নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সংস্কৃত - চতুর্থ ভাগঃ তৃতীয়ঃ | NCTB BOOK

অনু পূর্বক বন্ ধাতু ও মঞ্চ প্রত্যয়যোগে 'অনুবাদ' শব্দটি নিষ্পন্ন। বদ ধাতুর অর্থ বলা, কিন্তু অনু পূর্বক বদ ধাতুর অর্থ 'অনুবাদ করা' অর্থাৎ এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা বাংলা, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষা থেকে সংস্কৃত ভাষায় রূপান্তর করার নাম 'সংস্কৃত অনুবাদ' বা 'সংস্কৃতানুবাদ'।

সংস্কৃতানুবাদের সাধারণ নিয়মাবলি

| কর্তা অনুসারে ক্রিয়াপদ গঠিত হয় অর্থাৎ কর্তা যে পুরুষ ও যে বচনের হয়, ক্রিয়াও সেই পুরুষ ও সেই বচনের হয়। যে

সে পড়ে সহ পঠতি। তারা দুজন পড়ে তৌ পঠতা। তারা পড়ে তে পঠন্তি। তুমি পড় তুম পঠসি। তোমরা দুজন পড় - খুৰাম পরথঃ তোমরা পড় যুক্ত পঠা। আমি পড়ি অহম্ পঠামি। আমরা দুজন পড়ি আবাদ পঠাবা। আমরা পড়ি বয়ং পঠামঃ কোকিল ডাকে- কোকিলা কৃজতি। কৃষকেরা চাষ করছে - কৃষকাঃ কর্ষন্তি। মুনিগণ হোম করছেন মুনয়ঃ হোমং কুর্বন্তি। চাঁদ হাসছে চন্দ্রঃ হসতি। সূর্য উদিত হচ্ছে- সূর্যঃ উদেতি। আমরা লিখছি বরং লিখামঃ বালিকারা নৃত্য করছে বালাঃ নৃত্যন্তি। বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টির্ভবতি। দুজন রাজা যুদ্ধ করছে রাজানো যুদ্ধং কুবুতঃ |

১. নিচের বাংলা বাক্যগুলোকে সংস্কৃতে অনুবাদ কর -

(ক) তারা দেখছে। (খ) তোমরা দুজনে দেখবে। (গ) যদু বলছে। (ঘ) আমি সত্য বলি। (3) ব্রাহ্মণ গীতা

পড়ছেন। (চ) মুনিগণ বেদ পাঠ করছেন। (ছ) ঘোড়া জল পান করছে। (জ) গণেশ দুধ পান করছে।

[2] বর্তমান কাপ অর্থে লট, অতীতকাল অর্থে গঙ, ভবিষ্যৎকাল অর্থে লুট, অনুজ্ঞা অর্থে লোট এবং উচিত অর্থে

বিধিপিত্তের প্রয়োগ হয়। যেমন-

ভৃত্য কর্ম করে ভূতাঃ কার্যং করোতি। হরি মাকে জিজ্ঞেস করছে ছবি মাতরং পৃচ্ছতি। আমি ছাত্রাবাসে থাকি অহং ছাত্রাবাসে তিষ্ঠামি ।

তারা মহাভারত পড়েছিল তে মহাভারতম্ অপঠন। শিক্ষক মহাশয় ছাত্রগণকে বলেছিলেন- শিক্ষকমহাশয় ছাত্রা অবদ। ঘোড়াটি দৌড়াচ্ছিল- অশ্বঃ অধাবত্। যদু হরিকে বলবে- যদুঃ হরিং বদিয্যতি। আমি আজ বেদ পড়ব অহম্ অদ্য বেদং পঠিখ্যামি। ঈশ্বরকে স্মরণ কর ঈশ্বরং মর। দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ কর- তাজ দুর্জনসংসর্গ। সর্বদা হাসা উচিত নয় সদা ন হসে তোমাদের যাওয়া উচিত য়ম্ গচ্ছেত।

