আসামের মুখ্যমন্ত্রী ১৯৬০ সালে 'অসমিয়া'কে আসামের একমাত্র রাজ্যভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এ ঘোষণার প্রতিবাদে আসামের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী তীব্র আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলে। তারা 'কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা হরতালের ডাক দেয়। রাজ্য সরকার কারফিউ জারি করে। কারফিউ অমান্য করে বাংলাভাষীরা মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলের উপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ১১ জন নিহত হয়।

'ক' অঞ্চলের শাসকের অপশাসনে নাগরিকগণ চরম হতাশায় ভুগছিল। ছোট রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শাসকদের চক্রান্তে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জোট সরকারের মন্ত্রিসভার পতন ঘটে এবং 'ক' অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইংলিশ ভার্সন স্কুলে লেখাপড়া করায় কাব্য বাসায় ইংরেজিতে কথা বলে। কিন্তু ছোট বোন ছন্দ প্রতিবাদ করে বলে, আমরা বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলব।

১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতা অর্জন করে এবং সংখ্যালঘু সিংহলিজরা ক্ষমতাসীন হয়। তারা নিজেদের ভাষা 'দিভেদী কে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। তামিল জনগোষ্ঠী তখন থেকে নিজেদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। আন্দোলন সংগ্রামের এক পর্যায়ে তামিলরা নিজ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সমর্থ হয়।

রায়পুরা অঞ্চলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ছোট ছোট দলগুলো একত্রিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলকে পরাজিত করে।

পুষ্পস্তবক হাতে একদল মানুষের নীরব শোভাযাত্রা দেখে রহমান সাহেবের স্বাধীনতাপূর্ব একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে। 

রিমি ইংরেজি শেখে। এমনকি সে বাসাতেও ইংরেজিতে কথা বলে। এ আচরণে বিরক্ত হয়ে তার ছোট ভাই প্রতিবাদ করে বলে যে, আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলব ।

সারা ও সামি বেসরকারি রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠানমালা শুনতে বেশি আগ্রহী। তাদের দাদু নাজিমুদ্দিন সাহেব এ অবস্থা দেখে বললেন, “এগুলো শুনে বাংলা-ইংরেজি কোনোটাই ভালোভাবে শিখতে পারবে না। তোমরা বরং বাংলাদেশ বেতার শোন। এতে বাংলা ভাষার পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারবে।”

অনিকের বয়স পাঁচ বছর। সে তার বাবার সাথে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে খালি পায়ে ফুল হাতে প্রভাতফেরিতে যায় বাংলার বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৷