On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন-১ - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি).
Content
Please, contribute to add content into উত্তম ওয়েও তৈরির শর্তাবলি.
Content

ওয়েল্ডিং একটি জটিল এবং কঠিন কাজ। ভালো ওয়েন্ডিং করা মোটেও সহজ নয়। তাই ওয়েল্ডারকে ধাতুর গুণাগুণ, প্রকৃতি ওয়েন্ডিং এর পরিভাষা, ওয়েন্ডিং এর নিয়ম-কানুন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। একজন দক্ষ ওয়েল্ডার এর কাছে ভালো ওয়েন্ডিং করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। অনেক সময় অনেক দক্ষ ওয়েল্ডারও অবহেলা করে ভুল নিয়মে ওয়েন্ডিং করে গুণাগুণ সম্পন্ন জোড় তৈরি করতে পারে না। 

ওরেন্ডের মান ও শক্তি নিরূপণে নিম্নে বর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করতে হবে—

  • উত্তম পেনিট্রেশন বা সঠিক পেনিট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ ধাতুর গলন সম্পন্ন করতে হবে। 
  • ধাতু জমাকৃতির নিবিড়তা বজায় রাখতে হবে।
  • ওয়েল্ড এর আকৃতি এবং রং মান সম্পন্ন হতে হবে। 
  • ধাতু ছিটানো (স্প্যাটার) রোধ করতে হবে।
  • বিডসমূহের ধারাবাহিকতা ও মসৃণতা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। 
Content added By

পেনিট্রেশনের গুরুত্বঃ

জোড়ের শক্তির জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত পেনিট্রেশনের জন্য অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনা ছাড়াই জোড় সম্পূর্ণরূপে বাতিল হতে পারে। সিংগল 'ভি' বাট জোড় পেনিট্রেশন বিভ সমান এবং জোড়ের মাঝখানে জোড়াতে বিরতিহীন হবে। পেনিট্রেশন বিডের গলন রুটফেসের মধ্যে উত্তমরূপে হতে হবে। তবে এরও মাপ রয়েছে। পেনিট্রেশন এর উচ্চতা হবে ইলেকট্রোডের ব্যাসের সমান। সামান্য বেশি বা কম গ্রহণযোগ্য। কম গলন বেন্ড টেস্ট বা ধ্বংসাত্মক পরীক্ষায় ধরা পড়ে। ফিলেট জোড়ে পেনিট্রেশন কর্নার পর্যন্ত পুরাপুরি হওয়া উচিত। ফিলেট ওয়েল্ড ব্রেক টেস্টে পরিষ্কার ধাতু রুট বরাবর দৃশ্যমান হওয়া উচিত । ওয়েন্ডিং জোড়ের মধ্যে অনেক সময় বার্নথ্রো দেখা যায়। এক্ষেত্রে মূল ধাতুর জোড়ের স্থান হিট অ্যাফেকটেড জোন হয়ে পড়ে। যার ফলে উক্ত স্থানে ফাটল দেখা দিতে পারে। 

গলনের গুরুত্বঃ

মূল ধাতুর মধ্যে এবং একাধিক রানের ওয়েল্ড এর মধ্যে পেনিট্রেশনের জন্য ভালো গলন অত্যাবশ্যক। ইন্টার রানের মধ্যেভালো গলন না হলে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা যায়, যেমন ল্যাক অফ ফিউশান, গ্যাস পকেট, স্লাগ ইনক্লুশান ইত্যাদি। তাই ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ইন্টার রানের গুরুত্ব অপরিসীম।

  •  ওয়েল্ড জমাকৃতির বর্ণনাঃ ওয়েল্ড এর গঠন নিবিড় এবং অপদ্রব্য যথা স্লাগ ইনক্লুশান এবং ছিদ্রাময়তামুক্ত হওয়া উচিত।
  •  ওয়েল্ড এর আকৃতি এবং রং এর বর্ণনাঃ
    ডিজাইন মোতাবেক ওয়েল্ডড জোড়ের শক্তি প্রাপ্তির নিমিত্তে ওয়েল্ড এর নির্দিষ্ট আকৃতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েল্ড এর আকৃতি জোড়ের কর্ম-ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এট থিকনেস (Throat Thickness) কম হওয়ার দরুন স্বাভাবিক মিটর ফিলেটের তুলনায় অবতল ফিলেট ওয়েল্ড দুর্বল হয়। জোড়ের শক্তি বজায় রাখতে বাট ওয়েন্ডের আকৃতি মসৃণ এবং ওয়েল্ড এর উপর সমভাবে কেন্দ্রীভূত হবে এবং রিইনফোর্সমেন্ট উচ্চতা প্লেটের পুরুত্বের প্রায় শতকরা ১০ ভাগ হবে। ভালো ওয়েল্ড এর রং উজ্জ্বল হবে।
  • স্প্যাটারঃ যদিও ওয়েন্ডিং জোড়ের ক্ষেত্রে স্প্যাটার তেমন ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত নয়, তবু যখন কোন জোড়ে অত্যাধিক স্প্যাটার দেখা যায, তখন বুঝতে হবে জোড়াটি কম শক্তিধর। স্টাটার তখনই দেখা দেয় যখন ওয়েল্ডার কিছু ভুল করে থাকে, আর ভুলের কারণেই জোড়ে ত্রুটি দেখা দেয়। 
Content added By
  • উত্তম ওয়েল্ড তৈরাতে প্রথম প্রয়োজন ওয়েল্ডার এর পরিভাষার উপর যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা।
  •  ওয়েল্ডার এর - দক্ষতা থাকলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
  • সঠিক নিয়মে জব প্রিপারেশন করতে হবে।
  • সঠিক কারেন্ট সেটিং উত্তম জোড়ের শর্ত।
  • সঠিক আর্ক লেংথ, বুনন কৌশল সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা অত্যাবশ্যক ।
  • কম পেনিট্রেশনের সাধারণ কারণসমূহ হলো, অত্যাধিক কম কারেন্ট অথবা সঠিক ভোল্টেজ সেটিং এর অভাব এবং অত্যাধিক লম্বা আর্ক। তাই সঠিক পেনিট্রেশনের জন্য উলিখিত ত্রুটিসমূহ এড়িয়ে চলতে হবে।
  • রুট ফেস গলনের জন্য আর্ক লেংথ ছোট এবং সঠিক ইলেকট্রোড চালনার গতি হতে হবে। ইলেকট্রোড অ্যাংগেলও গুরত্বপূর্ণ।
  • উত্তম জোড়ের জন্য মূল ধাতুর গুণাগুণের সাথে ইলেকট্রোডের গুণানগুণ সঠিক থাকতে হবে। 
  • ওয়েল্ডিং স্প্যাটার প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। স্প্যাটার ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ড কৌশল নির্দেশ করে। অত্যাধিক কারেন্ট, লম্বা আর্ক লেংথ ও আর্কথ্রো এগুলো প্রতিরোধের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
  • জোড়ের স্থানে অতিরিক্ত মাল জমার কারণ, ইলেকট্রোড চালনার গতি অত্যাধিক কম। এটা প্রতিরোধ করতে হলে সঠিক কারেন্ট ও সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করতে হবে।
  • গ্যাস পকেট বা স্লাগ ইনকুশান হওয়ার অন্যতম কারণ, ড্যাম্প ইলেকট্রোড বা জোড় ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, উল্লিখিত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সঠিক ইলেকট্রোড ও জোড় স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। রিইন ফোর্স মেন্টের উচ্চতা কত হওয়া উচিত?

২। রুট ফেস গলানোর জন্য আর্ক লোম কেমন হওয়া উচিত?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। উত্তম ওয়েল্ড তৈরীর শর্ত সমূহ লিখ। 

২। উত্তম ওয়েল্ড জোড়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর ।

৩। উত্তম ওয়েল্ড জোড় তৈরিতে গৃহীতব্য ব্যবস্থাসমূহ বর্ণনা কর।

৪। উত্তম ওয়েল্ড জোড়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।

রচনামূলক প্রশ্ন

৫। ধাতু জোড়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কী কী অসুবিধা হত বর্ণনা কর।

৬। ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে পেনিট্রেশনের গুরুত্ব বর্ণনা কর। 

Content added By
Please, contribute to add content into অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং-এর কলাকৌশল.
Content

ওয়েন্ডিং-এর বিভিন্ন অবস্থনসমূহ নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

  • ডাউন হ্যান্ড/ফ্লাট পজিশন-সমস্ত অবস্থান
  • হরাইজন্টাল/পঞ্জিশন-আনু ভূমিক অবস্থান
  • ভার্টিক্যাল পজিশন- উলম্ব অবস্থান
  • ওভারহেড পজিশন-অভারতে অবস্থান 
  • ইনক্লাইন্ড-পজিশন-কৌনিক অবস্থান

Content added By

উলম্ব ওয়েল্ডিংঃ ঊর্ধ্বাভিমুখী কিংবা নিম্নাভিমুখী ওয়েন্ডিং এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতা আছে। উভয় ক্ষেত্রেই গলিত ধাতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়। ঊর্ধ্বতিমুখী উলম্ব ওয়েল্ডিং এর সময় ধাতু আর্কের ভিতর হতে (ক্রাটারের মধ্যে পতিত হয়, তারপর তা ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত) নিচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকে, এটিই ঊাতিমুখী গতিকে বাধা দান করে উত্তল বিভ এবং গভীর পেনিট্রেশন উৎপন্ন করে। 

এ অবস্থার কিছুটা বুনন পন্ডিতে ওয়েন্ডিং করতে করতে উপরের দিকে অগ্রসর হতে হয়।

নিয়তিমূখী উলম্ব ওয়েল্ডিংঃ এ ওয়েল্ডিং এর গতি অত্যন্ত দ্রুত হয়। কারেন্ট অত্যাধিক না হলে আন্ডার কার্ট পড়ে। অবতল আকৃতির ওয়েল্ডিং উৎপন্ন করে। পেনিট্রেশন কম হয় ।

সাধারণতঃ রুট রানের ক্ষেত্রে এ ওয়েল্ড প্রযোজ্য নয়। অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে বুননের সময় জোড়ের দুই প্রান্তে ক্ষণিকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নতুবা ধাতু জোড়ের বিড উৎপন্ন হবে না।

কৌণিক ওয়েন্ডঃ যে ওয়েন্ডিং এর ডাল প্রায় ৪৫° সাধারণত তাকে কৌণিক ওয়েন্ডিং ধরা হয় এবং উল অবস্থানের জন্য একই বুনন নীতি অনুমোদিত।  

হরিজন্টালঃ হরিজন্ট্যাল ওয়েন্ডিং এ পেনিট্রেশন যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সে ক্ষেত্রে ১ম রান কি হোল (Key-hole) বজায় রেখে ধাতু গলিয়ে সম বুনন নীতি মেনে চলতে হবে। অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে জোড়ের দুই ধারে সামান্য থেমে থেমে হেলিয়ে দুলিয়ে বুনন করে ওয়েল্ডিং সম্পন্ন করতে হবে।

ওভারহেড ওয়েল্ডিংঃ ওভারহেড ওয়েল্ডিং কোন কঠিন কাজ নয়। সুতরাং ওভার হেড নাম শুনলেই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আর্ক লেংথ ছোট রেখে ইলেকট্রোডকে সঠিক কোণে ধরে ধাতু জোড় করতে হবে। রুট রানের ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য রয়েছে, ওভার হেড জোড়ের ক্ষেত্রে কারেন্টের পরিমাণ একটু বেশি লাগবে, তবে অত্যাধিক হতে পারবে না। ধাতুর দুই প্রান্ত গলানোর জন্য যে সময় প্রয়োজন বুনন গতিতে শুধু তত সময় ব্যয় করতে হবে। অধিক সময় ব্যয় করা হলে বার্নথ্রো হতে পারে। 

Content added By

অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং জোড়ের কৌশল বদল করতে হয়। ফ্লাট অবস্থানে ধাতু জোড়ের যে কৌশল ব্যবহার করা হয়। ওভার হেড অবস্থানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। হরিজন্টাল অবস্থানে ধাতু-জোড়ের ক্ষেত্রে গলিয়ে ধাতু ততটা নিচের দিকে না পড়লেও উলম্ব অবস্থানে মাধ্যাকর্ষণ জনিত কারণে গলিত ধাতু নিচের দিকে পড়তে থাকে। তাই উত্তম জোড়ের জন্য হরিজন্টাল এবং উলম্ব অবস্থানে আলাদা আলাদা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। ওভার হেড অবস্থানে মধ্যাকর্ষণের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। তাই আর্ক লেংথ ছোট রেখে, সঠিক কারেন্ট অ্যাডজাস্ট করে সঠিক গতিতে ধাতু জোড় দিতে হবে। ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে মধ্যাকর্ষণের প্রভাব যত বেশি থাকবে গলিত ধাতু তত শরীরের দিকে স্প্যাটার করতে থাকবে। তাই বিশেষ নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে।

Content added By

পেনিট্রেশন এর জন্য ইলেকট্রোডের আর্ক সর্বদা কম রাখতে হবে। ফ্লাট অবস্থায় ইলেকট্রোডকে ধাতুর জোড়ের দিকে ৭০°-৮০° কোণে এবং দুই পৃষ্ঠদেশ থেকে ৯০° কোণে রেখে সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড জোড় দিতে হয়। হরিজন্টাল অবস্থায় মূল ধাতুর জোড়ের উপর নিচ থেকে ইলেকট্রোডকে ৪৫° কোণে রেখে সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করে ধাতু জোড় দিতে হয়। আবার ওভারহেড অবস্থায় ইলেকট্রোডকে ধাতু জোড়ের সাথে ৯০° কোণে রেখে ছোট আর্ক লেংথ কারেন্ট একটু বেশি অ্যাডজাস্ট করে সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করতে হয়। ইলেকট্রোড এর কোণ বেশি কম হলে ধাতুমল ঝরে পড়তে থাকবে। উলম্ব ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড এমন ভাবে ধরতে হয়, যাতে এটি আনুভূমিক রেখার প্রায় ১০-১৫ ডিগ্রি নিচে এবং অগ্র ভাগে আর্ক ক্রাটারের প্রায় ৩.২৫ মিমি উপরে থাকে।

Content added By

সতর্কতা বলতে আমরা সাধারণত মানুষের সতর্কতাকে বুঝে থাকি, কিন্তু সতর্কতা বলতে মানুষ, টুলস ইকুপমেন্ট কাঁচামাল সবকিছুরই সতর্কতা বা নিরাপত্তাকে বুঝায়। ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে অবস্থান ভেদে নিরাপত্তা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ডাউন হ্যান্ড বা ফ্লাট পজিশনে নিরাপত্তা ঝুঁকি কম মনে হলেও অবহেলার কারণে ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঊর্ধাভিমুখী কিংবা নিম্নাভিমুখী ওয়েন্ডের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতা আছে, উভয় ক্ষেত্রেই গলিত ধাতু মাধ্যকার্ষণ শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়। ঊর্ধ্বাভিমুখী উলম্ব এ ওয়েল্ডিং ধাতু আর্কের ভিতর হতে ক্রেটারের মধ্যে পতিত হয়। তারপর ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত নিচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকে। এ গলিত ধাতুর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ইলেকট্রোড এর কোণ ঠিক রেখে, সঠিক গতি ও আর্ক লেংথ বজায় রাখলে সুন্দর জোড় দেওয়া সম্ভব। ওভারডেড ওয়েল্ডিং এর উপর উলেখযোগ্য ভাবে প্রতিফলিত হয় এবং যেহেতু ওভারহেড ওয়েল্ডিং ঢিবির আকৃতি ওয়েল্ড এবং আন্ডার কাট হয় সেহেতু ওভার হেড ওয়েল্ডিং পদ্ধতি প্রয়োগে অবশ্যই বিশেষ যত্নবান হতে হবে। গলিত ধাতু রুটের মধ্যে স্থাপনে আর্কের গতি পথের বল ব্যবহার করে ইলেকট্রোড ওয়েল্ডিং এর দিকে প্রায় ৮০° এবং উলম্ব তল হতে ২০° কোণে চালনা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। ওয়েন্ডিং পজিশন বলতে কী বোঝায়?

