হাইড্রোজেন বর্ণালি তৈরি হয় যখন একটি হাইড্রোজেন অ্যাটম অথবা একাধিক হাইড্রোজেন অ্যাটম পরবর্তী অ্যাটমের সাথে চুম্বক বন্ধনের মাধ্যমে বিজারণ করে। হাইড্রোজেন বর্ণালির গঠনে সাধারণত একটি হাইড্রোজেন অ্যাটম মোলেকুলের সাথে বন্ধন গঠন করে, যা মোলেকুলার হাইড্রোজেন নামে পরিচিত।
হাইড্রোজেন বর্ণালি তৈরি হতে পারে অনেক পদ্ধতিতে, তবে সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হল নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াতে, অতি উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশে হাইড্রোজেন মোলেকুল অথবা আয়টোম একসাথে সংঘটিত হয় এবং একটি নতুন মোলেকুল তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে, অতি বৃহত্তম শক্তির উপকরণ বের হয়, যা অংশগ্রহণকারী হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে রক্ষারক্ষী নিউক্লিয়ার বন্ধনের মাধ্যমে উত্সর্গ হয়। এই প্রক্রিয়ায় বের হওয়া উপকরণ শক্তির একটি অংশ প্রকাশ করে, যা আমরা পরিবাহী শক্তি হিসাবে ব্যবহার করি।
হাইড্রোজেন বর্ণালির অন্যান্য উৎপাদনের পদ্ধতিতে সহজেই উল্লিখিত নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যবহৃত হতে পারে, এটি পরিবেশে সংগ্রহশীল হাইড্রোজেন অণুগুলির সাথে প্রতিকূল সংঘটিত হতে পারে, যা মাধ্যমে হাইড্রোজেন ইলেক্ট্রন হারায় এবং নিউক্লিয়ার মধ্যে বন্ধনের ফলে বর্ণালি তৈরি হয়।
সরলতার দৃষ্টিতে, হাইড্রোজেন বর্ণালি সৃষ্টি হয় যখন হাইড্রোজেন অ্যাটম বা মোলেকুল অন্যান্য অণুগুলির সাথে চুম্বক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়।
বোরের পরমাণু মডেলের অনেক সফলতা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা গুলি নিম্নরূপঃ
১. বোর পরমাণু মডেল এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুসমূহের বর্ণালী ... ্যাখ্যা করতে পারে না।
২. বোরের পরমাণু মডেল হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির পরিপন্থী।
৩. এ মডেল ইলেকট্রনের কণা ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারলেও তরঙ্গ ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪. এক শক্তিস্তর হতে অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটলে বোর পরমাণু মডেল অনুসারে বর্ণালীতে একটি করে রেখা সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখা গেছে প্রতিটি রেখা একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত। এর ব্যাখ্যা বোর মডেল দিতে পারেনা।
৫. বোরের পরমাণু মডেল হতে পরমাণুর ত্রিমাত্রিক কাঠামো সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না।
বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ মডেল পরমাণু স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে।
এজন্য বোর পরমাণু মডেল সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।