একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র | NCTB BOOK

লাইসোজোমঃ লাইসোজোম শব্দের অর্থ Lyso = হজমকারী, Somo = বস্তু। সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত কতগুলো হাইড্রোলাইটিক এনজাইম একটি পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। এদের লাইসোসোম বলে। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে দ্য দুবে (De Duve) এদের আবিষ্কার করেন। তিনি একে কোষের আত্মঘাতী থলে হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিছু ছত্রাক, শৈবালসহ অধিকাংশ প্রাণী কোষে লাইসোসোম পাওয়া যায়। তবে প্রাণীকোষের লোহিত কণিকা ও বেশির ভাগ উদ্ভিদ কোষে লাইসোজোম অনুপস্থিত।

সাধারণত দু'ধরনের লাইসোজোম পাওয়া যায়। যথা-
• ডাইজেসটিভ গহ্বর এবং
• রেসিডিউয়াল বস্তু ।

লাইসোজোমের গঠনঃ
প্রতিটি লাইসোসোম লিপোপ্রোটিন নির্মিত আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে। এর ভেতরে গাঢ়, দানাদার গহ্বরযুক্ত পদার্থ থাকে। এতে টিস্যু বিগলনকারী এনজাইম ছাড়াও প্রায় ৫০ ধরনের এনজাইম থাকে। একেকটি লাইসোসোম একেক ধরনের এনজাইমে সমৃদ্ধ।

আকার ও আয়তনঃ
লাইসোজোম সাধারণত আকার আকৃতিবিহীন তবে গোলাকার বা অসমানও হতে পারে। এদের আকার অনিয়মিত এবং পরিবর্তনশীল। এদের আয়তন সাধারণত ০.৪-০.৮ মাইক্রন।

উৎপত্তিঃ
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম থেকে লাইসোমের উৎপত্তি।

লাইসোসোমের কাজঃ
*পিনোসাইটোসিস ও ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় আক্রমণকারী জীবাণু ভক্ষণ ।
*তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিলে কোষস্থ উপাদান ও অঙ্গাণুকে বিগলিত করে ধ্বংস করে যাকে অটোফ্যাগি (Autophagy) বলে।
*পর্যাপ্ত পরিমাণ এনজাইম থাকায় এরা প্রায় সব ধরনের জৈবিক বস্ত্র হজম করতে পারে।
*এরা জীবদেহের অকেজো কোষকে অটোলাইসিস (Autolysis) প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করে। ফলে সম্পূর্ণ কোষটিই পরিপাক হয়ে যেতে পারে।
*বিভিন্ন ধরনের বস্ত্তু নিঃসরণ করে।
*বিগলনকারী এনজাইমসমূহকে আবদ্ধ করে রেখে কোষের অন্যান্য ক্ষুদ্রাঙ্গকে রক্ষা করে।
*পরিপাক কাজে সাহায্য করে।
*কোষ বিভাজনে উদ্দীপনা যোগায়।

Content added || updated By
আদিকোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত
লাইসোজোম ভিটামিন C সঞ্চিত করে
মাইটোকন্ড্রিয়া স্নেহ বিপাকে অংশ গ্রহণ করে
কোষে একটি সেন্ট্রোসোম থাকে
সাইটোপ্লাজমকে দৃঢ়তা প্রদান করা
জীবদেহের অকেজো কোষকে ধ্বংস করা
পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা দান
জীবাণু ভক্ষণ
গলগি বডি
মাইটোকন্ড্রিয়া
সেন্ট্রিওল
সাইটোপ্লাজম
রাইবোজোম
লাইসোজোম
মাইটোকন্ড্রিয়া
গলজি বস্তু