২। হরিজন্টাল পজিশন কী?

৩। ভার্টিক্যাল পজিশন কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

৪। ওভার হেড পজিশন বলতে কী বোঝায়?

৫। ফ্লাট পজিশন বলতে কী বোঝায়? 

৬। কৌণিক পজিশন বলতে কী বোঝায়?

রচনামূলক প্রশ্ন

৭। অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং এর বুনন কৌশল বর্ণনা কর।

৮। অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং এর চালনা কৌশল ব্যক্ত কর।

৯। অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং এর সতর্কতা ব্যক্ত কর।

Content added By
Please, contribute to add content into ওয়েল্ড জোড়ের বিকৃতি দমন কৌশল.
Content

বিকৃতি ওয়েল্ড জোড়েনা একটি অন্যতম দোষ। এটি দমন করা ওয়েল্ডারের প্রধান কর্তব্য। এ বিকৃতির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। সময় ও অর্থের অপচয় হয়। বিকৃতির কারণ, প্রকার ইত্যাদি সঠিক ভাবে জেনে তা দমনের জন্য ওয়েল্ডারকে সঠিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। বিকৃতির কারণসমূহ হলো ওয়েন্ডিং চলাকালীন সময়ে ধাতুর অসম প্রসারণ ও সংকোচন। প্রসারণ ও সংকোচনজনিত বল নিয়ন্ত্রণ না করলে বিকৃতি ঘটে। 

জোড় এর বিকৃতিসমূহকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়

(ক) আড়াআড়ি বিকৃতি 

(খ) লম্বালম্বি বিকৃতি এবং 

(গ) কৌণিক বিকৃতি।

Content added By

আড়াআড়ি বিকৃতি

যখন দুইটি প্লেট না আটকিয়ে বাট জোড় দেওয়া হয়। ওয়েন্ড মেটাল সংকোচনের দরুন উক্ত প্লেটম্বর পরস্পরের দিকে টেনে নিকটবর্তী হতে থাকবে। এটি আড়াআড়ি বিকৃতি নামে পরিচিত।

লম্বালম্বি বিকৃতি

না আটকিয়ে একটি সমতল সরু শিট মেটালের উপর ওরেও করলে উক্ত টুকরা উপরের দিকে বেঁকে উঠে। একে লম্বালম্বি বিকৃতি বলে এবং এটি ওয়েন্ড মেটালের দৈর্ঘ্য বরাবর ঠাণ্ডা ও সংকোচিত হওয়ার দরুন হয়ে থাকে।

কৌণিক বিকৃতিঃ দুইটি প্লেট সমকোণে রেখে একদিকে ওয়েল্ড করলে ঠান্ডা হওয়ার পর উক্ত প্লেট সমকোণে থাকবে না। সংকোচন জনিত স্ট্রেস প্লেট এবং ওয়েল্ডকে একে অপরের দিকে টানবে। অনুরূপ ভাবে সিংগেল- ডি বাট জোড় একে অপরের দিকে টেনে অক্ষচ্যুত করবে। 

Content added || updated By

বিকৃতি দমনের উপায়গুলো নিচে দেওয়া হলো-

  • স্ট্রেস বিস্তৃতি করণ
  • প্রি-সেটিং
  • পিনিং
  • স্টেপ ব্যাক মেথড
  • ওয়ান্ডারিং/স্কিপ মেথড
  • জিগ এবং ফিকচার দ্বারা

বিকৃতি দমনের পদ্ধতিগুলোর বর্ণনা :

স্ট্রেস বিস্তৃতিকরণঃ এটি সংকোচন জনিত বল। অন্যটির বিরুদ্ধে সমন্বয় করাই স্ট্রেস বিস্তৃতিকরণ ওয়েল্ডিং। এর ধারাবাহিকতা সঠিকভাবে বজায় রেখে এটি করা হয়ে থাকে।

যন্ত্রাংশের প্রি-সেটিংঃ এ পদ্ধতিতে ওয়েন্ডিং সংকোচনের জন্য অ্যালাউন্স রাখা হয়। অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা সম্ভব জোড় কতখানি সংকোচিত হবে এবং জবকে সেটিং করতে বিপরীত দিকে তাকে হেলাতে হবে।

পিনিংঃ ওয়েল্ডিং ঠাণ্ডা হয়ে সংকোচিত হয়। ঠাণ্ডা হওয়ার সময় যদি হাতুড়ির আঘাত (পিনিং) করা হয় এতে ওয়েল্ড মেটাল এর বিস্তৃতি হবে এবং সংকোচনের বিপক্ষে কাজ করবে।

স্টেপব্যাক মেথডঃ চিত্রে প্রদর্শিত নিয়মে বিকৃতি দমন করা যায়।

ওয়ান্ডারিং/স্কিপমেথডঃ  চিত্রে প্রদর্শিত চিত্র অনুযায়ী বিকৃতি দমন করা যায়।

জিগ এবং ফিকচারঃ জিগ এবং ফিকচার ব্যবহার করে বিকৃতি দমন করা যায় ।  

Content added || updated By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। ওয়েল্ডিং জোড়ের বিকৃতি বলতে কী বোঝায়?

২। ওয়েল্ডিং জোড়ে বিকৃতির কারণসমূহ উল্লেখ কর ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

৩। ওয়েল্ডিং জোড়ের বিকৃতির ফলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, তা বর্ণনা কর।

৪। ওয়েল্ডিং জোড়ের বিকৃতি দমনের উপায়গুলো সমূহ লিখ ।

৫। স্টেপব্যাক মেথড উল্লেখ কর।

রচনামূলক প্রশ্ন

৬। স্কিপ মেথড কী? চিত্রাঙ্কন করে দেখাও।

৭। জিগ এবং ফিকচারের কার্যকারিতা বর্ণনা কর।

৮। প্রি-সেটিং বলতে কী বোঝায়? উল্লেখ কর ।

Content added By
Please, contribute to add content into আর্ক ওয়েল্ডিং এর পোলারিটির ব্যবহার.
Content

মহান স্রষ্টার পৃথিবীতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পদার্থ। কোনটি তরল, কোনটি কঠিন, আর কোনটি বা বায়বীয় । প্রতিটি পদার্থকে ভাঙতে ভাঙতে ক্ষুদ্র কণা আকারে আনা যায়। এরূপ অতি ক্ষুদ্র কণা যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে সে পদার্থের গুণ বিদ্যমান থাকে, তাকে সে পদার্থের অনু (Molecule) বলে। অনুকে ভাঙলে পাওয়া যায় পরমাণু কিন্তু পরমাণুকে ভাঙলে কী পাওয়া যাবে? হ্যাঁ পরমাণুকে ভাঙলে দুইটি জিনিস পাওয়া যাবে।

(১) নউক্লিয়াস (Nucleus)

(২) ইলেকট্রোন (Electron)

নিউক্লিয়াস পরমাণুর মধ্যস্থলে থাকে এর মধ্যে থাকে প্রোটন এবং নিউট্রন। প্রোটনের আছে ধনাত্মক চার্জ, আর নিউট্রনের কোন চার্জ নাই। ইলেকট্রোন অতি হালকা কণিকা। এরা নিউক্লিয়াসের চারদিকে ডিম্বাকার কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। এদের ভর একটি প্রোটনের ভরের প্রায় ১৮৩৭ ভাগ মাত্র। প্রত্যেকটি পরমাণুতে যতটি ধনাত্বক চার্জের প্রোটন থাকে ঠিক ততটি ঋণাত্মক চার্জের ইলেকট্রোন থাকে। ফলে পরমাণু স্বাভাবিক অবস্থায় (Neutral) থাকে। যদি কোন হালকা একটি ইলেকট্রোন সরিয়ে অন্য পরমাণুতে আনা যায়, তখন যেখান হতে ইলেকট্রোন আসল তথায় হবে ধনাত্মক চার্জ এবং যেখানে ইলেকট্রোন যোগ হলো সেখানে হবে ঋণাত্বক চার্জ, আর এ ইলেকট্রোন এর প্রবাহকেই বলা হয় ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ। যার মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয় পরিবাহী।

 কোন নির্দিষ্ট প্রস্থচ্ছেদের ইলেকট্রিক কারেন্ট দুই প্রকার 

(১) একমুখী প্রবাহী বা ইংরেজিতে ডাইরেক্ট কারেন্ট (সংক্ষেপে একে ডিসি বলে

(২) পরিবর্তী প্রবাহী বা ইংরেজিতে অলটার নেটিং কারেন্ট (সংক্ষেপে একে এসি বলে)

(১) ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ডি.সি. পেতে সাধারণত ডি. সি. ডিজেল জেনারেটর বা ডি.সি. রেকটিফায়ার ব্যবহৃত হয়। ডি.সি. স্বাধারণত অধিক গুণাগুণ সম্পন্ন ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যে সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাতু এবং পুরত্ব ও গুণাগুণ সম্পন্ন ইলেকট্রোড ব্যবহারের প্রয়োজন হয় সে সব ক্ষেত্রে ডি.সি. কারেন্ট ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে পোলারিটি পরিবর্তন করা যায়। সাধারণত ভারী ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

(২) যে সব ক্ষেত্রে পাতলা ধাতু জোড় দেওয়া হয়, সে সব ক্ষেত্রে এ.সি কারেন্ট ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে পোলারিটি পরিবর্তন করা যায় না।

(ক) ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো বৈদ্যুতিক সংজ্ঞা

(১) ভোল্টেজ (Voltage )

(২) রেজিস্ট্যান্স (Resistance)

(৩) অলটারনেটিং কারেন্ট (এসি) (AC)

(৪) ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) (D.C)

(৫) ইলেকট্রিক পাওয়ার (Electric Power )

(৬) সার্কিট (Circuit)

(৭) পোলারিটি (Polarity)

(৮) স্ট্রেট পোলারিটি (Straight Polarity)

(৯) রিভার্স পোলারিটি (Reverse Polarity)

(১০) আর্ক ভোল্টেজ ( Arc Voltage)

(১১) ওপেন সার্কিট ভোল্টেজ (Open Circuit Voltage)

(১২) স্ট্রাইকিং ভোল্টেজ (Striking Voltage)

(১৩) আর্ক বো (Are Blow)

(১৪) তার (Wire)

(১৫) ক্যাবল (Cable)

(খ) ওয়েল্ডিং এর সাথে সম্পর্কিত বৈদ্যুতিক সংজ্ঞাগুলোর বর্ণনাঃ

ভোল্টেজঃ নলের মধ্য দিয়ে পনি প্রবাহিত করতে যেমন চাপের প্রয়োজন অনুরূপভাবে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত করতে চাপের প্রয়োজন হয় এবং চাপকে ভোল্টেজ বলে। এর এককের নাম ভোল্ট ।
রেজিস্ট্যান্সঃ কোন পদার্থের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় উক্ত পদার্থ যে বাধা প্রদান করে তাকে ঐ পদার্থের রেজিস্ট্যান্স বলে। রেজিস্টান্স পরিমাপের এককের নাম ওহম।

অলটারনেটিং কারেন্ট (এসি)  যে বিদ্যুৎ প্রতি মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে তাকে পরিবর্তী প্রবাহ বা ইংরেজিতে অলটারনেটিং কারেন্ট বলে। (সংক্ষেপে এসি বলা হয়)

ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) যে বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় দিক পরিবর্তন করে না, তাকে একমুখী প্রবাহ বা ইংরেজিতে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে (সংক্ষেপে ডিসি বলে)। 

ইলেকট্রিক পাওয়ার কোন সার্কিটে বলের সাহায্যে একক সময়ে যে কাজ হয় তাকে ইলেকট্রিক পাওয়ার বলে। এর একক ওয়াট। এক ওয়াটকে এক হাজার গুণ করলে তাকে কিলোওয়াট বলে। অর্থাৎ ১ ওয়াট x১০০০= ১ কিলোওয়াট।

সার্কিট ইলেকট্রিসিটি চলার পথকে বাংলায় বর্তনী এবং ইংরেজিতে সার্কিট বলে।

পোলারিটি কোন সার্কিটে ইলেট্রোন কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে তা নির্দেশ করাকে পোলারিটি বলে। উলেখ্য যেহেতু ডিসি একমুখী সুতরাং এর পোলারিটি আছে কিন্তু এসি প্রতি মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে তাই এর কোন পোলারিটি নেই। ওয়েল্ডিং ক্ষেত্রে এ পোলারিটির গুরুত্ব অপরিসীম।

 

Content added By

পোলারিটি দুই প্রকার, যথাঃ

(ক) স্ট্রেইট পোলারিটি
(খ) রিভার্স পোলারিটি

স্ট্রেইট পোলারিটি যখন ইলেকট্রোড ঋণাত্মক প্রান্তে এবং জব ধনাত্বক প্রাপ্তে থাকে তখন সে ব্যবস্থাকে স্ট্রেইট পোলারিটি বলে ।

রিভার্স পোলারিটি  রিভার্স অর্থ উল্টা, সুতরাং এবার পূর্বের সংযোগ উল্টা করে করতে হবে। অর্থাৎ ইলেকট্রোডযুক্ত হবে ধনাত্বক প্রান্তে এবং জবযুক্ত ঋণাত্মক প্রান্তে তাহলে এ ব্যবস্থাকে বলা হবে রিভার্স পোলারিটি।

 

Content added By

স্ট্রেইট পোলারিটির ব্যবহার : ইলেকট্রোড হোল্ডার যখন নেগেটিভ (-ve) মেরুতে সংযুক্ত হয় তা স্ট্রেইট পোলারিটি। এতে ইলেকট্রোড হতে প্লেটের দিকে ইলেকট্রোন প্রবাহিত হয়। ফলে মোট তাপের ৬৬.৬৬% সৃষ্টি হয় প্লেটে এবং বাকি ৩৩.৩৩% সৃষ্টি হয় ইলেকট্রোডে। 

স্ট্রেইট পোলারিটি ভারী বা মোটা জব ওয়েন্ডিং করতে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে সরু ব্যাস বিশিষ্ট পাতলা আবরণযুক্ত বা নগ্ন ইলেট্রোড ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রোতে কম তাপ উৎপন্ন হওয়া উক্ত ইলেকট্রোড অতিরিক্ত পোড়া হতে রক্ষা পায়।

রিভার্স পোলারিটির ব্যবহার ইলেকট্রোড হোন্ডার যখন নেগেটিভ (+ve) মেরুতে সংযুক্ত হয় তখন তা রিভার্স পোলারিটি। এ ক্ষেত্রে প্লেট হতে ইলেকট্রোডের দিকে ইলেকট্রোন প্রবাহিত হয় ফলে ইলেট্রোভে ৬৬.৬৬% এবং প্লেটে ৩৩.৩৩% তাপ উৎপন্ন হয়ে ইলেকট্রোডের প্রান্তে ধাতু গলে পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। সুতরাং পাতলা বা চিকন ভাব ওয়েল্ডিং করার কাজে এই পোলারিটি ব্যবহৃত হয়।

