সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - হিন্দু ধর্ম শিক্ষা - যোগাসন | NCTB BOOK

সিদ্ধাসনরত এই আসনে কোনো ব্যক্তিকে দেখতে অনেকটা ধ্যানস্থ কোনো সাধু বা যোগীর মতো মনে হয়। সিদ্ধপুরুষগণ এই আসন অনুশীলন করেন বলে এই আসনের নাম সিদ্ধাসন।

অনুশীলন পদ্ধতি: 

সামনের দিকে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হবে। এবার ডান পা হাঁটু থেকে ভেঙে পায়ের গোড়ালি উরুর সংযোগস্থল তলপেটের নিচে স্পর্শ করে রাখতে হবে। তারপর বাঁ পা হাঁটু ভেঙে ডান পায়ের ওপর রাখতে হবে। দু পায়ের গোড়ালি তলপেটের নিচে লেগে থাকবে। এবার হাত দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। হাতের তালু ওপর দিকে করে ডানহাতের কবজি ডান হাঁটুর ওপর আর বাঁ হাতের কবজি বাঁ হাঁটুর ওপর রাখতে হবে। দু হাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনী ছোঁয়াতে হবে। অন্য আঙুলগুলো সোজা থাকবে। তারপর পিঠ, ঘাড় আর মাথা সোজা রেখে চোখ বন্ধ করে দু ভ্রূর মাঝে মনকে একাগ্র করার চেষ্টা করতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। পা বদল করে আসনটি ৫ মিনিট করতে হবে। শেষে শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে।

গুরুত্ব ও প্রভাব:

সিদ্ধাসনে শরীরের যথেষ্ট বিশ্রাম হয়। এই আসনে বসে থাকার ফলে শরীর যেমন বিশ্রাম পায় তেমনি দু পা আড়াআড়ি আর পিঠ সোজা থাকার ফলে মন স্থির থাকে। হাঁটু আর গোড়ালির গাঁট শক্ত হয়ে গেলে এই আসনে উপকার পাওয়া যায়। এই আসনে কটিদেশে আর উদরাঞ্চলে ভালো রক্তসঞ্চালন হয় এবং এর ফলে মেরুদণ্ডের নিম্নভাগ আর পেটের ভিতরকার যন্ত্রগুলো সতেজ ও সবল হয়। কোমর ও হাঁটুর সন্ধিস্থল সবল হয়। এই আসন অভ্যাসে উদরাময়, হৃদরোগ, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, হাঁপানি প্রভৃতি রোগ দূর হয়। অর্শ রোগে এই আসন অত্যন্ত ফলপ্রদ। সিদ্ধাসনে বসে জপ, প্রাণায়াম ও ধ্যানধারণাদি অভ্যাস করলে সহজে ও অল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধিলাভ করা যায়।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion