SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

তৃতীয় শ্রেণি (প্রাথমিক স্তর ২০২৪) - খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা - NCTB BOOK
Content added By

 

 

পাঠ: ১

পরোপকার কী

 

উপকার অর্থ ভালো কিছু করা। 'পরোপকার' বলতে আমরা বুঝি অন্যের উপকার করা। একে অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা। নানাভাবে আমরা মানুষকে সাহায্য করতে পারি। সুমার বন্ধু রুমা ক্লাসে পেনসিল আনেনি। সে লিখবে কী করে? সুমা তাকে একটি পেনসিল দিয়ে সাহায্য করলো। একেই বলে পরোপকার। অন্যের জন্য ভালো কিছু বা উপকার করার মনোভাব থাকা প্রয়োজন। আমরা শুধু নিজের কথা ভাববো না। যতটা সম্ভব আমরা মানুষের প্রয়োজন ও বিপদের সময় এগিয়ে আসবো।

পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত দয়ালু শমরীয়'র গল্পটি পরোপকারের একটি চমৎকার উদাহরণ

(লুক ১০:২৫-৩৭ পদ)

 

একবার একজন ধর্ম-শিক্ষক যীশুর কাছে আসলেন। যীশুকে পরীক্ষা করবার জন্য সেই শিক্ষক বললেন, "গুরু, কী করলে আমি অনন্ত জীবন লাভ করতে পারবো?"

 

যীশু শিক্ষা দিচ্ছেন-

 

যীশু তাঁকে বললেন," মোশীর আইন-কানুনে কী লেখা আছে? সেখানে কী পড়েছেন?"

সেই ধর্ম-শিক্ষক যীশুকে উত্তর দিলেন, "তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত অন্তর, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত শক্তি ও সমস্ত মন দিয়ে তোমাদের প্রভু ঈশ্বরকে ভালোবাসবে; আর তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালোবাসবে।” যীশু তাকে বললেন, "আপনি ঠিক উত্তর দিয়েছেন। যদি আপনি তা করতে থাকেন তবে জীবন পাবেন।" সেই শিক্ষক নিজের সম্মান রক্ষা করবার জন্য যীশুকে বললো, আচ্ছা আমার প্রতিবেশী কে?

যীশু উত্তর দিলেন, "একজন লোক যিরূশালেম থেকে যিরিহো শহরের যাবার সময় ডাকাতদের হাতে পড়লো। তারা লোকটির কাপড় খুলে ফেললো এবং তাকে মেরে আধমরা করে রেখে গেলো।

পুরোহিত ও লেবীয়

একজন পুরোহিত সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি সেই লোকটিকে দেখে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। ঠিক সেইভাবে একজন লেবীয় সেই জায়গায় আসলো এবং তাকে দেখতে পেয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

দয়ালু লোকটি

তারপর শমরীয় প্রদেশের একজন লোকও সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে ঐ লোকটির কাছাকাছি আসলো। তাকে দেখে তার মমতা হলো। লোকটির কাছে গিয়ে সে তার আঘাতের উপর তেল আর আঙ্গুর-রস ঢেলে দিয়ে বেঁধে দিলো। তারপর তার নিজের গাধার উপর তাকে বসিয়ে একটা পান্থশালায় নিয়ে গিয়ে তার সেবা-যত্ন করলো। পরের দিন সেই শমরীয় দু'টা দীনার বের করে পান্থশালার মালিককে গিয়ে বললো, 'এই লোকটিকে যত্ন করবেন। যদি এর চেয়ে বেশি খরচ হয় তবে আমি ফিরে এসে তা শোধ করব।" শেষে যীশু বললেন, "এখন আপনার কী মনে হয়? এই তিন জনের মধ্যে কে সেই ডাকাতের হাতে পড়া লোকটির প্রতিবেশী? সেই ধর্ম-শিক্ষক বললেন," যে তাকে সেবা-যত্ন করলো সেই লোক।" তখন যীশু তাকে বললেন, "তাহলে আপনিও গিয়ে সেই রকম করুন।"

 

ক) ভেবে সঠিক স্থানে টিক (✓) চিহ্ন দেই। 
 

i) এই গল্পে কে সত্যিকারের পরোপকারী? পুরোহিত/ লেবীয়/ শমরীয় লোকটি 

ii) মানুষকে উপকার করতে হলে হৃদয়ে কী থাকতে হবে? ভালোবাসা/ কোমলতা/ সহনশীলতা 

iii) ১ম ও ২য় লোকের দুইজনের ব্যবহার কেমন ছিলো? এড়িয়ে যাওয়া/নিষ্ঠুরতা/ দায়িত্বহীনতা 

iv) শমরীয় লোকটির কোন কাজের জন্য তাকে পরোপকারী বলা যায়? সেবা-যত্ন/ টাকা-পয়সা দান/দয়া দেখানো

 

খ) নিজের মতো লিখি।

 

তুমি কীভাবে অন্যের উপকার করতে পারো?