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। পোলারিটি বলতে কী বোঝায়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

২। আর্ক ওয়েল্ডিং এ পোলারিটির গুরুত্ব উল্লেখ কর।

৩। পোলারিটি শ্রেণি বিন্যাস কর।

৪। স্ট্রেইট পোলারিটি ও রিভার্স পোলারিটি বলতে কী বোঝায়? অঙ্কন করে দেখাও।

৫। পোলারিটির ব্যবহার বর্ণনা কর ।

রচনামূলক প্রশ্ন 

৬। ওয়েল্ডিং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ১০টি বৈদ্যুতিক সংজ্ঞার নাম উল্লেখ কর।

৭। এ.সি ও ডি.সি এর পার্থক্য চিত্রাঙ্কন করে দেখাও।

৮। সংজ্ঞা লিখঃ (ক) ভোল্টেজ (খ) রেজিস্ট্যান্স (গ) ইলেকট্রিক পাওয়ার (ঘ) সার্কিট।

Content added By
Please, contribute to add content into ফিলেট জোড়ার দৃঢ়তা.
Content

ওয়েন্ডিং জোড়াগুলোর মধ্যে ফিলেট- জোড়া একটি শক্তিশালী জোড়া। এটি প্রকৌশল ক্ষেত্রে ফেব্রিকেশন বা জোড়া দেওয়ার কাজের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। ফিলেট জোড়ার বিভিন্ন অংশ যথা রুট, টো, লেগ ইত্যাদি সঠিকভাবে তৈরি করলে এটি অবশ্যই দৃঢ় হবে।

ফিলেট জোড় এর বিভিন্ন অংশের নাম নিম্নে প্রদত্ত হলো ।

- রুট 

-টো 

-লেগ লেংথ

-থ্রোট থিকনেস

Content added By

 ফিলেট ওয়েল্ড এর বিভিন্ন অংশের বর্ণনা।

  • রুট : উলম্ব এবং আনুভূমিক প্লেটদ্বয়ের মিলনস্থল এবং যেখান হতে ওয়েল্ডিং আরম্ভ হয়, সেটাই রুট।
  • টোঃ যে চূড়ান্ত বিন্দুতে ওয়েল্ডিং সম্পন্ন হয় সেটা টো ।
  •  লেগ লেংথঃ  ফিলেট ওয়েল্ড এর রুট হতে টো পর্যন্ত দূরত্বকেই লেগ লেংথ বলে।
  • ছোট থিকনেসঃ রুট হতে টো দ্বয়ের মধ্যবর্তী বিন্দু পর্যন্ত লম্ব দূরত্বকেই ছোট থিকনেস ।
Content added By

দৃঢ় ফিলেট ওয়েল্ড তৈরি করতে হলে নিম্নের বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে।
- প্রস্তুতি
- পেনিট্রেশন
- ছোট থিকনেস 
- আকৃতি ও কার্যকরী দৈর্ঘ্য
- আকার ও সাধারণ প্রয়োজনীয়তা

উল্লিখিত কৌশলাদির বর্ণনা নিম্নে প্রদত্ত হলো 

প্রস্তুতি : সাধারণত তেমন কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না তবে ওয়েল্ড এলাকা পরিষ্কার এবং পেটের স্পর্শক তলদ্বয় মসৃণ হতে হবে। পেটের পুরুত্বের ভিত্তিতে সিংগল কিংবা ডাবল বিভেল প্রস্তুত করতে হয়।

  • পেনিট্রেশনঃ যেহেতু সব জোড়েই পেনিট্রেশন অত্যাবশ্যক এবং ফিলেট ওয়েন্ডের বেলায় অবশ্যই ভালো পেনিট্রেশন অত্যাবশ্যক। সুতরাং এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  •  ছোট থিকনেসঃ এটি রুট হতে ফেসের কেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্বের পরিমান। মিটার কিংবা স্বাভাবিক ফিলেটের ফেস পেট তলের সাথে ৪৫° ডিগ্রি কোণ অবস্থান করে (সমান লেগ লেংথ)। অন্যান্য ধরনের ওয়েল্ড উত্তল কিংবা অবতল।
  • সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হতে ওয়েল্ড আকৃতির দুই গুণ বাদ দিলে কার্যকরী দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়। দৃঢ় ওয়েল্ডিং পেতে - হলে পরিমাণ অনুসারে ওয়েল্ড হলো কীনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

উদাহরণঃ একটি ওয়েল্ড ৪০০ মিমি লম্বা এবং ১২ মিমি ফিলেট। তাহলে, কার্যকরী লেংথ ৪০০ - (১২ x ২) = ৩৭৬ মিমি হবে। ওয়েন্ডের শুরুতে এবং ক্রেটারের প্রান্তে পেনিট্রেশন হওয়ার দরুন এ অ্যালাউন্স দেওয়া হয়।

  • আকার ও সাধারণ প্রয়োজনীয়তাঃ ওয়েন্ডের কার্যকরী এলাকা বর্গ মিমি এ = থ্রোট থিকনেস x কার্যকরী দৈর্ঘ্য। 

উদাহরণ : একটা জোড়ের প্লেট থিকনেস ৪ মিমি এবং কার্যকরী দৈর্ঘ্য ২০ মিমি। অতএব, এর কার্যকরী এলাকা = ৪x২০ =৮০ বর্গ মিমি।

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। রুট বলতে কী বোঝায়?

২। টো বলতে কী বোঝায়?

৩। লেগ লেংথ বলতে কী বোঝায়? 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

৪। ছোট থিকনেস বলতে কী বোঝায়?

৫। পেনিট্রেশন বলতে কী বোঝায়?

৬। ফিলেট জোড়ার দৃঢ়তা বলতে কী বোঝায়?

রচনামূলক প্রশ্ন

৭। ফিলেট ওয়েল্ডের বিভিন্ন অংশের নাম লেখ।

৮। ফিলেট ওয়েল্ডের বিভিন্ন অংশ বর্ণনা কর ।

৯। দৃঢ় ফিলেট ওয়েল্ড তৈরির কৌশল বর্ণনা কর।

Content added || updated By
Please, contribute to add content into ওলেন্ডিং ফ্লাক্সের ব্যবহার.
Content

সুন্দর ওয়েল্ডিং করতে ফ্লাক্সের ব্যবহার অপরিহার্য, এটি এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ, যা অক্সিডেশন ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
নিম্নে ধাতুভেদে বহুল প্রচলিত ফ্লাক্সসমূহের নাম উল্লেখ করা হলো :

(ক) সোডিয়াম বোরেট এবং অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রিত রোরেক্স ধরনের।

(খ) অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণসহ রোরেক্স।

(গ) লিথিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম বাই সালফেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইডস জাতীয় ফ্লাক্স । 

(ঘ) সোডিয়াম, পটাশিয়াম বা অন্যান্য অ্যালকালিন বোরেট, কার্বনেটস্ এবং শগ তৈরির উপাদান সমূহঃ

এছাড়াও আর্ক ওয়েন্ডিং এর ইলেকট্রোড এর উপর যে আবরণ থাকে তাকে ইলেট্রোড ফ্লাক্স বলে।

 

Content added By

- অক্সিজেন কমাতে
- সৃষ্ট অক্সাইড দূর করে
- শক্তিশালী ও অধিকতর নমনীয় জোড় তৈরি করতে।
- ওয়েল্ডিং কার্য সহজতর করতে।
- ওয়েল্ড যেটালে গ্যাসের আবরণ সৃষ্টি করে, যা গলিত ধাতু বায়বীয় সুষিতকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে।

চিত্রঃ ফ্লাক্সের কার্যকারিতা 

- ওয়েল্ড মেটালের তারল্য, পেনিট্রেশন এবং ওয়েল্ড বিডের নিয়ন্ত্রণ করতে।
- জমাকৃত ওয়েভ মেটালে অ্যালয় যোগ করতে। -
- ওয়েন্ড মেটালের জমাকৃতির হব নিয়ন্ত্রণ করতে।
- ওয়েন্ড মেটাল ঠাণ্ডা করণের হার কমাতে।

Content added By

নিম্নে ধাতু ভেদে বহুল প্রচলিত গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্লাক্সসমূহ প্রদত্ত হলোঃ

ধাতু

ফ্রান্স

ব্রাশ এবং ব্রোঞ্জসমূহসোডিয়াম বোরেট এবং অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রিত রোরাক্স ধরনের
কপারঅন্যান্য পদার্থের মিশ্রণসহ বোরাক্স
অ্যালুমিনিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়সমূহলিথিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম বাইসালফেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইডস
কাস্ট আয়রনসোডিয়াম পটাশিয়াম বা অন্যান্য অ্যালকালিন বোরেট, কার্বনেটস, বাই-কার্বনেটস এবং স্পগ তৈরির উপাদনসমূহ

 

 নিম্নে ধাতুভেদে বহুল প্রচলিত কোটেড ইলেকট্রোডসমূহের ব্যবহার 

- সেলুলুজ : সকল শ্রেণির মাইল্ড স্টিল, সকল অবস্থানে এ.সি অথবা ডি.সি ইলেকট্রোড

- এসিড : সচরাচর কেবলমাত্র সমতল অবস্থানে ব্যবহার যোগ্য কিন্তু তা অন্য অবস্থানেও এসি অথবা ডিসিতে ব্যবহার হতে পারে।

-রুটাইল (মধ্যম আয়রন) : সব ধরনের স্টিল ওয়েলডিং- এর জন্য ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। সকল অবস্থানে এসি অথবা ডিসি সরবরাহে বিশেষত ও ভার্টিক্যাল এবং ওভারহোল অবস্থানের উপযোগী।

-রুটাইল (ভারী আয়রন) : প্রধানত সমতল অবস্থানের জন্য এ.সি এবং ডি.সি সরবরাহে উপযোগী।

-অক্সিডাইজিংঃ ডি.সি অথবা এ.সি সরবরাহে ওপেন সার্কিট ভোল্টেজ ৪৫ ভোল্ট এর মতো কম রেখে ।

-বেসিকঃ ডি.সি সরবরাহে ইলেকট্রোড (+Ve) এর উপযোগী। এ.সি তে ওপেন সার্কিট ভোল্টেজ ৭০ হবে। মাইন্ড লো অ্যালয়, হাইটেনসাইল এবং স্ট্রাকচারাল স্টিলের ক্ষেত্রে বিশিষ করে যেখানে উচ্চ প্রতিরোধক শক্তি প্রয়োজন। ফ্লাট, ভার্টিক্যাল এবং ওভারহেড অবস্থানে ওয়েল্ড করা হয়, শেষোক্ততে সমতলে জমা হয়। 

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। ফ্লাক্স বলতে কী বোঝায়?

২। ফ্লাক্সের শ্রেণি বিন্যাস কর।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

৩। বিভিন্ন ধরনের ফ্লাক্সের কার্যকারিতা বর্ণনা কর।

৪। বিভিন্ন ধরনের ফ্লাক্সের ব্যবহার বর্ণনা কর।

রচনামূলক প্রশ্ন 

৫। অ্যালুমিনিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় সমূহের জোড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য ফ্লাক্সসমূহের নাম উল্লেখ কর।

৬। ব্রাশ এবং ব্রোঞ্জসমূহ জোড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফ্লাক্সসমূহের নাম উল্লেখ কর।

৭। সেলুলুজ, রাইটাল, অক্সিডাইজিং এবং বেসিক ধরনের ফ্লাক্স বলতে কি বোঝায় ?  

Content added By
Please, contribute to add content into সংকর ইস্পাতের ওয়েন্ডিং উপযোগিতা.
Content

যে কোন ধাতুর গুণাগুণ জানা থাকলে সংশিষ্ট ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে ধাতুর গুণাগুণ মোতাবেক সঠিক ইলেকট্রোড সঠিক কারেন্ট সেটিং, সঠিক ওয়েল্ডিং এর অবস্থান নির্বাচন ও সঠিক ধাতু জোড়ের টেকনিক গঠন গ্রহণ করা যায়।

নিম্নে প্রধান প্রধান সংকর ইস্পাতসমূহের গুণাগুণ প্রদত্ত হলো : 

নিকেল স্টিল- অত্যন্ত শক্ত, শক্তি সম্পন্ন এবং মজবুত

  • ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন
  •  উত্তমরূপে পালিশ হয়ে থাকে
  • অধিক টানা শক্তি সম্পন্ন
  • মরিচা রোধক

ম্যাঙ্গানিজ স্টিল- অত্যন্ত শক্ত

  • চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না 
  • উত্তমরূপে কাস্টিং করা যায়
  • উত্তমরূপে রোলিং করা যায়

ক্রোমিয়াম নিকেল স্টিলের চেয়ে শক্ত

  • নিকেল স্টিলের চেয়ে শক্তি সম্পন্ন
  • যে কোন স্টিলের চেয়ে করোশান রোধক
  • ঘর্ষন ক্ষয় রোধক

স্টেইনলেস স্টিল- অত্যন্ত শক্ত এবং মজবুত

  • স্টেইনলেস স্টিল চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং হার্ডেড করা যায়
  • স্টেইনলেস স্টিল এসিড এবং অ্যামোনিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
  • ওয়েল্ডিং করা যায়
  • টানা শক্তি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ৬.২৮.৩ টন
  • ব্রিলেন হার্ডনেস নং ২০-২৪

টাংস্টেন স্টিল- অত্যন্ত শক্ত এবং মজবুত

  • একে তাপ প্রক্রিয়া দ্বারা শক্ত করা যায়
  • কাটিং টুলস্ ম্যাটেরিয়ালস্ হিসেবে ব্যবহৃত হয়
  • উচ্চ গলন তাপমাত্রা
  • ওয়েল্ড করা কঠিন তবে ওয়েল্ড করা সম্ভব
Content added By

ওয়েল্ডিং জোড়ের ক্ষেত্রে বর্তমান জগতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। ধাতুর গুণাগুণের উপর এর পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হয়। তবে মূল ধাতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ফিলার রড বা ইলেকট্রোড নির্বাচন করা হয়। ফ্লাক্স বা ফ্লাক্স কোটেড ইলেকট্রোডের ক্ষেত্রেও এর ভিন্নতা রয়েছে।

কার্যত সকল সংকর ধাতু জোড়া সম্ভব। কোন কোন সংকর ধাতু জোড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ ওয়েল্ডারের প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী মাইন্ড স্টিলের তুলনায় অ্যালয় স্টিল ওয়েল্ডিং অনেক বেশি অসুবিধাজনক, এর কারণ ওয়েল্ডিং করার সময় ওয়েল্ড এলাকার নিকটবর্তীস্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়, বিডে স্লাগ ইনক্লুশান এবং গ্যাস পকেট সৃষ্টি হয় এবং ঐ ত্রুটিগুলো জোড় দুর্বল করে দেয়। কোন জোড়ে ফাটল দেখা দিলে উক্ত জোড় কেটে ফেলে দিতে হয়, কারণ ফাটল মেরামত যোগ্য ত্রুটি নহে। একবার ফাটল আরম্ভ হলে তা শুধু ছড়াতেই থাকে। শুধু সঠিক নিয়ম, সঠিক অ্যালয় ইলেকট্রোড এবং সঠিক অবস্থানসহ সব ধরনের প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এ ধাতু জোড় সহজতর হয়। নির্দিষ্ট অ্যালয় স্টিলের জন্য নির্দিষ্ট ধরনের ইলেকট্রোডের ব্যবহার করা হলে এ ধরনের ত্রুটি প্রতিরোধ বা হ্রাস করা যেতে পারে। 

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। সংকর ইস্পাত কী? 

