SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

Academy

ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য কোনটি?

Created: 2 years ago | Updated: 1 month ago

ভাজক টিস্যুঃ যে সব টিস্যুর কোষ বিভাজন ক্ষমতা রয়েছে সেগুলােকে ভাজক টিস্যু বলে। উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে (যেমন – কান্ড ও মূলের শীর্ষে, কচি পাতায়), পুষ্প, কান্ডমুকুল, পর্বমধ্য ও কান্ডের পরিধিতেও ভাজক টিস্যু থাকে। ভাজক কোষ দিয়ে ভাজক টিস্যু গঠিত হয়৷ এই টিস্যুর কোষগুলো বার বার বিভক্ত হয়, ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে। ভাজক টিস্যু হতেই অন্যান্য স্থায়ী টিস্যু সৃষ্টি হয়৷

 

ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্যঃ

*ভাজক টিস্যুর কোষগুলো আকৃতিতে সমান ব্যাসবিশিষ্ট ও আয়তনে খুবই ছোট;
*অপরিণত কোষে গঠিত ভাজক টিস্যু সর্বদাই বিভাজনক্ষম ও মাইটোসিস পদ্ধতিতে বরাবর বিভাজিত হয়;
*কোষগুলো সাধারণত আয়তাকার, ডিম্বাকার, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজাকার হয়;
*কোষগুলো পেকটিন ও সেলুলোজ নির্মিত এবং পাতলা এবং এই কোষে সাধারণত সেকেন্ডারি কোষ প্রাচীর থাকে না;
*কোষে ঘন দানাদার সাইটোপ্লাজম ও বড় আকারের নিউক্লিয়াস থাকে;
*কোষে সাধারণত কোনো কোষ গহ্বর থাকে না থাকলেও আকারে ক্ষুদ্র ও সংখ্যায় অগণিত যাদের প্রো ভ্যাকুওল বলে;
*কোষগুলো আকারে ছোট এবং দৈর্ঘ্য প্রস্থের প্রায় সমান;
*কোষে বিদ্যমান প্লাস্টিড আদি প্রকৃতির ( প্রো-প্লাস্টিড);
*এ টিস্যু বিপাক হার বেশি বলে কোষে কোনো প্রকার বর্জ্য পদার্থ, সঞ্চিত খাদ্য ও ক্ষরিত পদার্থ থাকে না;
*এই টিস্যু সাধারণত মূল ও কান্ডের অগ্রভাগে অবস্থান করে;
*ভাজক কলার কোষগুলোর মাঝে সাধারণত কোনো আন্তঃকোষীয় ফাঁক থাকে না৷

ভাজক টিস্যুর কাজঃ
শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যুর বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদ দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। এতে ছােট গাছ ক্রমে উঁচু ও লম্বা হয়। পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যুর বিভাজনের ফলে উদ্ভিদের ব্যাস বৃদ্ধি পায়। এতে সরু কাণ্ড ক্ৰমে মােটা হয়। ভাজক টিস্যু থেকে স্থায়ী টিস্যুর সৃষ্টি হয়।

Content added By

Related Question

View More

Promotion