মানবদেহে ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রাথমিক অবস্থা স্পোরোজায়াইট।

ব্যাখ্যা:

ম্যালেরিয়া রোগ মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়া একটি পরজীবী সংক্রমণ। ম্যালেরিয়া জীবাণু, প্লাজমোডিয়াম, মানুষের যকৃত এবং লাল রক্তকণিকায় জীবনচক্র সম্পন্ন করে।

মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবনচক্র:

1. সংক্রমণ: যখন একজন সংক্রমিত মশা একজন ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন এটি ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে স্পোরোজোইট নামক সংক্রমণকারী পরজীবী ছেড়ে দেয়।
2. যকৃতে প্রবেশ: স্পোরোজোইট রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে যকৃতে ভ্রমণ করে এবং সেখানে এগুলি হেপাটোসাইট নামক যকৃতের কোষে প্রবেশ করে।
3. মেরোগোনি: যকৃতের কোষে, স্পোরোজোইট বৃদ্ধি পায় এবং বহুগুণিত হয়, যার ফলে মেরোজোইট নামক ছোট ছোট পরজীবী তৈরি হয়।
4. রক্তে প্রবেশ: মেরোজোইট যকৃতের কোষ ভেঙে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে।
5. এরিথ্রোসাইটিক চক্র: রক্তে, মেরোজোইট লাল রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং সেখানে বৃদ্ধি পায় এবং বহুগুণিত হয়। এই পর্যায়ে, ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণগুলি, যেমন জ্বর, ঠান্ডা লাগা এবং ঘাম দেখা দেয়।
6. গ্যামেটোজেনেসিস: কিছু মেরোজোইট লাল রক্তকণিকায় পরিণত হয় এবং গ্যামেটোসাইট নামক যৌন পরজীবীতে পরিণত হয়।
7. সংক্রমণ: যখন একজন মশা একজন সংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন এটি গ্যামেটোসাইটযুক্ত রক্ত গ্রহণ করে।
8. মশার পাকস্থলিতে যৌন প্রজনন: মশার পাকস্থলিতে, গ্যামেটোসাইট যৌন প্রজননের মাধ্যমে মাইক্রোগ্যামেট এবং ম্যাক্রোগ্যামেট নামক যৌন কোষ তৈরি করে।
9. ওয়াইজেনার বডি: মাইক্রোগ্যামেট এবং ম্যাক্রোগ্যামেট সংযুক্ত হয়ে ওয়াইজেনার বডি নামক একটি ডিম্বাণু তৈরি করে।
10. ওকিসাইট: ওয়াইজেনার বডি ভাগ হয়ে ওকিসাইট নামক একটি সংক্রামক পরজীবী তৈরি করে।
11. মশার লাল গ্রন্থিতে প্রবেশ: ওকিসাইট মশার লাল গ্রন্থিতে প্রবেশ করে।
12. স্পোরোগোনি: লাল গ্রন্থিতে, ওকিসাইট বৃদ্ধি পায় এবং বহুগুণিত হয়, যার ফলে স্পোরোজোইট তৈরি হয়।
13. সংক্রমণের চক্র পুনরায় শুরু: স্পোরোজোইট মশার লালার গ্রন্থিতে চলে যায়