২। ক্রোমিয়াম স্টিল কী?

৩। ম্যাঙ্গানিজ স্টিল কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

৪। নিকেল স্টিলের গুণাগুণ উল্লেখ কর।

৫। ম্যাঙ্গানিজ স্টিলের গুণাগুণ উলেখ কর।

৬। টাংস্টেন স্টিলের গুণাগুণ উল্লেখ কর।

রচনামূলক প্রশ্ন 

৭। সংকর ধাতুর গুণাগুণ ব্যাখ্যা কর।

৮। সংকর ধাতু জোড়ের বৈশিষ্ট্য উলেখ কর।

৯। ম্যাঙ্গানিজ স্টেইনলেস স্টিলের গুণাগুণ উলেখ কর।

Content added || updated By
Please, contribute to add content into অলৌহল ধাতুর ওয়েন্ডিং বৈশিষ্ট্য.
Content

অলৌহজ ধাতু ও অলৌহজ ধাতুর সংকরের ওয়েল্ডিং উপযোগিতা জানা না থাকলে ওয়েল্ডার কখনও ওয়েল্ডিং করতে পারবে না, এক সময় অনেক অলৌহজ ধাতু বা এর সংকরের ওয়েল্ডিং সম্ভব ছিল না কিন্তু বর্তমানে নতুন ওয়েল্ডিং পদ্ধতি ও কৌশলে তা খুবই সহজেই ওয়েল্ডিং করা যায়। ওয়েল্ডিং উপযোগী প্রধান প্রধান অলৌহজ ধাতুসমূহ যথা-

  • কপার (তামা)
  • ব্রাস
  • জিংক
  •  লোড 
  • ব্রোঞ্জ 
  • অ্যালুমিনিয়াম
Content added By

ওয়েল্ডিং উপযোগী কতকগুলো অলৌহজ ধাতু ও তাদের সংকরসমূহের নাম নিম্নে উলেখ করা হলো।

কপার (তামা)

  • তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
  • নমনীয়
  • উত্তমরূপে মেশিনিং করা যায়।
  • এসিডের দ্বারা ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়।
  • ঠাণ্ডা এবং উত্তপ্ত প্রণালিতে কার্যোপযোগী
  • টানা শক্তি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ২ টন।
  • গলনাঙ্ক = ১০৮৩ ডিগ্রি সেঃ
  •  স্ফুটনাঙ্ক = ২৩২৫ ডিগ্রি সেঃ

সাধারণ পিতল :

  • উপাদান তামা – ৬৭%
  • দস্তা ৩৩%
  • সাধারণ অবস্থায় তামার চেয়ে শক্ত
  • উজ্জ্বল হরিদ্রাভ
  • আবহাওয়ার প্রভাবে আক্রান্ত হয় না
  • প্রলেপ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়
  • টানাশক্তি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটার ১৯০-২৫০ কেজি
  • গলনাঙ্ক ৪১৯ ডিগ্রি সেঃ 
  • স্ফুটনাঙ্ক ৯০৭ ডিগ্রি সেঃ

লোড (সীমা) 

  • অত্যন্ত নমনীয়
  • টানাশক্তি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ১০০-২০০ কেজি
  • ব্রিনেল হার্ডনেস নং ৩২-৪৫ 
  • গলনাঙ্ক = ৩২৭ ডিগ্রি সেঃ
  • স্ফুটনাঙ্ক = ১৫২৫ ডিগ্রি সেঃ

অ্যালুমিনিয়াম 

  • তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী
  • সাধারণ আবহাওয়ায় আক্রান্ত হয় না
  • সমুদ্র পানি এবং এসিড দ্বার আক্রান্ত হয় না।
  • নমনীয়
  • উত্তমরূপে মেশিনিং করা যায়
  • ঠাণ্ডা এবং উত্তপ্ত প্রণালিতে কার্যোপযোগী
  • টানাশক্তি প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ৯০০ কেজি
  •  চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না
  • গলনাঙ্ক = ৬৫৯.৮ ডিগ্রি সেঃ
  • স্ফুটনাঙ্ক = ১৮০০ ডিগ্রি সেঃ
  • ব্রিনেল হার্ডনেস নং ১৯-২৩ 
Content added By

কার্যতঃ অধিকাংশ অলৌহজাত এবং তাদের সংকরসমূহ ওয়েন্ডিং উপযোগী। কিন্তু কতকগুলো অলৌহজাত ধাতু এবং তাদের সংকরসমূহের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দরুন ওয়েল্ডিং করা অসুবিধাজনক। ধারাবাহিক পরীক্ষা এবং উন্নয়নের ফলে বর্তমানে ঐ সমস্ত ধাতু সন্তোষজনকভাবে ওয়েল্ডিং করা সম্ভব। যেমন অ্যালুমিনিয়াম জোড়ের ক্ষেত্রে টিগ ওয়েল্ডিং ও গ্যা ওয়েল্ডিং প্রযোজ্য ছিল কিন্তু বর্তমানে বিশেষ ধরনের ফ্লাক্স কোটেড ইলেকট্রোড দ্বারা সহজে ইলেকট্রিক আর্ক ওয়েল্ডিং করা হচ্ছে। তদ্রূপ অ্যালুমিনিয়ামের সংকরসমূহ কপার এবং তাদের সংকরসমূহ আর্ক এবং গ্যাস উভয় পদ্ধতিতে সহজভাবে জোড় দেওয়া যায়। অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং তাদের সংকরসমূহ, ত্রুটিমুক্ত এবং শক্তিশালী ওয়েল্ড তৈরি জন্য বর্তমানে টিগ এবং মিগ ওয়েল্ডিং বেশি নির্ভরযোগ্য। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যালুমিনিয়াম এর নিখুঁত জোড়ের ক্ষেত্রে টিগ ওয়েন্ডিং অধিক গ্রহণযোগ্য।

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। অলৌহজ ধাতু কী?

২। কপার (তামা) বলতে কী বোঝায় ?

৩। পিতল কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

৪। জিংক বলতে কী বোঝায়?

৫। লিড বলতে কী বোঝায়?

৬। অ্যালুমিনিয়াম বলতে কী বোঝায় ?

রচনামূলক প্রশ্ন

৭। ওয়েল্ডিং উপযোগী অলৌহজ ধাতুসমূহের নাম উল্লেখ কর। 

৮। ওয়েল্ডিং উপযোগী অলৌহজ ধাতুর সংকরসমূহের নাম উল্লেখ কর।

৯। অলৌহজ ধাতুর ওয়েল্ডিং উপযোগিতা ব্যাখ্যা কর।

Content added || updated By
Please, contribute to add content into গ্যাস ওয়েন্ডিং-একিদার মেটালের ব্যবহার.
Content
  • ওয়েল্ডিং, সোল্ডারিং ও ব্রেজিং করার সময় যে অতিরিক্ত যা ব্যবহৃত হয় তাই কিলার মেটাল নামে পৰিচিত। যে ক্ষেত্রে শুধু মূল ধাতু জোড়া দেওয়া সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে কিপার মেটাল ব্যবহৃত হয়। তবে ফিলার মেটাল প্রয়োগের কৌশল, প্রকার ও বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে ওয়েন্ডারের জ্ঞান থাকা দরকার। 
  • ওয়েল্ডিং, ব্রেজিং এবং সোল্ডারিং করার সময় ব্যবহৃত অতিরিক্ত ধাতু সাধারণত নিম্নলিখিত ধরনের ফিলার মেটাল হিসেবে পাওয়া যায়।  
  • ফ্লাক্সের আবরণ বিশিষ্ট কিলার রঙ যা ইলেকট্রোড হিসেবে বহুল পরিচিত। 

  • জড়ানো তারের আকৃতি ফিগার মেটাল বা সোল্ডারিং কাজে ব্যবহৃত হয়। 

শিটের কাটা কালির ফিলার মেটাল। 

 

Content added By

ফ্লাক্সের আবরণ বিশিষ্ট ফিলার রড : 

  • এ রড বিভিন্ন জাতীয় ফ্লাক্স দ্বারা আবৃত থাকে। এ জাতীয় ফিলার রড আর্ক ওয়েল্ডিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়। এ জাতীয় ইলেকট্রোড সাধারণত সেলুলোজ এসিড, রুটাইল, অক্সিডাইজিং, বেসিক ইত্যাদি ধরনের হয়ে থাকে। আবরণের উপাদানের বৈশিষ্ট্যের উপর ইলেকট্রোডের শ্রেণি বিন্যাস করা হয়।

দাকৃতির ফিলার রডঃ

  • এ জাতীয় ফিলার রড বিভিন্ন ধাতুর হয়ে থাকে, সরু থেকে পুরু হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন আকার আকৃতির ফিলার মেটাল বাজারজাত করে থাকে।

তারের কুণ্ডলী আকারের ফিলার রডঃ

  • অনেক তার একত্রে কুণ্ডলীর মতো হুইল বা ঢাকাতে জড়ানো থাকে, যা ব্যবহারের সময় ঢাকা থেকে ঘুরতে ঘুরতে বেরিয়ে আসে। আমাদের দেশের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকাতে এ জাতীয় কুণ্ডলী দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত অবস্থায় রাখা হলে মরিচা পড়ে, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ জাতীয় কুণ্ডলীতে মাইন্ড স্টিলের উপর কপারের হালকা আবরণ দেয়া থাকে যাতে তারের উপর মরিচা না পড়ে।
  •  বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো প্রত্যেক ধরনের রডের সিলিকনের পরিমাণ শনাক্ত করার জন্য রং এর কোড ব্যবহার করে থাকে। রড এর প্রান্তে রং কোড করা হয়ে থাকে। 
  • এছাড়াও বিভিন্ন ধরনে শিট কেটে, শিটের ছোট ছোট পাত কিলার মেটাল হিসেবে বাজারজাত করা হয়ে থাকে।  
  • বাণিজ্যিক শিটের পাত বা রঙের বিকল্প হিসেবে শিটের ছোট ছোট ফালি কেটে নেওয়া যেতে পারে।

 রকমারি ফিলার মেটালের বর্ণনাঃ

  • ফিলার মেটাল সাধারণত সোল্ডারিং, ব্রেজিং এবং ওয়েন্ডিং করার সময় ব্যবহৃত অতিরিক্ত ধাতু, রকমারি ফিলার রডের ব্যবহার নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
  • ফ্লাক্সের আবরণ বিশিষ্ট রড যা ইলেকট্রোড হিসেবে অধিক পরিচিত। এ ইলেকট্রোডের প্যাকেট বা ইলেকট্রোডের আবরণ ছাড়া অংশে রং এর কোড দেওয়া থাকে। ওয়েন্ডার উক্ত রং এর কোড দেখে এর ব্যবহার বুঝতে পারে। এর রং এর কোড তার আবরণের যৌগের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। 

দণ্ডাকৃতির ফিলার :

বিভিন্ন সাইজ এবং মাপের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত গ্যাস ওয়েল্ডিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়। দণ্ডাকৃতি রডের মুখে রং এর কোড থাকে। রং এর কোড দ্বারা বুঝা যায় এটি কোন ধাতুর মূল ধাতু এবং ফিলার রড সমজাতীয় হতে হয়।

  • জড়ানো তারের আকৃতির ফিলার মেটাল সোল্ডারিং কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • মিগ ওয়েল্ডিং বা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের জন্য কুণ্ডলী আকৃতির ফিলার মেটাল ব্যবহার করা হয়। এতে সুবিধা হলো বার বার ফিলার মেটাল বদলাতে হয় না। এতে অল্প সময়ে অধিক পরিমাণের ধাতু জোড়া দেওয়া সম্ভব। এ ফিলার রড ব্যবহারে ওয়েল্ডিং এর গুণ, মান ও পরিমাণ সবই পাওয়া যায় ।
  • রকমারি ফিলার, বাণিজ্যিক রডের বিকল্প হিসেবে শিটের ফালি ধাতু- জোড়ের ক্ষেত্রে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। ফিলার মেটাল ব্যবহারে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হয়। জোড়স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হয়। ধাতুর পাতের উপরিভাগের আবরণ পরিষ্কার করতে হয়। ওয়্যার ব্রাশ বা এমারি ক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করে। 
Content added By

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ

১। গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ফিলার মেটাল ব্যবহারের গুরুত্ব উল্লেখ কর।

২। ফিলার মেটালের শ্রেণি বিন্যাস কর।

৩। রকমারি ফিলার মেটালের বর্ণনা দাও।

৪। রকমারি ফিলার মেটালের ব্যবহার বর্ণনা কর।
 

রচনামূলক প্রশ্নঃ

৫। দণ্ডাকৃতি ফিলার রড বলতে কী বোঝায়? এ ধরনের ফিলার রড ব্যবহারের সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।

৬। ফ্লাক্স ও আবরণ বিশিষ্ট ফিলার রড ও দণ্ডাকৃতি ফিলার রডের তুলনামূলক আলোচনা কর ।

৭। বাণিজ্যিক রডের বিপরীতে শিটের কালি ব্যবহারের গুরুত্ব উল্লেখ কর।

Content added By
Please, contribute to add content into এরেন্ড জোড়ের কাট-বিচ্যুতি পরীক্ষার ধারণা.
Content

ওয়েল্ডিং প্রযুক্তিবিদদের মতে, দোষমুক্ত কোন নিখুঁত ওয়েল্ডিং বেস মেটালের চেয়ে বেশি শক্তিশালী জোড় তৈরি করে। ওয়েল্ডিং এ নানা প্রকার যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক কারণে দোষ বা ডিফেক্ট হতে পারে। ফলে সহজেই তা ভেঙে যায়। যার ফলে ওয়েল্ডিং করার উদ্দেশ্যই ব্যহত হয় একেই ওয়েল্ডিং এর ত্রুটি বলে। কিন্তু ওয়েল্ডিং জোড় ত্রুটি অবস্থায় কখনও রাখা উচিত না। দোষ-ত্রুটিগুলো ধরা পড়লে সাথে সাথে তার প্রতিকার করে ত্রুটিমুক্ত করা উচিত। অনেক সময় ওয়েল্ডারদের দক্ষতার অভাবে বা অসতর্কতাবশত কাজের অবহেলায় ওয়েল্ডিং-এ প্রচুর দোষ থেকে যায়। তাদের জানতে হবে ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুব ক্ষতিকারক। যে কোন মুহূর্তে জোড় স্থান ভেঙে যেতে পারে বা জোড়ার দক্ষতা কমে যেতে পারে। অনেক সময় ওয়েল্ডিং জোড়ে সামান্য ত্রুটি হয়ে থাকে, যা মেরামত যোগ্য। সামান্য মেরামতের ফলে উক্ত জোড় শক্তিশালী জোড় হবে। শুধু জোড় স্থান পরীক্ষার মাধ্যমেই ত্রুটি শনাক্ত করা যায়। আবার অনেক ত্রুটি আছে যেমন ফাটল, যা একবার দেখা দিলে তা বাড়তেই থাকবে। কোন জোড়ের ফাটল দেখা দিলে তা কেটে ফেলে নতুনভাবে জোড় দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি আদৌ শনাক্ত করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আদৌ ত্রুটি-বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য নয়, যেমন উড়োজাহাজ, সমুদ্রগামী জাহাজ, প্রেসার ট্যাংক প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জোড় ১০০% নিখুঁত হয়, এ সমস্ত কাজের জোড় নিখুঁত না হলে অর্থাৎ কোন ত্রুটি থেকে গেলে যে কোন মুহূর্তে প্রাণনাশক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ ধরনের জোড়ে অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা দ্বারা জোড় ত্রুটিমুক্ত কীনা তা নিশ্চিত হতে হয়। এছাড়াও ক্রুড ওয়েল, রিফাইনারি, গ্যাস লাইন, গ্যাস প্যান্ট, পাওয়ার স্টেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ত্রুটি যুক্ত জোড়ের প্রয়োজন। এক্ষেত্রেও অধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে জোড় পরীক্ষা করে ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয় এবং মেরামতযোগ্য ত্রুটি-বিচ্যুতি মেরামত করা হয়। এমতাবস্থায় শুধু পরীক্ষর মাধ্যমেই ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা যায়। ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা গেলে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে। আর সে জন্যই ওয়েল্ডিং-এর দোষ-ত্রুটি সম্বন্ধে জ্ঞানার্জন করে তা থেকে ওয়েল্ডিং স্থানকে মুক্ত রাখবার চেষ্টা করতে হবে। 

Content added By
  • ওয়েল্ডিং জোড়ের চাক্ষুষ পরীক্ষার সর্বোত্তম পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত। আন্দাজ না করে চোখে দেখে দোষ-ত্রুটি শনাক্ত করাই বাস্তব সম্মত বলে বিবেচিত। সব ধরনের ব্যাপক সংখ্যক ওয়েন্ডের জোড় সর্বপ্রথম চাক্ষুষ পরীক্ষা করা হয় এবং এতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ দেখা হয়-
  • ওয়েল্ডের চেহার/আকৃতি-প্রকৃতি
  • পরিমাপের সূক্ষ্মতা এবং যন্ত্রাংশসমূহ একই অক্ষ রেখায় কীনা?
  • ওয়েন্ডের আকৃতি
  • জোড়ের অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন
  • আন্ডার কাট
  • স্লাগ ইনক্লুশানস
  • পৃষ্ঠে ছিদ্রময়তা
  • ওয়েন্ডের ফাটল
  • ক্রেটার এবং বিশেষ করে ওয়েন্ডের প্রান্তে ক্রেটারের মধ্যকার ফাটল
  • ওয়েল্ড বিডের মসৃণতা
  • অতিরিক্ত ক্যাপিং রান
  • কনকেভ/কনভেক্স আকৃতি
  •  মাল পুড়ে ঝুলে পড়া
  • ওয়েল্ড জোড়ের ফলে ধাতুতে বিকৃতি
  • এছাড়াও ওয়েন্ডিং করার সময় চাক্ষুষ তদারকিতে জোড়ের ত্রুটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়
Content added By

ওয়েল্ডিং জোড় সাধারণত দুইভাবে পরীক্ষণ করা হয়। যথা-

(১) ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা

(২) অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা :

জোড় স্থানের উপরিভাগে ত্রুটি-বিচ্যুতি চাক্ষুষভাবে দেখা যায় কিন্তু জোড়ের ভিতরে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে তা দেখার জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এ পদ্ধতিতে জোড়কে টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেশিনারির সাহায্যে ভেঙে জোড়ের ভিতরের ত্রুটিসমূহ চাক্ষুষ অবলোক করা হয়।

অনেক সময় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বা মূল্যবান ধাতুকে জোড় দেওয়া হয়, তা ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করা যায় না। কারণ এতে সময়, অর্থ বা মালামাল নষ্ট হবে। এক্ষেত্রে অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মূল ধাতু বা জোড় স্থানের কোন ক্ষতি না করে বিভিন্ন উপায়ে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করা হয়। একে অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি বলা হয়, যেমন এক্সরে টেস্ট। মেকানিক্যাল টেস্ট বা যান্ত্রিক পরীক্ষা ধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যেই পড়ে। এ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বেক টেস্ট, বেন্ড টেস্ট, টেনসাইন টেস্ট, হার্ডনেস টেস্ট, ইমপ্যাক্ট টেস্ট, ফেটিগ টেস্ট ও ম্যাক্রোনকোমিক টেস্ট।

ব্রেক টেস্ট :

ওয়েল্ড বাঁকিয়ে ভেঙে তার প্রস্থচ্ছেদ পরীক্ষা করে অভ্যন্তরস্থ ত্রুটিসমূহের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এটিই নিকব্রেক টেস্ট নামে পরিচিত। ওয়েন্ডের নির্দোষ অবস্থা নির্ণয়ের জন্য এটি একটি আদর্শ ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা।

ব্রেক টেস্টের পদ্ধতিঃ

একটি নমুনা টুকরা ওয়েন্ডেড জোড় হতে কেটে নাও এবং না ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে বাঁকাও ।

  • জোড়ের মধ্য বরাবর উপরের প্লেট বাঁকিয়ে ভেঙ্গে ফেলার জন্য হাড়ির আঘাত কিংবা লিভার ব্যবহৃত হয়। 
  • ভাঙা ফেলে নিরীক্ষা কর। -
  • গ্রেইন স্ট্রাকচার/দানার গঠন লক্ষ কর। 

  • কম গলন
  • পেনিট্রেশন
  • বো-হোলস

বেড টেস্ট পদ্ধতির বর্ণনাঃ

এ পরীক্ষা বাট জোড়ের ওয়েল্ড মেটাল, ওয়েল্ড জাংশান এবং ভাগ প্রভাবিত এলাকার নির্দোষ অবস্থা নির্ণয় করার জন্য করা হয়। এটি দ্বারা ওয়েন্ড এলাকার নমনীয়তা ও পরিমাপ করা হয়।

- পাতলা এবং পুরু ভরেন্ডপিল ও বেন্ড টেস্ট করা যেতে পারে। 

- টেস্টপিস প্লেটের গুরুত্বের চার গুণ হওয়া উচিত।

- বেড টেস্টের জন্য হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রেস ব্যবহৃত হয়।

- টেস্টপিসের গুরুত্বের উপযোগী বেভিং টুলস বাছাই কর।

- টেস্টপিস না ভেঙে চিত্রানুযায়ী বাঁকাও।

- ওয়েল্ডের উপর দিক হতে টেস্ট করা যেতে পারে অথবা ওয়েল্ডের রুট হতে করা যেতে পারে।

টেনসাইল টেস্টঃ

ওয়েল্ড জোড়ের স্পেসিমেনকে প্রেসের মধ্যে আটকিয়ে জোড়ের টেনসাইল টেস্ট করা যেতে পারে।

টেনসাইল টেস্ট
- টেনসাইল টেস্ট দ্বারা ধাতু জোড়ের টানশক্তি নির্ণয় করা হয়। বেন্ড টেস্টের ন্যায়, টেস্ট স্পেসিমেন কেটে রেডি করতে হয়। পরে, প্রেসার মিশিনে আটকিয়ে টেনসাইল টেস্ট করা হয়। গেজের মধ্যে প্রাপ্ত রিডিং থেকে টেস্ট স্পেসিম্যানের টেনসাইল শক্তি নির্ণয় করা যায়।

Content added By

ওয়েল্ডিং জোড়ের অধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যে বহুলভাবে ব্যবহৃত এক্স-রে টেস্ট অন্যতম। ওয়েল্ড জোড়ের অভ্যন্তরের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিখুঁতভাবে শনাক্ত করার জন্য এটি সর্বোত্তম। বর্তমানে উৎপাদনশীল সকল শিল্প কারখানায় এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। যে স্থানে বিদ্যুতের সুবিধা রয়েছে সেখানে এক্স-রে টেস্ট করা হয়। গামা-রে এবং এক-রে উভয় পদ্ধতিতে ওয়েল্ড জোড়ের স্থানে রেডিওগ্রাফি করা হয়। মানুষের শরীরে যেমন এক্স-রে করে শরীরে রোগ শনাক্ত করা হয় অদ্রুপ ওয়েল্ড জোড়ের ক্ষেত্রে ও এক্স-রে বা গামা-রে যারা ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। মানুষের শরীরের এক্স-রে করার জন্য এক্স-রে ফিল্ম ব্যবহার করা হয়, এক্স-রে করার জন্য সময় নির্ধারিত থাকে। এক্স-রে তে শট নেওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় নেওয়া যায় না, কারণ এক্স-রে হলো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। এ তেজঞ্জির মানুষের শরীরের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে এক্স-রে ফিল্মের উপর পড়ে এবং ভিউয়ার এর মাধ্যমে ভালোভাবে দেখা হয়। ওয়েন্ড জোড়ের বেলায়ও ঠিক একই অবস্থা।

ধাতু জোড়ের উপর এক্স-রে ফিল্ম লাগিয়ে বিপরীত এক্স-রে বা গামা-রে এর সাহায্যে রেডিওগ্রাফি করা হয়। এ রেডিওগ্রাফির জন্যও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তা নির্ভর করে ধাতুর পুরুত্বের উপর। ধাতুর পুরুত্ব যত বেশি হবে রেডিওগ্রাফির সময় তত বেশি লাগবে। রেডিওগ্রাফির এ সময়কে বলা হয় এক্সপোজার টাইম বেশি বা কম হলে ফিল্মে সঠিক ত্রুটি পেতে কষ্ট হবে। এক্স-পোজার টাইম বেশি হলে, ফিল্ম ডেভেলপ করার পর সম্পূর্ণ কালো দেখা যাবে। আবার এক্সপোজার টাই কম হলে ফিল্ম ডেভেলপ করে ভিউয়ার এর মধ্যে দেখে দোষ- ত্রুটি শনাক্ত করতে হয়। অধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যে ধাতু জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো রেডিওগ্রাফি।

নিরাপত্তাঃ

আমরা জানি তেজস্ক্রিয়তা মানুষের শরীরের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ঐ হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলা হয়েছে, যার বিক্রিয়া এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এলাকার শিশুরা এখনও বিকলাঙ্গ হিসেবে জন্মগ্রহণ করছে। এ তেজস্ক্রিয়তার ফলে মানুষের শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে। ওয়েল্ডিং জোড় রেডিওগ্রাফি করার সময়ও এ রেডিয়েশন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, এতে শরীরের নানা অংশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। এখন কথা হলো এ বিপদজনক রেডিওগ্রাফি মানু করবে না? না, করবে? এটি ব্যবহারেরও নিয়ম কানুন রয়েছে, সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা হলে কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। এ রেডিয়েশন মাপার একক হলো রেম, যাকে বলা হয় রঞ্জন অ্যাবজরবম্যান। অর্থাৎ একজন মানুষ মাসে, তিন মাসে বা প্রতিবছর কতটুকু রেম গ্রহণ করতে পারবে।

এক্স-রে ফিল্ম ইন্টার প্রিটেশনঃ 

রেডিওগ্রাফি শেষে এক্স-রে ফিল্মকে ডেভেলপ ও ড্রাই করে ভিউয়ার যারা ফিল্মের গায়ে প্রদর্শিত ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। ওয়েল্ডিং জোড়-ফিল্ম বসানোর সময় জোড়ের পায়ে দাগ ও মাপ নেওয়া হয়। যার ফলে ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত করার পর সঠিক স্থানে ত্রুটি মেরামত করা সম্ভব হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ের সাধারণত সব ধরনের ত্রুটি এক্স-রে ফিল্মে প্রদর্শিত হয় যেমন বো-হোল, স্পা, গ ইনক্লুশান, ল্যাক অব পেনিট্রেশন, অতিরিক্ত পেনিট্রেশন, আন্ডার কাট, গ্রাস পকেট, পোরসিটি, ফাটল, কনকেভ, কনভেক্স, বার্নগ্রো ইত্যাদি ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা যায়। তবে কোন ত্রুটি কতটুকু পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য (Acceptance) API-1104 মোতাবেক তার নিয়মকানুন রয়েছে।

Content added By

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কখনও কখনও মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। টেস্ট স্পেসিম্যানকেই শুধু ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে শুধু পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায় কিন্তু জোড়াটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেক ক্ষেত্রে এ অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা প্রক্রিয়া ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে উত্তম।

আন্ট্রাসনিক টেস্টের বর্ণনা

আস্ট্রাসনিক নিরীক্ষণ ওয়েল্ড পরীক্ষার একটি অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি। আল্ট্রাসনিক সাউন্ড কাজে লাগিয়ে এ টেস্ট করা হয়। এ টেস্টে ২০০০০০ থেকে ২৫০০০০০০ সাইকেল/সেঃ কম্পনার বিশিষ্ট শব্দ তরঙ্গ চালনা করা হয়। তরঙ্গ ওয়েভের অভ্যন্তরে বরাবর ভেল করে নিকটবর্তী তলের দোষ-ত্রুটি নির্ণয় করে। যখন তরঙ্গ ধাতুর মধ্য দিয়ে চলে তখন এর কিছু শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং এটি ইন্টারফেসে প্রতিফলিত হয়। প্রতিফলিত রশ্মি পালস ইকো যন্ত্রের পর্দায় প্রদর্শিত হয়ে ওয়েন্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কীনা প্রদর্শন করে। অনেক সময় ওরেন্ড জোড়ের উপর মরলা থাকলে ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করতে সমস্যা হয়। তাই ভরেন্ড জোড় ভালোভাবে পরিষ্কার বা স্মুথ করে আল্ট্রাসনিক টেস্ট করতে হয়।  

Content added By

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কী?

২। অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কী?

৩। বেন্ড কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

৪। ধ্বংসাত্মক ও অধ্বংসাত্মকের পার্থক্য কী?

৫। জোড় ভেঙে জোড়ের ভিতর কী ত্রুটি দেখা যায়?

৬। বেন্ড স্পেসিমেনের পরিমাপ উল্লেখ কর।

রচনামূলক প্রশ্ন 

৭। ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় কর।

৮। এক্স-রে পরীক্ষা বর্ণনা কর।

৯। আল্ট্রাসনিক টেস্ট বর্ণনা কর।

Content added By
Please, contribute to add content into ব্যবহারিক.
Content
Please, contribute to add content into আর্ক ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে পেনিট্রেশনসহ সিঙ্গেল 'ভি' এটি জোড় তৈরি.
Content

Content added By
  • সাধারণত পাতলা শিট ওয়েন্ডিং করতে রুট ইন ইলেকট্রোড, যে সব ক্ষেত্রে অধিক শক্তির প্রয়োজন সেখানে বেসিক ইলেকট্রোড এবং অধিক গুরুত্বের স্টিল ওয়েন্ডিং করতে আয়রন পাউডার ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয় । 
  • ইলেকট্রোড নির্বাচনের বাঁধা ধরা তেমন কোন নিয়ম নেই, তবে জবের পুরুত্ব ওয়েল্ডিং এর অবস্থান ও ধাতুর প্রকৃতি এবং কাজের গুরুত্বানুসারে এটি নির্বাচন করা হয়।
  • অধিক গুরুত্বের ধাতু ওয়েল্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বড় ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয় খরচ কম রাখার জন্য সর্ব্বাচ্চ ব্যাসের ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে হবে।

শিটের পুরুত্ব মিমি

ইলেকট্রোডের ব্যাস মিমি

গেজ

১.১১.৬১৬ 
২.০ ২.০ ১৪ 
২.৫ ২.৫ ১২ 
৩.০ ৩.০ ১০ 
৬.০ ৪.০ ৮ 
১০.০ ৫.০ ৬ 

জোড়ের রুট রানের জন্য সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১০ গেঞ্জি ইলেকট্রোড ৩.২০ মিমি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয়। 

Content added By

কার্যবন্ত ক্ল্যাম্প কর। মেশিনের (+) টার্মিনাল কার্যবস্তুর সাথে এবং (-) টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ কর। (ডিসি মেশিনের বেলায়) 

এসি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাউন্ড ক্যাবল যে কোন টার্মিনাল লাপান যায়।

Content added By

Content added || updated By
  • কারেন্ট নিরূপণ করতে ইলেকট্রোড ব্যাস মূল্য বিবেচ্য বিষয় ইলেকট্রোডের ব্যাস যত বড় কারেন্টও ভত বেশি হবে। মেশিনের সুইচ অন কর এবং কারেন্ট অ্যাডজস্ট কর ।
  •  মেশিন প্রস্তুত কারকের নির্দেশনাবলী অনুসরণ কর।
  • প্রত্যেক ইলেকট্রোডের জন্য কারেন্ট এর উচ্চ ও নিম্ন ধাপ দেওয়া
  • ইলেকট্রোডের ধরনের উপর ভিত্তি করে কারেন্ট নিরূপিত হয় ।
  • ওয়েল্ডিং এর অবস্থান ভেদে কারেন্ট নিরূপিত হয় ।
Content added By

Content added By

Content added By

সিঙ্গেল 'ডি' ৰাট জোড়ের ক্ষেত্রে রুট রান, ফিলিং রান এবং ক্যাপিং রান দিতে হয়।

Content added By

 

Content added By

১। সিঙ্গেল ভি বাট জোড় তৈরি করতে প্লেটের উপর কত ডিগ্রি কোণে বিভেল করতে হয়?