গ) আরো কিছু করি।

এ পাঠে শিখলাম

-  শমরীয় লোকটি কীভাবে ডাকাতের হাতে পড়া অপরিচিত লোকটির সেবা-যত্ন ও উপকার করলো।

Content added By

পাঠ: ২

পরোপকার হলো সেবামূলক কাজ

 

তোমরা পূর্বের পাঠ থেকে পরোপকার সম্পর্কে জানতে পেরেছো। দয়ালু শমরীয় গল্পটি তোমরা পড়েছো এবং জেনেছো। দয়ালু শমরীয় ডাকাতদের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত লোকটির সেবা করে তাকে পান্থশালায় নিয়ে ভর্তি করলেন। নিজের কাজের ক্ষতি জেনেও তার জন্য সময়, সেবা ও অর্থ (টাকাপয়সা) দিলেন। ঈশ্বরও চান এভাবে যেন আমরা মানুষকে ভালোবাসি, মানুষের উপকার করি।

 

পরোপকার হলো সেবামূলক কাজ

 

মানুষের একটি প্রধান চারিত্রিক গুণ হলো পরের উপকার করা। অন্যের উপকার করাকেই বলা হয় পরোপকারিতা। পরোপকার মানবীয় মহৎ গুণ। সেবার মাধ্যমে পরোপকার সাধিত হয়। যদি কোন মানুষের উপকার করা হয় তাহলে তা অবশ্যই মহৎ কাজ। যীশুখ্রীষ্ট সব মানুষকে ভালোবাসেন। আমরাও সবাই যীশুকে ভালোবাসি। মানুষকে ভালোবাসলে, মানুষের সেবা করলে যীশু খুশি হন। আমরা যখন কোন ক্ষুধার্ত মানুষকে খেতে দেই। যখন কোন তৃষ্ণার্ত মানুষকে পান করবার জন্য পানি দেই। অথবা যখন কোন অসুস্থ মানুষকে সেবা করি তা যীশুকেই করা হয়।

"যখন আমার খিদে পেয়েছিল তখন তোমরা আমাকে খেতে দিয়েছিলে; যখন পিপাসা পেয়েছিলো তখন জল দিয়েছিলে; যখন অতিথি হয়েছিলাম তখন আশ্রয় দিয়েছিলে; যখন খালি গায়ে ছিলাম তখন কাপড় পরিয়েছিলে; যখন অসুস্থ হয়েছিলাম তখন আমার দেখাশোনা করেছিলে: আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার এই ভাইদের মধ্যে সামান্য কোন একজনের জন্য যখন তা করেছিলে তখন আমারই জন্য তা করেছিলে।" (মথি:২৫: ৩৫-৩৬, ৪০)

 

ক) সঠিক উত্তরে টিক (✓) চিহ্ন দেই। 

 

i) পরোপকার একটি ভালো গুণ। 

ii) লোকটি বাঘের কবলে পড়লো। 

iii) লেবীয় ও পুরোহিত লোকটির সেবাযত্ন করলো। 

iii) ডাকাতরা লোকটির সবকিছু নিয়ে গেলো। 

iv) লোকটি আধমরা হয়ে পড়েছিলো। 

v) শমরীয় প্রদেশের লোকটি একজন ভালোমানুষ।

 

খ) পথশিশু/অনাথ আশ্রম পরিদর্শন/দেখা।

পবিত্র বাইবেলের দয়ালু শমরীয়র গল্পটি শোনার পর শিশুদের একটি পথশিশু অনাথ আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হবে।

Content added By

পাঠ: ৩

পরোপকারী হওয়া

 

মানুষ মানুষের জন্য। কোন মানুষ বিপদে পড়লে আমাদের দায়িত্ব তার পাশে দাঁড়ানো। তাকে সাহায্য করা। যীশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। মানুষকে সেবা বা উপকার করলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

 

পরোপকারী হওয়া খুব ভালো। তাই অন্যকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কখনো নিজেকে বিরত রাখবো না। সবসময় চেষ্টা করবো সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার। সকলকে সাহায্য করার। সকলের খেয়াল রাখার। এভাবে এক অপরকে সাহায্য করলে সমাজ সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে এবং সকলের মুখে হাসি ফুটবে। তুমি যখন পরোপকারী হবে, নিজের মধ্যে একটি ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হবে। নিজেকে অনেক ধন্য ও কৃতার্থ মনে হবে। তাই আমাদের উদার ও পরোপকারী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

