Academy

একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করা হলো । এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। । উক্ত রাষ্ট্রের আইন সভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায় ।

অলিখিত সংবিধান বলতে কী বোঝায় ।

(অনুধাবন)

Created: 2 years ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

যে সংবিধানের অধিকাংশ নিয়ম কোনো দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না তাকে অলিখিত সংবিধান বলে। এ ধরনের সংবিধানের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- প্রথা ও রীতিনীতিভিত্তিক, চিরাচরিত নিয়ম ও আচার- অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা। কোনো পরিষদ, সম্মেলন বা বিশেষভাবে গঠিত আইন পরিষদ কর্তৃক অলিখিত সংবিধান সৃষ্টি করা হয় না। লিখিত সংবিধান যেমন দুলিল আকারে পাওয়া যায়, অলিখিত সংবিধান সেরূপ পাওয়া যায় না।

10 months ago

পৌরনীতি ও নাগরিকতা

🏛️ পৌরনীতি ও নাগরিকতা – নবম-দশম শ্রেণি | এসএসসি | NCTB অনুমোদিত ২০২৫

আপনি কি খুঁজছেন “পৌরনীতি ও নাগরিকতা নবম-দশম শ্রেণি PDF”, অথবা বোর্ড ভিত্তিক প্রশ্ন–উত্তর ও ব্যাখ্যা?

তাহলে স্বাগতম SATT Academy–তে — যেখানে শেখা হয় সহজে, সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

এখানে আপনি পাবেন:

  • NCTB অনুমোদিত বইয়ের ভিত্তিতে সাজানো অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন–উত্তর
  • সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা ও উদাহরণ
  • লাইভ টেস্ট, ভিডিও লেকচার ও ব্যাখ্যাসহ কনটেন্ট
  • বইয়ের PDF ও ছবি ডাউনলোড সুবিধা

✅ এই পেইজে যা পাবেন:

  • অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল (CQ) ও বহুনির্বাচনী (MCQ) প্রশ্ন–উত্তর
  • সহজ ভাষায় অধ্যায় ব্যাখ্যা — যেমন “গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য”, “আইনের শাসন”
  • ভিডিও ক্লাস ও কুইজ
  • ছবি ও চিত্রসহ ব্যাখ্যা
  • PDF/ছবি ডাউনলোড সুবিধা
  • কমিউনিটি যাচাইকৃত কনটেন্ট — আরও নির্ভুল ও পরীক্ষাভিত্তিক

📥 সরকারি (NCTB) PDF ডাউনলোড লিংক:

🔗 পৌরনীতি ও নাগরিকতা – নবম-দশম শ্রেণি PDF ডাউনলোড
(সরকারি বই অনলাইনে পড়া ও ডাউনলোড করার জন্য এই লিংক ব্যবহার করুন)


👨‍👩‍👧‍👦 কাদের জন্য উপযোগী?

  • শিক্ষার্থীদের জন্য: বোর্ড পরীক্ষার জন্য অধ্যায়ভিত্তিক অনুশীলন
  • শিক্ষকদের জন্য: শ্রেণি-নির্ভর প্রস্তুত ক্লাস কনটেন্ট
  • অভিভাবকদের জন্য: সন্তানের শেখায় সহায়তা
  • প্রাইভেট টিউটরদের জন্য: প্রশ্ন সেট, ব্যাখ্যা ও রিভিশনের জন্য

⚙️ কীভাবে ব্যবহার করবেন:

  • অধ্যায় তালিকা থেকে যেকোনো অধ্যায় বেছে নিন
  • প্রশ্ন–উত্তর ও ব্যাখ্যা পড়ুন
  • লাইভ টেস্টে অংশ নিন – নিজেকে যাচাই করতে
  • PDF বা ছবি ডাউনলোড করুন – অফলাইনে পড়ার জন্য
  • নিজের মতামত বা ব্যাখ্যা যোগ করুন — শেখান ও শিখুন

✨ কেন পড়বেন SATT Academy থেকে?

✔️ ১০০% ফ্রি ও বিজ্ঞাপনমুক্ত শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম
✔️ NCTB বই অনুসারে সাজানো নির্ভুল কনটেন্ট
✔️ ভিডিও, কুইজ, ব্যাখ্যাসহ ইন্টার‍্যাক্টিভ ফিচার
✔️ মোবাইল ও ডেস্কটপ–ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
✔️ কমিউনিটি যাচাইকৃত ও নিয়মিত আপডেটকৃত তথ্য


🔍 সার্চ–সহায়ক কীওয়ার্ড:

  • পৌরনীতি ও নাগরিকতা নবম-দশম শ্রেণি
  • Class 9-10 Civics and Citizenship PDF
  • SSC Civics Bangla Book
  • SATT Academy Civics Question Answer
  • NCTB পৌরনীতি প্রশ্ন PDF
  • Civics SSC MCQ Solution
  • পৌরনীতি ব্যাখ্যা ও উদাহরণ

🚀 আজই শুরু করুন!