২। রুট ফেস এবং রুট গ্যাপ কত রাখা প্রয়োজন এবং কেন?

৩। ইলেকট্রোড কাজের সাথে কত ডিগ্রি কোণে ধরা দরকার? 

৪। ক্যাপিং রানটি কীভাবে টানা প্রয়োজন?

Content added By
Please, contribute to add content into আর্ক ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে উপর অবস্থানে পেনিট্রেশনসহ সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় তৈরি.
Content

Content added By

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added || updated By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৫ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৬ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৭ এর অনুরূপ)

Content added By

কার্যবস্তুতে সুবিধামতো উচ্চতায় উলম্ব অবস্থাতে আটকাও। তবে ক্ল্যাম্পিং করে মজবুত ভাবে উপ অবস্থানে জবকে আটকাতে পারলে নিরাপদভাবে ধাতু জোড়ের কাজ সম্পন্ন করা যায়।

Content added By
  • জোড়ের নিম্ন প্রান্তে আর্ক স্ট্রাইক কর ও ইলেকট্রোডকে পার্শ্বে না দুলিয়ে সোজা ঊর্ধ্বাভিমুখী রুট রান টানতে থাক।
  •  ইলেকট্রোড চালনার পতি সমান রাখ।
  • আর্ক লেখে ছোট রাখ এবং রুট রানে 'কী' (Key) হোল বজার রাখ। 
  • মনে রাখৰে “কী” (Key) হোগের ব্যাস ইলেকট্রোডের ব্যাসের সমান হবে।

  • প্রথম রান শেষ হওয়ার পর চিপিং হ্যামার, ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। 
  •  দ্বিতীয় এবং পরবর্তী রানসমূহের জন্য ইলেকট্রোডকে জোড়ের উত্তর পার্শ্বে ক্ষণিকের জন্য থেমে দুলিয়ে দুলিয়ে রান শেষ করতে হবে। 
  •  তৃতীয় বা শেষ রান টানার পূর্বে প্রায় ১.৫ মিমি কিনারা বজায় রাখ । 

Content added By

১। উলম্ব অবস্থানে পেনিট্রেশনসহ সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় তৈরির জন্য কার্যবস্তুর প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। পেনিট্রেশনসহ সিঙ্গেল 'ভি' বার্ট জোড়ের জন্য ওয়ার্কপিস ট্যাক ওয়েল্ড করার পদ্ধতি উল্লেখ কর ।

৩। ওয়ার্কপিস প্রি-সেটিং এর গুরুত্ব ও পদ্ধতি উলেখ কর।

৪। 'কী' হোল কী?

৫। সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের ক্ষেত্রে প্রথম রানে 'কী' হোল বজায় রাখার গুরুত্ব উল্লেখ কর।

৬। প্রথম, দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানে ইলেকট্রোডের অ্যাংগেল ও চালনার গতি কেমন হবে তা বর্ণনা কর।

৭। আর্ক লেংথ ও বুনন প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।

৮। প্রতি রানের শেষে ধাতুমল পরিষ্কারের গুরুত্ব বর্ণনা কর ।

৯। ওয়েল্ডিং-এর সময় ও পরে ধাতু জোড়ের পরীক্ষণ ।

Content added By
Please, contribute to add content into সোজা একক বিড হরিজন্টাল ভার্টিক্যাল অবস্থানে তৈরি করার দক্ষতা অর্জন.
Content

Content added By

১.২ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৩ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৪ এর অনুরূপ 

Content added By

Content added By

 

Content added By

১। হরিজন্টাল-ভার্টিক্যাল অবস্থানে সোজা একক বিড তৈরিতে ওয়ার্কপিস প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। কার্যবস্তু হরিজন্টাল-ভার্টিক্যাল অবস্থানে আটকানোর পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৩। একক বিড ওয়েল্ডিং এর সময় সঠিক ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি, আর্ক লেংথ কেমন হবে বর্ণনা কর।

৪। একক বিডের শেষে বিডের ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত কর।

Content added By

সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় হরিজন্টাল-ভার্টিক্যাল অবস্থানে তৈরি করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

Content added By

Content added By

১.২ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৩ এর অনুরূপ

Content added By

১.৪ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৫ এর অনুরূপ 

Content added By

Content added By

Content added By

Content added By

ওয়েল্ডিং এর ধোঁয়া নির্গমনের জন্য নির্গমন নজল সর্বাধিক সুবিধাজনক অবস্থানে অ্যাডজাস্ট কর।

  • ওয়েল্ডিং এর দিকে ইলেকট্রোড প্রায় ২০ ডিগ্রি হেলাও ।
  • ওয়ার্কপিসের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ওয়েন্ড কর।
  • ওয়েল্ড শেষে জোড়ের স্থান চিপিং হ্যামার ও ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার কর।

তৃতীয় টপ রান :

  • তৃতীয় রানের জন্য ইলেকট্রোডের ধরন, ব্যাস এবং কারেন্ট নিরূপণ কর।
  • প্রদত্ত চার্ট হতে তা নিরূপণ কর।
  • তৃতীয় রান (টপ) ওয়েল্ড করতে
  • ইলেকট্রোড আনুভূমিক তলের প্রায় কাছাকাছি রাখ।
  • ওয়ার্কপিসের শেষ প্রাপ্ত পর্যন্ত ওয়েল্ড কর। 
  • ইলেকট্রোড কিছুটা বৃত্তাকারে ঘুরিয়ে রান শেষ কর এবং আর্ক বন্ধ কর।

Content added By

ত্রুটি প্রতিরোধের জন্য জোড় কাজ শেষ সঠিকভাবে জোড় মূল্যায়ন করতে হবে। জোড় মূল্যায়ন কালে দেখতে হবে :

  •  ওয়েল্ড জোড় স্লাগ যুক্ত কীনা?
  • জোড়ের দুই ধারে আন্ডার কাট আছে কীনা?
  •  অতিরিক্ত মাল ঝুলে পড়ছে কীনা ?
  • কনকেভ বা কনভেক্স আকৃতি হলো কীনা?
  • গ্যাস পকেট দেখা যায় কীনা?

Content added || updated By

১। হরিজন্টাল-ভার্টিক্যাল অবস্থানে সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় তৈরির নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের নিমিত্তে কার্যবস্তু ট্যাক ওয়েন্ডকরণ পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৩। কার্যবস্তু পূর্ব স্থাপনের গুরুত্ব বিবৃত কর।

৪। কার্যবস্তু হরিজন্টাল-ভার্টিক্যাল অবস্থানে আটকানোর পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৫। ধাতু জোড়ের সময় প্রথম রানে ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উলেখ কর।

৬। দ্বিতীয় এবং অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর।

৭। ওয়েল্ডিং জোড়ের পরিষ্কারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

৮। ওয়েল্ডিং জোড়ের শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত কর ও প্রতিরোধের উপায় বর্ণনা কর।

Content added By
Please, contribute to add content into ফেজ একক বিড ওভার হেড অবস্থানে একক বিড তৈরি করার দক্ষতা অর্জন.
Content

 

Content added By

Content added By

১.৩ এর অনুরূপ

Content added || updated By

১.৪ এর অনুরূপ

Content added || updated By

১.৫ এর অনুরূপ

Content added || updated By

১.৬ এর অনুরূপ 

Content added By
  • ওভার হেড অবস্থানে জোড় তৈরি অন্য অবস্থান থেকে একটু কঠিনই। তাই ওভার হেড অবস্থানে জোড়ের পূর্বে নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
  • বিড টানার পূর্বে ফিউম এক্সট্রাক্টর ওয়ার্কপিসের সন্নিকটে নিয়ে আস এবং এর সুইচ অন কর।

Content added By

১। ওভারহেড অবস্থানে একক বিড তৈরির নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। ওয়ার্কপিস ওভার হেড অবস্থানে আটকানোর পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৩। ওভার হেড অবস্থানে সোজা বিড ওয়েল্ডিং এর সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর।

Content added By
Please, contribute to add content into একাধিক রানের ল্যাপ জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েল্ডিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

Content added By

১.২ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৩ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৪ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৫ এর অনুরূপ  

Content added By

Content added By

Content added || updated By

ইলেকট্রোড প্লেটের পার্শ্বের সাথে প্রায় ৬০° কোণে এবং প্লেটের দৈর্ঘ্য বরাবর ওয়েল্ডিং এর দিকে ১০° লিড কোণে রেখে রান টানতে থাক

- জোড়-এর প্রাপ্ত বরাবর ইলেকট্রোড রেখে রান টান।
- সঠিক আর্ক লেংথ বজায় রাখ।

- একই গতিতে ইলেকট্রোড চালনা কর ।
- সঠিক আর্ক লেংথ রক্ষা করে ইলেকট্রোড চালনা কর এতে ওয়েল্ড ক্রেটারের আকৃতি ভালো হবে।
- লেগ লেংথ পেটের পুরুত্বের সমান হবে।
- এমনভাবে ইলেকট্রোড চালনা কর যাতে ওয়েল্ডিং এর সাথে সাথে উপরের পেটের প্রাপ্ত গলে সুষম ওয়েল্ড তৈরি করে। 

- ওয়েল্ডিং এর গতি খুব মন্থর হলে গলিত ধাতুর স্তূপাকৃতি বেশি হবে এবং ওয়েল্ড মেটাল এবড়ো থেবড়োভাবে জমা হবে।
- ওয়েল্ডিং এর গতি খুব বেশি হলে ওয়েল্ড মেটাল পেনিট্রেশন না হয়ে বেস মেটালের উপরিভাগে জমা হবে এবং আন্ডার কাট হওয়ার প্রবণতা দেখা দিবে।
- ওয়েল্ডিং অবশ্যই আন্ডার কাটমুক্ত হতে হবে।
- শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় ওয়েল্ড তৈরি করতে ওয়েল্ডিং এর হার অবশ্যই অনেকটা দ্রুত হবে ।

- প্রতিটি রানের ইলেকট্রোড বদল এবং ওয়েল্ডিং পুনরায় সমতল অবস্থানের মতই।
- জোড়ের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত রান টান।
- জোড় শেষে চিপিং করে ওয়্যার ব্রাশ দ্বারা ভালোভাবে ওয়েল্ড স্থান পরিষ্কার কর।

Content added || updated By

- স্লাগ ভালোভাবে পরিষ্কার হলো কীনা?
- ওয়েল্ড জোড়ে অতিরিক্ত মাল জমা আছে কীনা?
- আন্ডার কাট আছে কীনা?
- কনকেভ বা কনভেক্স আকৃতি হলো কীনা?

Content added By

১। ওভার হেড অবস্থানে রানের ল্যাপ জোড় তৈরির নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি উল্লেখ কর ।

২। ওয়ার্কপিস ট্যাক করণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।

৩। কার্যবস্তু ওভারহেড অবস্থানে আটকানোর পদ্ধতি বর্ণনা কর।

৪। ওভারহেড অবস্থানে ল্যাপ জোড়ের প্রথম রানের ইলেকট্রোড অ্যাঙ্গেল, গতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর।

৫। দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানের সময় ইলেকট্রোডের অ্যাঙ্গেল গতি ও বুনন প্রক্রিয়া উল্লেখ কর।

৬। প্রথম রান ও অন্যান্য রানের অবস্থান মুক্ত হস্তে অঙ্কন করে দেখাও ৷

৭। ওয়েল্ডিং জোড়ের শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত কর ও কারণ উল্লেখ কর।

Content added By
Please, contribute to add content into একাধিক রানের টি জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

Content added By

১.২ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৩ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৪ এর অনুরূপ 

Content added By

১.৫ এর অনুরূপ 

Content added By

- জোড়াটি একাধিক রানের জন্য পূর্ব-স্থাপন কর।
- হাতুড়ির আঘাতে প্লেটটি খাড়া অবস্থান হতে এমনভাবে হেলিয়ে দাও যাতে একাধিক রান সম্পন্ন করার পর খাড়া পেটটি ৯০° কোণে অবস্থান করে ।

Content added By

Content added By

- একাধিক রানের ওয়েল্ডিং এ প্রথম রান অর্থাৎ রুট রান হবে ছোট এবং পাতলা।

- দ্বিতীয় এবং পরবর্তী মানসমূহ ওয়েন্ড করতে ইলেকট্রোড প্লেটের পার্শ্বের সাথে ৪৫° এর চেয়ে কিছুটা বেশি অর্থাৎ প্রায় ৫০° কোণে এবং প্লেটের দৈর্ঘ্য বরাবর ওয়েল্ডিং এর দিকে ৮০° কোণে রাখ।

ওয়েল্ডিং নিরীক্ষণ করার সময় লক্ষ রাখতে হবে :
- ওয়েল্ডিং জোড়ে স্পগ আছে কীনা?

- ওয়েল্ডিং জোড়ে আন্ডার কাট আছে কীনা?
- জোড়ের বিডগুলো মসৃণ আছে কীনা?
- জোড়ের স্প্যাটার আছে কীনা?
- অতিরিক্ত মাল জমা বা কম মাল জমা আছে কীনা?
- জোড় এবড়ো থেবড়ো হলো কীনা? 

