SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

কোয়েলের বাচ্চার ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা

সদ্য ফুটন্ত কোয়েলের বাচ্চা খুবই ছোট হয়। এক দিন বয়সের কোয়েলের বাচ্চার ওজন মাত্র ৫-৭ গ্রাম, ভাই ঠান্ডা বা গরম কোনোটাই তারা সহ্য করতে পারে না। এমতাবস্থার খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান এবং কাম্য তাপমাত্রা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বজায় রাখতে হয়। এ সময় কোনো রকম ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা বা কোনো রকম পীড়ন হলে এর প্রভাব স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন এবং বেঁচে থাকার উপর পড়ে। বাচ্চাকে ভাগ দেয়া বা ব্রডিং খাঁচায় বা কেজে করা যায়। উত্তর পদ্ধতিতেই তাপ দেয়া যায় এবং তাপমাত্রার প্রয়োজনীয়তা একই রকম। প্রথম সপ্তাহে সাধারণত ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দিয়ে ব্রুডিং আকা করা হয় এবং তাপমাত্রা প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে নিম্নলিখিত মাত্রায় আনতে হবে।

           বাচ্চার বয়স অনুযায়ী কোয়েলের ব্রুডিং তাপমাত্রা

থার্মোমিটারের সাহায্যে তাপমাত্রা নিরূপণ করা যায়। থার্মোমিটার ছাড়া ব্রুডারের তাপ সঠিক রয়েছে কিনা তা ব্রুডারের বাচ্চার অবস্থান দেখে এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বুঝা যায়। বাচ্চাগুলো যদি বাল্বের কাছে জড়োসড়ো অবস্থায় থাকে তবে বুঝতে হবে তাপমাত্রা কম হয়েছে। আর যদি বাচ্চা বাল্ব থেকে দূরে থাকে তবে তাপমাত্রা অধিক বুঝতে হবে। বাচ্চাগুলো যদি চারদিকে সমভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং স্বাভাবিক ঘুরাফেরাসহ খাদ্য ও পানি গ্রহণ করে তাহলে বুঝতে হবে পরিমিত তাপমাত্রা আছে ।

বাংলাদেশে গরমের সময় দুই সপ্তাহ এবং শীতের সময় তিন থেকে চার সপ্তাহ কৃত্রিম উপায়ে তাপ দিতে হয়। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, দুই সপ্তাহে কেজে ব্রুডিং করে পরবর্তীতে মেঝেতে পালন করলে বাচ্চার মৃত্যুহার অনেক কম হয় এবং বাচ্চার ওজন অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। কোয়েলের মৃত্যুহার নির্ভর করে তার উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার ওপর। ব্রুডিংকালীন পর্যাপ্ত তাপ প্রদান করতে না পারলে বাচ্চার মৃত্যুহার বেড়ে যাবে। কাজেই এ সময় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার ।

 

 

Content added By