দ্রষ্টব্য: ক্রিয়ার সঙ্গে 'উচিত' শব্দ থাকলে বাংলায় কর্তায় ষষ্ঠী বিভক্তি থাকলেও সংস্কৃতে কর্তায় প্রথমা

বিভক্তি যোগ করতে হয়।

মাধ্যমিক সংস্কৃত

১। সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ কর :-

অনুশীলনী

(ক) বালকগণ জল স্পর্শ করছে। (খ) তোমরা এখন লেখ। (গ) আমি মাতাকে পত্র লিখব। (ঘ) তোমাদের গীতা পড়া উচিত। (ঙ) বালকটি দৌড়াচ্ছিল। (চ) আমরা বঙ্গোপসাগর দেখেছি। (ছ) সে ফিরে আসবে। (গ) ছাত্রদের পড়া উচিত।

[৩] কর্তৃকারকে ১মা, কর্মে হয়া, করণে ৩য়া, সম্প্রদানে ৪র্থী, অপাদানে ৫মী, সম্বন্ধে ষষ্ঠী ও অধিকরণে ৭মী বিভক্তি হয়। যেমন-

নদী প্রবাহিত হচ্ছে - নদী প্রবহতি। চাঁদ উঠছে- চন্দ্ৰঃ উদেত্তি। ফুল ফুটছে- পুষ্পং বিকশতি। বৈষ্ণবগণ ভগবদ পড়ছেন- বৈষ্ণবাঃ ভাগবদং পঠন্তি। বালকেরা চাঁদ দেখছে- বালকাঃ চন্দ্রং পশ্যন্তি । আমরা হাত দিয়ে কাজ করি বাং হস্তেন কার্যং কর্মঃ। সকলেই চোখ দিয়ে দেখে সর্বে এর চক্ষুয়া পশ্যন্তি। রাজা ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিচ্ছেন - রাজা ভিক্ষুকায় ভিক্ষাং দদাতি বরাহীনকে বসর দাও- বরহীনায় বস্ত্ৰং দেহি। গাছ থেকে পাতা পড়ছে- বৃক্ষাৎ পত্রাং পততি। মেঘ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি ।

এটি আমার গৃহ ইদং যে গৃহ।

তোমার শ্বশুরবাড়ি যাব তব শ্বশুরালয়ং গমিষ্যামি

!

বনে বাঘ বাস করে বলে ব্যাঘ্রঃ বসতি।

বর্ষায় মেঘ ডাকে বর্ষাসু মেঘা গতি।

সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয় সূর্যঃ পূর্বস্যাং দিশি উপেতি।

১। সংস্কৃতে অনুবাদ কর

(ক) জল পড়ে (খ) কৃষকেরা জমি চাষ করে। (গ) ভৃত্য প্রভুর গৃহে কাজ করে। (ঘ) আমরা কলম দিয়ে: লেখি। (ঙ) বর্ষাকালে আকাশ মেঘের দ্বারা আবৃত হয়। (চ) বালকটি অন্ধ ব্যক্তিকে কাপড় দিচ্ছে।

] ক্রিয়াবিশেষণে, ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক ও পথবাচক শব্দে, বিনা, ধিক্, নিকথা, প্রতি, অভিঃ (সম্মুখে), উভয়ত 1 (দুই দিকে), পরিতঃ (চারদিকে) প্রভৃতি শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-

অশ্ব দ্রুত দৌড়াচ্ছে - অশ্বঃ দ্রুতং ধাবতি। তিনি একমাস যাবৎ বেদ পড়ছেন স মাসং ব্যাকরণং পঠতি। দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় না দুঃখ বিনা সুখং ন লড়তে। কাপুরুষকে ধিক্ কাপুরুষং ধিক্। দরিদ্রের প্রতি দয়া করা মীনর প্রতি দয়াং কুরু। গ্রামের নিকটে নদী প্রবাহিত হচ্ছে গ্রামঃ নিকষা নদী প্রবহতি। আমাদের বিদ্যালয়ের সম্মুখে মাঠ আছে অস্মাকং বিদ্যালয়ম্ অভিত উদ্যানম্ অস্তি। নদীর দুই দিকে নগর নদী উভয়সতঃ নগরম। গ্রামের চারদিকে বন আছে গ্রামং পরিতঃ বনম্ অস্তি।

