাদণ্ডে বাম পাশে শূণ্য দাগ হতে ডানপাশে 100 টি পর্যন্ত দাগ থাকে তাকে পল বুঙ্গি ব্যালেন্স বলে। পল বুঙ্গি ব্যালেন্সটি 1866 খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৌশলী Paul Bunge আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে ব্যালেন্সটির নাম পল বুঙ্গি রাখা হয়েছে। পল বুঙ্গি ব্যালেন্সের সাহায্যে সর্বনিম্ন 0.0001g পর্যন্ত ওজন পরিমাপ করা যায়।
কেবলমাত্র প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ওজন গ্রাম এককের দশমিক চতুর্থ স্থান পর্যন্ত সঠিকভাবে নেয়ার জন্য কেমিক্যাল ব্যালেন্স বা রাসায়নিক নিক্তি ব্যবহৃত হয়। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে এটির ওপরের বিম বা তুলাদণ্ডকে একশত (100) ভাগে ভাগ করে বাম প্রান্তের দাগে শূন্য (0) ও ডান প্রান্তের দাগে একশত (100) চিহ্নিত থাকে। বা রাইডারকে শূন্য (0) দাগে রেখে ব্যালেন্সের সমতা করা হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের পূর্ণ ব্যবহার বিধি নিম্নরূপ-
প্রথমত নিক্তিটি ভূমির সমান্তরালে আছে কিনা তা স্পিরিট লেভেল বা দোলক দেখে জেনে নিতে হয়। যদি ভূমির সমান্তরালে না থাকে তখন স্পিরিট লেভেলের ভেতরের বুদ্বুদ্ মাঝখানে থকবে না অথবা দোলকের সূঁচালো মুখ ও স্তম্ভের সাথে যুক্ত সূঁচালো মুখ দুটি বরাবর থাকে না। তখন নিক্তিটিকে ভূমির সমান্তরাল করার প্রয়োজন হয়। এজন্য বেদীর সাথে যুক্ত অ্যাডজাস্টিং স্ক্রু ঘুরিয়ে এবং স্পিরিট লেভেল দেখে ব্যালেন্সের বেদীকে ভূমির সমান্তরাল করা হয়।
দ্বিতীয়ত কাচের বক্সের সামনের গ্লাসটিকে ওপর দিকে তোলা হয়। নিক্তিটির স্থির অবস্থায় পাল্লায় কিছু আছে কিনা দেখে নিতে হয়। পাল্লা দুটি পরিষ্কার থাকলে নিক্তির হ্যান্ডল ঘুরিয়ে মাঝখানের পয়ন্টার কাটাটি মূল স্কেলের শূন্য (0) দাগের উভয় দিকে সমান সংখ্যক দাগ অতিক্রম করে দোলে কিনা অথবা ব্যালেন্সটি স্থির হলে পয়ন্টার স্কেলের শূন্য (0) দাগে স্থির থাকে কিনা দেখে নিতে হয়। যদি শূন্য (0) দাগে পয়ন্টার স্থির হয়, তবে নিক্তিটি সমতা অবস্থায় আছে। সমতা অবস্থায় নিক্তি না থাকলে তখন তুলাদণ্ডের দু'পার্শের স্ক্রু ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে সমতায় আনতে হয়। শেষে হ্যান্ডল ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে স্থির অবস্থায় রাখা হয়।
তৃতীয়ত ওজন বক্স থেকে 5mg অথবা 10mg রাইডার চিমটার সাহায্যে নিয়ে স্থির অবস্থায় থাকা নিক্তির তুলাদণ্ডের শূন্য (0) দাগের ওপর রাখতে হয় এবং হ্যান্ডল ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে সচল করা হয়। এবার নিক্তির তুলাদণ্ডের ডান প্রান্তের স্ক্রু ঘুরিয়ে নিক্তির পয়ন্টারকে মূল স্কেলের শূন্য (0) দাগে আনতে হয়। এ অবস্থায় পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে রাসায়নিক বস্তু ওজন করা যেতে পারে। এরপর রাইডার ধ্রুবক গণনা করে বস্তুর ওজন গ্রহণ করা হয়।
Read more