 

ওবেদের বয়স আট বছর। সে তার মায়ের সাথে শীতের এক সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তখন সে দেখে তার বয়সী ছোট একটা ছেলে এবং তার আরো তিন ভাইবোন ও তার মা রাস্তায় বসে আছে। তাদের শীতের কোন কাপড় নেই। তারা শীতে কাঁপছে। ওবেদ তার মাকে বললো, "মা আমাদেরতো অনেক কাপড় আছে সেখান থেকে ওদের কিছু কাপড় দিতে পারি।" মা বললেন, "খুব সুন্দর কথা বলেছো।" তারা বাসায় গিয়ে তাদের যে শীতের কাপড় ছিলো সেখান থেকে কিছু শীতের কাপড় এনে ঐ পরিবারকে দিলো। ছোট ছেলেটা ও তার ভাইবোনদের সোয়েটার, তার মাকে একটি শাল ও রাতে ঘুমানোর জন্য দুটি কম্বল দিলো। এতে তারা খুব খুশি হলো।

 

ক) ডান পাশের তথ্য দিয়ে বাম পাশের খালি জায়গা পূরণ করি।

 

খ) শিক্ষার্থীরা গল্পটি পড়ে জোড়ায় আলোচনা করবে।

 

এ পাঠে শিখলাম

- মানুষকে সেবা বা উপকার করলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।

Content added By

পাঠ: ৪

পরোপকারী হতে উৎসাহিত করা

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। পরোপকার মানবীয় মহৎ গুণ। সমাজ জীবনে একজন মানুষ অপর মানুষের সাথে চালচলন, কথাবার্তা ও ভাবের আদান-প্রদান করে থাকে। মানুষ সমাজ জীবনে পরস্পরের সুখে- দুঃখে পরস্পর সহযোগী। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসে। মানুষের সদগুণাবলির অন্যতম হচ্ছে পরোপকার। একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া জীবনযাপন করা কঠিন। এই সহযোগিতার ফলে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পায়।

 

তোমরা যখন বড় হবে তখন কেউ কেউ ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, বাণীপ্রচারক ও ব্যবসায়ী হবে। যে পেশায়ই থাকো না কেন, সেই পেশার মধ্য দিয়ে মানুষের উপকার করা যায়। মানুষ মানুষের জন্য। সবাই আমরা সবার জন্য। সবাই যদি আমরা সবার উপকার করি তখন বিশ্বে কোন অশান্তি থাকবে না। কোন যুদ্ধ থাকবে না। তখন সবাই আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো।

ক) নিজে করি।

পরোপকারী হতে হলে আমাদের কী কী গুণ থাকা দরকার-

 

এ পাঠে শিখলাম

 

- মানুষ মানুষের জন্য। সবাই আমরা সবার জন্য।

Content added By

পাঠ: ৫

পরোপকারে আনন্দ

 

অন্যের উপকার করার মধ্যে আনন্দ আছে। যে আনন্দ শমরীয় প্রদেশের লোকটি পেয়েছিলো। ঈশ্বরও চান যেন আমরা অন্যের উপকার করি, সেবা-যত্ন করি। মানুষের সেবা করা মানে ঈশ্বরের সেবা করা। ক্লাসের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন/ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুদের সাথে মিলেমিশে খেলাধুলা করা। খেলতে গিয়ে কোন বন্ধু পড়ে গেলে তাকে টেনে তোলা। কোন সহপাঠীর টিফিন না আনলে তার সাথে টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া। বাড়িতে যারা বৃদ্ধ/বৃদ্ধা আছেন তাদের কাজে সাহায্য করা। তাদের সাথে সময় কাটানো। কোন বন্ধুর মন খারাপ হলে তার সাথে গল্প করা।

নিজে সুখী হতে হলে অন্যের ভালো করতে হবে। একজন মানুষ অপর মানুষকে সাহায্য করবে। অন্যের উপকারে আসবে। এটাই হলো পরোপকার। অন্যকে খুশি করতে পারলে আনন্দ পাওয়া যায়। এজন্য অবশ্যই পরোপকারী হতে হবে।

 

প্রত্যেকজন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ রাখো। খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিলো, তা তোমাদের মধ্যেও থাকুক। (ফিলিপীয় ২:৪-৫)

 