[৫] হেতু অর্থে তৃতীয়া বা পঞ্চমী বিভক্তি হয়। প্রয়োজনার্থক শব্দ, তুল্যার্থ শব্দ ও সহার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন বৃদ্ধা শীতে কাঁপছে বৃদ্ধা শীতেন- শীতাৎ কম্পকে। আমার ধনের প্রয়োজনে নেই - মম ধনেন প্রয়োজনম্ নাস্তি। কৃষ্ণের সমান কেউ নেই- কৃষ্ণেন তুলার কোছপি নাস্তি। পিতা পুত্রের সঙ্গে যাচ্ছে পিতা পুরেণ সহ গচ্ছতি।

[ভ] বহি শব্দযোগে এবং অপেক্ষার্তে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- সে গ্রামের বাইরে যাবে - স গৃহাৎ বহিঃ

গমিষ্যতি। ধনের চেয়ে বিদ্যা বড় ধনাৎ বিদ্যাগীসী। [৭] নিমিত্তার্থে ও নম্ শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তির প্রয়োগ হয়। যেমন- শিবকে নমস্কার - শিবায় নমঃ । গুরুকে

নমস্কার - গুরবে নমঃ। জ্ঞানের জন্য পড়া উচিত- আনায় পঠেৎ । [৮] নির্ধারণে যষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- কবিদের মধ্যে কালিদাস শেষ্ঠ করীনাথ/কবিষ্ণু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠ।। বীরদের মধ্যে অর্জুন শ্রেষ্ঠ বীরাণাং / বীরেষু অর্জুনঃ শ্রেষ্ঠ।। [৯] ভাবাধিকরণে সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয়। যেমন- সূর্য অস্তমিত হলে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয় - - সূর্যে অন্তমিতে পৃথিবী তমসাবৃতা ভবতি ।

অনুশীলনী

১। সংস্কৃতে অনুবাদ কর ।

(ক) মুনিগণ তপোবনে বাস করেন। (খ) আমাদের গ্রামের দুইদিকে নদী আছে। (গ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক শোভা মনোহারী। (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে সন্ত্রাস। (ও) মাতা পুত্রশোকে রোদন করছেন। (চ) সকলেই সুখ ইচ্ছা করে। (ছ) লঙ্কার নিকটে সমুদ্র। (গ) ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। (ঝ) শ্রীরামকৃষ্ণকে নমস্কার। (ঞ) তুমি বাড়ি গেলে আমি এখানে আসব। (ট) অবতারদের মধ্যে শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ। (ঠ) সে পাপের ফল অবশ্যই পাবে।

[১০] বিশেষ্যের যে লিঙ্গ, যে বচন ও যে বিভক্তি, বিশেষণেরও সেই লিঞ্চা, সেই বচন ও সেই বিভক্তি হয়। যেমন- তারা গভীর বনে গিয়েছিল। তে গভীরং বনম্ অগচ্ছন। অপবিত্র দ্রব্য স্পর্শ করো না মা শ অপবিত্রং দ্রব্যম্। আকাশে পূর্ণ চন্দ্র বিরাজ করছে গগনে পূর্ণচন্দ্রঃ বিরাজতে। কালো মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় - কৃষ্ণাৎ মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি।

১১ বাক্যে সন্ধি কর্তার ইচ্ছাধীন।

যেমন- আমি পূজা করব - অহম্ পূজা করিষ্যামি /অহং পূজাং করিষ্যামি। আমি ব্রাহ্মণকে গীতা দান করব - অহম ব্রাহ্মণায় গীতা দাস্যামি/অহং ব্রাহ্মণায় পীতা দাস্যামি।