SATT Academy–তে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন–উত্তর, ব্যাখ্যা, ভিডিও ও PDF সহ পৌরনীতি ও নাগরিকতা পড়ুন — বোর্ড পরীক্ষার জন্য নিখুঁত প্রস্তুতির সঙ্গে।

📘 SATT Academy – প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মুক্ত, আধুনিক ও গাইডলাইনভিত্তিক শিক্ষা।

Content added By

Related Question

View More

১২১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জন যে অধিকার সনদ প্রণয়ন করেছিলেন তার নাম 'ম্যাগনাকার্টা'।

একটি রাষ্ট্রকে সঠিক ও যথার্থভাবে পরিচালনা ও রাষ্ট্রীয় জীবনের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সুষ্ঠু সংবিধান প্রণয়ন অপরিহার্য।
সংবিধান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংবিধানে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য, শাসকের ক্ষমতা এবং নাগরিক ও শাসকের সম্পর্ক কীরূপ হবে তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। জনগণের মৌলিক অধিকার কী কী এবং কীভাবে সংরক্ষিত হবে তাও সংবিধান নির্দিষ্ট করে। সংবিধান ছাড়া একটি সভ্য রাষ্ট্র পরিচালনার কথা কল্পনা করা যায় না। তাই বলা যায়, রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বিক দিক পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য সংবিধান প্রণয়ন প্রয়োজন।

'ক' সংগঠনটি পরিচালনার নিয়মাবলি অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অলিখিত সংবিধানের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- এটি ঐতিহাসিকভাবে উদ্ভূত সাধারণ প্রচলিত প্রথা, রীতি-নীতি, অভ্যাস-আচরণের ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়। কোনো পরিষদ, সম্মেলন বা বিশেষভাবে গঠিত আইন পরিষদ কর্তৃক অলিখিত সংবিধান সৃষ্টি করা হয় না। লিখিত সংবিধান যেমন দলিল আকারে পাওয়া যায়, অলিখিত সংবিধান সেরূপ পাওয়া যায় না। অলিখিত সংবিধানের পরিবর্তন প্রক্রিয়াও সহজ। অলিখিত সংবিধান ব্যবস্থায় সাধারণ আইন-কানুন ও শাসনতান্ত্রিক আইনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
উদ্দীপকের 'ক' নামক সামাজিক সংগঠনটি চিরাচরিত নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এর নিয়মগুলো কোথাও লিপিবদ্ধ করা হয়নি। এতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এখানে মূলত অলিখিত সংবিধানের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা 'ক' নামক সংগঠনের নিয়মগুলোর বৈশিষ্ট্যে উপরে আলোচিত অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্যেরই প্রতিফলন।

তাই বলা যায়, উদ্দীপকের 'ক' সংগঠন পরিচালনার নিয়মাবলির সাথে অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্যেগুলো সাদৃশ্যপূর্ণ।

'খ' প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলির সাথে লিখিত সংবিধানের সাদৃশ্য রয়েছে। 'ক' ও 'খ' প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনার নিয়মাবলির মধ্যে আমি 'খ' প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলি উত্তম বলে মনে করি।
লিখিত সংবিধানের অধিকাংশ ধারা লিখিত থাকে বলে এটি জনগণের নিকট সুস্পষ্ট ও বোধগম্য হয়। এতে সাধারণত সংশোধন পদ্ধতি উল্লেখ থাকে বিধায় খুব সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না। আবার লিখিত সংবিধান স্থিতিশীল বিধায় শাসক তার ইচ্ছামতো এটি পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারে না। লিখিত সংবিধানের সকল ধারা জনগণ ও শাসক মেনে চলতে বাধ্য হয়। সংবিধান লিখিত থাকায় জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হয়।
অন্যদিকে অলিখিত সংবিধান অস্পষ্টতা দোষে দুষ্ট। শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বা অন্যান্য বিষয়গুলো এ সংবিধানে লিখিত থাকে না। সে কারণে শাসক ও শাসিত তাদের সুনির্দিষ্ট অধিকার, কর্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা গ্রহণ করতে পারে না। ফলে শাসনব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। আবার অধিক পরিবর্তনশীলতার কারণে সংবিধানে স্থায়ী নীতি ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অলিখিত সংবিধানে জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবার আশঙ্কা থাকে।
উদ্দীপকের 'খ' নামক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও স্কুল পরিচালনায় সুস্পষ্টভাবে লিখিত নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং যেকোনো ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হন। তাই আমি মনে করি 'ক' ও 'খ' প্রতিষ্ঠান দুটির নিয়মাবলির মধ্যে 'খ' প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলি উত্তম।

বাংলাদেশের সংবিধান ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়।

সংশোধনের ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়।
সংবিধান কোন পদ্ধতিতে সংশোধন করা যেতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে সংবিধানকে সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান অতি সহজে পরিবর্তন করা যায়। অন্যদিকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সংশোধন সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতি দ্বারা সম্ভব হয় না। আর উদ্দীপকের সংবিধানও যেহেতু সহজে পরিবর্তন করা যায় না সেহেতু এটিও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।
উদ্দীপকে উল্লেখিত 'ক' রাষ্ট্রটির সংবিধান একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে রচনা করা হয়। রাষ্ট্রের আইনসভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়, যা আমরা দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে দেখতে পাই। কেননা আমরা জানি, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের কোনো বিধান সহজে সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না। এক্ষেত্রে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় করা যায় না। প্রয়োজন হয় বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সম্মেলন ও ভোটাভুটির। তাই বলা যায় সংশোধনের ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...