জেনেট মন দিয়ে লেখাপড়া করে। শিক্ষক ও বন্ধুদের কাজে সাহায্য করে। সব বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে খেলাধুলা করে। বিশেষ করে তার ক্লাসে ভিন্নভাবে সক্ষম একজন শিশু আছে তার যত্ন নেয়। তার বই- গুছিয়ে দেয়। অনেক সময় লিখেও সাহায্য করে। তার সাথে খেলা ও গল্প করে। সবসময় গরিব-দুঃখী মানুষদের খাবার দেয়। যাদের কাপড় নেই তাদের কাপড় দেয়। কেউ বিপদে পড়লে দৌড়ে গিয়ে তাকে সাহায্য করে। তাই সবাই জেনেটকে খুব ভালোবাসে। এই কাজ করে জেনেট খুব আনন্দ পায়।

 

ক) যে যে কাজ আমি করি হ্যাঁ ঘরে টিক (√) চিহ্ন দেই।

 

হ্যাঁ

 

i) তুমি কী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন/ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুদের সাথে মিলেমিশে খেলাধুলা করো?

 

 

 

ii) তোমার সহপাঠী টিফিন না আনলে তুমি কী তার সাথে টিফিন ভাগাভাগি করে খাও?

 

 

 

iii) খেলতে গিয়ে কোন বন্ধু পড়ে গেলে তুমি কী তাকে টেনে তোলো?

 

 

 

iv) তুমি কী দাদু-ঠাকুমার চশমা, পানি ও খাবার এগিয়ে দাও?

 

 

 

v) তুমি কী সহপাঠীদের লেখাপড়ায় সাহায্য করো?

 

 

 

vi) তুমি কী কোনো গরিব মানুষকে খাবার দাও?

 

 

 

vii) তুমি কী অন্ধকে চলতে সাহায্য করো?

 

 

এ পাঠে শিখলাম

- মানুষের উপকার করার মধ্যে আনন্দ আছে।

Content added By

পাঠ: ৬

পরোপকারের প্রয়োজনীয়তা

মানুষ সামাজিক জীব। পরোপকারের মাধ্যমে মানুষের মনুষ্যত্বের মহিমা প্রকাশ পায়। একে অপরের সাহায্য ছাড়া সমাজে মানুষ বাস করতে পারে না। সমাজ জীবনে একজন অন্যজনের সহযোগী। বিপদে আপদে পরস্পরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। একটি আদর্শ সমাজ, রাষ্ট্র গড়তে হলে পরের ভালো চিন্তা করতে হবে। মানুষ সমাজ ছাড়া বাঁচতে পারে না। আর সমাজে বাস করতে হলে মানুষকে সামাজিক হতেই হয়। পরোপকারের মধ্য দিয়ে মানুষ অধিক সামাজিক হয়ে উঠে। সহমর্মিতা প্রকাশ করে। তাই সুন্দর সমাজ জীবনের জন্য নিজের স্বার্থচিন্তা বাদ দিয়ে অন্যের মঙ্গল চিন্তা করতে হবে।

ডেভিড, তার মা বাবা ও ছোট বোন জয়েস একটি গ্রামে বাস করতো। একদিন ঝড়ে তাদের ঘরটা ভেঙ্গে যায়। ঘর ঠিক করার মতো কোনো টাকা-পয়সা তার বাবার হাতে ছিলো না। তারা খুব বিপদে পড়ে যায়। ঐ সময় গ্রামের সব যুবকরা মিলে চাঁদা তুলে ও শ্রম দিয়ে তাদের ঘরটা আবার ঠিক করে দেয়।

 

এতে ডেভিডের পরিবার খুব খুশি হয়। গ্রামবাসী ও যুবকদের এই উপকারের জন্য তার বাবা সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানায়।

এভাবেই সমাজে পরস্পরের বিপদে আপদে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সমাজ সুন্দর হবে। আমরা সবাই ভালো থাকবো।

ক) নিজে করি।

খ) শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় সেবামূলক কাজ করবে।

 

এ পাঠে শিখলাম

 

- সুন্দর সমাজ জীবনের জন্য নিজের স্বার্থচিন্তা বাদ দিয়ে অন্যের মঙ্গল চিন্তা করবো।

 

শ্রদ্ধাবোধ

 

