একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র | NCTB BOOK

রাইবোজোমঃ জীবকোষের সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজ করে বা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কনায় প্রোটিন সংশ্লেষণ করে তাকে রাইবোসোম বলে। জর্জ প্যালেড ১৯৫৫ সালে এটি আবিষ্কার করেন এবং ১৯৫৮ সালে রিচার্জ বি.রবার্টস একে Ribosome বা Ribonucleoprotein particle of microsomes নাম দেন।

রাইবোজোম এর গঠনঃএরা দ্বিস্তরী ঝিল্লী দ্বারা আবৃত।এদের ব্যাস ১৫০-২০০ Å।এরা হিস্টোন জাতীয় প্রোটিন এবং রাইবোনিউক্লিয়িক এসিড দ্বারা তৈরী।এতে প্রোটিন ও RNA ১:১ অণুপাতে থাকে। প্রতিটি রাইবোসোম অসম দুইটি উপএকক দিয়ে গঠিত।70S রাইবোসোমে 50S ও 30S এই দুইটি উপএকক থাকে এবং ৩টি RNA ও ৫২ প্রকারের প্রোটিন অণু থাকে। 80S রাইবোসোমে 60S ও 40S এই দুইটি উপএকক থাকে এবং ৪ টি RNA ও ৮০ প্রকারের প্রোটিন অণু থাকে।70S রাইবোসোম থাকে আদিকোষে আর 80S রাইবোসোম থাকে প্রকৃতকোষে।মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে 70S রাইবোজোম থাকে।

রাইবোজোম এর কাজঃ
*রাইবোসোমের প্রধান কাজ হল প্রোটিন সংশ্লেষ করা।এজন্য একে জীবদেহের প্রোটিন ফ্যাক্টরী বলে
*স্নেহজাতীয় পদার্থের বিপাক সাধন করা।

Content added By
আমিষ সংশ্লেষণ
স্নেহ জাতীয় পদার্থ সংশ্লেষণ
সালোকসংশ্লেষণ
অভিস্রবণ
শ্বসন
মাইটোকন্ড্রিয়া
রাইবোসোম
ক্লোরোপ্লাস্ট
ক্রোমোপ্লাস্ট