Green Chemistry এর মূল লক্ষ্য কী? এর পাঁচটি নীতিমালা উল্লেখ কর।
মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করে বা কোনো ক্ষতি সাধন না করে স্বল্প খরচে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাঙ্খিত উৎপাদ তৈরিই Green Chemistry এর মূল লক্ষ্য।
নীতিমালা:
১. বর্জ্য নিবারন: কল-কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্য পরিষ্কার করার পরিবর্তে বর্জ্য যাতে উৎপন্ন না হয় এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিক্রিয়া ডিজাইন করতে হবে।
২. পারমানবিক মিতব্যায়িতা: উৎপাদ গঠন সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া এমন হতে হবে যাতে সর্বোচ্চ পরিমান বিক্রিয়ক বিক্রিয়া করে সর্বোচ্চ উৎপাদ গঠন করে।
৩. কম ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ সংশ্লেষণ: শিল্প-কারখানায় সংশ্লেষণ পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে কম ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন হয়।
৪. নবায়নযোগ্য কাঁচামাল ব্যবহার: শিল্প-কারখানায় এমন কাঁচামাল ব্যবহার করা উচিত যা নবায়নযোগ্য ।
৫. প্রভারন: বিক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট এবং উপযুক্ত প্রভাবক ব্যবহার করতে হবে যাতে কম সময়ে অধিক উৎপাদ পাওয়া যায়।
বোরের পরমাণু মডেলের অনেক সফলতা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা গুলি নিম্নরূপঃ
১. বোর পরমাণু মডেল এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুসমূহের বর্ণালী ... ্যাখ্যা করতে পারে না।
২. বোরের পরমাণু মডেল হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির পরিপন্থী।
৩. এ মডেল ইলেকট্রনের কণা ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারলেও তরঙ্গ ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪. এক শক্তিস্তর হতে অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটলে বোর পরমাণু মডেল অনুসারে বর্ণালীতে একটি করে রেখা সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখা গেছে প্রতিটি রেখা একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত। এর ব্যাখ্যা বোর মডেল দিতে পারেনা।
৫. বোরের পরমাণু মডেল হতে পরমাণুর ত্রিমাত্রিক কাঠামো সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না।
বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ মডেল পরমাণু স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে।
এজন্য বোর পরমাণু মডেল সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।