শ্রদ্ধাবোধ হলো একটি মানবিক গুণ। মানুষ মানুেেষর সঙ্গে আন্তরিক ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিবারে পিতামাতা সন্তানদের আদর-স্নেহ করেন, ভালোবাসেন এবং তাদের মঙ্গল কামনা করেন। সন্তানেরাও পিতামাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। আমরা দেখি সমাজে গুরুজনদের সবাই সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। আমাদের খ্রীষ্টমণ্ডলীতে অনেক মহান ব্যক্তি আছেন যাদের আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আমরা বুঝতে পারছি যে, শ্রদ্ধাবোধ হলো অনেক গুণের সমাহার। যেখানে আছে নম্রতা, সততা, বিশ্বস্ততা, একতা, আনন্দ, ধৈর্য, ন্যায়পরায়ণতা ও ভালোবাসা। পরস্পর পরস্পরের সাথে এ গুণগুলির আদান-প্রদান দ্বারা যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই হলো শ্রদ্ধাবোধ। জন্মদিন, বড়দিন, পাস্কা পর্ব/ইস্টার, বিবাহ উৎসব ও অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে আমাদের পরিবার ও সমাজের সদস্যদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ আরো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

 

Content added || updated By

পাঠ: ৭

পারিবারিক শ্রদ্ধাবোধ

পবিত্র বাইবেলে পরিবার গঠনের আহ্বান (মথি ১:১৮-২৫)

 

ছবিতে আমরা দেখি যীশু, মারিয়া ও সাধু যোসেফ। সাধু যোসেফ মারিয়ার স্বামী। পবিত্র আত্মার দ্বারা মারিয়া গর্ভবতী হলেন। সাধু যোসেফ স্বপ্নে প্রভুর দূতের নির্দেশ পেয়ে মারিয়াকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলেন ও দেখাশোনার দায়িত্ব নিলেন। বেথলেহেমের গোশালায় যীশুর জন্ম হলে মারিয়ার সাথে সাধু যোসেফ যীশুর সেবা করেন। হেরোদ রাজা যীশুকে মেরে ফেলতে চাইলে আবারও স্বপ্নে দূতের নির্দেশ পেয়ে, যোসেফ, মারিয়া ও যীশুকে নিয়ে মিশর দেশে পালিয়ে গেলেন। সাধু যোসেফ ছিলেন বিশ্বস্ত ও নিরব কর্মী, পরিশ্রমী, ধৈর্যশীল, নম্র ও সৎ লোক। মারিয়াও যোসেফ ও যীশুকে গভীরভাবে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা ও সেবা-যত্ন করেন।

মারিয়া ছিলেন সাধু যোসেফের স্ত্রী এবং যীশুর মা। তিনি ছিলেন ঈশ্বরের একান্ত অনুগত, বাধ্য ও বিশ্বস্ত। তিনি যীশুকে গভীরভাবে ভালোবাসেন এবং সাধু যোসেফকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। মারিয়া কষ্টসহিষ্ণু, নম্র ও দায়িত্বশীল গৃহিনী। নাজারেথের পবিত্র পরিবারে তিনি সাধু যোসেফ ও যীশুকে নিয়ে একত্রে বসবাস করতেন। যীশুর যাতনা ভোগ ও ক্রুশে মৃত্যুর সময় মারিয়া পুত্রের সাথে সাথে ছিলেন। তিনি অন্য সকল মানুষের মঙ্গলের জন্যও অনেক ত্যাগ স্বীকার ও প্রার্থনা করেন। যীশুর মৃত্যুর পর মারিয়া যীশুর শিষ্যদের সাথে ছিলেন এবং তাঁদের সাহায্য করেছেন।

ঈশ্বরপুত্র যীশু মারিয়ার ছেলে। সাধু যোসেফ যীশুর পালক পিতা। যীশু তাঁর মা-বাবাকে ভালোবাসেন। তাই নাসারেথের পারিবারিক জীবনে যীশু তাঁর মা বাবার সাথে নম্র, বাধ্য ও বিশ্বস্ত থেকে জীবনযাপন করেছেন। ১২ বছর বয়সে যেরূশালেম মন্দিরে যীশু হারিয়ে যান। তিন দিন পর তাঁকে তাঁর মা-বাবা খুঁজে পান। এরপর যীশু নাসারেথে ফিরে এসে পিতা-মাতার বাধ্য হয়ে থাকেন। বাবাকে কাঠমিস্ত্রির কাজে ও মাকে পারিবারিক কাজে সাহায্য করেন। যীশু সব মানুষকে ভালোবাসেন। তবে দীনদরিদ্র, অসুস্থ ও পাপী মানুষকে বেশি ভালোবাসেন। যীশু, মারিয়া ও সাধু যোসেফ তারা পরস্পর পরস্পরকে ভক্তি, শ্রদ্ধা, সম্মান করেন ও ভালোবাসেন। তাই এ পরিবারকে পবিত্র পরিবার বলে সবাই জানে।

 

ক) ভেবে বলি। 

i) সাধু যোসেফ কীভাবে পবিত্র পরিবারের দায়িত্ব পালন করেছেন? 

ii) নাসারেথে মারিয়া কীভাবে তাঁর পরিবারের সেবা দিয়েছেন? 

iii) বাড়িতে তোমার মা ও বাবা কীভাবে তোমাদের যত্ন নেন?

