SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

Academy

ফার্নের গ্যামিটোফাইটকে কি বলে?

Created: 2 years ago | Updated: 2 months ago

Pteris এর জনুক্রমঃ কোন জীবের জন্মাবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি, জনন প্রভৃতি পর্যায় অতিক্রম করে পুনরায় অবস্থার পূনর্জন দেওয়ার চক্রীয় ধারাকে ঐ জীবের জীবনচক্র বলে। জীবনচক্র সম্পাদনের জন্য একই জীবনে গ্যামেটোফাইটিক জনু (হ্যাপ্লয়েড দশা) এবং স্পোরোফাইটিক জনুর (ডিপ্লয়েড দশা) চক্রাকার আবর্তনকে জনুক্রম বলে Pteris-এর জীবনচক্রে ডিপ্লয়েড (2n) স্পোরোফাইটিক জনু ও হ্যাপ্লয়েড (n) গ্যামেটাফাইটিক জনু পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয় বলে এদের জনুক্রম ঘটে । নিচে Pteris এর জনুক্রম-এর বর্ণনা দেয়া হলো ।

স্পোরোফাইটিক জনুঃ নিষেকের পর সৃষ্ট ডিপ্লয়েড উস্পোর হচ্ছে স্পোরোফাইটিক জনুর প্রথম ধাপ ।  উস্পোর মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত বিভাজিত হয়ে কাণ্ড ও পাতা বিশিষ্ট Pteris উদ্ভিদ সৃষ্টি করে। পরিণত অবস্থায় Pteris-এর পত্রকের নিচের পিঠে সোরাই উৎপন্ন হয়। প্রতিটি সোরাস কতগুলো স্পোরাঞ্জিয়া বহন করে। প্রতিটি স্পোরাঞ্জিয়ামের ভিতরে ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোমবাহী ১৬টি স্পোর মাতৃকোষ উৎপন্ন হয়। স্পোর মাতৃকোষ থেকে মিয়োসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় হ্যাপ্লয়েড স্পোর উৎপন্ন হয়।

গ্যামেটোফাইটিক জনুঃ স্পোর উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে গ্যামেটোফাইটিক জনু আরম্ভ হয় । স্পোরগুলো অংকুরিত হয়ে প্রোথ্যালাস গঠন করে যাতে পুরুষ ও স্ত্রী জননাঙ্গ অর্থাৎ অ্যাস্থেরিডিয়া ও আর্কিগোনিয়া উৎপন্ন হয় । পরিণত অবস্থায় প্রতিটি অ্যান্থেরিডিয়াম থেকে অসংখ্য শুক্রাণু এবং প্রতিটি আর্কিগোনিয়াম থেকে মাত্র একটি করে ডিম্বাণু উৎপত্তি লাভ করে ।

নিষেক পদ্ধতির মাধ্যমে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে উস্পোর উৎপন্ন হয়। উস্পোর থেকে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়। তারপর ধীরে ধীরে স্পোরোফাইটিক জনুর আবির্ভাব ঘটে।স্পোরোফাইটিক দশা দীর্ঘ ও গ্যামেটোফাইটিক দশা বেশ সংক্ষিপ্ত। এবং উভয় দশা আকার-আকৃতিতে ভিন্ন প্রকৃতির ও স্বতন্ত্র। তাই এ এধরনের জনুক্রমকে হিটারোমরফিক জনুক্রম (heteromorphic alternation of generations) বলে।

Content added || updated By

Related Question

View More

Promotion