O

=[১২] অতীত গদ অর্থে কর্তৃবাচ্যে ল -এ পরিবর্তে স্তবস্তু প্রত্যয় ব্যবহার করা যায়। কবন্ধু প্রত্যয়ান্ত পদ কর্তার বিশেষণ হয় অর্থাৎ কর্তার লিঙ্গ ও বচন প্রাপ্ত হয়। যেমন সে জল পান করেছিল- স জলং পীতবান। তারা দুজন জল পান করেছিল তৌ অলং পীতবস্তৌ। তারা জল পান করেছিল তে অলং পীতবস্তঃ আমার বান্ধবী কাপড় কিনেছিল মম বান্ধবী বরং ক্রীতবর্তী দুজন বালিকে রামায়ণং পঠিতবতো। বালিকারা রামায়ণ পড়েছিল বালিকাঃ রামায়ণং পঠিতবতাঃ।

অনুশীলনী

১। নিচের বাক্যগুলোকে সংস্কৃতে অনুবাদ কর ।

(ক) সকলেই তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য দোকান থেকে ব্রুয় করে। (খ) সুনীল আকাশে চাঁদ শোভা পাচ্ছে। (গ) গভীর জলে মাছ থাকে। (খ) বৈষ্ণবগণ পীতাম্বর হবির ধ্যান করেন। (ঙ) এই মেয়েটি কোথায় যাবে?

[১৩] বাংলায় যেতে যেতে, পড়তে পড়তে, দেখতে দেখতে এরূপ ক্রিয়ার দ্বিরুক্তি হলে সংস্কৃতে অনুবাদ করার সময় পরমপদী ধাতুর উত্তর শত এবং আত্মনেপদী ধাতুর উত্তর শান প্রভায় যোগ করতে হয় :- লোকটি নদী দেখতে যাচ্ছে- নরঃ নদীং পশান গচ্ছতি। নর্তকী নাচতে নাচতে এসেছিল নর্তকী নৃত্যন্তী আগচ্ছ‍। তারা

বিবাদ করতে করতে রাজদ্বারে গিয়েছিল তে বিবদমানাঃ রাজদ্বার অগচ্ছন।

[১৪] বাংলায় সাধুভাষায় ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'ইতো বিভক্তি যুক্ত থাকলে সংস্কৃতে ধাতুর উত্তর তুমুন প্রভায় যোগ

করতে হয়। যেমন- যদু এখন বাড়ি যাইতে ইচ্ছা করিতেছে- অধুনা যদুঃ গৃহং গন্ধম ইচ্ছতি। আমরা চাঁদ

দেখিতে ঘরের বাহিরে গিয়াছিলাম। বরং চন্দ্রং এবং গৃহাৎ বহিরগচ্ছাম।

[১৫] বাংলায় সাধুভাষায় ধাতুর উত্তর 'ইয়া' বিভক্তি যুক্ত থাকলে সংস্কৃতে অনুবাদ করার সময় ধাতুর উত্তর ছ প্রত্যয় যোগ করতে হয় এবং যদি ধাতুর পূর্বে উপসর্গ থাকে, তাহলে যোগ করতে হয় লাপ প্রত্যয়। যেমন - পুন্ডরীক মহাশ্বেতাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন পুস্তরীকঃ মহাশেতাং দৃষ্টা মুখঃ অভবৎ। পুত্র মাতাকে প্রণাম করিয়া বিদেশ গিয়াছিল - পুত্রঃ মাতরং প্রথমা বিদেশ অগচ্ছৎ। তিনি দেশ পরিত্যাগ করিয়া মধ্যপ্রাচ্যে গিয়াছিলেন স দেশং পরিত্যজ্য মধ্যপ্রাচ্যম্ জগ