 

খ) বাম দিকের তথ্যের সাথে ডান দিকের তথ্যের মিল করি।

 

 

 

i) সাধু যোসেফ একজন

 

সাধু যোসেফ মারিয়াকে গ্রহণ করেন।

 

 

ii) মারিয়া ঈশ্বরের

 

ধার্মিক ও নিরব কর্মী ছিলেন।

 

ii) তোমার সহপাঠী টিফিন না আনলে তুমি কী তার সাথে টিফিন ভাগাভাগি করে খাও?

 

 

 

iii) প্রভুর দূতের নির্দেশে

 

একান্ত বাধ্য ছিলেন।

 

iv) যীশুর মৃত্যুর পর

 

মারিয়া যীশুর শিষ্যদের সাহায্য করেছেন।

 

v) মারিয়া ও যীশুকে নিয়ে

 

সাধু যোসেফ মিশর দেশে পালিয়ে যান।

 

এ পাঠে শিখলাম

 

- শ্রদ্ধাবোধ একটি মহৎ গুণ। শ্রদ্ধাশীল হওয়ার উপায় এবং পরিবারের সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারা।

Content added By

পাঠ: ৮

ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জীবন যাপনে শ্রদ্ধাবোধ

(আদি ৪৫: ১-১৫)

 

যাকোব ও তার সন্তানগণ -

 

ঈশ্বরের বিশ্বস্ত সেবক যাকোব। তাঁর ১২ জন ছেলে। ছোট ছেলে যোসেফকে তিনি একটু বেশি ভালোবাসতেন। তাই অন্যেরা হিংসা করতো। ছোট ভাই একদিন স্বপ্নে দেখে মাঠে তারা ১২ জন ভাই ফসলের আটি বাঁধছে। এগারো জন ভাইয়ের ফসলের আঁটি তার আঁটিকে প্রণাম করছে। এ স্বপ্নটি সে তার ভাইদের বললো এবং ভাইয়েরা তার প্রতি আরো বেশি হিংসা করতে লাগলো। কিছুদিন পর আরো একটি স্বপ্ন দেখে। আকাশের সূর্য, চন্দ্র ও ১১টি তারা তাকে প্রণাম করছে। এ স্বপ্নটিও সে তার ভাইদের কাছে বর্ণনা করল। এবার যোসেফের ভাইয়েরা আরো বেশি রেগে গিয়ে তাকে মেরে ফেলতে চাইল। যোসেফের ভাইয়েরা একদিন

বাড়ি থেকে অনেক দূরে পশু চরাতে গেল। বাবা তখন যোসেফকে ভাইদের খোঁজ খবর নিতে পাঠালেন। তখন যোসেফকে একা পেয়ে তার ভাইয়েরা একদল বণিকের কাছে ২০টি রৌপ্য মুদ্রায় বিক্রি করে দিলো। বাবাকে এসে বললো, যোসেফকে হিংস্র পশু খেয়ে ফেলেছে। এতে তাদের বাবা অনেক কষ্ট পেলেন এবং কাঁদলেন। বণিকরা যোসেফকে মিশর দেশে নিয়ে রাজকর্মচারীর কাছে বিক্রি করে দিল। যোসেফ রাজকর্মচারীর বাড়িতে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করতে লাগলেন ও বড় হতে থাকেন। এ বাড়িতেই বড় হতে থাকেন। মিশর দেশের রাজা ফারাও রাতে একটি স্বপ্ন দেখে এবং তার অর্থ জানতে চান।

যোসেফ রাজার স্বপ্নের অর্থ ব্যাখ্যা করে। দেশে সাত বছর অনেক ফসল উৎপন্ন হবে এবং সাত বছর পর দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তখন দেশে খাদ্য পাওয়া যাবে না। রাজা তখন যোসেফকে দায়িত্ব দিলেন।