Content added || updated By
Please, contribute to add content into ওয়েল্ড নিরীক্ষা করতে পারা.
Content

১। ওভারহেড অবস্থানে একাধিক রানের 'টি' জোড় ওয়েল্ড করার জন্য কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর ।

২। ওয়ার্কপিস পূর্ব স্থাপন পদ্ধতির গুরুত্ব উল্লেখ কর। 

৩। ওয়ার্কপিস ওভারহেড অবস্থানে আটকানোর পদ্ধতি ও এর সতর্কতা উল্লেখ কর। 

৪। একাধিক রানের টি-জোড়ের ক্ষেত্রে প্রথম রান ও অন্যান্য রানের অবস্থান অঙ্কন করে দেখাও।

৫। ওভারহেড অবস্থানে প্রথম রানে ইলেকট্রোড এ্যাঙ্গেল চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উলেখ কর।

৬। দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড এ্যাঙ্গেল গতি ও বুনন প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।

৭। ওয়েল্ডিং জোড় শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্তকরণ ও এর কারণ বিবৃত কর।

Content added By
Please, contribute to add content into কর্নার মোড় ঘর হেড অবস্থানে ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

- প্লেট হতে ভৈল, গ্রিজ অথবা তৈল জাতীয় পদার্থ, মরিচা, ময়লা ইত্যাদি উত্তমরূপে পরিষ্কার কর।

- বক্র কিংবা মোচড়ানো ওয়ার্ক পিসকে এনভিলের উপর রেখে হাতুড়ির আঘাতে সোজা ও সমতল কর।

Content added By

(১.২ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৫ এর অনুরূপ)

Content added By

- ওয়ার্কপিস ৯০° কোণে ব্লকে আটকাও।

Content added By

- ওয়ার্ক পিস ওভার হেড পজিশনে সুবিধাজনকভাবে আটকাও।
- ওভার হেড অবস্থানে ওয়ার্ক পিস আটকাতে সর্বদা সাবধানতা অবলম্বন করবে।

Content added By

-ইলেকট্রোড পেটের পার্শ্বের সাথে ৪৫° কোণে রাখ ।

- ইলেকট্রোড ডান পার্শ্বের দৈর্ঘ্য বরাবরে ওয়েল্ডিং-এর দিকে প্রায় ৮০° কোণে রেখে রান টানতে আরম্ভ কর।
- ওয়ার্ক পিসের শেষ পর্যন্ত ওয়েল্ড করে প্রথম কিংবা রুট রান সমাপ্ত কর।
-স্পন্স পরিষ্কার কর।

  • কিছুটা সোজা বুনন প্রক্রিয়ায় ওয়েল্ড কর।
  • সঠিক আর্ক লেংথ বজায় রাখ।
  • সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা ওয়েন্ড ক্রেটারের আকৃতি ভালো হয়।
  • উভয় পেটের ওয়েন্ডিং ফেসেই মূল ধাতু গলে পেনিট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
  • ইলেকট্রোড সঠিক কোণে চালনা করে পেনিট্রেশন নিয়ন্ত্রণ কর।
  • শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় ওয়েল্ড তৈরি করতে ওয়েল্ডিং এর হার অবশ্যই খানিকটা দ্রুত হবে।
  • পুরো পেটের জন্য একাধিক রানের ওয়েল্ড কর।

  • ক্যাপিং রানের পূর্বে ১.৫ মিমি ফাঁক রাখ যাতে ক্যাপিং করার সময় জোড় এর পার্শ্বদেশ ওভার ল্যাপ না হয়।
  • উপরের পৃষ্ঠে উত্তল আকৃতি সম্পন্ন ওয়েন্ড কর।

Content added || updated By

জোড়ের গুণাগুণ মূল্যায়নের জন্য জোড় নিরীক্ষণ করতে হয়। নিরীক্ষণ কালে দেখতে হবে :

  •  জোড় শাপ মুক্ত কীনা?
  • জোড়ে আন্ডার কটি আছে কীনা?
  • জোড় ওভার ল্যাপ যুক্ত কীনা?
  • জোড় এবড়ো খেবড়ো কীনা?

 

Content added By

১। ওভারহেড অবস্থানে কর্নার জোড় তৈরি নিমিত্তে ওয়ার্ক পিস প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। ওভারহেড অবস্থানে কর্নার জোড় তৈরি নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ড পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৩।  কর্নার জোড় ওভারহেড অবস্থানে আটকানো ও এর নিরাপত্তা বিবৃত কর।

৪। ওভারহেড অবস্থানে কর্নার জোড়ের সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উলেখ কর।

৫। প্রতিটি রানের বুনন নিয়ম বর্ণনা কর।

৬। ওয়েল্ড জোড়ের শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুাতি শনাক্ত কর ও এর কারণ বর্ণনা কর ।

Content added By
Please, contribute to add content into সিঙ্গেল 'ডি' বটি জোড় ওভারহেড অবস্থানে ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

প্রেটদ্বয়ের প্রান্ড ফ্লেম কাটিং এবং প্রাইভিং এর সাহায্যে ৪০° বিডেল কর।

 প্রাইভিং এবং ফাইলিং করে ১.৫-৩ মিমি রুট ফেস তৈরি কর।

Content added By

(১.২ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৫ এর অনুরূপ) 

Content added By

Content added By

- প্লেটঘয়ের চিত্রানুযায়ী ব্যাকিং বারের উপর স্থাপন কর।

- চিত্রানুযায়ী ট্যাক ওয়েল্ড কর।

 

Content added || updated By

Content added By

- আর্ক লেংথ খুব ছোট রান এবং ইলেকট্রোডের মাথা যেন জোড়ের প্রান্তের সাথে আলতোভাবে স্পর্শ করে।

- এমন গতিতে ওয়েল্ড করতে থাক যাতে ইলেকট্রোডের মাথা গলিত ধাতুর অগ্রে গমন করে।

-  ওয়েল্ড হতে স্পন্স পরিষ্কার কর।

Content added || updated By

১। ওভারহেড অবস্থানে সিঙ্গেল 'ভি' বার্ট জোড়ের নিমিত্তে ওয়ার্কপিস প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর ।

২। ওয়ার্কপিস পূর্ব স্থাপনের নিয়ম ও এর গুরুত্ব উলেখ কর।

৩। সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের জন্য ওয়ার্কপিস ওভারহেড পজিশনে আটকানোর নিয়ম এবং এর সতর্কতা উলেখ কর।

৪। ওভারহেড অবস্থানে প্রথম রানের ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, চালনার গতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর। 

৫। দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানের ক্ষেত্রেও ইলেকট্রোড চালনার গতি, আর্ক লেংথ এবং বুনন প্রক্রিয়ার বর্ণনা কর।

৬। ওয়েল্ড জোড় শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত কর এবং ত্রুটিসমূহের কারণ ব্যাখ্যা কর।

Content added By
Please, contribute to add content into পাইপে বাট জোড় সমতল অবস্থানে ওয়েত করার দক্ষতা অর্জন.
Content

 

Content added By

(১.২ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৫ এর অনুরূপ)

Content added By

Content added By

- ওয়েন্ডিং করার সময় পাইপ যাতে নড়াচড়া করতে না পারে সে জন্য উপযুক্ত আকারের একটি চ্যানেলে পাইপ বসাও।

- চ্যানেলে এমনভাবে বসাও যাতে পাইপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জোড় দেওয়া যায়।

- উলম্ব অবস্থান হতে প্রায় ৮০ ডিগ্রি অতিক্রম করে (ঘড়ির কাঁটা ১০টা বাজার অবস্থানে) ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর।

- বিপরীত পার্শ্বের উলম্ব অবস্থানে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত (ঘড়ির কাঁটা ২টা বাজার অবস্থানে) ওয়েল্ডিং পথের চতুর্দিকে এবং এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ ওয়েল্ড সম্পন্ন কর।

- এতে জোড় অনেকটা সমতল অবস্থানে থাকবে।

- পাইপের কেন্দ্র বরাবর যেখানে ওয়েল্ডিং হবে তার সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণে ইলেকট্রোড ধর। পাইপ জোড়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোডের সঠিক কোণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এতে ওয়েল্ডিং এর গুণাগুণ ও সৌন্দর্য প্রভাবিত করে।

- চিত্রে নির্দেশিত কোণ অনুযায়ী ওয়েল্ড কর।

  • চ্যানেলের মধ্যে পাইপকে ঘুরিয়ে পাইপের বাকি অংশে পুনরায় পূর্বে ন্যায় ঘড়ির কাটার ১০টা বাজার অবস্থানে ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর এবং এভাবে পুরো পাইপের রুট রান শেষ কর। পেনিট্রেশন জন্য রুট রানে 'কী' (Key) হোল বড় বা ছোট হওয়া যাবে না ।
  • রুট রান শেষে পুরু জোড় স্থান চিপিং হ্যামার এবং ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে শগ এবং ময়লা মুক্ত কর।
  • জোড়ের একই নিয়মে ফিলিং রানসমূহ শেষ কর। আর্ক লেংথ ছোট রাখতে হবে। প্রতিটি কিলিং রান শেষে ভালোভাবে জোড় স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
  • প্রথম ফিলিং রানকে 'হট' পাস করা হয়, কারণ রুট রানের কিছুক্ষণের মধ্যে 'হট' রান আরম্ভ করতে হয়। জোড় স্থানের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে 'হট' রানের দ্বারা তা দূরীভূত হয়। তাই 'হট' রানের সময় কারেন্ট একটু বেশি দিতে হয়। 'হট' পাস হালকা বুনন প্রক্রিয়ায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শেষ করতে হয়। 
  • ফিলিং রানসমূহে পূর্বের ন্যায় কারেন্ট অ্যাডজাস্ট করে জোড়ের দুই ধারে ক্ষণিকের জন্য থেমে ওয়েল্ডিং করতে হবে।
  • ক্যাপিং রানের জন্য ১.৫ মিমি এর ন্যায় জোড়ের উপরিভাগে নিচু থাকতে হবে। 
  • জোড়ের দুই ধারে ক্ষণিকের জন্য ইলেকট্রোডের মাথা থামিয়ে বুনন নীতিতে ও সমগতিতে ক্যাপিং রান শেষ করতে হবে।

Content added By

 

- উলম্ব অবস্থান হতে প্রায় ৮০ ডিগ্রি অতিক্রম করে (ঘড়ির কাঁটা ১০টা বাজার অবস্থানে) ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর।

- বিপরীত পার্শ্বের উলম্ব অবস্থানে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত (ঘড়ির কাঁটা ২টা বাজার অবস্থানে) ওয়েল্ডিং পথের চতুর্দিকে এবং এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ ওয়েল্ড সম্পন্ন কর।

- এতে জোড় অনেকটা সমতল অবস্থানে থাকবে।

- পাইপের কেন্দ্র বরাবর যেখানে ওয়েল্ডিং হবে তার সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণে ইলেকট্রোড ধর। পাইপ জোড়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোডের সঠিক কোণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এতে ওয়েল্ডিং এর গুণাগুণ ও সৌন্দর্য প্রভাবিত করে।

- চিত্রে নির্দেশিত কোণ অনুযায়ী ওয়েল্ড কর।

  • চ্যানেলের মধ্যে পাইপকে ঘুরিয়ে পাইপের বাকি অংশে পুনরায় পূর্বে ন্যায় ঘড়ির কাটার ১০টা বাজার অবস্থানে ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর এবং এভাবে পুরো পাইপের রুট রান শেষ কর। পেনিট্রেশন জন্য রুট রানে 'কী' (Key) হোল বড় বা ছোট হওয়া যাবে না ।
  • রুট রান শেষে পুরু জোড় স্থান চিপিং হ্যামার এবং ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে শগ এবং ময়লা মুক্ত কর।
  • জোড়ের একই নিয়মে ফিলিং রানসমূহ শেষ কর। আর্ক লেংথ ছোট রাখতে হবে। প্রতিটি কিলিং রান শেষে ভালোভাবে জোড় স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
  • প্রথম ফিলিং রানকে 'হট' পাস করা হয়, কারণ রুট রানের কিছুক্ষণের মধ্যে 'হট' রান আরম্ভ করতে হয়। জোড় স্থানের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে 'হট' রানের দ্বারা তা দূরীভূত হয়। তাই 'হট' রানের সময় কারেন্ট একটু বেশি দিতে হয়। 'হট' পাস হালকা বুনন প্রক্রিয়ায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শেষ করতে হয়। 
  • ফিলিং রানসমূহে পূর্বের ন্যায় কারেন্ট অ্যাডজাস্ট করে জোড়ের দুই ধারে ক্ষণিকের জন্য থেমে ওয়েল্ডিং করতে হবে।
  • ক্যাপিং রানের জন্য ১.৫ মিমি এর ন্যায় জোড়ের উপরিভাগে নিচু থাকতে হবে। 
  • জোড়ের দুই ধারে ক্ষণিকের জন্য ইলেকট্রোডের মাথা থামিয়ে বুনন নীতিতে ও সমগতিতে ক্যাপিং রান শেষ করতে হবে।

Content added || updated By
  • জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি মূল্যায়নের জন্য নিরীক্ষণ জরুরি। পরীক্ষণ কালে দেখতে হবে ।
  •  জোড়ের ক্যাপিং রানের বিডের সমতা আছে কীনা?
  •  জোড়ে আন্ডার কাট আছে কীনা?
  •  ল্যাক অব ফিউশান আছে কীনা?
  •  গ্যাস পকেট আছে কীনা?
  • ক্যাপিং রানে অতিরিক্ত মাল জমা আছে কীনা?
  •  গ্যাস পকেট আছে কীনা?
  •  ক্যাপিং রানে অতিরিক্ত মাল জমা আছে কীনা?
  •  স্প্যাটার আছে কীনা?
  • কনকেভ বা কনভেক্স আকৃতি আছে কীনা?
Content added By

১। সমতল অবস্থানে পাইপ বার্ট জোড়ের নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর। 

২। পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে ট্যাক ওয়েল্ড এর নিয়ম উলেখ কর।

৩। পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড এর অ্যাংগেল গতি, আর্ক লেংথ উল্লেখ কর ।

৪। জোড়ের বুনন নীতি বর্ণনা কর।

৫। জোড় শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত কর ও এর কারণ বর্ণনা কর।

Content added By
Please, contribute to add content into উলম্ব অবস্থানে পাইপ বাট জোড় ওয়েল্ড.
Content

Content added By

(১.২ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added || updated By

(১.৫ এর অনুরূপ)

Content added By
  • পাইপ দুইটিকে সমান জায়গায় হরিজন্টালে বসাও।
  • পাইপদ্বয়ের ফেস ২-৩ মিমি গ্যাপে বসাও।
  • পাইপের পরিধিকে সমান চার ভাগে ভাগ করে চারটি ট্যাক ওয়েল্ড কর। 
  • ট্যাক ওয়েন্ডে যেন পেনিট্রেশন হয় খেয়াল রাখবে।

Content added By

- এবার পাইপকে সুবিধাজনক ক্ল্যাম্প ব্যবহার করে আটকাও।

- ক্ল্যাম্পিং মজবুত হলো কীনা নেড়ে দেখ।

 

Content added By

- জোড়ের ওয়েল্ড সম্পন্ন কর (রুটমান বা ত্রিংগার পাস, হট পাল, ফিলিং পাস ও ফাইনাল পাল) 

- ওয়েল্ডিং এর সূরা নির্গমনের জন্য নির্গমন সজল সর্বাধিক সুবিধাজনক অবস্থানে অ্যাডজাস্ট করা

- নির্গমন শুরু ।

- রুট রান ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর, তোমার সুবিধা মত ৬ ভরুক (6-Oclock) বা ১২ ক (12-Oclock) কোন স্থান থেকে আরম্ভ করতে পার।

- যদি তুমি ডান হাতে ধরেন্ডিং কর, তাহলে বাম প্রান্ত হতে ওয়েন্ডিং আরম্ভ কর। আর যদি বাম হাতে ওয়েল্ডিং কর তবে ডান প্রাপ্ত হতে ওয়েন্ডিং আরম্ভ কর।

- ইলেকট্রোড আনুভূমিক তলের সামান্য নিচে রাখ ১০" এবং প্রায় ৮০° এর দিকে।

- রডের ব্যাসের সমান ব্যাসের 'কী' (Key) হোল বজায় রেখে রুট রান ওয়েন্ডিং শেষ করা।

- চিপিং হ্যামার ও ওয়্যার ব্রাশ যারা রুট রান ভালোভাবে পরিষ্কার কর। 

- ওয়েন্ডিং এর কোণ একই রেখে তাড়াতাড়ি ২ট পাস আরম্ভ কর ও হট পাস ওয়েন্ডিং শেষ করা।

