On This Page
সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বিজ্ঞান - বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ | NCTB BOOK

বাংলা ভাষায় বর্ণমালা মাত্র ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ কিন্তু এই ৫০টি বর্ণ দিয়ে অসংখ্য শব্দ তৈরি করা যায়। ঠিক একইভাবে মাত্র ১১৮টি ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু; কিন্তু সেগুলো দিয়ে অসংখ্য অণু তৈরি করা যায় এবং এই অণুগুলোই হচ্ছে পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক, যেখানে যৌগিক পদার্থের সব গুণাবলি আছে। দুই বা দুইয়ের অধিক পরমাণু যদি রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে সেটাকে অণু বলে।

পানির অণুতে একটি অক্সিজেনের পরমাণুর সঙ্গে দুইটি হাইড্রোজেনের পরমাণু সংযুক্ত।

উদাহরণ দেওয়ার জন্য বলা যায়, পানি তৈরি হয়েছে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে। আমরা যদি এক ফোঁটা পানি নিয়ে সেটাকে বিভক্ত করতে থাকি তাহলে শেষ পর্যন্ত আমরা পানির একটি অণুতে পৌঁছাব, সেখানে পানির গুণাবলি পাওয়া যাবে। যদি সেটিকে আরো বিভক্ত করার চেষ্টা করি তাহলে সেটি আর পানির অণু থাকবে না, সেটি দুইটি হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেনের পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে যাবে। মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ দুইটিরই অণু থাকা সম্ভব। আমাদের পরিচিত হাইড্রোজেন, অক্সিজেন বা নাইট্রোজেন গ্যাসের বেলায় সেগুলো আলাদা আলাদা পরমাণু হিসেবে থাকে না, সব সময় দুইটি পরমাণু একত্র হয়ে একটি অণু হিসেবে থাকে।

পরমাণুগুলো সাধারণত মুক্তভাবে থাকে না, সেগুলো অন্য পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু কিংবা যৌগিক পদার্থ হিসেবে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম আছে। তোমরা এর মধ্যে জেনে গেছ, পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রনের বিন্যাস দিয়েই পরমাণু কতটুকু সক্রিয় হবে সেটি নির্ধারিত হয়। পরমাণুর বিভিন্ন কক্ষপথে কয়টি করে ইলেকট্রন থাকবে, সেটি পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত আছে। কাজেই শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকা সম্ভব, যদি তার সবগুলোই পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে সেই পরমাণুটি অন্য পরমাণুর সঙ্গে ইলেকট্রন বিনিময় করে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না। কাজেই সেই পরমাণুগুলো নিষ্ক্রিয় পরমাণু বলা হয় এবং সেগুলো গ্যাস হিসেবে থাকে। হিলিয়াম, আর্গন, নিয়ন, জিনন ইত্যাদি হচ্ছে এই ধরনের নিষ্ক্রিয় গ্যাসের উদাহরণ। এই গ্যাসগুলো অন্য পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু কিংবা যৌগিক পদার্থ না হয়ে মুক্ত পরমাণু হিসেবেই থেকে যায়।

আবার মৌলিক পদার্থের অনেক পরমাণু একসঙ্গে থাকলেই কিন্তু সেগুলো দিয়ে সবসময় অণু গঠিত হয় না। সোনা, রুপা বা লোহা এরকম ধাতুগুলোতে পরমাণুগুলো কঠিনভাবে সংযুক্ত থাকে এবং সেগুলোর বাইরের কক্ষপথের প্রায় মুক্ত ইলেকট্রনগুলো সব পরমাণুর ভেতর ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু সেগুলো কোনো অণু তৈরি করে না। আবার হীরার কেলাসেও কার্বনের অণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থেকে স্ফটিক তৈরি করে, কিন্তু কোনো অণু তৈরি হয় না।

সেটিকে আরো বিভক্ত করার চেষ্টা করি তাহলে সেটি আর পানির অণু থাকবে না, সেটি দুইটি হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেনের পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে যাবে।

মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ দুইটিরই অণু থাকা সম্ভব। আমাদের পরিচিত হাইড্রোজেন, অক্সিজেন বা নাইট্রোজেন গ্যাসের বেলায় সেগুলো আলাদা আলাদা পরমাণু হিসেবে থাকে না, সব সময় দুইটি পরমাণু একত্র হয়ে একটি অণু হিসেবে থাকে।

পরমাণুগুলো সাধারণত মুক্তভাবে থাকে না, সেগুলো অন্য পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু কিংবা যৌগিক পদার্থ হিসেবে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম আছে। তোমরা এর মধ্যে জেনে গেছ, পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রনের বিন্যাস দিয়েই পরমাণু কতটুকু সক্রিয় হবে সেটি নির্ধারিত হয়। পরমাণুর বিভিন্ন কক্ষপথে কয়টি করে ইলেকট্রন থাকবে, সেটি পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত আছে। কাজেই শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকা সম্ভব, যদি তার সবগুলোই পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে সেই পরমাণুটি অন্য পরমাণুর সঙ্গে ইলেকট্রন বিনিময় করে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না। কাজেই সেই পরমাণুগুলো নিষ্ক্রিয় পরমাণু বলা হয় এবং সেগুলো গ্যাস হিসেবে থাকে। হিলিয়াম, আর্গন, নিয়ন, জিনন ইত্যাদি হচ্ছে এই ধরনের নিষ্ক্রিয় গ্যাসের উদাহরণ। এই গ্যাসগুলো অন্য পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু কিংবা যৌগিক পদার্থ না হয়ে মুক্ত পরমাণু হিসেবেই থেকে যায়।

আবার মৌলিক পদার্থের অনেক পরমাণু একসঙ্গে থাকলেই কিন্তু সেগুলো দিয়ে সবসময় অণু গঠিত হয় না। সোনা, রুপা বা লোহা এরকম ধাতুগুলোতে পরমাণুগুলো কঠিনভাবে সংযুক্ত থাকে এবং সেগুলোর বাইরের কক্ষপথের প্রায় মুক্ত ইলেকট্রনগুলো সব পরমাণুর ভেতর ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু সেগুলো কোনো অণু তৈরি করে না। আবার হীরার কেলাসেও কার্বনের অণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থেকে স্ফটিক তৈরি করে, কিন্তু কোনো অণু তৈরি হয় না।

হীরাতে কার্বনের পরমাণুগুলো স্ফটিকের ভেতরে সুনির্দিষ্ট প্যাটার্নে সাজানো থাকে।
Content added By

Promotion