যোসেফ মিশর দেশের কৃষকদের নিয়ে ৭ বছর অনেক ফসল উৎপন্ন করে, অনেক অনেক গোলা ভরে রাখে। যোসেফ বাধ্য, বিশ্বস্ত ও নম্র ছেলে। তাই সে রাজার কথামতো কাজ করলো। সাত বছর পর যখন দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল তখন যোসেফের ভাইয়েরা কানান দেশ থেকে মিশর দেশে খাদ্য কেনার জন্য যোসেফের কাছে এলো এবং যোসেফকে প্রণাম করলে যোসেফ তার ভাইদের চিনে ফেললো। কিন্তু ভাইয়েরা যোসেফকে চিনতে পারেনি। যোসেফ তার পরিচয় দেয়নি। তাদের বাড়িতে কে কে আছে জিজ্ঞেস করলো। ভাইয়েরা বললো বাড়িতে তাদের বৃদ্ধ বাবা ও ছোট এক ভাই আছে। বৃদ্ধ বাবা বেঁচে আছেন জেনে যোসেফ তাদের বললো আবার যখন খাদ্য কিনতে আসবে তখন বাবা ও ভাইকে নিয়ে আসবে। ভাইয়েরা বললো তাদের পিতা-বৃদ্ধ এবং আগে এক ছোট ভাই মারা গেছে, সেজন্য তারা আসতে পারবে না। যোসেফ তখন জোরে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো এবং বললো আমি তোমাদের সেই ভাই যোসেফ, যাকে তোমরা বিক্রি করেছিলে। যোসেফ ভাইদের কাছে টেনে নিলো, জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করলো এবং চুম্বন করলো। তার ভাইয়েরা তখন ভয় পেয়ে গেলো। যোসেফ তাদের বললো, তোমরা ভয় পেও না, দুঃখও করো না, কারণ ঈশ্বর তোমাদের বাঁচাবার জন্যই আমাকে এ দেশে পাঠিয়েছিলেন। যোসেফ তার ভাইদের সকল অন্যায় অপরাধ ক্ষমা করে দিলো। যোসেফ তার বাবা, ভাই, তাদের পরিবার ও পশুপালকে মিশর দেশে নিয়ে এলো এবং একটি ভালো জায়গায় বাস করতে দিলো।

 

ক) ভেবে উত্তর লিখি। 

 

i) যাকোব যোসেফকে কেন ভাইদের কাছে পাঠিয়েছিলেন? 

ii) যোসেফের দেখা স্বপ্ন দুটির অর্থ কী ছিলো? 

iii) তার ভাইয়েরা যোসেফকে বিক্রি করলো কেন? 

iv) যোসেফের মৃত্যুর সংবাদে তার বাবার অবস্থা কেমন ছিলো? 

v) যোসেফ তার ভাইদের ক্ষমা করেন কেন?

 

খ) সঠিক স্থানে সঠিক উত্তর বসাই।

স্বপ্ন

চন্দ্র

প্রণাম

১২ জন

মিশর

যাকোব

বিশ

 

যোসেফের বাবার নাম ______ । তার _______ জন ছেলে। যোসেফ _____ দেখে সূর্য, ______ ও ১১টি তারা তাকে _______ করছে। যোসেফকে তারা _____ টাকায় বিক্রি করে। বণিকরা তাকে ____  দেশে নিয়ে যায়।

 

গ) বাম দিকের তথ্যের সাথে ডান দিকের তথ্যের মিল করি।

 

 

i) যাকোব তার ছোট ছেলেকে

 

আমি তোমাদের ভাই যোসেফ।

 

ii) যোসেফ দুই রাতে

 

বণিকের কাছে বিক্রি করে দেয়।

 

iii) যোসেফ কেঁদে বলে,

 

মিশর দেশের রাজা।

 

iv) যোসেফের ভাইয়েরা যোসেফকে

 

বেশি ভালোবাসতেন।

 

v) ফারাও ছিলেন

 

দুটি স্বপ্ন দেখেছিলো।

 

এ পাঠে শিখলাম

 

- ক্ষমা ও ভ্রাতৃপ্রেমের মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ করবো।

 

Content added By

পাঠ: ৯

বিদ্যালয়ে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা

 

ঈশ্বর মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাকে দিয়েছেন ঐশ্বরিক গুণ বিশ্বাস, আশা ও প্রেম। জন্মের পর মানুষ পরিবারের স্নেহ-ভালোবাসা ও সেবাযত্নে বেড়ে ওঠে। তারপর সে সমাজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষায় বড় হতে থাকে। পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয় থেকে সে অর্জন করে অনেক মানবীয় গুণ ও মূল্যবোধ। মানুষ তার ঐশ্বরিক ও মানবীয় গুণ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার পূজা অর্চনা করে। পিতা-মাতা, আত্মীয়- স্বজন ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা, সম্মান করে এবং ভালোবাসে।

 

এ প্রসঙ্গে একটি গল্প শুনি

 