- হট পাস শেষে ওয়েন্ডিং স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার কর।

- এরপর প্রতি রানের পর ভালোভাবে জোড় স্থান পরিষ্কার করে ফিলিং রানসমূহ দাও ও ফাইনাল রান টেনে ওয়েল্ডিং সমাপ্ত কর।

Content added By
  • ওয়েল্ডিং করার সময় ওয়েল্ড পরীক্ষা করাই সর্বোত্তম, এতে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
  • রুট রানের সময় 'কী' (Key) হোল বজায় রাখা হয় কীনা
  •  সঠিক আর্ক লেখে বজায় রাখা হয় কীনা?
  • রুট রানের অল্প সময়ের মধ্যে হর্ট রান দেওয়া হলো কীনা?
  • ওয়েন্ডিং জোড়েরা দেখতে হবে ।
  •  আন্ডার কাট আছে কীনা? মানগ্ৰো হলো কীনা?
  • প্যাল পকেট আছে কী?
  •  স্পগ আছে কীনা?
  • এক বিডের সাথে অন্য বিচের সামজ্ঞস্য আছে কীনা?
Content added By

১। উলম্ব অবস্থানে পাইপ বাট জোড়ের নিমিত্তে কার্যবস্তুর প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।

২। উলম্ব অবস্থানে পাইপ বাট জোড়ের নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ড এর নিয়ম বর্ণনা কর।

৩। উলম্ব অবস্থানে ওয়ার্কপিস আটকানোর পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৪। বাট জোড়ের প্রথম রানের ইলেকট্রোড অ্যাংগেল গতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর।

৫। দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোডের অ্যাংগেল গতি ও বুননের নিয়ম-কানুন বর্ণনা কর ।

৬। ওয়েল্ড জোড় শেষে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত কর এবং এর কারণ বর্ণনা কর।

Content added By
Please, contribute to add content into পাইপে বাট জোড় স্থির অবস্থানে ওয়েন্ড করার দক্ষতা অর্জন.
Content

 

Content added By

(১.২ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৩ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৪ এর অনুরূপ)

Content added By

(১.৫ এর অনুরূপ) 

Content added By

- পাইপ দুইটি জিগ বা ফিক্সারে আটকিয়ে সমান লেভেল কর।

 - পাইপ দুইটি রুট ফেস গ্যাপ ২-৩ মিমি রেখে অ্যাডজাস্ট কর।

- পাইপের পরিধিকে ০৪ ভাগে ভাগ করে কয়েকটি ট্যাক ওয়েল্ড কর।

- ট্যাক ওয়েন্ডে যেন পেনিট্রেশন হয় খেয়াল রাখ ।

Content added By

ট্যাক ওয়েল্ড সম্পন্ন করার পর ওয়েল্ডিং করার আগে ওয়ার্কপিসকে দৃঢ়ভাবে আটকানো বিশেষ প্রয়োজন। যাতে করে ওয়েন্ডিং করার সময় ওয়ার্কপিস নড়াচড়া করতে না পারে। ক্ল্যাম্প বা ফিচারের সাহায্যে ওয়ার্কপিসটি সুন্দর ও দৃঢ়ভাবে আটকাও।

Content added By

- ফিক্সড অবস্থায় জোড়ের ওয়েন্ডিং সম্পন্ন কর (রুট রান, হট রান, ফিলিং রান ও ক্যাপিং রান)

- কনভেশনাল (আপ ওয়ার্ডস) পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর।

- ঘড়ির কাঁটায় ৬ গুরুক (6 Oclock) এবং ১২ গুরুক ( 12 Oclock) পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর। 

- ৬ শুক্লক (6 Oclock) থেকে রুট রান আরম্ভ কর এবং ১২ গুরুক ( 12 Oclock) এসে শেষ কর।

- মূল ধাতু জোড়ের সাথে ইলেকট্রোডের কোণ ৯০ ডিগ্রি বজায় রাখ। ইলেকট্রোডের কোণের হেড পেড হলে পেনিট্রেশনসহ রুট রান দেওয়া যাবে না।

- আর্ক লেংথ ছোট রাখ এবং 'কী' (Key) হোল বজায় রেখে রান সম্পন্ন কর। (Key) 'কী' হোলের ব্যাস ইলেকট্রোডের ব্যাসের সমান হবে।

  • ফট রান শেষ হওয়ার পর চিপিং হ্যামার ও আমার ব্রাশ দ্বারা জোড় স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। 
  • রুট রান শেষ হওয়ার সাথে সাথে হট (Hot) রান দিতে হবে। রুট রান এবং হট রানের মধ্যে সময়ে গ্যাপ যত কম হবে ততই উত্তম। 
  • হর্ট রানে কারেন্ট একটু বেশি হলে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি কিছুটা হ্রা পায়।
  • হট রানে "BJ,C ” এলাকাতে কারেন্ট বেশি হলে জমে থাকা লাগ দূর হয়।

 

- ক্যাপিং রানের জন্য ১.৫ মিমি এর ন্যায় জায়গা রাখ।

- ক্যাপিং রান আরম্ভ কর, জোড়ের দুই ধারে ক্ষণিকের জন্য থেমে থেমে বিজের বুনন তৈরি করে ওয়েন্ডিং শেষ কর। 

  • পাইপ জোড়ের সময় যদি ভালোভাবে নিরীক্ষণ করা যায় তবে ত্রুটিসমূহ শনাক্ত করা অতি সহজ।
  • ইলেকট্রোড চালনার কোণ ঠিক আছে কীনা?
  • সঠিক 'কী' (Key) হোল বজায় রাখছে কীনা? 'কী' হোলের ব্যাস ইলেকট্রোডের ব্যাসের বড় না ছোট?
  • 'কী' (Key) হোল রক্ষা করতে পারছে কীনা?
  • রুট রান শেষে ভালোভাবে শপ পরিষ্কার করছে কীনা?
  • ধাতু জোড়ের শেষেও নিরীক্ষা করে দেখতে হবেঃ
  • জোড়ে আন্ডার কাট আছে কীনা?
  • ক্যাপিং রানের বিডের সমতা আছে কীনা? ক্যাপিং রানে অতিরিক্ত ধাতু বা কম ধাতু জমে আছে কীনা?
  • জোড় ভালোভাবে পরিষ্কার করছে কীনা?
  •  জোড়ে ফাটল আছে কীনা?
  • জোড়ে গ্যাস পকেট আছে কীনা?

 

Content added || updated By

১। স্থির অবস্থানে পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে কার্যবস্তুর প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর ।

২। স্থির অবস্থানে পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে কার্যবস্তু ট্যাক ওয়েল্ডকরণ পদ্ধতি উল্লেখ কর।

৩। স্থির অবস্থানে কার্যবস্তু আটকানোর নিয়ম উল্লেখ কর। 

৪। পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে ঘড়ির কাটার অবস্থানকে অনুসরণকরণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।

৫। পাইপ বাট জোড়ের ক্ষেত্রে প্রথম রানের সময় ইলেকট্রোড এর অ্যাঙ্গেল পতি ও আর্ক লেংথ উল্লেখ কর।

৬। দ্বিতীয় ও অন্যান্য রানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড এর অ্যাঙ্গেল, আর্ক লেংথ বুননের নিয়ম উল্লেখ কর ।

৭। জোড় শেষে জোড়ের দোষ-ত্রুটি শনাক্ত কর ও এর কারণ বর্ণনা কর ।

Content added || updated By

১. আর্ক ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে পেনিট্রেশনসহ "সিঙ্গেল ভি” বাট জোড় তৈরিকরণ।  

২. আর্ক ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে উলম্ব অবস্থানে পেনিট্রেশনসহ "সিঙ্গেল ডি” বাট জোড় তৈরিকরণ। 

৩. সোজা একক বিড হরিজন্টাল ও ভার্টিক্যাল অবস্থানে তৈরি করার দক্ষতা অর্জন। 

৪. "সিঙ্গেল ভি” বাট জোড় হরিজন্টাল ও ভার্টিক্যাল অবস্থানে তৈরি করার দক্ষতা অর্জন। 

৫. “সিঙ্গেল ভি” বাট জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েল্ডিং করার দক্ষতা অর্জন। 

৬. পাইপ বাট জোড় সমতল অবস্থানে ওয়েল্ড করার দক্ষতা অর্জন। 

৭. উলম্ব অবস্থানে পাইপ বাট ওয়েল্ডকরণ। 

৮. ফেজ একক বিড ওভার হেড অবস্থানে তৈরি করার দক্ষতা অর্জন। 

৯. একাধিক রানের ল্যাপ জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন। 

১০. একাধিক রানের টি-জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েল্ডিং করার দক্ষতা অর্জন। 

১১. কর্নার জোড় ওভার হেড অবস্থানে ওয়েল্ডিং করার দক্ষতা অর্জন। 

১২. পাইপ বাট জোড় স্থির অবস্থানে ওয়েল্ড করার দক্ষতা অর্জন। 

Content added By
Please, contribute to add content into ধাতব তলে হ্যান্ড টুলসের সাহায্যে গ্রুভ ও স্লট কাটিং পদ্ধতি.
Content

গ্রুভ ও শ্ট কাটিং করতে হলে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড টুলস প্রয়োজন। এ হ্যান্ড টুলসমূহকে দুই ভাবে ভাগ করা যায, 

(১) মার্কিং টুলস্

 (২) কাজের জন্য হ্যান্ড টুলস। 

নিম্নে হ্যান্ড টুলসমূহের নাম উল্লেখ করা হলো। 

মার্কিং টুলসঃ

ভার্নিয়ার হাইটগেজ, সেন্টার হেড, মার্কিং ব্লক স্টিল রুল, ক্রাইবার সেন্টার পাঞ্চ, হাতুড়ি, এ টুলসগুলো ছাড়াও মার্কিং শনাক্ত করণের জন্য জিনিসগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো রং, চক, ফিটকিরি বা তুঁত ইত্যাদি।  

হ্যান্ড টুলসঃ

ফ্ল্যাট ফাইল, স্কোয়ার ফাইল, রেকটেঙ্গুলার ফাইল, নিডল ফাইল সেট, ক্রুসকাট চিজেল, ডায়মণ্ড পয়েন্ট চিজেল, রাউন্ড নোজ চিজেল, হ্যামার, বিশেষ ধরনের ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স (যা যারা গ্রুন্ড বা প্লটের ভিতর বাহির এবং গভীরতা পরিমাপ করা যায়) জব আটকানোর ভাইস ইত্যাদি।  

 

Content added By

হ্যান্ড টুলসের সাহায্যে গ্রুভ ও স্লট কাটতে হলে কাজের ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রাখতে হয়।

আর্কিঃ  গ্রুভ বা স্লট কাটার পূর্বে প্রথমে মার্কিং করতে হয়। মার্কিং করতে জবকে মার্কিং টেবিল বা সমতল কোন টেবিল বা স্থানে রাখতে হয়। যে স্থানে মার্কিং করা হবে উক্ত স্থানে জব রাখবার পূর্বে রং দিয়ে নিতে হবে। এবার যে মাপের গ্রুন্ড বা স্লট কাটা হবে উক্ত মাপ মেজারিং করে ক্রাইবারের সাহায্যে দাগ দিতে হবে। স্টিল রুল, ড্রাইবার বা সেন্টার পাঞ্চ ও হ্যামার ব্যবহার করে মার্কিং সম্পন্ন করতে হবে। মার্কিং শনাক্ত করার নিমিত্তে ব্যবহৃত রং সঠিকভাবে লেগেছে কীনা দেখতে হবে। কাজের সময় দাগ যাতে উঠে না যায় সে জন্য সেন্টার পাঞ্চ ও হ্যামার ব্যবহার করে দাগগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

কার্টিংঃ হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করে কাটিং আরম্ভ করতে হবে। মেজারমেন্টের প্রতি নজর রাখতে হবে। কাটিং যেন দাগের বাইরে না যায় আবার দাগের ভিতরে থেকে না যায়। হ্যান্ড টুলস্ এলোমেলোভাবে ব্যবহার করা যাবে না। এতে গ্রুন্ড বা স্লটের সঠিক হবে না ফলে কাজটি নষ্ট হবে। সঠিক নিয়মে হ্যান্ড টুলস্ ব্যহার করে গ্রুভ ও স্লট কাটিং সম্পন্ন করতে হবে। 

মেজারিং বা ইনসপেকশনঃ গ্রুন্ড বা শ্ট কাটার পর দেখতে হবে পরিমাপ মোতাবেক খন্ড বা স্লট কাটা হয়েছে কীনা? কাটিং প্রাপ্তগুলো মসৃণ আছে কীনা? কাটিং তল সমতল কীনা?

Content added By

হ্যান্ড টুলস্ এর সাহায্যে এড ও স্লট কাটিং এ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। গগলস ব্যবহার না করা হলে চিপিং করার সময় চিপস্ চোখে পড়ে চোখ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। চিপিং চিজেলের মাথায় 'মাশরুম' আছে কীনা তা লক্ষ করতে হবে যা চিপিং কাজে বাধা প্রদান করে। হ্যামার এর হাতল ভালোভাবে আটকানো আছে কীনা? জব ভাইসে ভালোভাবে আটকানো আছে কীনা? তা না হলে চিপিং বা কাটিং এর সময় জব নড়া চড়া করবে ও মার্কিং নষ্ট হবে। চিপিং শেষে চিপসমূহ ব্রাশ করে ফেলে দিতে হবে। 

Content added By
  • যে সমস্ত হ্যান্ড টুলস্ ব্যবহার করে গ্রুন্ড ও স্লট কাটিং করা হয়, তাদের যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যক। 
  • মার্কিং টুলসমূহে যদি গ্রিজ, মবিল, চিপস, ধুলাবালি ইত্যাদি পড়ে থাকে তবে মার্কিং পয়েন্টগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই মার্কিং টুলগুলো ময়লা মুক্ত করে যথাস্থানে রাখতে হবে, যাতে ধুলাবালি না লাগে।
  • কাটিং টুল সমূহ যেমন ফাইল সমূহে কোনো চিপস্ ও ধুলাবালি লেগে থাকলে পরিষ্কার করে যথা স্থানে রাখতে হবে, বিশেষ করে ফাইল রাখার র‍্যাকে ফাইলগুলো রাখতে হবে। ফাইলসমূহে গ্রিজ, মবিল জাতীয় পদার্থ লাগানো যাবে না।
  • চিজেলসমূহের মুখ এবড়ো থেবড়ো হয়ে মাশরুমের হয়ে থাকলে পয়েন্ট গ্রাইন্ডিং করে ঠিক করে যথাস্থানে রাখতে হবে। 
  • যে সমস্ত হ্যান্ড টুলস্ বা মেজারিং টুলস্ এ মবিল বা গ্রিজ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, সেগুলোতে মবিল বা গ্রিজ দিয়ে যথাস্থানে রাখতে হবে।
Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। ৩টি গ্রুভ কাটিং টুলস্ এর নাম উল্লেখ কর।

২। ৩টি স্লট কাটিং টুলস্ এর নাম উল্লেখ কর ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

৩। গ্রুভ ও স্লট কাটিং হ্যান্ড টুলস্ সমূহের নাম উল্লেখ কর।

রচনামূলক প্রশ্ন

৪। হ্যান্ড টুলস্ এর সাহায্যে গ্রুভ ও স্লট কাটিং কালে সতর্কতা মূল ব্যবস্থাসমূহ বর্ণনা কর ।

৫। গ্রুভ ও স্লট কাটিং হ্যান্ড টুলস্ সমূহের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ উল্লেখ কর । 

Content added By

Promotion