অনুশীলনী

১। নিচের বাক্যগুলো সংস্কৃতে অনুবাদ কর

(ক) তারা পাহাড় দেখতে বিহার যাবে। (খ) দুই ব্যবসায়ী বিবাদ করতে করতে রাজদরবারে গিয়েছিল। (গ) ঋণ করে ঘৃত খেয়ো না। (ঘ) তারা ফুল তুলতে বাগানে যাচ্ছে। (ও) তিনি প্রতিদিন স্নান করে নারায়ণপূজা করেন। (চ) ছাত্ররা দৌড়াতে দৌড়াতে এখানে এসেছিল। (ছ) যযাতি কনিষ্ঠ পুত্র পুরুকে রাজপদে অভিষিক্ত করতে চাইলেন। (জ) বিদেশাগত পুত্রকে দেখে পিতা আনন্দিত হলেন। (ঝ) পাণ্ডবেরা মাতা কুন্তীসহ বনে গিয়েছিলেন। (ঞ) ছেলেটি চাঁদ দেখতে চায়। (ট) লোক দুটি নদী দেখে ফিরে এল।

কাহিনীমূলক অনুবাদের কতিপয় আদর্শ

১। রামকৃষ্ণ ধর্মসংস্থাপনের জন্য আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি শিবজ্ঞানে জীবসেবা করতে বলতেন।

সংস্কৃতদঃ রামকৃষ্ণঃ ধর্মসংস্থাপনার্থায় আবির্বভূব। স সর্বেষু ধর্মেষু শুদ্ধাশীল আসীৎ। স শিবজ্ঞানেন জীবং সেবিতুমবদ।

২। প্রাচীনকালে অযোধ্যায় দশরথ নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বগুণযুক্ত। তাঁর তিন স্ত্রী ও চার পুত্র ছিল। বড় ছেলে রাম পিতৃসতাপালনের জন্য বনে গিয়েছিলেন।

সংস্কৃতম— আসীৎ পুরা অযোধ্যায়াং দশরথো নাম কশ্চিৎ রাজা। স আসীৎ সর্বগুণযুক্তঃ তস্যাসন ভিসা ত্রিয়ঃ চড়ারঃ পুত্রামা জ্যেষ্ঠপুরো রামঃ পিতৃসত্য পালনায় বনমগছ‍। ৩। যযাতি কণিষ্ঠ পুত্র পুরুকে রাজপদে অভিষিক্ত করতে চাইলেন। তখন পুরবাসীগণ রাজাকে বললেন, "যদু আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি বেঁচে থাকতে কেন আপনি কনিষ্ঠ পুত্র পুরুকে রাজত্ব দিচ্ছেন?” যযাতি বললেন,

“পিতার কথা যে প্রতিপালন করে সেই পুত্র। পুরু মেরূপ পুত্র।"

সংস্কৃত — যযাতিঃ কনিষ্ঠং পুত্রং পুরুং, রাজপদে অভিষিক্তমোচ্ছ। ভদা পুরবাসিনো রাজানমবদন," ভবতো

জ্যেষ্ঠঃ পুত্রঃ যদুঃ। তস্মিন্ জীবিতে সতি কথং ভবান্ কনিষ্ঠপুরায় পুরবে রাজ্যং দদাতি," যযাতির বসত, "যঃ

পিতৃৰচনং প্রতিপালয়তি স এব পুরা। পুরুস্তাদৃশঃ পুত্রা।"

১। নিচের অনুচ্ছেদগুলোকে সংস্কৃতে অনুবাদ কর

(ক) ধর্ম আমাদের রক্ষা করে। তাই আমরা ধর্ম পালন করি। ধর্মপালনের জন্য কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই নিয়মগুলোই ধর্মের লক্ষণ।

(খ) তোমার আদেশে বায়ু প্রবাহিত হয়। শীতল চন্দ্র উদিত হয়। তোমার আদেেশ ইন্দ্র বারি বর্ষণ। করে। তুমি সর্বজীবে অবস্থিত। তোমাকে বার বার প্রণাম করি। (গ) আদি কবি বাল্মীকি সংস্কৃত ভাষায় মূল রামায়ণ রচনা করেন। বাল্মীকিরামায়ণের অনুসরণে। কৃত্তিবাস বাংলাভাষায় এবং তুলসীদাস হিন্দিভাষায় রামায়ণ লেখেন। তুলসীদাসের রামায়ণের নাম 'রামচরিতমানস'।

Content added By

আরও দেখুন...