প্রমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা-বাবা দুজনই চাকুরি করেন। প্রমা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে মায়ের কাজে সাহায্য করে। সে প্রতিদিন পড়া শিখে বিদ্যালয়ে যায়। প্রত্যেক শিক্ষকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সুযোগ নেয়। সে শিক্ষকদের ছোট ছোট কাজে সাহায্য করে। বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর সাথে মিশতে চেষ্টা করে। তার সহপাঠীদের সে ভালোবাসে। দরিদ্র সহপাঠীদের সে পেন্সিল, কলম ও টিফিন দিয়ে প্রায়ই সাহায্য করে থাকে। বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের সঙ্গে সে বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করে। বিদ্যালয়ের সবাই প্রমাকে পছন্দ করে ও ভালোবাসে।

 

ক) সঠিক উত্তরে টিক (✓) চিহ্ন দেই। 

 

i) ঈশ্বর মানুষকে কী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন? শ্রেষ্ঠ জীব/ রাজা / জমিদার। 

ii) ঈশ্বর মানুষকে কী কী ঐশ্বরিক গুণ দিয়েছেন? প্রেম-আশা-মমতা / বিশ্বাস-আশা-দয়া/ বিশ্বাস-আশা-প্রেম। 

iii) মানুষ কোথা থেকে তার মানবীয় গুণ অর্জন করে? পরিবার-সমাজ-বিদ্যালয়/অফিস-আদালত/ পরিবার-হাট-বাজার। 

iv) মানুষ কী দিয়ে তার সৃষ্টিকর্তার পূজা অর্চনা করে? জ্ঞান-বুদ্ধি/ অর্থ-বিত্ত/ ঐশ্বরিক ও মানবিক গুণ দিয়ে।

 

 

খ) নিজে করি।

প্রমার যে যে গুণ আছে তার মধ্যে ৫টি গুণ লিখি।

 

i) 

 

 

 

ii) 

 

 

 

iii) 

 

 

 

iv) 

 

 

 

v) 

 

 

 

এ পাঠে শিখলাম

 

– মানবীয় গুণ অর্জন করে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া সম্পর্কে জেনেছি।

Content added || updated By

পাঠ: ১০

সর্বজনীন শ্রদ্ধাবোধ

 

সর্বজনীন শ্রদ্ধাবোধ হলো সহজ সরল ও সুন্দর মন নিয়ে মানুষের সাথে থাকা ও মানুষের সেবা করা। নম্র-ভদ্র-সুন্দর ব্যবহার ও আচরণ দিয়ে অন্য সকল মানুষকে নিজের মতো ভালোবাসা। যে মানুষ যেমন আছে তাকে সেভাবেই গ্রহণ করা। সেভাবেই তাকে ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসার মধ্যে নেই কোন হিংসা, নিন্দা, অহংকার, ঘৃণা ও লোভ। থাকে না কোন অন্যায় ও অন্যায্যতা, কিংবা নিজের কোন সুযোগ-সুবিধা। কারণ যীশুর মধ্যে এসব মন্দ গুণ ছিলো না।

 

পবিত্র বাইবেলে ফিলিপীয় ২:৩-৮ পদে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয় লেখা আছে।

 

পরস্পর রেষারেষি করা যাবে না, অহংকার করা যাবে না। নম্র হয়ে, অন্যকে শ্রেষ্ঠজ্ঞান করতে ও নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি ভালোবাসতে হবে। স্বার্থপর হওয়া যাবে না, অন্যদের স্বার্থের কথা চিন্তা করতে হবে। লোভ করা যাবে না। সহমর্মী হতে হবে, ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধ থাকতে হবে। সততাও থাকতে হবে। যীশু অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখে নিজে ব্যথিত হয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য সাহায্য করেছেন। আমরাও যেন আমাদের সাধ্যমত মানুষের দুঃখ দূর করতে সচেষ্ট হই। যীশু ঈশ্বর, তিনি মানুষ হলেন; মানুষের মাঝে বাস করলেন। তিনি মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করলেন। অন্ধকে দৃষ্টি দিলেন। পঙ্গুকে হাঁটার শক্তি দিলেন, কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করলেন। এমনকি তিনি মৃত মানুষকেও জীবন দিলেন। যীশু গোয়াল ঘরে জন্ম নিলেন এবং ক্রুশের উপরে তাঁর জীবন দিয়ে সব মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করলেন। যীশু ক্রুশে জীবন দিয়ে তাঁর পিতার বাধ্য হলেন ও শেষ পর্যন্ত তাঁর ইচ্ছা পূরণ করলেন। এজন্য পিতা তাঁকে তাঁর সর্বোচ্চ সম্মান দিলেন।

 

ক) সর্বজনীন শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য কী কী গুণ অর্জন করবো তা নিচে লিখি।

 

i) 

 

 

 

ii) 

 

 

 

iii) 

 

 

 

iv) 

 

 

 

v) 

 

 
Content added By